কোরান সূরা মারইয়াম আয়াত 63 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Maryam ayat 63 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা মারইয়াম আয়াত 63 আরবি পাঠে(Maryam).
  
   

﴿تِلْكَ الْجَنَّةُ الَّتِي نُورِثُ مِنْ عِبَادِنَا مَن كَانَ تَقِيًّا﴾
[ مريم: 63]

এটা ঐ জান্নাত যার অধিকারী করব আমার বান্দাদের মধ্যে পরহেযগারদেরকে। [সূরা মারইয়াম: 63]

Surah Maryam in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Maryam ayat 63


এই সেই বেহেশত যেটি আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে দিয়েছি আমাদের বান্দাদের মধ্যের তাদের যারা ধর্মপরায়ণ।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৬৩. এ সকল বৈশিষ্ট্যমÐিত জান্নাত আমি আমার আদেশ-নিষেধ মানা বান্দাদেরকে উত্তরাধিকার হিসেবে দেবো।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


এ হল সেই জান্নাত যার অধিকারী করব আমি আমার দাসদের মধ্যে সংযমশীলকে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


এ সে জান্নাত, যার অধিকারী করব আমরা আমাদের বান্দাদের মধ্যে মুত্তাকীদেরকে। [] [] তাকওয়ার অধিকারীদের জন্যই জান্নাত, তারাই জান্নাতের ওয়ারিশ হবে একথা এখানে যেমন বলা হয়েছে কুরআনের অন্যত্রও তা বলা হয়েছে, সূরা আল-মুমিনূনের প্রারম্ভে মুমিনদের গুণাগুণ বৰ্ণনা করে শেষে বলা হয়েছে: "তারাই হবে অধিকারী---অধিকারী হবে ফিরদাওসের যাতে তারা স্থায়ী হবে। [ ১০-১১ ] আরো এসেছে, ‘তোমরা তীব্র গতিতে চল নিজেদের প্রতিপালকের ক্ষমার দিকে এবং সে জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি আকাশ ও পৃথিবীর সমান, যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে মুত্তাকীদের জন্য।’ [ সূরা আলে ইমরান: ১৩৩ ] অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘আর যারা তাদের প্রতিপালকের তাকওয়া অবলম্বন করত তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে।' [ সূরা আয-যুমার: ৭৩ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৬১-৬৩ নং আয়াতের তাফসীর: গুনাহ হতে তাওবা কারীরা যে জান্নাতে প্রবেশ করবে তা হবে চিরস্থায়ী যার ভবিষ্যতের ওয়াদা তাদের প্রতিপালক তাদের সাথে করেছেন। ঐ জান্নাতকে তারা দেখে নাই। তবুও তারা ওর উপর ঈমান এনেছে ও ওটাকে বিশ্বাস করেছে। সত্য কথা এটাই যে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য ও অটল। জান্নাত লাভ বাস্তব কথা। এই জান্নাত সামনে এসেই যাবে। আল্লাহ তাআলা ওয়াদা খেলাফও করবেন না এবং ওয়াদার পরিবর্তনও করবেন না। এই লোকদেরকে তথায় অবশ্যই পৌঁছানো হবে। ( আরবী ) এর অর্থ ( আরবী ) ও এসে থাকে। ভাবার্থ এটাওঃ আমরা যেখানেই যাই ওটা আমাদের কাছে এসেই পড়ে। যেমন বলা হয়ঃ আমার উপর পঞ্চাশ বছর এসেছে অথব্য আমি পঞ্চাশ বছরে পৌঁছেছি। দুটো বাক্যের অর্থ একই হয়ে থাকে। ঐ জান্নাতীদের কানে কোন বাজে কথা, অপছন্দনীয় কথা আসবে এটা অসম্ব। তাদের কানে শুধু শান্তির বাণীই পৌঁছবে। চতুর্দিক থেকে বিশেষ করে ফেরেশতাদের পবিত্র মুখ থেকে শান্তিপূর্ণ কথাই বের হবে এবং তা তাদের কানে গুঞ্জরিত হবে। যেমন সূরায়ে ওয়াকেআ’তে রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ সেথায় তারা শুনবে না কোন অসার অথবা পাপ বাক্য ‘সালাম’ আর ‘সালাম’ বাণী ব্যতীত( ৫৬:২৫-২৬ ) এখানে এটা ( আরবী ) হয়েছে। সকাল ও সন্ধ্যায় উত্তম ও সুস্বাদু আহার্য বিনা কষ্টে ও পরিশ্রমে তাদের কাছে আসতে থাকবে। এটা মনে করা ঠিক হবে না যে, জান্নাতে দিন ও রাত হবে, বরং ঐ আলো বা জ্যোতি দেখে সময় চিনে নেবে যা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নির্ধারিত রয়েছে।হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ প্রথম যে দলটি জান্নাতে যাবে তাদের মুখমণ্ডল চৌদ্দ তারিখের চাদের মত উজ্জ্বল ও জ্যোতির্ময় হবে । সেখানে তাদের মুখে থুথুও আসবে না এবং নাকে শ্লেষ্মও আসবে না। তাদের পায়খানা ও প্রস্রাবের প্রয়োজন হবে না। তাদের পানপাত্র ও আসবাবপত্র গুলি হবে স্বর্ণ ও রৌপ্য নির্মিত। তাদের দেহের ঘর্ম হবে মিশক আম্বারের মত সুগন্ধময়। প্রত্যেক জান্নাতীর এমন দুটি স্ত্রী থাকবে যাদের পরিচ্ছন্ন পায়ের গোছা হতে হাড়ের মজ্জা বাইরে থেকে দেখা যাবে, ঐ বেহেশতীদের একে অপরের প্রতি কোন শত্রুতা থাকবে না, সবাই যেন একই হৃদয়ের লোক। তাদের মধ্যে কোন মতানৈক্য থাকবে না। সকাল সন্ধ্যায় তারা আল্লাহর তাসবীহ পাঠে রত থাকবে।" ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ শহীদ লোকেরা ঐ সময় জান্নাতের একটি নহরের ধারে জান্নাতের দরজার পার্শ্বে রক্তিম বর্ণের খিলান করা ছাদের নীচে অবস্থান করবে । তাদের কাছে সকাল সন্ধ্যায় আহার্য পৌঁছানো হবে।” ( এ হাদীসটিও ইমাম আহমাদ (রঃ ) স্বীয় মুসনাদ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)তথাকার সকাল ও সন্ধ্যার কথা দুনিয়ার হিসেবে বলা হয়েছে। আসলে সেখানে রাত্রি হবেই না। বরং সদা আলো ও জ্যোতিই বিরাজ করবে। পর্দা পড়ে যাওয়া ও দরজা বন্ধ হওয়ার দ্বারা জান্নাতীরা সন্ধ্যা বুঝতে পারবে এবং অনুরূপভাবে সরে যাওয়া ও দরজা খুলে যাওয়া দ্বারা তারা সকাল জানতে পারবে। দর বন্ধ হওয়া ও খুলে যাওয়া জান্নাতীদের ইঙ্গিত ও নির্দেশক্রমেই। হবে। এই দরজগুলিও এতো পরিষ্কার ও ঝকঝকে হবে যে, বাইরের জিনিসগুলি ভিতর থেকে দেখা যাবে। দুনিয়ায় দিন রাত্রি ভোগ করা তাদের অভ্যাস ছিল বলে যে সময় তারা চাবে তাই পাবে। আরবের লোকেরা সকাল ও সন্ধ্যায় খাদ্য খেতে অভ্যস্ত ছিল বলেই জান্নাতীদের খাদ্য খাওয়ার ব্যাপারে সকাল ও সন্ধ্যার কথা বলা হয়েছে মাত্র। প্রকৃতপক্ষে তারা যা চাবে এবং যখন চাবে বক্ষ্যমান পেয়ে যাবে। যেমন একটি গারীব ও অস্বীকার্য হাদীসে রয়েছে যে, সকাল সন্ধ্যায় ঠিকানা নয়, বরং রিযক তো অসংখ্য এবং তা সব সময় বিদ্যমান থাকবে। আল্লাহর বন্ধুদের পার্শ্বে ঐ সময় এমন সব হ্র আগমন করবে যাদের মধ্যে নিম্নমানের হৃরেরা শুধুমাত্র যাফরান দ্বারা সৃষ্ট হবে। এই সব নিয়ামত বিশিষ্ট জান্নাতগুলি ঐ সব লোক পাবে যারা প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে আল্লাহর বাধ্য ও অনুগত, ক্রোধসম্বরণকারী এবং লোকদেরকে ক্ষমাকারী। যাদের গুণাবলী ( আরবী ) এর শুরুতে বর্ণিত। হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছেঃ তারাই ফিরদাউসের অধিকারী হবে যাতে তারা স্থায়ী হবে।

সূরা মারইয়াম আয়াত 63 সূরা

تلك الجنة التي نورث من عبادنا من كان تقيا

سورة: مريم - آية: ( 63 )  - جزء: ( 16 )  -  صفحة: ( 309 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. এবং নামাযীদের সাথে উঠাবসা করেন।
  2. আপনি কি বুঝলেন অগ্নি কি?
  3. তাদের অধিকাংশ সলা-পরামর্শ ভাল নয়; কিন্তু যে সলা-পরামর্শ দান খয়রাত করতে কিংবা সৎকাজ করতে কিংবা
  4. ধৈর্য্যর সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী
  5. এবং প্রতিশ্রুত দিবসের,
  6. অতএব, আমার ও তাদের মধ্যে কোন ফয়সালা করে দিন এবং আমাকে ও আমার সংগী মুমিনগণকে
  7. যেদিন আযাব তাদেরকে ঘেরাও করবে মাথার উপর থেকে এবং পায়ের নীচ থেকে। আল্লাহ বললেন, তোমরা
  8. নিশ্চয় আল্লাহ তাদের সঙ্গে আছেন, যারা পরহেযগার এবং যারা সৎকর্ম করে।
  9. যারা সৎকর্ম করেছে তাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ এবং তারও চেয়ে বেশী। আর তাদের মুখমন্ডলকে আবৃত
  10. তারা পাহাড়ে নিশ্চিন্তে ঘর খোদাই করত।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মারইয়াম ডাউনলোড করুন:

সূরা Maryam mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Maryam শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত মারইয়াম  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত মারইয়াম  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত মারইয়াম  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত মারইয়াম  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত মারইয়াম  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত মারইয়াম  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত মারইয়াম  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত মারইয়াম  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত মারইয়াম  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত মারইয়াম  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers