কোরান সূরা যুমার আয়াত 67 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Zumar ayat 67 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা যুমার আয়াত 67 আরবি পাঠে(Zumar).
  
   

﴿وَمَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ وَالْأَرْضُ جَمِيعًا قَبْضَتُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَالسَّمَاوَاتُ مَطْوِيَّاتٌ بِيَمِينِهِ ۚ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَىٰ عَمَّا يُشْرِكُونَ﴾
[ الزمر: 67]

তারা আল্লাহকে যথার্থরূপে বোঝেনি। কেয়ামতের দিন গোটা পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুঠোতে এবং আসমান সমূহ ভাঁজ করা অবস্থায় থাকবে তাঁর ডান হাতে। তিনি পবিত্র। আর এরা যাকে শরীক করে, তা থেকে তিনি অনেক উর্ধ্বে। [সূরা যুমার: 67]

Surah Az-Zumar in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Zumar ayat 67


আর তারা আল্লাহ্‌কে সম্মান করে না তাঁর যথোচিত সম্মানের দ্বারা, অথচ সমস্ত পৃথিবীটাই তাঁর মুঠোয় থাকবে কিয়ামতের দিনে, আর মহাকাশমন্ডলীটা গুটিয়ে নেয়া হবে তাঁর ডান হাতে। সকল মহিমা তাঁরই আর তারা যেসব অংশী দাঁড় করায় তা থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৬৭. মুশরিকরা যখন আল্লাহর সাথে দুর্বল সৃষ্টি ও অপারগ কাউকে শরীক করলো তখন তারা প্রকৃতপক্ষে আল্লাহকে অসম্মান করলো। এতে করে তারা আল্লাহর এই ক্ষমতার কথা ভুলে গেলো যার নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে কিয়ামত দিবসে তাঁর মুষ্টিতে পাহাড়, বৃক্ষরাজি ও সাগরসমূহ এসে যাওয়া। আরো রয়েছে সাত স্তবক আসমান তাঁর ডান হাতে ভাঁজ হওয়া। আল্লাহ মুশরিকদের অপকথা থেকে মুক্ত, পবিত্র ও বহু উর্দ্ধে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


ওরা আল্লাহর যথোচিত কদর করেনি।[১] কিয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী তাঁর হাতের মুঠোয় থাকবে এবং আকাশমন্ডলী থাকবে তাঁর ডান হাতে গুটানো।[২] পবিত্র ও মহান তিনি, ওরা যাকে অংশী করে, তিনি তার ঊর্ধ্বে। [১] কেননা, তাঁর কথাও মানেনি, যা তিনি নবীদের মাধ্যমে তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন এবং ইবাদতকেও কেবল তাঁর জন্য নির্দিষ্ট করেনি, বরং অন্যকেও তাতে শরীক করেছিল। হাদীসে এসেছে যে, " এক ইয়াহুদী পন্ডিত নবী করীম ( সাঃ )-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল যে, আমরা আল্লাহর ব্যাপারে ( কিতাবে ) এই কথা পাই যে, তিনি ( কিয়ামতের দিন ) আসমানসমূহকে এক আঙ্গুলে, যমীনসমূহকে আর এক আঙ্গুলে, গাছ-পালাকে এক আঙ্গুলে, পানি ও স্থলকে এক আঙ্গুলে এবং সমস্ত সৃষ্টিকুলকে এক আঙ্গুলে ধারণ করে বলবেন, আমিই সম্রাট। " নবী ( সাঃ ) মুচকি হেসে তার কথার সত্যায়ন করলেন এবং وَمَا قَدَرُوا اللهَ আয়াতটি তেলাঅত করলেন। ( সহীহ বুখারী, তাফসীর সূরা যুমার ) মুহাদ্দিসীন ও সলফদের আকীদা হল, আল্লাহর যেসব গুণাবলী কুরআনে এবং সহীহ হাদীসসমূহে উল্লেখ করা হয়েছে, ( যেমন, এই আয়াতে হাতের এবং হাদীসে তাঁর আঙ্গুলের কথা প্রমাণিত ) সেগুলোর উপর কোন ধরন-গঠন নির্ণয়, সাদৃশ্য আরোপ এবং অপব্যাখ্যা ও পরিবর্তন করা ছাড়াই ঈমান অত্যাবশ্যক। কাজেই এখানে বর্ণিত প্রকৃতত্বকে কেবল প্রবলতা ও শক্তিমত্তার অর্থে গ্রহণ করা সঠিক নয়।[২] এ ব্যাপারেও হাদীসে এসেছে যে, অতঃপর মহান আল্লাহ বলবেন, ( (أَنَا الْمَلِكُ، أَيْنَ مُلُوْكُ الأرضِ )) "আমিই বাদশাহ, পৃথিবীর বাদশাহরা আজ কোথায়? ( বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৫৫২২ নং )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর তারা আল্লাহকে যথোচিত সম্মান করেনি অথচ কিয়ামতের দিন সমস্ত যমীন থাকবে তাঁর হাতের মুঠিতে এবং আসমানসমূহ থাকবে ভাঁজ করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে []। পবিত্র ও মহান তিনি, তারা যাদেরকে শরীক করে তিনি তাদের উর্ধ্বে। [] কেয়ামতের দিন পৃথিবী আল্লাহর মুঠোতে থাকবে এবং আকাশ ভাঁজ করা অবস্থায় তার ডান হাতে থাকবে। আলেমগণের মতে আক্ষরিক অর্থেই এমনটি হবে। যার স্বরূপ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ জানে না। এ আয়াতের ভাষ্য থেকে জানা যায় যে, আল্লাহ তা'আলার মুঠি” ও “ ডান হাত’ আছে । এ দুটি আল্লাহর অন্যান্য গুণাগুণের মতই দুটি গুণ। এগুলোতে বিশ্বাস করতে হবে। এগুলোর অর্থ সাব্যস্ত করতে হবে। কিন্তু পরিচিত কোন অবয়ব দেয়া যাবে না। একথা মানতে হবে যে, আল্লাহর সত্ত্বা যেমন আমরা না দেখে সাব্যস্ত করছি তেমনিভাবে তার গুণও নাদেখে সাব্যস্ত করব। যমীন আল্লাহ তা'আলার হাতের মুঠিতে থাকা এবং আসমান ডান হাতে পেঁচানো থাকার মাধ্যমে মহান আল্লাহর সঠিক মর্যাদা, বড়ত্ব ও সম্মান সম্পর্কে মানুষকে কিছুটা ধারণা দেয়া হয়েছে। কিয়ামতের দিন সমস্ত মানুষ ( যারা আজ আল্লাহর বড়ত্ব ও মহত্বের অনুমান করতেও অক্ষম ) নিজ চোখে দেখতে পাবে যমীন ও আসমান আল্লাহর হাতে একটা নগণ্যতম বল ও ছোট একটি রুমালের মত। হাদীসে এসেছে, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিম্বরে উঠে খুতবা দিচ্ছিলেন। খুতবা দানের সময় তিনি এ আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন এবং বললেনঃ আল্লাহ তা'আলা আসমান ও যমীনকে ( অর্থাৎ গ্রহসমূহকে ) তাঁর মুষ্ঠির মধ্যে নিয়ে এমনভাবে ঘুরাবেন যেমন শিশুরা বল ঘুরিয়ে থাকে। এবং বলবেনঃ আমি একমাত্র আল্লাহ। আমি বাদশাহ। আমি সর্বশক্তিমান। আমি বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের মালিক। কোথায় পৃথিবীর বাদশাহ? কোথায় শক্তিমানরা? কোথায় অহংকারীরা? এভাবে বলতে বলতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনভাবে কাঁপতে থাকলেন যে, তিনি মিম্বারসহ পড়ে না যান আমাদের সে ভয় হতে লাগলো। [ মুসলিম:২৭৮৮ ] অপর হাদীসে এসেছে, ইয়াহুদী এক আলেম এসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললেন: হে মুহাম্মাদ! আমরা আমাদের কিতাবে পাই যে, আল্লাহ তা’আলা আসমানসমূহকে এক আঙ্গুলো রাখবেন, যমীনসমূহকে অপর আঙ্গুলো রাখবেন, গাছ-গাছালীকে এক আঙ্গুলে রাখবেন, পানি ও মাটিকে এক আঙ্গুলো রাখবেন আর সমস্ত সৃষ্টিকে অপর আঙ্গুলে রাখবেন, তারপর বলবেন; আমিই বাদশাহ্! তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ইয়াহুদী আলেমের বক্তব্যের সমর্থনে এমনভাবে হাসলেন যে, তার মাড়ির দাঁত পর্যন্ত দেখা গিয়েছিল। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ আয়াত তেলাওয়াত করলেন। [ বুখারী: ৪৮১১ ] অন্য এক হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আল্লাহ তা’আলা যমীনকে মুষ্ঠিবদ্ধ করবেন। আর আসমানসমূহকে ডানহাতে গুটিয়ে রাখবেন তারপর বলবেন; আমিই বাদশাহ! কোথায় দুনিয়ার বাদশাহরা? [ বুখারী: ৪৮১২, মুসলিম: ২৭৮১ ] অপর এক হাদীসে এসেছে, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন: আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! “ কিয়ামতের দিন সমস্ত যমীন থাকবে তাঁর হাতের মুঠিতে এবং আসমানসমূহ থাকবে ভাঁজ করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে ।” সেদিন ঈমানদারগণ কোথায় থাকবে? তিনি বললেন: হে আয়েশা! সিরাতের ( পুলসিরাতের ) উপরে থাকবে। [ তিরমিয়ী: ৩২৪২ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ মুশরিকরা আল্লাহ তা'আলার সম্মান ও মর্যাদা সম্পর্কে কোন জ্ঞান রাখে না। তাই তারা তাঁর সাথে অন্যদেরকে শরীক করে। আল্লাহর চেয়ে বড় মর্যাদাবান, রাজত্বের অধিকারী এবং ক্ষমতাবান আর কেউই নেই। তাঁর সাথী ও সমকক্ষ কেউই হতে পারে না। এ আয়াত কাফির কুরায়েশদের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়। তারা যদি আল্লাহ তাআলার মর্যাদা বুঝতে তবে তাঁর কথাকে তারা ভুল মনে করতো না। যে ব্যক্তি আল্লাহকে সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান মনে করে সেই আল্লাহকে সম্মান করে ও তার মর্যাদা দেয়। আর যে এ বিশ্বাস রাখে না সে আল্লাহকে সম্মান করে না। এই আয়াত সম্পর্কে বহু হাদীস এসেছে।এ ধরনের আয়াতের ব্যাপারে পূর্ব যুগীয় সৎ লোকদের নীতিও এটাই ছিল যে, যেভাবে এবং যে ভাষায় ও শব্দে এটা এসেছে সেভাবেই এবং সেই শব্দগুলোর সাথেই তারা এটা মেনে নিতেন। এর অবস্থা তারা অনুসন্ধান করতেন না এবং তাতে কোন পরিবর্তন পরিবর্ধনও করতেন না। এ আয়াতের তাফসীরে সহীহ বুখারীতে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, ইয়াহূদীদের একজন বড় আলেম রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর নিকট এসে বলেঃ “ হে মুহাম্মাদ ( সঃ )! আমরা এটা ( লিখিত ) পাচ্ছি যে, মহামহিমান্বিত আল্লাহ সপ্ত আকাশকে এক আঙ্গুলের উপর রাখবেন এবং যমীনগুলোকে রাখবেন এক আঙ্গুলের উপর, আর বৃক্ষরাজিকে রাখবেন এক আঙ্গুলের উপর এবং পানি ও মাটিকে রাখবেন এক আঙ্গুলের উপর । আর বাকী সমস্ত মাখলুককে রাখবেন এক আঙ্গুলের উপর। অতঃপর তিনি বলবেনঃ “ আমিই সব কিছুর মালিক ও বাদশাহ ।রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তার কথার সত্যতায় হেসে ফেলেন, এমনকি তার পবিত্র মাড়ি প্রকাশিত হয়ে পড়ে। তারপর তিনি। ...
( আরবী )-এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেন।মুসনাদে আহমাদে এ হাদীসটি প্রায় এভাবেই বর্ণিত আছে। তাতে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) হেসে ওঠেন এবং আল্লাহ তা'আলা এ আয়াতটি অবতীর্ণ করেন। আর একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, ঐ ইয়াহূদী আলেম কথাগুলো বলার সময় নিজের আঙ্গুলগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করছিল। প্রথমে সে তার তর্জনী আঙ্গুলের প্রতি ইশারা করেছিল। এই রিওয়াইয়াতে চারটি আঙ্গুলের কথা উল্লেখ রয়েছে।হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে বলতে শুনেছেনঃ আল্লাহ যমীনকে কব্য করে নিবেন এবং আসমানকে দক্ষিণ হস্তে মুষ্টিবদ্ধ করবেন । অতঃপর বলবেনঃ “ আমিই বাদশাহ । যমীনের বাদশাহরা কোথায়?” ( এ হাদীসটি সহীহ বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে )হযরত ইবনে উমার ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা যমীনগুলো অঙ্গুলীর উপর রাখবেন এবং আকাশমণ্ডলী তার দক্ষিণ হস্তে থাকবে । অতঃপর তিনি বলবেনঃ “ আমিই বাদশাহ ।( এ হাদীসটিও ইমাম বুখারী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনে উমার ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, একদা রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) মিম্বরের উপর ...
( আরবী )-এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেন এবং স্বীয় দক্ষিণ হস্ত নড়াতে থাকেন। কখনো তিনি হাত সামনের দিকে করছিলেন এবং কখনো পিছনের দিকে ফিরাচ্ছিলেন। তিনি বলছিলেন, আল্লাহ তাআলা নিজেই নিজের প্রশংসা করবেন এবং স্বীয় শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করবেন । তিনি বলবেনঃ ‘আমি জাব্বার ( বিজয়ী বা সর্বশক্তিমান ), আমি মুতাকাব্বির ( অহংকারী বা আত্মগবী ), আমি মালিক ( বাদশাহ ), আমি আযীয ( প্রতাপশালী ) এবং আমি কারীম ( মহান )'।” হযরত ইবনে উমার ( রাঃ ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) একথাগুলো বলার সময় এমনভাবে নড়ছিলেন যে, তিনি মিম্বরসহ পড়ে যাবেন না কি, আমরা এই আশংকা করছিলাম ।( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ), ইমাম মুসলিম ( রঃ ), ইমাম নাসাঈ ( রঃ ) এবং ইমাম ইবনে মাজাহ ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনে উমার ( রাঃ )-এর পূর্ণ অবস্থা দেখিয়ে দিলেন যে, কিভাবে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) এটা বর্ণনা করেছিলেন। তা এই যে, আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তাআলা সপ্ত আসমান ও যমীন স্বীয় হস্তে গ্রহণ করবেন এবং বলবেনঃ “ আমি বাদশাহ ।” কোন সময় তিনি আঙ্গুলগুলো খুলবেন এবং কোন সময় বন্ধ করবেন। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) ঐ সময় নড়তে ছিলেন, এমনকি তাঁর নড়ার কারণে মিম্বরও নড়ে উঠছিল। শেষ পর্যন্ত হযরত ইবনে উমার ( রাঃ ) ভয় পান যে, না জানি হয়তো ওটা তাঁকে ফেলেই দেয়।বাযযার ( রঃ )-এর রিওয়াইয়াতে আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) মিম্বরের উপর এ আয়াতটি পাঠ করেন। তখন মিম্বরও এইরূপ বলে। তখন তিনি তিনবার যান ও আসেন। এসব ব্যাপারে সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ।হযরত জারীর ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাঁর সাহাবীদের ( রাঃ ) একটি দলকে বলেনঃ “ আজ আমি তোমাদেরকে সূরায়ে যুমারের শেষের আয়াতগুলো পড়ে শুনাবো । এগুলো শুনে তোমাদের মধ্যে যে ক্রন্দন করবে তার জন্যে জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।” অতঃপর তিনি ( আরবী ) হতে সূরার শেষ পর্যন্ত আয়াতগুলো পাঠ করেন। কতকগুলো লোক এগুলো শুনে কাঁদতে শুরু করেন। কিন্তু কতকগুলো লোকের ক্রন্দন এলো না। তারা আর করলেন:“ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমরা ক্রন্দনের খুবই ইচ্ছা করেছি, কিন্তু ক্রন্দন আসেনি ।” তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বললেনঃ “ আচ্ছা, আমি আবার পড়ছি । যাদের কান্না আসবে না তারাও যেন কাদার মত ভাব দেখায় এবং লৌকিকতা করে কাঁদে।” তখন তাঁরা লৌকিকতা করে কাঁদলেন। ( এ হাদীসটি ইমাম হাফিয আবুল কাসিম তিবরানী (রঃ ) স্বীয় মু’জামূল কাবীর গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু হাদীসটি খুবই গরীব)হযরত মালিক আশ'আরী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “ তিনটি জিনিস আমি আমার বান্দাদের হতে গোপন রেখেছি । যদি ওগুলোও তারা দেখে নিতো তবে কোন লোক কখনো কোন মন্দ কাজ করতো না। যদি আমি পর্দা সরিয়ে দিতাম এবং তারা আমাকে দেখে নিয়ে দৃঢ় বিশ্বাস করে নিতো যে, আমি আমার মাখলুকের সাথে কি ব্যবহার করি, যখন আমি তাদের কাছে এসে অসমানকে মুষ্টির মধ্যে নিয়ে নিতাম, অতঃপর যমীনকেও মুষ্টির মধ্যে নিতাম এবং বলতামঃ আমিই বাদশাহ্। আমি ছাড়া রাজ্যের বাদশাহ্ কে? তারপর তাদেরকে জান্নাত দেখাতাম এবং ওর মধ্যে যতগুলো উত্তম ও মনোমুগ্ধকর জিনিস রয়েছে তার সবই দেখাতাম। তারপর তাদেরকে দেখাতাম জাহান্নাম এবং তারা তথাকার শাস্তি অবলোকন করতো, তখন তাদের সবকিছু বিশ্বাস হয়ে যেতো কিন্তু আমি ইচ্ছা করেই এগুলো তাদের থেকে গোপন রেখেছি, যাতে জেনে নিই যে, তারা কিভাবে আমল করে। কেননা, আমি তো তাদের জন্যে সবকিছুই বর্ণনা করে দিয়েছি।” ( এ হাদীসটিও আল কিতাবুল মু'জামে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু এটা আরো বেশী গারীব। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে ভাল জানেন )

সূরা যুমার আয়াত 67 সূরা

وما قدروا الله حق قدره والأرض جميعا قبضته يوم القيامة والسموات مطويات بيمينه سبحانه وتعالى عما يشركون

سورة: الزمر - آية: ( 67 )  - جزء: ( 24 )  -  صفحة: ( 465 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. যখন তাদের কাছে কোন আয়াত পৌঁছে, তখন বলে, আমরা কখনই মানব না যে, পর্যন্ত না
  2. আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে।
  3. পৃথিবীতে এবং ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের উপর কোন বিপদ আসে না; কিন্তু তা জগত সৃষ্টির পূর্বেই কিতাবে
  4. তিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে একই ব্যক্তি থেকে। অতঃপর তা থেকে তার যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং
  5. আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য করবে, তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ
  6. তারা কি একথা জেনে নেয়নি যে, আল্লাহর সাথে এবং তাঁর রসূলের সাথে যে মোকাবেলা করে
  7. যারা বিশ্বাস করেছে ও সৎকর্ম করেছে যাতে, আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে প্রতিদান দেন। নিশ্চয়
  8. সুতরাং যদি কখনো তুমি তাদেরকে যুদ্ধে পেয়ে যাও, তবে তাদের এমন শাস্তি দাও, যেন তাদের
  9. তারা ঐ শাস্ত্রের অনুসরণ করল, যা সুলায়মানের রাজত্ব কালে শয়তানরা আবৃত্তি করত। সুলায়মান কুফর করেনি;
  10. তারা বললঃ হে যুলকারনাইন, ইয়াজুজ ও মাজুজ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। আপনি বললে আমরা আপনার

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা যুমার ডাউনলোড করুন:

সূরা Zumar mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Zumar শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত যুমার  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত যুমার  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত যুমার  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত যুমার  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত যুমার  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত যুমার  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত যুমার  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত যুমার  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত যুমার  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত যুমার  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত যুমার  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত যুমার  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত যুমার  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত যুমার  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত যুমার  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত যুমার  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত যুমার  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত যুমার  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত যুমার  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত যুমার  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত যুমার  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত যুমার  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত যুমার  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত যুমার  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত যুমার  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers