কোরান সূরা তাওবা আয়াত 92 তাফসীর
﴿وَلَا عَلَى الَّذِينَ إِذَا مَا أَتَوْكَ لِتَحْمِلَهُمْ قُلْتَ لَا أَجِدُ مَا أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ تَوَلَّوا وَّأَعْيُنُهُمْ تَفِيضُ مِنَ الدَّمْعِ حَزَنًا أَلَّا يَجِدُوا مَا يُنفِقُونَ﴾
[ التوبة: 92]
আর না আছে তাদের উপর যারা এসেছে তোমার নিকট যেন তুমি তাদের বাহন দান কর এবং তুমি বলেছ, আমার কাছে এমন কোন বস্তু নেই যে, তার উপর তোমাদের সওয়ার করাব তখন তারা ফিরে গেছে অথচ তখন তাদের চোখ দিয়ে অশ্রু বইতেছিল এ দুঃখে যে, তারা এমন কোন বস্তু পাচ্ছে না যা ব্যয় করবে। [সূরা তাওবা: 92]
Surah At-Tawbah in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Tawbah ayat 92
আর ওদের উপরেও নেই যারা তোমার কাছে এসেছিল যেন তুমি তাদের জন্য বাহন যোগাড় করে দাও, তখন তুমি বলেছিল -- 'যার উপরে আমি তোমাদের বহন করব তা আমি পাচ্ছি না’, ওরা ফিরে গিয়েছিল আর ওদের চোখে অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছিল তারা যা খরচ করতে চায় তা না পাওয়ার দুঃখে।
Tafsir Mokhtasar Bangla
৯২. তেমনিভাবে আপনার সাথে যুদ্ধে না যাওয়া ওই লোকদেরও কোন গুনাহ নেই যারা আপনার নিকট এসে যুদ্ধের বাহন হিসেবে আপনার নিকট কোন পশু তলব করেছে। আর আপনি তাদেরকে বলেছেন: আমি এমন কোন পশু পাচ্ছি না যা তোমাদেরকে বাহন হিসেবে দেবো। তখন তারা আপনার কাছ থেকে চলে গেলো। অথচ তাদের চোখগুলো থেকে অশ্রæ গড়িয়ে পড়ছিলো। এ দুঃখে যে, তারা খরচ করার মতো না নিজেদের কাছে কোন কিছু পেয়েছে, না আপনার কাছে। যখন আল্লাহ তা‘আলা বর্ণনা করলেন যে, ওজরওয়ালাদেরকে শাস্তি দেয়ার কোন সুযোগ নেই তখন তিনি পাকড়াও ও শাস্তির উপযুক্তদের কথা উল্লেখ করলেন। তিনি বলেন:
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
আর ঐ লোকদেরও ( বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন পথ ) নেই, যারা তোমার নিকট এই উদ্দেশ্যে এল যে, তুমি তাদেরকে বাহন দান করবে, ( যাদেরকে ) তুমি বললে, ‘আমার নিকট তোমাদেরকে আরোহণ করাবার মত কোন বাহন নেই।’ তখন তারা এমন অবস্থায় ফিরে গেল যে, তাদের চক্ষু হতে অশ্রু বইতে লাগল এ দুঃখে যে, তাদের কাছে ব্যয় করার মত কোন কিছুই নেই। [১] [১] এখানে মুসলিমদের দ্বিতীয় এক দলের কথা উল্লিখিত হয়েছে, যাদের কাছে কোন প্রকার সওয়ারী বা বাহন ছিল না। আর নবী ( সাঃ )ও তাদেরকে সওয়ারী দিতে ওজর পেশ করলেন। যার ফলে তাদের মনে এমন কষ্ট হল যে, তাদের চক্ষুদ্বয় হতে অশ্রু বিগলিত হল। 'রাযিবয়াল্লাহু আনহুম।' ( আল্লাহ তাদের উপর সন্তুষ্ট হন। ) বুঝা গেল যে, আন্তরিকতাপূর্ণ খাঁটি মুসলিমগণ, যাঁদের কোন না কোন প্রকার সত্যই জিহাদে না যাওয়ার অজুহাত ছিল, গুপ্ত ও প্রকাশ্য সকল খবর সম্পর্কে অবহিত মহান আল্লাহ তাদেরকে জিহাদে অংশ গ্রহণ না করতে অনুমতি দিয়ে পৃথক করে দিলেন। বরং হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী ( সাঃ ) এইসব ওজর-ওয়ালা মানুষদের ব্যাপারে জিহাদে শরীক মুজাহিদদেরকে বললেন যে, " তোমাদের পিছনে মদীনার কিছু লোক এমনও রয়েছে যে, তোমরা যে উপত্যকাই অতিক্রম করছ এবং যে পথই চলছ তারা সওয়াবে তোমাদের বরাবর শরীক রয়েছে। " সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, 'তা কি করে হতে পারে অথচ তারা মদীনায় বসে আছে?' তিনি বললেন, " ওজর তাদেরকে সেখানে আটকে রেখেছে। ( কিন্তু তাদের হৃদয়-মন তোমাদের সাথে আছে। ) " ( বুখারীঃ জিহাদ অধ্যায়, মুসলিম কিতাবুল ইমারাহ, যাদেরকে ওজর যুদ্ধে শরীক হতে রুখে দিয়েছে তাদের সওয়াব পরিচ্ছেদ )
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
আর তাদেরও কোন অপরাধ নেই যারা আপনার কাছে বাহনের জন্য আসলে আপনি বলেছিলেন, ‘তোমাদের জন্য কোন বাহন আমি পাচ্ছি না’; তারা অশ্রুবিগলিত চোখে ফিরে গেল, কারণ তারা খরচ করার মত কিছুই পায়নি [ ১ ] [ ১ ] আলোচ্য আয়াতে তাদের কথাই বলা হয়েছে যাদের অপারগতা আল্লাহ্ কবুল করে নিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও যুদ্ধে বের হওয়ার পর যারা আগ্রহ থাকা সত্বেও যুদ্ধে আসতে পারেনি তাদের ব্যাপারটি মনে রাখার জন্য সাহাবায়ে কিরামকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মদীনাতে এমন একদল লোক রয়েছে, তোমরা যে উপত্যকাই অতিক্রম কর না কেন, যে জায়গায়ই সফর কর না কেন তারা তোমাদের সাথে আছে। তারা বলল, তারা তো মদীনায়? তিনি বললেন, হ্যা, তাদেরকে ওযর আটকে রেখেছে।' [ বুখারী: ২৮৩৯; মুসলিম: ১৯১১ ] অন্য বর্ণনায় এসেছে, তারা তোমাদের সাথে সওয়াবে শরীক হবে। অসুস্থতা তাদেরকে আটকে রেখেছে [ মুসলিম: ১৯১১; ইবন মাজাহ: ২৭৬৫ ] এ আয়াতের পরে এ ব্যাপারে সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হয়েছে যে, বিপদ শুধু তাদের ক্ষেত্রে যারা সামর্থ্য ও শক্তি থাকা সত্ত্বেও জিহাদে অনুপস্থিত থাকাকে নারীদের মত পছন্দ করে নিয়েছে।
সূরা তাওবা আয়াত 92 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- এটা তোমাদের প্রতিদান। তোমাদের প্রচেষ্টা স্বীকৃতি লাভ করেছে।
- এছাড়া তারা আরও বলেঃ অলীক স্বপ্ন; না সে মিথ্যা উদ্ভাবন করেছে, না সে একজন কবি।
- সে মুমিন ব্যক্তি বললঃ হে আমার কওম, আমি তোমাদের জন্যে পূর্ববর্তী সম্প্রদায়সমূহের মতই বিপদসঙ্কুল দিনের
- যা সৎপথ প্রদর্শন করে। ফলে আমরা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমরা কখনও আমাদের পালনকর্তার সাথে
- অতএব, যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে, তারাই সীমালংঘনকারী।
- বস্তুতঃ আমি তাকে দু’টি পথ প্রদর্শন করেছি।
- আর যখন ফেরেশতা বলল হে মারইয়াম!, আল্লাহ তোমাকে পছন্দ করেছেন এবং তোমাকে পবিত্র পরিচ্ছন্ন করে
- তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে যে, কি বস্তু তাদের জন্যে হালাল? বলে দিন, তোমাদের জন্যে পবিত্র
- অথবা না বলে, আল্লাহ যদি আমাকে পথপ্রদর্শন করতেন, তবে অবশ্যই আমি পরহেযগারদের একজন হতাম।
- অতঃপর কেয়ামতের দিন তোমরা সবাই তোমাদের পালনকর্তার সামনে কথা কাটাকাটি করবে।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা তাওবা ডাউনলোড করুন:
সূরা Tawbah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Tawbah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers