কোরান সূরা মু'মিন আয়াত 67 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Ghafir ayat 67 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা মু'মিন আয়াত 67 আরবি পাঠে(Ghafir).
  
   

﴿هُوَ الَّذِي خَلَقَكُم مِّن تُرَابٍ ثُمَّ مِن نُّطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ يُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوا أَشُدَّكُمْ ثُمَّ لِتَكُونُوا شُيُوخًا ۚ وَمِنكُم مَّن يُتَوَفَّىٰ مِن قَبْلُ ۖ وَلِتَبْلُغُوا أَجَلًا مُّسَمًّى وَلَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ﴾
[ غافر: 67]

তিনি তো তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা, অতঃপর শুক্রবিন্দু দ্বারা, অতঃপর জমাট রক্ত দ্বারা, অতঃপর তোমাদেরকে বের করেন শিশুরূপে, অতঃপর তোমরা যৌবনে পদর্পণ কর, অতঃপর বার্ধক্যে উপনীত হও। তোমাদের কারও কারও এর পূর্বেই মৃত্যু ঘটে এবং তোমরা নির্ধারিত কালে পৌঁছ এবং তোমরা যাতে অনুধাবন কর। [সূরা মু'মিন: 67]

Surah Ghafir in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Ghafir ayat 67


''তিনিই সেইজন যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, তারপর শুক্রকীট থেকে, তারপর রক্তপিন্ড থেকে, তারপর তিনি তোমাদের বের করে আনেন শিশুরূপে, তারপর যেন তোমরা বাড়তে পারো তোমাদের পূর্ণযৌবনে, তারপর যেন তোমরা বৃদ্ধ হতে পারো, আর তোমাদের মধ্যে কাউকে মরতে দেওয়া হয় আগেই, -- কাজেকাজেই তোমরা যেন নির্ধারিত সময়সীমায় পৌঁছুতে পারো, আর যেন তোমরা বুঝতে-সুঝতে পারো।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৬৭. তিনি তোমাদের পিতা আদমকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। এরপর তোমাদেরকে ধাতু থেকে অতঃপর জমাট রক্ত থেকে সৃষ্টি করেছেন। এরপর তোমাদেরকে তোমাদের মায়েদের জরায়ু থেকে বের করবেন ছোট্ট শিশু হিসাবে। যেন তোমরা শরীর সুদৃঢ় হওয়ার বয়স পর্যন্ত পৌঁছুতে পারো। এরপর বড় হয়ে বৃদ্ধ হও। আবার তোমাদের মধ্যে কেউ এর পূর্বেই মৃত্যু বরণ করে। আর যাতে তোমরা আল্লাহর জ্ঞানে নির্ধারিত মেয়াদে পৌঁছুতে পারো। তা থেকে কম হবে না। না তাতে বৃদ্ধি হবে। আশা করা যায় যে, তোমরা তাঁর ক্ষমতা ও একত্ববাদের উপর এসব দলীল-প্রমাণাদি দ্বারা উপকৃত হবে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, পরে শুক্রবিন্দু হতে,[১] তারপর জমাট রক্ত হতে, তারপর তোমাদেরকে শিশুরূপে বের করেন, তারপর তোমরা হও যৌবনপ্রাপ্ত, তারপর উপনীত হও বার্ধক্যে।[২] তোমাদের মধ্যে কারও কারও পূর্বেই মৃত্যু ঘটে[৩] এবং এ জন্য যে, যাতে তোমরা তোমাদের নির্ধারিতকাল প্রাপ্ত হও[৪] এবং যাতে তোমরা অনুধাবন করতে পার।[৫] [১] অর্থাৎ, তোমাদের পিতা আদম ( আঃ )-কে মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর তাঁর মাটি থেকে সৃষ্টি হওয়ার মানেই তাঁর সমস্ত সন্তান-সন্ততি মূলতঃ মাটি থেকে সৃষ্টি হয়েছে। তারপর মানব বংশের ধারা এবং তার স্থায়িত্ব ও বিদ্যমানতার জন্য মানুষের সৃষ্টিকে বীর্যের সাথে জুড়ে দিয়েছেন। এখন প্রত্যেক মানুষ সেই বীর্য বা শুক্রবিন্দু থেকে সৃষ্টি হয়, যা বাপের পৃষ্ঠদেশ থেকে বের হয়ে মায়ের গর্ভাশয়ে গিয়ে স্থির হয়। কেবল ঈসা ( আঃ )-এর ব্যাপারটা স্বতন্ত্র; তিনি অলৌকিকভাবে বিনা বাপেই সৃষ্টি হয়েছেন। কুরআন কারীমের বিস্তারিত বর্ণনা থেকে এ কথা পরিষ্কার হয়ে গেছে এবং মুসলিম উম্মাহ এ ব্যাপারে ঐকমত্য প্রকাশ করেছে। [২] অর্থাৎ, এই সমস্ত অবস্থার মাধ্যম দিয়ে অতিক্রম করান সেই আল্লাহই, যাঁর কোন শরীক নেই। [৩] অর্থাৎ, মায়ের গর্ভাশয়ে বিভিন্ন দশা ও অবস্থাকে অতিক্রম করে ( পেট থেকে ) বের হয়ে আসার পূর্বেই মায়ের পেটে, কেউ শিশুকালে, কেউ যৌবনকালে এবং কেউ বার্ধক্যের শুরুতেই মারা যায়। [৪] অর্থাৎ, মহান আল্লাহ এটা এই জন্য করেন যে, যাতে যার যতটা বয়স আল্লাহ নির্ধারিত করে দিয়েছেন, সে তার নির্ধারিত বয়স পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং ততটা জীবন সে দুনিয়াতে কাটিয়ে নেয়। [৫] অর্থাৎ, যখন তোমরা এই পর্যায়সমূহ ও স্তরগুলোর ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করবে যে, বীর্য থেকে জমাট রক্ত, অতঃপর তা হতে গোশতপিন্ড, তারপর শৈশব, তারপর যৌবন, তারপর বার্ধক্যের প্রারম্ভিক এবং পরে সম্পূর্ণ বার্ধক্য, তখন তোমরা জেনে নেবে যে, তোমাদের প্রতিপালক এক ও একক এবং তোমাদের উপাস্যও একক, তাঁর কোন শরীক নেই। এ ছাড়া এও জেনে নেবে যে, যে আল্লাহ এ সবকিছু করেন, তাঁর জন্য কিয়ামতের দিন মানুষদেরকে পুনরায় জীবিত করাও কোন জটিল ব্যাপার নয় এবং তিনি অবশ্যই সকলকে পুনর্জীবিত করবেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


'তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, পরে শুক্রবিন্দু থেকে, তারপর আলাকাহ থেকে, তারপর তিনি তোমাদেরকে বের করেছেন শিশুরূপে, তারপর যেন তোমরা উপনীত হও তোমাদের যৌবনে, তারপর যেন তোমরা হয়ে যাও বৃদ্ধ। আর তোমাদের মধ্যে কারো মৃত্যু ঘটে এর আগেই এবং যাতে তোমরা নির্ধারিত সময়ে পৌঁছে যাও। আর যেন তোমরা বুঝতে পার।

সূরা মু'মিন আয়াত 67 সূরা

هو الذي خلقكم من تراب ثم من نطفة ثم من علقة ثم يخرجكم طفلا ثم لتبلغوا أشدكم ثم لتكونوا شيوخا ومنكم من يتوفى من قبل ولتبلغوا أجلا مسمى ولعلكم تعقلون

سورة: غافر - آية: ( 67 )  - جزء: ( 24 )  -  صفحة: ( 475 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. যারা আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করে এবং পয়গম্বরগণকে হত্যা করে অন্যায়ভাবে, আর সেসব লোককে হত্যা করে
  2. পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে। তাদের প্রাপ্য পরিপুর্ণভাবে দেয়া হবে। আর আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে
  3. তাদেরকেই আমি গ্রন্থ, শরীয়ত ও নবুয়ত দান করেছি। অতএব, যদি এরা আপনার নবুয়ত অস্বীকার করে,
  4. তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করেনি? করলে দেখত, তাদের পূর্ববর্তীদের কি পরিণাম হয়েছে। তারা তাদের চেয়ে
  5. না তোমরা আমার কাছ থেকেকেয়ামত পর্যন্ত বলবৎ কোন শপথ নিয়েছ যে, তোমরা তাই পাবে যা
  6. হে মুমিনগণ, আল্লাহ তোমাদেরকে এমন কিছু শিকারের মাধ্যমে পরীক্ষা করবেন, যে শিকার পর্যন্ত তোমাদের হাত
  7. তথায় থাকবে আনতনয়ন রমনীগন, কোন জিন ও মানব পূর্বে যাদের ব্যবহার করেনি।
  8. তারা আপনাকে আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে; অথচ জাহান্নাম কাফেরদেরকে ঘেরাও করছে।
  9. তা কেউ প্রতিরোধ করতে পারবে না।
  10. বলুন, একে তিনিই অবতীর্ণ করেছেন, যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের গোপন রহস্য অবগত আছেন। তিনি ক্ষমাশীল,

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মু'মিন ডাউনলোড করুন:

সূরা Ghafir mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Ghafir শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত মু'মিন  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত মু'মিন  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত মু'মিন  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত মু'মিন  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত মু'মিন  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত মু'মিন  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত মু'মিন  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত মু'মিন  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত মু'মিন  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত মু'মিন  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত মু'মিন  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত মু'মিন  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত মু'মিন  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত মু'মিন  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত মু'মিন  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত মু'মিন  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত মু'মিন  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত মু'মিন  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত মু'মিন  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত মু'মিন  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত মু'মিন  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত মু'মিন  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত মু'মিন  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত মু'মিন  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত মু'মিন  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Tuesday, July 16, 2024

Please remember us in your sincere prayers