কোরান সূরা আনকাবূত আয়াত 7 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Ankabut ayat 7 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আনকাবূত আয়াত 7 আরবি পাঠে(Ankabut).
  
   

﴿وَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَنُكَفِّرَنَّ عَنْهُمْ سَيِّئَاتِهِمْ وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَحْسَنَ الَّذِي كَانُوا يَعْمَلُونَ﴾
[ العنكبوت: 7]

আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আমি অবশ্যই তাদের মন্দ কাজ গুলো মিটিয়ে দেব এবং তাদেরকে কর্মের উৎকৃষ্টতর প্রতিদান দেব। [সূরা আনকাবূত: 7]

Surah Al-Ankabut in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Ankabut ayat 7


আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আমরা তাদের থেকে তাদের দোষত্রুটিগুলো অবশ্যই দূর করে দেব, আর তারা যা করত সেজন্য উত্তমভাবে আমরা অবশ্যই তাদের প্রতিদান দেব।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৭. যারা ঈমান এনেছে ও আমার পরীক্ষার উপর ধৈর্য ধারণ করেছে উপরন্তু তারা নেক আমল করেছে আমি তাদের নেক আমলের দরুন তাদের গুনাহগুলোকে অবশ্যই মুছে দেবো এবং পরকালে তাদের দুনিয়ার আমলের চেয়ে তাদেরকে আরো উত্তম প্রতিদান দেবো।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, আমি নিশ্চয়ই তাদের দোষত্রুটিসমূহকে মার্জনা করে দেব এবং তাদেরকে তাদের কর্মের উত্তম ফলদান করব। [১] [১] মহান আল্লাহ সমস্ত সৃষ্টি হতে অমুখাপেক্ষী। কিন্তু তিনি কেবল কৃপা ও অনুগ্রহ করে ঈমানদারদের উত্তম প্রতিদান দেবেন এবং এক একটি পুণ্যের কয়েক গুণ বেশি সওয়াব দান করবেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে আমরা অবশ্যই তাদের মন্দকাজগুলো মিটিয়ে দেব এবং আমরা অবশ্যই তাদেরকে তারা যে উত্তম কাজ করত, তার প্রতিদান দেব []। [] আয়াতে ঈমান ও সৎকাজের দু‘টি ফল বৰ্ণনা করা হয়েছে, একঃ মানুষের দুস্কৃতি ও পাপগুলো তার থেকে দূর করে দেয়া হবে। দুইঃ তার সর্বোত্তম কাজসমূহের সর্বোত্তম পুরষ্কার তাকে দেয়া হবে। পাপ ও দুস্কৃতি দূর করে দেয়ার অর্থ সৎকাজের কারণে গোনাহ ক্ষমা পেয়ে যাওয়া। কারণ সৎ কাজ সাধারণ গোনাহ মিটিয়ে দেয়। [ জালালাইন; সা‘দী ] যেমন হাদীসে এসেছে, ঈমান আনার আগে মানুষ যতই পাপ করে থাকুক না কেন ঈমান আনার সাথে সাথেই তা সব মাফ হয়ে যাবে। [ দেখুন, মুসলিমঃ ১২১ ] আর সর্বোত্তম কাজসমূহের সর্বোত্তম পুরস্কার দেয়ারও দু‘টি অর্থ হয়। এক.
মানুষের সৎকাজগুলোর মধ্যে যেটি হবে সবচেয়ে ভালো সৎকাজ, তাকে সামনে রেখে তার জন্য প্রতিদান ও পুরষ্কার নির্ধারণ করা হবে। যেমন মানুষের সৎকাজের মধ্যে রয়েছে ওয়াজিব-ফরয ও মুস্তাহাব কাজ। এ দু’টি অনুসারে তাকে প্রতিদান দেয়া হবে। কারণ, তার আমলের কিছু আমল আছে মুবাহ বা জায়েয আমল, সেটা অনুসারে নয়। [ সা‘দী ] দুই.
মানুষ তার কার্যাবলীর দৃষ্টিতে যতটা পুরষ্কারের অধিকারী হবে তার চেয়ে বেশী ভালো পুরষ্কার তাকে দেয়া হবে
। [ ফাতহুল কাদীর ] একথাটি কুরআনের অন্যান্য স্থানেও বলা হয়েছে। বলা হয়েছেঃ “ যে ব্যাক্তি সৎকাজ নিয়ে আসবে তাকে তার থেকে দশগুণ বেশী দেয়া হবে ।” [ সূরা আল-আনআমঃ ১৬০ ] আরো বলা হয়েছে: “ যে ব্যাক্তি সৎকাজ নিয়ে আসবে তাকে তার চেয়ে উত্তম প্রতিদান দেয়া হবে ।’’ [ সূরা আল কাসাসেঃ ৮৪ ] অন্যত্র বলা হয়েছে, আল্লাহ্‌ তো কণামাত্রও জুলুম করেন না এবং সৎকাজ হলে তাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেন ।’’ [ সূরা আন-নিসাঃ 8o ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৫-৭ নং আয়াতের তাফসীর যাদের আখিরাতে বিনিময় লাভের আশা রয়েছে এবং ওটাকে সামনে রেখে তারা পুণ্যের কাজ করে থাকে তাদের আশা পূর্ণ হবে। তারা এমন পুরস্কার লাভ করবে যা কখনো শেষ হবার নয়। আল্লাহ তা'আলা প্রার্থনা শ্রবণকারী। তিনি জগতসমূহের সব খবরই রাখেন। তার নির্ধারিত সময় টলবার নয়।এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ যে কেউ ভাল আমল করে সে নিজের লাভের জন্যেই তা করে। আল্লাহ তাআলা মানুষের আমলের মুখাপেক্ষী নন। যদি সমস্ত মানুষ আল্লাহভীরু হয়ে যায় তবুও তাঁর সাম্রাজ্য সামান্য পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে ।হযরত হাসান ( রঃ ) বলেন যে, শুধু তরবারী চালনা করার নামই জিহাদ নয়। মানুষ পুণ্যময় কাজের চেষ্টায় লেগে থাকবে এটাও এক প্রকারের জিহাদ। মানুষ ভাল কাজ করলে তা আল্লাহ তাআলার কোন উপকারে আসবে না, তবুও এটা তার বড় মেহেরবানী যে, তিনি মানুষকে তার ভাল কাজের পুরস্কার প্রদান করে থাকেন। এই কারণে তিনি তার গুনাহ মাফ করে দেন। ক্ষুদ্র হতে ক্ষুদ্রতম পুণ্যেরও তিনি মর্যাদা দিয়ে থাকেন এবং এর জন্যে বড় রকমের পুরস্কার প্রদান করেন। একটি পুণ্যের বিনিময়ে তিনি সাতশগুণ পর্যন্ত প্রতিদান দিয়ে থাকেন।আর পাপকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করে দেন। অথবা ওর সমপরিমাণ শাস্তি প্রদান করেন। তিনি যুলুম হতে সম্পূর্ণ পবিত্র। তিনি পুণ্যকে বাড়িয়ে দেন এবং নিজের নিকট হতে বিরাট প্রতিদান প্রদান করেন। তাই মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ যারা ঈমান আনে ও সত্যার্যাবলী সম্পাদন করে, আমি নিশ্চয়ই তাদের মন্দ কর্মগুলো মিটিয়ে দিবো এবং তাদের কর্মের উত্তম ফল দান করবো।

সূরা আনকাবূত আয়াত 7 সূরা

والذين آمنوا وعملوا الصالحات لنكفرن عنهم سيئاتهم ولنجزينهم أحسن الذي كانوا يعملون

سورة: العنكبوت - آية: ( 7 )  - جزء: ( 20 )  -  صفحة: ( 397 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. সালেহ বললেন, হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা কল্যাণের পূর্বে দ্রুত অকল্যাণ কামনা করছ কেন? তোমরা আল্লাহর
  2. স্মরণ করুণ, ইসমাঈল, আল ইয়াসা ও যুলকিফলের কথা। তারা প্রত্যেকেই গুনীজন।
  3. অর্থাৎ যেদিন মানুষ তার কৃতকর্ম স্মরণ করবে
  4. আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,
  5. যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ।
  6. যখন তিনি মাদইয়ানের কূপের ধারে পৌছলেন, তখন কূপের কাছে একদল লোককে পেলেন তারা জন্তুদেরকে পানি
  7. যেদিন মানুষ দাঁড়াবে বিশ্ব পালনকর্তার সামনে।
  8. এদেরই জন্য অংশ রয়েছে নিজেদের উপার্জিত সম্পদের। আর আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।
  9. আমরা যখন মরে যাব, এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত
  10. আর তাদের কেউ বলে, আমাকে অব্যাহতি দিন এবং পথভ্রষ্ট করবেন না। শোনে রাখ, তারা তো

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আনকাবূত ডাউনলোড করুন:

সূরা Ankabut mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Ankabut শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আনকাবূত  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আনকাবূত  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আনকাবূত  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আনকাবূত  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আনকাবূত  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আনকাবূত  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আনকাবূত  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আনকাবূত  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আনকাবূত  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আনকাবূত  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, November 17, 2024

Please remember us in your sincere prayers