কোরান সূরা কাহ্ফ আয়াত 70 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Kahf ayat 70 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা কাহ্ফ আয়াত 70 আরবি পাঠে(Kahf).
  
   

﴿قَالَ فَإِنِ اتَّبَعْتَنِي فَلَا تَسْأَلْنِي عَن شَيْءٍ حَتَّىٰ أُحْدِثَ لَكَ مِنْهُ ذِكْرًا﴾
[ الكهف: 70]

তিনি বললেনঃ যদি আপনি আমার অনুসরণ করেনই তবে কোন বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করবেন না, যে পর্যন্ত না আমি নিজেই সে সম্পর্কে আপনাকে কিছু বলি। [সূরা কাহ্ফ: 70]

Surah Al-Kahf in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Kahf ayat 70


তিনি বললেন -- ''বেশ, তুমি যদি আমার অনুসরণ করতে চাও তা’হলে তুমি আমাকে কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারবে না যে পর্যন্ত না আমি সে বিষয়ে মন্তব্য তোমার কাছে প্রকাশ করি।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


৭০. খাজির ( আলাইহিস-সালাম ) মূসা ( আলাইহিস-সালাম ) কে বললেন: ঠিক আছে। আপনি যদি আমার অনুসরণই করেন তাহলে আপনি আমাকে কোন কাজ করতে দেখলে সে সম্পর্কে কোন কিছুই জিজ্ঞাসা করবেন না যতক্ষন না আমিই সর্ব প্রথম তার ঠিকবেঠিকের ব্যাপারে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেই।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


সে বলল, আচ্ছা, ‘তুমি যদি আমার অনুসরণ কর-ই, তাহলে কোন বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করো না, যতক্ষণ না আমি সে সম্বন্ধে তোমাকে কিছু বলি।’

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


সে বলল, ‘আচ্ছা , আপনি যদি আমার অনুসরণ করবেনই তবে কোন বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করবেন না, যতক্ষণ না আমি সে বিষয়ে আপনাকে কিছু বলী

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৬৬-৭০ নং আয়াতের তাফসীর: এখানে ঐ কথোপকথনের বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যা হযরত মূসা ( আঃ ) হযরত খিযুরের ( আঃ ) মধ্যে হয়েছিল। হযরত খির ( আঃ ) ঐ বিদ্যার সাথে বিশিষ্ট ছিলেন যে বিদ্যা হযরত মূসার ( আঃ ) ছিল না। আর হযরত মূসার ( আঃ ) ঐ বিদ্যা জানা ছিল যা হযরত খিযুরের ( আঃ ) জানা ছিল না। হযরত মূসা ( আঃ ) আদবের সাথে হ্যরত খিরের ( আঃ ) কাছে আবেদন জানাচ্ছেন যাতে তাঁর প্রতি তিনি দয়া প্রদর্শন করেন। শিক্ষককে এইভাবে আদবের সাথে প্রশ্ন করাই ছাত্রের উচিত। হযরত মূসা ( আঃ ) হযরত খিযুরের ( আঃ ) কাছে আবেদন করছেনঃ “ আপনার অনুমতি হলে আমি আপনার কাছে থাকবো ও আপনার খিদমত করবো এবং আপনার কাছে জ্ঞান লাভ করবে যার দ্বারা আমি উপকৃত হবো । আর এর ফলে আমার আমল ভাল হবে।” জবাবে হযরত খির ( আঃ ) তাকে বলেনঃ “ আপনি আমার কাছে থেকে ধৈর্য ধারণ করতে পারবেন না । আমার কাজকর্ম আপনার জ্ঞানের বিপরীত মনে হবে। আমার জ্ঞান আপনার নেই এবং আপনার জ্ঞান আমার নেই। আমি একটি পৃথক খিদমতের কাজে লেগে রয়েছি এবং আপনিও একটা পৃথক খিদমতের কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। আপনার যে জ্ঞান আছে তার বিপরীত কাজ দেখে আপনি ধৈর্য ধারণ করতে পারবেন এটা অসম্ভব। আর ঐ অবস্থা আপনি ক্ষমাই বলে বিবেচিত হবেন। কেননাঃ বাতেনী ও গুপ্ত নিপুণতা ও যৌক্তিকতা সম্পর্কে আপনার জ্ঞান নেই। আর আল্লাহ আমাকে ঐ জ্ঞান দান করেছেন। তার এ কথা শুনে হযরত মূসা ( আঃ ) তাঁকে বলেনঃ “ আপনি যা কিছু করবেন আমি তা দেখে সহ্য করে নেবো । কোন ব্যাপারেই আমি আপনার বিরুদ্ধাচরণ করবো না।” তখন হযরত খিষ্যর ( আঃ ) তাঁকে বললেনঃ “ আপনি যদি একান্তই আমার সাথে থাকতে চান তবে শর্ত এই যে, কোন কিছুর ব্যাপারে আপনি আমাকে কোন প্রশ্ন করবেন না । আমি যা বলবো তাই শুনবেন এবং যা করবো তা নীরবে দেখে যাবেন। নিজের পক্ষ থেকে আপনি কোন প্রশ্নের সূচনা করবেন না।”হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত মূসা ( আঃ ) মহামহিমান্বিত আল্লাহকে জিজ্ঞেস করেনঃ “ আপনার সমস্ত বান্দার মধ্যে আপনার সবচেয়ে প্রিয় পত্রি কে?" উত্তরে মহান আল্লাহ বলেনঃ “যে সব সময় আমাকে স্মরণ করে, কখনও আমা হতে বিস্মরণ হয় না । আবার তিনি প্রশ্ন করেনঃ “ আপনার সমস্ত বান্দার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ফায়সালাকারী কে?" জবাবে তিনি বলেনঃ “যে ন্যায়ের সাথে ফায়সালা করে এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ করে না ।" পুনরায় তিনি জিজ্ঞেস করেন “ সবচেয়ে বড় আলেম কে?” উত্তরে আল্লাহ পাক বলেনঃ “যে আলেম সব সময় ইলমের সন্ধানে থাকে, প্রত্যেকের কাছেই শিখতে চায় এই আশায় যে, কোন হিদায়াতের কথা সে পেয়ে যাবে এবং হয়তো কোন বিভ্রান্তিমূলক কথা থেকে দূরে দূরে সরে থাকতে পারবে ।” এরপর হযরত মূসা ( আঃ ) জিজ্ঞেস করেনঃ “ এই ভূ-পৃষ্ঠে আপনার কোন বান্দা আমার চেয়েও বড় আলেম আছে কি?” জবাবে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “হাঁ, আছে ।" তিনি প্রশ্ন করেনঃ “ তিনি কে?” আল্লাহ তাআলা উত্তরে বলেনঃ “খির ( আঃ )” তিনি আরয করেনঃ “ আমি তাকে কোথায় খোজ করবো? আল্লাহ তাআলা জবাবে বলেনঃ “ সমুদ্রের তীরে পাথরের পার্শ্বে, যেখান থেকে মাছ পালিয়ে যাবে । তখন হযরত মূসা ( আঃ ) তার খোঁজে যাত্রা শুরু করে দেন। তারপর ঐ সব ঘটনা ঘটলো। যার বর্ণনা কুরআন কারীমে বিদ্যমান রয়েছে। ঐ পাথরের কাছে তাদের দু'জনের সাক্ষাৎ হয়। এই রিওয়াইয়াতে এও রয়েছে যে, ওটা হচ্ছে দুই সমুদ্রের মিলন স্থল, যেখানকার চেয়ে বেশী পানি অন্য কোথাও নেই, পাখী তার চঞ্চুতে পানি নিয়েছিল। ( শেষ পর্যন্ত )

সূরা কাহ্ফ আয়াত 70 সূরা

قال فإن اتبعتني فلا تسألني عن شيء حتى أحدث لك منه ذكرا

سورة: الكهف - آية: ( 70 )  - جزء: ( 15 )  -  صفحة: ( 301 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আল্লাহর প্রতিশ্রুতি কিংবা মানুষের প্রতিশ্রুতি ব্যতিত ওরা যেখানেই অবস্থান করেছে সেখানেই তাদের ওপর লাঞ্ছনা চাপিয়ে
  2. এবং পৃথিবী ও পর্বতমালা উত্তোলিত হবে ও চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দেয়া হবে,
  3. হে মুমিনগণ! মূসাকে যারা কষ্ট দিয়েছে, তোমরা তাদের মত হয়ো না। তারা যা বলেছিল, আল্লাহ
  4. তোমরা তা মেঘ থেকে নামিয়ে আন, না আমি বর্ষন করি?
  5. তিনি বললেনঃ আমি কি বলিনি যে, আপনি আমার সাথে ধৈর্য্য ধরে থাকতে পারবেন না।
  6. হা-মীম।
  7. তোমরা তোমাদের সামর্থ?2437;নুযায়ী যেরূপ গৃহে বাস কর, তাদেরকেও বসবাসের জন্যে সেরূপ গৃহ দাও। তাদেরকে কষ্ট
  8. যদি তোমাদের হিসাব-কিতাব না হওয়াই ঠিক হয়,
  9. যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে।
  10. যারা ক্রীড়াচ্ছলে মিছেমিছি কথা বানায়।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা কাহ্ফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Kahf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Kahf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Tuesday, July 16, 2024

Please remember us in your sincere prayers