কোরান সূরা মু'মিন আয়াত 76 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Ghafir ayat 76 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা মু'মিন আয়াত 76 আরবি পাঠে(Ghafir).
  
   

﴿ادْخُلُوا أَبْوَابَ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا ۖ فَبِئْسَ مَثْوَى الْمُتَكَبِّرِينَ﴾
[ غافر: 76]

প্রবেশ কর তোমরা জাহান্নামের দরজা দিয়ে সেখানে চিরকাল বসবাসের জন্যে। কত নিকৃষ্ট দাম্ভিকদের আবাসস্থল। [সূরা মু'মিন: 76]

Surah Ghafir in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Ghafir ayat 76


''তোমরা জাহান্নামের দরজাগুলো দিয়ে প্রবেশ করো তাতে অবস্থানের জন্য। সুতরাং গর্বিতদের আবাসস্থল কত নিকৃষ্ট!’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


৭৬. তোমরা চিরকাল অবস্থানের জন্য জাহান্নামের দরজা দিয়ে প্রবেশ করো। বস্তুতঃ হকের সাথে অহঙ্কার প্রদর্শনকারীদের ঠিকানা নিকৃষ্ট।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


ওদেরকে বলা হবে, ‘জাহান্নামে চিরকাল বসবাসের জন্য ওতে প্রবেশ কর, কত নিকৃষ্ট উদ্ধতদের আবাসস্থল।’ [১] [১] এ কথা জাহান্নামে নিযুক্ত ফিরিশতা জাহান্নামীদেরকে বলবেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তোমরা জাহান্নামের বিভিন্ন দরজা দিয়ে প্রবেশ কর, তাতে স্থায়ীভাবে অবস্থানের জন্য, অতএব কতই না নিকৃষ্ট অহংকারীদের আবাসস্থল!

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৬৯-৭৬ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ হে মুহাম্মাদ ( সঃ )! যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে অবিশ্বাস করে এবং বাতিল দ্বারা সত্য সম্পর্কে বিতণ্ডা করে তাদের এ কাজে কি তুমি বিস্ময় বোধ করছো না? কিভাবে তাদেরকে বিপথগামী করা হচ্ছে তা কি তুমি দেখো না? কিভাবে তারা ভালকে ছেড়ে মন্দকে আঁকড়ে ধরে থাকছে তা কি লক্ষ্য করছো না? অতঃপর কাফিরদেরকে ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে যারা অস্বীকার করে কিতাব এবং যা সহ আমি রাসূলদেরকে প্রেরণ করেছিলাম, তা, অর্থাৎ হিদায়াত ও বর্ণনা, তারা শীঘ্রই এর পরিণাম জানতে পারবে। যেমন প্রবল প্রতাপান্বিত আল্লাহ্ বলেন ( আরবী ) অর্থাৎ “ সেই দিন দুর্ভোগ মিথ্যা আরোপকারীদের জন্যে ।( ৭৭:১৫ ) মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ যখন তাদের গলদেশে বেড়ি ও শৃংখল থাকবে এবং জাহান্নামের রক্ষকগণ টেনে নিয়ে যাবেন ফুটন্ত পানিতে, অতঃপর তাদেরকে দগ্ধ করা হবে অগ্নিতে, সেদিন তারা নিজেদের দুষ্কর্মের পরিণাম জানতে পারবে। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ এটাই সেই জাহান্নাম যা অপরাধীরা অবিশ্বাস করতো । তারা জাহান্নামের অগ্নি ও ফুটন্ত পানির মধ্যে ছুটাছুটি করবে।” ( ৫৫:৪৩-৪৪ ) অন্য আয়াতসমূহে তাদের যাকূম গাছ খাওয়া ও গরম পানি পান করার বর্ণনা দেয়ার পর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ আর তাদের গন্তব্য হবে অবশ্যই প্রজ্বলিত অগ্নির দিকে ।( ৩৭:৬৮ ) আল্লাহ তা'আলা আর এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ আর বাম দিকের দল, কত হতভাগ্য বাম দিকের দল! তারা থাকবে অত্যুষ্ণ বায়ু ও উত্তপ্ত পানিতে, কৃষ্ণবর্ণ ধূম্রের ছায়ায়, যা শীতলও নয়, আরামদায়কও নয় ।( ৫৬:৪১-৪৪ ) কয়েকটি আয়াতের পর আবার বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ অতঃপর হে বিভ্রান্ত মিথ্যা আরোপকারীরা! তোমরা অবশ্যই আহার করবে যাকূম বৃক্ষ হতে, এবং ওটা দ্বারা তোমরা উদর পূর্ণ করবে । তারপর তোমরা পান করবে অত্যুষ্ণ পানি পান করবে তৃষ্ণার্ত উষ্ট্রের ন্যায়। কিয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন।” ( ৫৬:৫১-৫৬ ) মহামহিমান্বিত আল্লাহ আরো বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ নিশ্চয়ই যাকূম বৃক্ষ হবে পাপীর খাদ্য, গলিত তাম্রের মত; ওটা তার উদরে ফুটতে থাকবে ফুটন্ত পানির মত । তাকে ধর এবং টেনে নিয়ে যাও জাহান্নামের মধ্যস্থলে। অতঃপর তার মস্তকের উপর ফুটন্ত পানি ঢেলে শাস্তি দাও। আর বলা হবেঃ আস্বাদ গ্রহণ কর, তুমি তো ছিলে সম্মানিত, অভিজাত। এটা তো ওটাই, যে বিষয়ে তোমরা সন্দেহ করতে।" ( ৪৪:৪৩-৫০ ) উদ্দেশ্য। এই যে, এক দিকে তো তারা দুঃখ-কষ্ট ভোগ করতে থাকবে, যা উপরে বর্ণিত হলো, অপর দিকে তাদেরকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করার জন্যে শাসন-গর্জন, ধমক, ঘৃণা ও তাচ্ছিল্যের সুরে তাদের সাথে কথা বলা হবে, যা উল্লিখিত হলো। হযরত ইয়া'লা ইবনে মুনাব্বাহ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ( সঃ ) বলেছেন, মহামহিমান্বিত আল্লাহ্ জাহান্নামীদের জন্যে একদিকে কালো মেঘ উঠাবেন এবং তাদেরকে জিজ্ঞেস করবেনঃ “ হে জাহান্নামবাসী! তোমরা ( এ মেঘ হতে ) কি চাও?” তারা ওটা দুনিয়ার মেঘের মতই মেঘ মনে করে বলবেঃ “আমরা চাই যে, এ মেঘ হতে বৃষ্টি বর্ষিত হোক!” তখন ঐ মেঘ হতে বেড়ি, শৃংখল এবং আগুনের অঙ্গার বর্ষিত হতে শুরু করবে, যার শিখা তাদেরকে জ্বালাতে পুড়াতে থাকবে এবং তাদের গলদেশে যে বেড়ি ও শৃংখল থাকবে, ওগুলোর সাথে এগুলোও যুক্ত করে দেয়া হবে ।( এ হাদীসটি ইমাম ইবনে হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এটা গারীব হাদীস) অতঃপর তাদেরকে বলা হবেঃ “ দুনিয়ায় আল্লাহ ছাড়া যাদের পূজা করতে তারা আজ কোথায়? কোথায় গেল তোমাদের উপাস্য প্রতিমাগুলো? কেন আজ তারা তোমাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসছে না? কেন আজ তারা তোমাদেরকে এ অসহায় অবস্থায় ছেড়ে দিয়েছে?” তারা উত্তরে বলবেঃ “তারা তো আজ বিলুপ্ত হয়ে গেছে । তারা আজ আমাদের কোনই উপকার করবে না।” অতঃপর তাদের মনে একটা খেয়াল জাগবে এবং বলবেঃ ‘ইতিপূর্বে আমরা তাদের মোটেই ইবাদত করিনি। পূর্বে আমরা এমন কিছুকেই আহ্বান করিনি।' অর্থাৎ তারা তাদের ইবাদতকে অস্বীকার করবে। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ অতঃপর তাদের ফিত্না তো এটাই যে, তারা বলবেঃ আল্লাহর শপথ! আমরা মুশরিক ছিলাম না ।( ৬:২৩ ) মহান আল্লাহ বলেনঃ এই ভাবে তিনি কাফিরদেরকে বিভ্রান্ত করেন।ফেরেশতারা তাদেরকে বলবেনঃ এটা এই কারণে যে, তোমরা পৃথিবীতে অযথা উল্লাস করতে এবং এই জন্যে যে, তোমরা দম্ভ-অহংকার করতে। সুতরাং যাও, এখন জাহান্নামে প্রবেশ কর। তথায় তোমাদেরকে চিরস্থায়ীভাবে অবস্থান। করতে হবে। আর উদ্ধতদের আবাসস্থল কতই না নিকৃষ্ট! অর্থাৎ তোমরা যে পরিমাণ গর্ব ও অহংকার করতে সেই পরিমাণই তোমরা আজ লাঞ্ছিত ও অপমাণিত হবে। যতটা উপরে চড়েছিলে ততটা আজ নীচে নেমে যাবে। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে ভাল জানেন।

সূরা মু'মিন আয়াত 76 সূরা

ادخلوا أبواب جهنم خالدين فيها فبئس مثوى المتكبرين

سورة: غافر - آية: ( 76 )  - جزء: ( 24 )  -  صفحة: ( 475 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আমি তো মূসাকে কিতাব দিয়েছি এবং তাঁর সাথে তাঁর ভ্রাতা হারুনকে সাহায্যকারী করেছি।
  2. হে নবী পত্নীগণ! তোমাদের মধ্যে কেউ প্রকাশ্য অশ্লীল কাজ করলে তাকে দ্বিগুণ শাস্তি দেয়া হবে।
  3. বরং আমি তাদেরকে এবং তাদের বাপ-দাদাকে ভোগসম্বার দিয়েছিলাম, এমনকি তাদের আয়ুস্কালও দীর্ঘ হয়েছিল। তারা কি
  4. এমনিভাবে আপনার পূর্বে আমি যখন কোন জনপদে কোন সতর্ককারী প্রেরণ করেছি, তখনই তাদের বিত্তশালীরা বলেছে,
  5. আমি আপনার প্রতি পর্যায়ক্রমে কোরআন নাযিল করেছি।
  6. এবার তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তোমার পালনকর্তার জন্যে কি কন্যা সন্তান রয়েছে এবং তাদের জন্যে কি
  7. তবে তাকে বলা হবেঃ তোমার জন্যে ডানপার্শ্বসস্থদের পক্ষ থেকে সালাম।
  8. যে কেউ দুনিয়ার কল্যাণ কামনা করবে, তার জেনে রাখা প্রয়োজন যে, দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ
  9. তোমরা কি এই বিষয়ে আশ্চর্যবোধ করছ?
  10. আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম যাতে তারা সৎপথ পায়।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মু'মিন ডাউনলোড করুন:

সূরা Ghafir mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Ghafir শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত মু'মিন  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত মু'মিন  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত মু'মিন  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত মু'মিন  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত মু'মিন  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত মু'মিন  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত মু'মিন  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত মু'মিন  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত মু'মিন  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত মু'মিন  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত মু'মিন  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত মু'মিন  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত মু'মিন  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত মু'মিন  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত মু'মিন  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত মু'মিন  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত মু'মিন  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত মু'মিন  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত মু'মিন  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত মু'মিন  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত মু'মিন  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত মু'মিন  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত মু'মিন  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত মু'মিন  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত মু'মিন  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, May 12, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب