কোরান সূরা ক্বাসাস আয়াত 78 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Qasas ayat 78 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ক্বাসাস আয়াত 78 আরবি পাঠে(Qasas).
  
   

﴿قَالَ إِنَّمَا أُوتِيتُهُ عَلَىٰ عِلْمٍ عِندِي ۚ أَوَلَمْ يَعْلَمْ أَنَّ اللَّهَ قَدْ أَهْلَكَ مِن قَبْلِهِ مِنَ الْقُرُونِ مَنْ هُوَ أَشَدُّ مِنْهُ قُوَّةً وَأَكْثَرُ جَمْعًا ۚ وَلَا يُسْأَلُ عَن ذُنُوبِهِمُ الْمُجْرِمُونَ﴾
[ القصص: 78]

সে বলল, আমি এই ধন আমার নিজস্ব জ্ঞান-গরিমা দ্বারা প্রাপ্ত হয়েছি। সে কি জানে না যে, আল্লাহ তার পূর্বে অনেক সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছেন, যারা শক্তিতে ছিল তার চাইতে প্রবল এবং ধন-সম্পদে অধিক প্রাচুর্যশীল? পাপীদেরকে তাদের পাপকর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে না। [সূরা ক্বাসাস: 78]

Surah Al-Qasas in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Qasas ayat 78


সে বলল -- ''আমাকে এ-সব দেওয়া হয়েছে আমার মধ্যে যে জ্ঞান রয়েছে সেজন্য।’’ সে কি জানত না যে তার আগে বহু মানবগোষ্ঠীকে আল্লাহ্ ধ্বংস করে ফেলেছেন যারা ছিল তার চেয়েও শক্তিতে অধিক প্রবল এবং একাট্টাকরণে আরো প্রাচুর্যময়? আর অপরাধীদের তাদের পাপ সন্বন্ধে প্রশ্ন করা হবে না।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৭৮. কারূন বললো: বস্তুতঃ আমি এ সকল সম্পদ প্রাপ্ত হয়েছি আমার জ্ঞান ও ক্ষমতার দরুন। এ জন্য আমি সত্যিসত্যিই এগুলোর উপযুক্ত। কারূন কি জানে না যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তার পূর্বে এমন অনেকগুলো জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন যাদের শক্তি ও সম্পদ সঞ্চয়ের ক্ষমতা আরো অনেক বেশি ছিলো?! তখন তাদের শক্তি ও সম্পদ তাদের কোন ফায়েদায় আসেনি। বস্তুতঃ আল্লাহর জানার জন্য কিয়ামতের দিন অপরাধীদেরকে তাদের গুনাহ সম্পর্কে কোন প্রশ্নই করা হবে না। বরং তাদেরকে প্রশ্ন করা হবে ধমক ও তিরস্কারের জন্য।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


সে বলল, ‘এ সম্পদ আমি আমার জ্ঞানবলে প্রাপ্ত হয়েছি।’ [১] সে কি জানত না যে, আল্লাহ তার পূর্বে বহু মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছেন, যারা তার থেকেও শক্তিতে ছিল প্রবল, সম্পদে ছিল প্রাচুর্যশালী?[২] আর অপরাধীদেরকে তাদের অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাও করা হবে না।[৩] [১] এই সব উপদেশের জবাবে সে এ কথা বলেছিল। যার অর্থ হল, উপার্জন ও ব্যবসার যে দক্ষতা আমার রয়েছে এ সম্পদ তো তারই ফসল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও দানের সঙ্গে এর সম্পর্ক কি? এর দ্বিতীয় অর্থ হল, আল্লাহ আমাকে এই সম্পদ দিয়েছেন, যেহেতু তিনি জানেন যে, আমি এর উপযুক্ত। আর তিনি আমার জন্য এটি পছন্দ করেছেন। যেমন, অন্য এক জায়গায় মহান আল্লাহ মানুষের অন্য একটি কথা উল্লেখ করেছেন, " মানুষকে দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করলে সে আমাকে আহবান করে; অতঃপর যখন আমি তাকে অনুগ্রহ প্রদান করি তখন সে বলে, 'আমি তো এ আমার জ্ঞানের মাধ্যমে লাভ করেছি।' বস্তুতঃ এ এক পরীক্ষা, কিন্তু ওদের অধিকাংশই জানে না। " ( সূরা যুমার ৩৯:৪৯ আয়াত ) অর্থাৎ, আমাকে এই অনুগ্রহ এই জন্যই দান করা হয়েছে যেহেতু আল্লাহর জ্ঞানে আমি এর উপযুক্ত ছিলাম। অন্য এক জায়গায় বলা হয়েছে, " দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করার পর যখন আমি তাকে অনুগ্রহের আস্বাদ দিই, তখন সে বলেই থাকে, 'এ আমার প্রাপ্য। " ( সূরা হা-মী-ম সাজদাহ ৪১:৫০ আয়াত ) অর্থাৎ, আমি তো এর উপযুক্ত। কেউ কেউ বলেন, কারূন 'কিমিয়া' ( সোনা তৈরী করার বিদ্যা ) জানত। ( তার কাছে পরশমণি পাথর ছিল। ) এখানে এই অর্থ বুঝানো হয়েছে। এই বিদ্যার ফলেই সে এত বিশাল ধনী হয়েছিল। কিন্তু ইমাম ইবনে কাসীর ( রঃ ) বলেন, এই বিদ্যার কথা মিথ্যা ও ধোঁকাবাজি। কারণ, কোন মানুষ কোন জিনিসের আসলত্ব পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে না। সেই জন্য কারূনের জন্যও এটি সম্ভব ছিল না যে, অন্য ধাতুকে সোনায় পরিণত করবে এবং এভাবে সে ধনরাশি জমা করবে।[২] অর্থাৎ, শক্তি ও ধনের আধিক্য মান-মর্যাদার মাপকাঠি হতে পারে না। যদি তাই হত তাহলে পূর্বের জাতিরা ধ্বংস হত না। সেই জন্য কারূনের নিজ সম্পদের উপর গর্ব-অহংকার করা আর এটিকে সম্মানের কারণ মনে করার কোন কিছুই নেই।[৩] অর্থাৎ, পাপ যখন সীমা ছাড়িয়ে যায় এবং যার কারণে পাপী আযাবের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়, তখন তাকে পাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয় না। বরং তাকে পাকড়াও করা হয়।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


সে বলল, ‘এ সম্পদ আমি আমার জ্ঞানবলে পেয়েছি []।’ সে কি জানত না আল্লাহ্‌ তার আগে ধ্বংস করেছেন বহু প্রজন্মকে, যারা তার চেয়ে শক্তিতে ছিল প্রবল, জনসংখ্যায় ছিল বেশী []? আর অপরাধীদেরকে তাদের অপরাধ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে না []। [] বাহ্যতঃ বোঝা যায় যে, এখানে ‘ইলম’ দ্বারা অর্থনৈতিক কলাকৌশল বোঝানো হয়েছে। উদাহরণতঃ ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প ইত্যাদি। এর দু’টি অর্থ হতে পারে। এক, আমি যা কিছু পেয়েছি নিজের যোগ্যতার বলে পেয়েছি। এটা কোন অনুগ্রহ নয়। অধিকার ছাড়াই নিছক দয়া করে কেউ আমাকে এটা দান করেনি। তাই আমাকে এখন এজন্য এভাবে কারো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার প্রয়োজন নেই যে, যেসব অযোগ্য লোককে কিছুই দেয়া হয় নি তাদেরকে দয়া ও অনুগ্রহ হিসেবে আমি এর মধ্য থেকে কিছু দেবো অথবা আমার কাছ থেকে এ সম্পদ যাতে ছিনিয়ে না নেওয়া হয় সেজন্য কিছু দান খয়রাত করে দেবো। মূর্থ কারূন একথা বুঝল না যে, বিচক্ষণতা, কর্মতৎপরতা, শিল্প অথবা ব্যবসা-বানিজ্য -এগুলোও তো আল্লাহ্‌ তা‘আলারই দান ছিল- তার নিজস্ব গুণ-গরিমা ছিল না। এর দ্বিতীয় অর্থ এও হতে পারে যে, আমার মতে আল্লাহ্‌ এই যে সম্পদরাজি আমাকে দিয়েছেন এটি তিনি আমার গুণাবলী সম্পর্কে জেনেই দিয়েছেন। যদি তাঁর দৃষ্টিতে আমি একজন পছন্দনীয় মানুষ না হতাম, তাহলে তিনি এসব আমাকে কেন দিলেন? আমার প্রতি তাঁর নেয়ামত বর্ষিত হওয়াটাই প্ৰমাণ করে আমি তাঁর প্রিয় পাত্র এবং আমার নীতিপদ্ধতি তিনি পছন্দ করেন। [] কারূনের উক্তির আসল জওয়াব তো এটাই যে, যদি স্বীকার করে নেয়া যায় যে, তোমার ধন-সম্পদ তোমার বিশেষ কর্মতৎপরতা ও কারিগরি জ্ঞান দ্বারাই অর্জিত হয়েছে তবুও তো তুমি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ থেকে মুক্ত হতে পার না। কেননা, এই কারিগরি জ্ঞান ও উপার্জনশক্তিও তো আল্লাহ্‌ তা‘আলার দান। এই জওয়াব যেহেতু অত্যন্ত সুস্পষ্ট, তাই আল্লাহ্‌ তা‘আলা এটা উপেক্ষা করে এই জওয়াব দিয়েছেন যে, ধরে নাও, তোমার অর্থ-সম্পদ তোমার নিজস্ব জ্ঞান-গরিমা দ্বারাই অর্জিত হয়েছে। কিন্তু স্বয়ং এই ধন-সম্পদের কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। অর্থের প্রাচুর্য কোন মানুষের শ্ৰেষ্ঠত্বের মাপকাঠি নয় বরং অর্থ সবাবস্থায় তার কাজে লাগে না। প্রমাণ হিসেবে কুরআন অতীত যুগের বড় বড় ধনকুবেরদের দৃষ্টান্ত পেশ করেছে। তারা যখন অবাধ্যতার পথে চলতে থাকে, তখন আল্লাহ্‌র আযাব তাদেরকে হঠাৎ পাকড়াও করে। তখন অগাধ ধন-সম্পদ তাদের কোন কাজে আসেনি। সুতরাং এ ব্যাক্তি যে নিজেকে বড় পণ্ডিত, জ্ঞানী, গুণী ও চতুর বলে দাবী করে বেড়াচ্ছে এবং নিজের যোগ্যতার অহংকারে মাটিতে পা ফেলছে না, সে কি জানে না যে, তার চাইতেও বেশী অর্থ মর্যাদা, প্রতিপত্তি শক্তি ও শান শওকতের অধিকারী লোক ইতিপূর্বে দুনিয়ায় অতিক্রান্ত হয়ে গেছে এবং আল্লাহ্‌ শেষ পর্যন্ত তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছেন? যোগ্যতা ও নৈপূণ্যই যদি পার্থিব উন্নতির রক্ষাকারী বিষয় হয়ে থাকে তাহলে যখন তারা ধ্বংস হয়েছিল তখন তাদের এ যোগ্যতাগুলো কোথায় গিয়েছিল? আর যদি কারো পার্থিব উন্নতি লাভ অনিবাৰ্যভাবে একথাই প্রমাণ করে যে, আল্লাহ্‌ তার প্রতি সন্তুষ্ট এবং তিনি তার কর্ম ও গুণাবলী পছন্দ করেন তাহলে সর্বনাশ হলো কেন? [] এখানে তাদের প্রশ্ন না করার অর্থ হলো, তাদের অপরাধ কি তা জানার জন্য কোন প্রশ্ন আল্লাহ্‌ তাদেরকে করবেন না। কেননা তাদের অপরাধ সম্পর্কে আল্লাহ্‌ সম্যক খবর রাখেন। তাদেরকে তাদের অপরাধের স্বীকৃতি আদায় এবং অপরাধের কারণেই যে তারা শাস্তির যোগ্য হয়েছে তা প্রমাণের জন্যই শুধু প্রশ্ন করা হবে।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


কওমের আলেমদের উপদেশবাণী শুনে কারূন যে জবাব দিয়েছিল তারই বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যে, সে বলেছিলঃ “ তোমাদের উপদেশ তোমরা রেখে দাও । আমি খুব ভাল জানি যে, আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন আমি তার যথাযোগ্য হকদার। আর আল্লাহ এটা জানেন বলেই আমাকে এই সব দান করেছেন।” যেমন আল্লাহ তা'আলা অন্য আয়াতে বলেছেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ যখন মানুষকে কোন কষ্ট পৌঁছে তখন বড়ই বিনয়ের সাথে আমাকে ডাকতে থাকে, অতঃপর যখন আমি কোন নিয়ামত ও শান্তি তাকে প্রদান করি তখন সে বলে ফেলেঃ এটা আমি আমার জ্ঞান বলে প্রাপ্ত হয়েছি ।( ৩৯:৪৯ ) তিনি আরো বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ কষ্ট ও বিপদের পর যদি আমি তাকে আমার করুণার স্বাদ গ্রহণ করাই তখন সে অবশ্যই বলে ওঠে- এটা আমার জন্যেই অর্থাৎ আমি এর হকদার ছিলাম ।( ৪১:৫০ ) কেউ কেউ বলেন যে, কারূন কিমিয়া শাস্ত্রবিদ ছিল। যে লোহা, পিতল ইত্যাদিকে স্বর্ণে পরিণত করার কৌশল জানে। কিন্তু এটা খুবই দুর্বল উক্তি। কিমিয়ার জ্ঞান আসলে কারো নেই। কেননা, কোন জিনিসের মূলকে বদলিয়ে দেয়ার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ তাআলারই রয়েছে। এর ক্ষমতা আর কেউই রাখে না। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ হে লোক সকল! একটি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করা হচ্ছে, তোমরা মনোেযোগ দিয়ে শ্রবণ কর । নিশ্চয়ই আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে তোমরা ডাকছো তারা কখনো একটি মাছিও সৃষ্টি করতে পারবে না। যদিও তারা তার জন্যে একত্রিত হয়।” ( ২২:৭৩ )সহীহ হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেন যে, আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “ ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা বড় অত্যাচারী আর কে আছে যে আমার সৃষ্টির মত সৃষ্টি করার চেষ্টা করে? তাহলে সে একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তু বা একটি জব সৃষ্টি করুক তো দেখি?” এই হাদীসটি ঐ লোকদের ব্যাপারে প্রযোজ্য যারা ফটো বা ছবি উঠায় এবং শুধু বাহ্যিক আকৃতি নকল করে থাকে । এরপরেও যে ব্যক্তি দাবী করে যে, সে কিমিয়ার জ্ঞান রাখে, একটি জিনিসকে অপর জিনিসে রূপান্তরিত করতে পারে, যেমন লোহাকে সোনায় পরিণত করা ইত্যাদি, সে মিথ্যাবাদী ছাড়া কিছুই নয়। তবে রঙ ইত্যাদিকে বদলিয়ে দিয়ে ধোকাবাজী করা অন্য কথা। কিন্তু প্রকৃতভাবে এটা অসম্ভব। যারা এই কিমিয়ার দাবী করে তারা শুধু মিথ্যাবাদী, অজ্ঞ, ফাসেক ও অপবাদদাতা। এরূপ দাবী করে তারা শুধু মানুষকে প্রতারিত করে থাকে। হ্যাঁ, তবে আল্লাহ তাআলার কোন কোন ওলী হতে যে কোন কোন কারামত প্রকাশ পায় এবং কোন কোন জিনিস পরিবর্তিত হয়ে থাকে আমরা তা অস্বীকার করি না। এটা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁদের উপর বিশেষ অনুগ্রহ। এটা তাদের নিজেদের কোন ক্ষমতার কাজ নয়। এটা আল্লাহর হুকুমের ফল ছাড়া কিছুই নয়। এটা আল্লাহ তা'আলা তাঁর সৎ বান্দাদের মাধ্যমে স্বীয় মাখলুককে প্রদর্শন করে থাকেন। বর্ণিত আছে যে, হযরত হায়ওয়াহ্ ইবনে শুরাইহ মিসরী ( রঃ )-এর নিকট একদা একজন ভিক্ষুক এসে কিছু ভিক্ষা চায়। ঘটনাক্রমে ঐ সময় তাঁর কাছে দেয়ার মত কিছুই ছিল না। তার দুঃখ-দুর্দশা দেখে তিনি ব্যথিত হন। তিনি মাটি হতে একটি কংকর উঠিয়ে নেন এবং হাতে নাড়াচাড়া করে ঐ ভিক্ষুকের ঝুলিতে ফেলে দেন। সাথে সাথে ঐ কংকরটি লাল স্বর্ণে পরিণত হয়। হাদীস ও আসারে মু'জিযা ও কারামাতের আরো বহু ঘটনা রয়েছে, এখানে ওগুলো বর্ণনা করলে এ কিতাবের কলেবর বৃদ্ধি পাবে বিধায় বর্ণনা করা সম্ভব হলো না।কারো কারো উক্তি এই যে, কারূন ইসমে আযম জানতো, যা পাঠ করে সে দু'আ করেছিল। ফলে সে এতো বড় ধনী হয়েছিল। কারূনের এ উত্তরের পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ কারূনের এটা ভুল কথা। আল্লাহ তা'আলা যার প্রতি সদয় হন তাকেই তিনি সম্পদশালী করে থাকেন এটা মোটেই ঠিক নয়। তার পূর্বে তিনি তার চেয়ে বেশী শক্তিশালী ও প্রচুর ধন-সম্পদের অধিকারীকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। তাহলে বুঝা গেল যে, মানুষের সম্পদশালী হওয়া তার প্রতি আল্লাহর ভালবাসার নিদর্শন নয়। যে আল্লাহর প্রতি অকৃতজ্ঞ হয় এবং কুফরীর উপর অটল থাকে তার পরিণাম মন্দ হয়ে থাকে। পাপীদেরকে তাদের পাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করার কোন প্রয়োজন হবে না। তার আমলনামাই তার হিসাব গ্রহণের জন্যে যথেষ্ট হবে। কারূনের ধারণা ছিল যে, তার মধ্যে মঙ্গল ও সততা রয়েছে বলেই আল্লাহ তা'আলা তার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। তার বিশ্বাস ছিল যে, সে ধনী হওয়ার যোগ্য। তার মতে তাকে আল্লাহ তাআলা ভাল না বাসলে এবং তার প্রতি সন্তুষ্ট না থাকলে তাকে এ নিয়ামত প্রদান করতেন না।

সূরা ক্বাসাস আয়াত 78 সূরা

قال إنما أوتيته على علم عندي أولم يعلم أن الله قد أهلك من قبله من القرون من هو أشد منه قوة وأكثر جمعا ولا يسأل عن ذنوبهم المجرمون

سورة: القصص - آية: ( 78 )  - جزء: ( 20 )  -  صفحة: ( 395 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আল্লাহ বলবেনঃ তোমরা ধিকৃত অবস্থায় এখানেই পড়ে থাক এবং আমার সাথে কোন কথা বলো না।
  2. অতঃপর যখন সূর্যকে চকচক করতে দেখল, বললঃ এটি আমার পালনকর্তা, এটি বৃহত্তর। অতপর যখন তা
  3. বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় এবং তোমরা একে অমান্য
  4. অতঃপর মূসা তাঁর সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে গেলেন ক্রদ্ধ ও অনুতপ্ত অবস্থায়। তিনি বললেনঃ হে আমার
  5. বলুনঃ তাদের কথামত যদি তাঁর সাথে অন্যান্য উপাস্য থাকত; তবে তারা আরশের মালিক পর্যন্ত পৌছার
  6. তাছাড়া এরা যদি তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, তবে তোমার পূর্বেও এরা এমন বহু নবীকে মিথ্যা
  7. আপনি কি তাকে লক্ষ্য করেছেন যে, আমার নিদর্শনাবলীতে বিশ্বাস করে না এবং বলেঃ আমাকে অর্থ-সম্পদ
  8. পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে। তাদের প্রাপ্য পরিপুর্ণভাবে দেয়া হবে। আর আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে
  9. তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের বিষয়ে। বলে দাও যে এটি মানুষের জন্য সময়
  10. যাতে তারা তার ফল খায়। তাদের হাত একে সৃষ্টি করে না। অতঃপর তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ক্বাসাস ডাউনলোড করুন:

সূরা Qasas mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Qasas শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers