কোরান সূরা হা-মীম আস-সাজদা আয়াত 8 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Fussilat ayat 8 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা হা-মীম আস-সাজদা আয়াত 8 আরবি পাঠে(Fussilat).
  
   

﴿إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ أَجْرٌ غَيْرُ مَمْنُونٍ﴾
[ فصلت: 8]

নিশ্চয় যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্যে রয়েছে অফুরন্ত পুরস্কার। [সূরা হা-মীম আস-সাজদা: 8]

Surah Fussilat in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Fussilat ayat 8


পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করছে তাদের জন্য রয়েছে বাধাহীন প্রতিদান।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৮. আর যারা আল্লাহ ও তদীয় রাসূলগণে বিশ্বাসী হওয়ার পাশাপাশী নেক আমল করে তাদের জন্য রয়েছে অবিচ্ছিন্ন চিরস্থায়ী নি‘আমত তথা জান্নাত।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার রয়েছে। [১] [১] ﴿أَجْرٌ غَيْرُ مَمْنُوْنٍ﴾ এর অর্থ তা-ই, যে অর্থ হল, ﴿عَطَآءً غَيْرَ مَجْذوْذٍ﴾ এর। অর্থাৎ, অশেষ নেকী।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


নিশ্চয় যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, তাদের জন্য রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার []। [] মূল আয়াতে ممنون কথাটি ব্যবহার করা হয়েছে। এ কথাটির আরো দুটি অর্থ আছে। একটি অর্থ হচ্ছে, তা হবে এমন পুরস্কার যা স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে না বা সে জন্য খোঁটা দেয়া হবে না, যেমন কোন কৃপণ হিম্মত করে কোন কিছু দিলেও সে দানের কথা বার বার স্মরণ করিয়ে দেয়। আরেকটি অর্থ হচ্ছে, তা হবে এমন পুরস্কার যা কখনো হ্রাস পাবে না। উদ্দেশ্য এই যে, মুমিন ও সৎকর্মীদেরকে আখেরাতের স্থায়ী ও নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার দেয়া হবে। কোন কোন তফসীরবিদ এর অর্থ এই করেছেন যে, মুমিন ব্যক্তির অভ্যস্ত আমল কোন সময় কোন অসুস্থতা, সফর কিংবা অন্য কোন ওযরবশতঃ ছুটে গেলেও সে আমলের পুরস্কার ব্যাহত হয় না বরং আল্লাহ তা'আলা ফেরেশতাগণকে আদেশ করেন, আমার বান্দা সুস্থ অবস্থায় অথবা অবসর সময়ে যে আমল নিয়মিত করত, তার ওযর অবস্থায় সে আমল না করা সত্ত্বেও তার আমলনামায় তা লিখে দাও। এ বিষয়বস্তুর হাদীস সহীহ বোখারীতে বর্ণিত হয়েছে। [ দেখুন-২৯৯৬ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৬-৮ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ হে মুহাম্মাদ ( সঃ )! এই মিথ্যা প্রশ্নকারী মুশরিকদেরকে বলে দাও- আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ। আমাকে অহীর মাধ্যমে বলে দেয়া হয়েছে যে, তোমাদের সবারই মা'বুদ এক আল্লাহ। তোমরা যে কতকগুলো মা'বূদ বানিয়ে নিয়েছো এটা সরাসরি বিভ্রান্তিকর পন্থা। তোমরা একমাত্র আল্লাহরই ইবাদত কর এবং ঠিক ঐভাবে কর যেভাবে তোমরা তাঁর রাসূল ( সঃ )-এর মাধ্যমে জানতে পেরেছে। আর তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তী গুনাহ্ হতে তাওবা কর এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। বিশ্বাস রেখো যে, আল্লাহর সাথে অংশী স্থাপনকারীরা ধ্বংস হয়ে যাবে। মহান আল্লাহর উক্তিঃ যারা যাকাত প্রদান করে না। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ )-এর মতে এর ভাবার্থ হলোঃ আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই’ এই সাক্ষ্য যারা প্রদান করে না । ইকরামাও ( রঃ ) এ কথাই বলেন। এই উক্তিটি আল্লাহ্ তাবারাকা ওয়া তা'আলার নিম্নের উক্তির মতইঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ সেই সফলকাম হবে, যে নিজেকে পবিত্র করবে এবং সেই ব্যর্থ হবে, যে নিজেকে কলুষাচ্ছন্ন করবে ।( ৯২:৯-১০ ) নিমের উক্তিটিও অনুরূপঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ নিশ্চয়ই সাফল্য লাভ করবে যে পবিত্রতা অর্জন করে এবং তার প্রতিপালকের নাম স্মরণ করে ও নামায পড়ে ।( ৮৭:১৪-১৫ ) আল্লাহ্ তাআলার নিম্নের এ উক্তিটিও ঐরূপঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তোমার পবিত্রতা অর্জন করার খেয়াল আছে কি?”( ৭৯:১৮ ) এ আয়াতগুলোতে যাকাত অর্থাৎ পবিত্রতা দ্বারা নফকে বাজে চরিত্র হতে মুক্ত রাখা উদ্দেশ্য । আর এর সবচেয়ে বড় ও প্রথম প্রকার হচ্ছে শিরূক হতে পবিত্র হওয়া। অনুরূপভাবে উপরোক্ত আয়াতে যাকাত না দেয়া দ্বারা তাওহীদকে অমান্য করা বুঝানো হয়েছে। মালের যাকাতকে যাকাত বলার কারণ এই যে, এটা মালকে অবৈধতা হতে পবিত্র করে এবং মালের বৃদ্ধি ও বরকতের কারণ হয়। আর আল্লাহর পথে ঐ মাল হতে কিছু খরচ করার তাওফীক লাভ হয়। কিন্তু ইমাম সুদ্দী ( রঃ ), মুআবিয়া ইবনে কুরুরা ( রঃ ), কাতাদা ( রঃ ) এবং অন্যান্য তাফসীরকারগণ এর অর্থ করেছেন মালের যাকাত না দেয়া এবং বাহ্যতঃ এটাই বুঝা যাচ্ছে। ইমাম ইবনে জারীর ( রঃ )-ও এটাকেই পছন্দ করেছেন। কিন্তু এ উক্তিটির ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনার অবকাশ রয়েছে। কেননা, যাকাত ফরয হয়। রাসূলুল্লাহ( সঃ )-এর মদীনায় হিজরতের দ্বিতীয় বছরে। আর এ আয়াত অবতীর্ণ হয় মক্কায়। বড় জোর এই তাফসীরকে মেনে নিয়ে আমরা এ কথা বলতে পারি যে, সাদকা ও যাকাতের আসল হুকুম তো নবুওয়াতের শুরুতেই ছিল। যেমন আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ ফসল কাটার দিন তোমরা তার হক দিয়ে দাও ।( ৬:১৪১ ) হ্যা, তবে ঐ যাকাত, যার নিসাব ও পরিমাণ আল্লাহ তা'আলার পক্ষ হতে নির্ধারিত হয় তা হয় মদীনায়। এটি এমন একটি উক্তি যে, এর দ্বারা দু’টি উক্তির মধ্যে সামঞ্জস্য এসে যায়।নামাযের ব্যাপারেও এটা দেখা যায় যে, নামায সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে নবুওয়াতের শুরুতেই ফরয হয়েছিল। কিন্তু মিরাজের রাত্রে হিজরতের দেড় বছর পূর্বে পাঁচ ওয়াক্ত নামায নিয়মিতভাবে শর্ত ও আরকানসহ নির্ধারিত হয়। আর ধীরে ধীরে এর সমুদয় সম্পর্কিত বিষয় পুরো করে দেয়া হয়। এসব ব্যাপারে আল্লাহ্ তা'আলাই সবচেয়ে ভাল জানেন।এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ “ যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্যে রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার ।” এটা কখনো শেষ হবার নয়। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ যাতে তারা হবে চিরস্থায়ী ।( ১৮:৩ ) আর এক জায়গায় আছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তাদেরকে যে ইনআ'ম দেয়া হবে তা কখনো ভাঙ্গবার বা শেষ হবার নয়, বরং অনবরতই থাকবে ।( ১১:১০৮ ) সুদ্দী ( রঃ ) বলেন যে, তাদেরকে যেন এটা তাদের প্রাপ্য হিসেবে দেয়া হবে, অনুগ্রহ হিসেবে নয়। কিন্তু কতক ইমাম তাঁর এ উক্তি খণ্ডন করেছেন। কেননা, জান্নাতবাসীর উপরও নিশ্চিতরূপে আল্লাহর অনুগ্রহ রয়েছে, এ কথা বলতে হবে। স্বয়ং আল্লাহ্ পাক বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ বরং আল্লাহ্ই ঈমানের দিকে পরিচালিত করে তোমাদেরকে ধন্য করেছেন বা তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন ।( ৪৯:১৭ ) জান্নাতবাসীদের উক্তিঃ ( আরবী ) অর্থাৎ আল্লাহ্ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন এবং আমাদেরকে আগুনের শাস্তি হতে রক্ষা করেছেন ।( ৫২:২৭ ) রাসূলুল্লাহ( সঃ ) বলেনঃ কিন্তু এই যে, আল্লাহ্ আমাকে স্বীয় রহমত, অনুগ্রহ ও ইহসানের মধ্যে নিয়ে নিবেন।

সূরা হা-মীম আস-সাজদা আয়াত 8 সূরা

إن الذين آمنوا وعملوا الصالحات لهم أجر غير ممنون

سورة: فصلت - آية: ( 8 )  - جزء: ( 24 )  -  صفحة: ( 477 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. মুশরিকরা বললঃ যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে আমরা তাঁকে ছাড়া কারও এবাদত করতাম না এবং আমাদের
  2. মানুষের জন্যে সতর্ককারী।
  3. তার পত্নী ও তার সন্তানদের কাছ থেকে।
  4. হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে।
  5. যাদের মনে ভয় রয়েছে, তাদের উপর শয়তানের আগমন ঘটার সাথে সাথেই তারা সতর্ক হয়ে যায়
  6. যেদিন আল্লাহ তাদেরকে আওয়াজ দিয়ে বলবেন, তোমরা যাদেরকে আমার শরীক দাবী করতে, তারা কোথায়?
  7. আর যদি ভঙ্গ করে তারা তাদের শপথ প্রতিশ্রুতির পর এবং বিদ্রুপ করে তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে,
  8. মূসা বললেন তার কওমকে, সাহায্য প্রার্থনা কর আল্লাহর নিকট এবং ধৈর্য্য ধারণ কর। নিশ্চয়ই এ
  9. অতঃপর না, সত্বর তারা জানতে পারবে।
  10. এবং যারা তাদের আমানত ও অঙ্গীকার রক্ষা করে

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা হা-মীম আস-সাজদা ডাউনলোড করুন:

সূরা Fussilat mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Fussilat শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers