কোরান সূরা হুদ আয়াত 81 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Hud ayat 81 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা হুদ আয়াত 81 আরবি পাঠে(Hud).
  
   

﴿قَالُوا يَا لُوطُ إِنَّا رُسُلُ رَبِّكَ لَن يَصِلُوا إِلَيْكَ ۖ فَأَسْرِ بِأَهْلِكَ بِقِطْعٍ مِّنَ اللَّيْلِ وَلَا يَلْتَفِتْ مِنكُمْ أَحَدٌ إِلَّا امْرَأَتَكَ ۖ إِنَّهُ مُصِيبُهَا مَا أَصَابَهُمْ ۚ إِنَّ مَوْعِدَهُمُ الصُّبْحُ ۚ أَلَيْسَ الصُّبْحُ بِقَرِيبٍ﴾
[ هود: 81]

মেহমান ফেরেশতাগন বলল-হে লূত (আঃ) আমরা তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ হতে প্রেরিত ফেরেশতা। এরা কখনো তোমার দিকে পৌঁছাতে পারবে না। ব্যস তুমি কিছুটা রাত থাকতে থাকতে নিজের লোকজন নিয়ে বাইরে চলে যাও। আর তোমাদের কেউ যেন পিছনে ফিরে না তাকায়। কিন্তু তোমার স্ত্রী নিশ্চয় তার উপরও তা আপতিত হবে, যা ওদের উপর আপতিত হবে। ভোর বেলাই তাদের প্রতিশ্রুতির সময়, ভোর কি খুব নিকটে নয়? [সূরা হুদ: 81]

Surah Hud in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Hud ayat 81


তারা বললে -- ''হে লূত! আমরা নিশ্চয় তোমার প্রভুর দূত। তারা কখনই তোমার কাছে ঘেসতে পারবে না, সুতরাং তোমার পরিবারবর্গসহ যাত্রা করো রাতের এই প্রহরের মধ্যে, আর তোমাদের মধ্যের কেউই পেছন ফেরো না তোমার স্ত্রী ব্যতীত, কেননা ওদের যা ঘটবে তারও তাই ঘটবে। নিঃসন্দেহ তাদের নির্ধারিত সময় হচ্ছে ভোরবেলা। ভোরবেলা কি আসন্ন নয়?’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


৮১. ফিরিশতাগণ লূত ( আলাইহিস-সালাম ) কে বললেন: ওহে লূত! আমরা হলাম বার্তাবাহক, আমাদেরকে আল্লাহ পাঠিয়েছেন। আপনার স্বজাতিরা আপনার নিকট খারাপ উদ্দেশ্যে কখনো পৌঁছুতে পারবে না। আপনি নিজ পরিবারকে সাথে নিয়ে রাতের অন্ধকারে এ গ্রাম থেকে বেরিয়ে যান। আপনাদের কেউ যেন পেছনে তাকিয়ে না দেখে। তবে আপনার স্ত্রী ব্যতীত। সে অবশ্যই বিরোধিতা করে পেছনে ঘুরে দেখবে। কেননা সে সেই আযাবই পাবে যা আপনার স্বজাতিরা পাবে। আর তাদের ধ্বংসের সময় হল সকালবেলা। আর সকাল তো অতি নিকটেই।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তারা বলল, ‘হে লূত! আমরা তো তোমার প্রতিপালক প্রেরিত ( ফিরিশতা ), ওরা কখনই তোমার নিকট পৌঁছতে পারবে না। অতএব তুমি রাত্রির কোন এক ভাগে নিজের পরিবারবর্গকে নিয়ে ( অন্যত্র ) চলে যাও। তোমাদের কেউ যেন পিছনের দিকে ফিরেও না দেখে, কিন্তু তোমার স্ত্রী নয়, তার উপরেও ঐ ( আযাব ) আসবে, যা অন্যান্যদের উপরে আসবে। তাদের ( শাস্তির ) নির্ধারিত সময় হল প্রভাতকাল; প্রভাত কি নিকটবর্তী নয়?’ [১] [১] ফিরিশতাগণ যখন লূত ( আঃ )-এর অস্থিরতা ও উৎকণ্ঠা এবং তাঁর সম্প্রদায়ের অবাধ্যতা স্বচক্ষে দেখে নিলেন, তখন বললেন, 'হে লূত ( আঃ ) আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন, আমাদের নিকট তো দূরের কথা, এখন ওরা আপনার নিকটেও পৌঁঁছতে পারবে না। আপনি কিছুটা রাত থাকতে আপনার স্ত্রী ছাড়া বাকি লোকজনসহ এখান থেকে অন্যত্র সরে যান! প্রত্যুষকালেই এই গ্রামকে ধ্বংস করে দেওয়া হবে।'

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তারা বলল, ‘হে লূত ! নিশ্চয় আমরা আপনার রব প্রেরিত ফিরিশ্‌তা। তারা কখনই আপনার কাছে পৌঁছাতে পারবে না []। কাজেই আপনি রাতের কোন এক সময়ে আপনার পরিবার বর্গ সহ বের হয়ে পড়ুন [] এবং আপনাদের মধ্যে কেও পিছনের দিকে তাকাবে না, আপনার স্ত্রী ছাড়া []। তাদের যা ঘটবে তাঁর ও তাই ঘটবে। নিশ্চয় প্রভাত তাদের জন্য নির্ধারিত সময়। প্রভাত কি খুব কাছাকাছি নয় ? [] লূত আলাইহিসসালাম এক সংকটজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেন। তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলে উঠলেন হায়! আমি যদি তোমাদের চেয়ে অধিকতর শক্তিশালী হতাম, অথবা আমার আত্মীয় স্বজন যদি এখানে থাকত যারা এই যালেমদের হাত থেকে আমাকে রক্ষা করতো তাহলে কত ভালো হতো। ফেরেশতাগণ লূত আলাইহিসসালামের অস্থিরতা ও উৎকণ্ঠা লক্ষ্য করে প্রকৃত রহস্য ব্যক্ত করলেন এবং বললেনঃ আপনি নিশ্চিত থাকুন আপনার দলই সুদৃঢ় ও শক্তিশালী। আমরা মানুষ নই বরং আল্লাহর প্রেরিত ফেরেশ্তা। তারা আমাদেরকে কাবু করতে পারবে না বরং আযাব নাযিল করে দুরাত্মা দুরাচারদের নিপাত সাধনের জন্যই আমরা আগমন করেছি। তারপরও লূত আলাইহিসসালাম তাদের বাঁধা দিতে থাকলেন। কিন্তু তারা কোন বাঁধাই মানল না। তখন জিবরীল আলাইহিস সালাম বের হয়ে তাদের মুখের উপর তার ডানা দিয়ে এক ঝাপটা মারলেন। আর তাতেই তারা অন্ধ হয়ে গেল। তারা যখন ফিরছিল তারা পথ দেখতে পাচ্ছিল না। [ ইবন কাসীর ] এ কথাই আল্লাহ্ তা'আলা অন্য আয়াতে বলেছেন, “ আর অবশ্যই তারা লূতের কাছ থেকে তার মেহমানদেরকে অসদুদ্দেশ্যে দাবি করল, তখন আমরা তাদের দৃষ্টি শক্তি লোপ করে দিলাম এবং বললাম, আস্বাদন কর আমার শাস্তি এবং ভীতির পরিণাম ।” [ সূরা আল-কামারঃ ৩৭ ] [] তখন ফেরেশতাগণ আল্লাহ তা'আলার নির্দেশক্রমে লূত আলাইহিসসালামকে বললেন- আপনি কিছুটা রাত থাকতে আপনার লোকজনসহ এখান থেকে অন্যত্র সরে যান এবং সবাইকে সতর্ক করে দিন যে, তাদের কেউ যেন পিছনে ফিরে না তাকায়, তবে আপনার স্ত্রী ব্যতীত। কারণ, অন্যদের উপর যে আযাব আপতিত হবে, তাকেও সে আযাব ভোগ করতে হবে। [] এর এক অর্থ হতে পারে যে, আপনার স্ত্রীকে সাথে নেবেন না। এ হিসেবে তিনি তাকে সাথে নিয়ে বের হননি। [ কুরতুবী ] দ্বিতীয় অর্থ হতে পারে যে, তাকে পিছনে ফিরে চাইতে নিষেধ করবেন না। [ কুরতুবী ] আরেক অর্থ হতে পারে যে, সে আপনার হুশিয়ারী মেনে চলবে না। সুতরাং সে তাদের সাথে বের হবার পর যখন একটি পাথর পতনের শব্দ শুনে লুতের হুশিয়ারী না মেনে পিছনের দিকে তাকায় এবং বলে উঠে, হায় আমার জাতি! সে তাদের জন্য সমবেদনা জানাচ্ছিল। আর তখনি একটি পাথর এসে তাকে আঘাত করে এবং সে মারা যায়। [ বাগভী; কুরতুবী ইবন কাসীর ]। এটি এক মর্মম্ভদ শিক্ষণীয় ঘটনা। এ সূরায় লোকদেরকে একথা শিক্ষা দেবার জন্য বর্ণনা করা হয়েছে যে, কোন বুযর্গের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক এবং কোন বুযর্গের সুপারিশ তোমাদের নিজেদের গোনাহের পরিণতি থেকে বাঁচাতে পারে না।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৮০-৮১ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ হযরত লূত ( আঃ ) যখন দেখলো যে, তার উপদেশ তার কওমের উপর ক্রীয়াশীল হলো না, তখন তাদেরকে ধমকের সুরে বললো: যদি আমার শক্তি থাকতো বা আমার আত্মীয় স্বজন শক্তিশালী হতো তবে অবশ্যই আমি তোমাদের এই দুষ্কর্যের স্বাদ গ্রহণ করাতাম।হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ লূতের ( আঃ ) উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক, অবশ্যই তিনি কোন দৃঢ় স্তম্ভের আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন । এর দ্বারা তিনি মহা মহিমান্বিত আল্লাহর সত্ত্বাকেই বুঝিয়েছেন। তাঁর পরে যে নবীকেই প্রেরন করা হয়েছে, তিনি তাঁর প্রভাবশালী কওমের মধ্যেই প্রেরিত হয়েছেন।”ফেরেশ্‌তাগণ হযরত লূতের ( আঃ ) মনমরা অবস্থা লক্ষ্য করে নিজেদের স্বরূপ তার কাছে প্রকাশ করেন। তারা বলেনঃ হে লূত ( আঃ )! আমরা আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত হয়েছি। তারা কখনো আপনার নিকট পৌঁছতে পারবে না। ( এবং আমাদের নিকটও না )। আপনি অদ্য রাত্রির শেষ ভাগে আপনার পরিবার পরিজনসহ এখান থেকে সরে পড়বেন। আপনি নিজে তাদের পেছনে থাকবেন এবং সরাসরি নিজেদের পথে চলতে থাকবেন। আপনাদের কেউই যেন কওমের হা-হুতাশ, কান্নাকাটি এবং চীৎকার শুনে তাদের দিকে ফিরেও না দেখে। এর থেকে তারা হযরত লূতের ( আঃ ) স্ত্রীকে পৃথক করে দেন। তারা বলেন যে, তার স্ত্রী তাদের অনুসরণ করতে পারবে না, সে তার কওমের শাস্তির সময় তাদের হা-হুতাশ ও কান্না শুনে তাদের দিকে ফিরে তাকাবে। কেননা, তার কওমের সাথে সেও ধ্বংস হয়ে যাবে, এ ফায়সালা আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে হয়েই গেছে। এক কিরাআতে ( আরবি ) অর্থাৎ ( আরবি ) শব্দের উপর পেশ দিয়ে রয়েছে। যে সব গুরুজনের নিকট ‘পেশ’ ও ‘যবর’ দুটোই জায়েয তারা বর্ণনা করেন যে, হযরত লূতের ( আঃ ) স্ত্রী ও তাদের সাথে বের হয়েছিল। কিন্তু শাস্তি অবতীর্ণ হওয়ার সময় কওমের চীৎকার শুনে সে ধৈর্য ধারণ করতে পারে নাই। সে তাদের দিকে ফিরে তাকিয়েছিল এবং ‘হায় আমার কওম!’ একথা মুখ দিয়ে বেরও হয়েছিল। তৎক্ষণাৎ আকাশ থেকে একটা পাথর তার প্রতি নিক্ষিপ্ত হয়। সুতরাং সেও ধ্বংস হতে যায়। হযরত লূতকে ( আঃ ) আরো সান্ত্বনা দানের জন্যে তাঁর কওমের শাস্তি নিকটবর্তী হয়ে যাওয়ার কথাও তাঁর কাছে বর্ণনা করে দেন যে, সকাল হওয়া মাত্রই তারা ধ্বংস হয়ে যাবে আর সকাল তো খুবই নিকটে।হযরত লূতের ( আঃ ) কওম তাঁর দরজার উপর দাঁড়িয়েছিল এবং তাঁকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে রেখেছিল। তারা তাঁর দিকে তীর বেগে ধাবিত হচ্ছিল। এমতাবস্থায় হযরত জিবরাঈল ( আঃ ) ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন এবং নিজের ডানা দ্বারা তাদের মুখের উপর আঘাত করেন। ফলে তাদের চক্ষু অন্ধ হয়ে যায়।হযরত হুযাইফা ইবনু ইয়ামান ( রাঃ ) বর্ণনা করেন যে, স্বয়ং হযরত ইবরাহীমও ( আঃ ) হযরত লূতের ( আঃ ) কওমের নিকট আগমন করেন এবং তাদেরকে বুঝিয়ে বলেনঃ “ দেখো, তোমরা আল্লাহর শাস্তিকে ক্রয় করে নিয়ো না ।” কিন্তু তারা আল্লাহর দোস্তের উপদেশও মান্য করে নাই। অবশেষে শাস্তির নির্ধারিত সময় এসে পড়লো। হযরত লূত ( আঃ ) তার জমিতে কাজ করছিলেন, এমন সময় ফেরেশতাগণ তার নিকট আগমন করেন। তাঁরা তাঁকে বলেনঃ আজ রাত্রিতে আমরা আপনার বাড়ীতে মেহমান হলাম।” হযরত জিবরাঈলের ( আঃ ) প্রতি আল্লাহ পাকের এই নির্দেশ ছিল যে, যে পর্যন্ত হযরত লূত ( আঃ ) তিনবার তাঁর কওমের বদ অভ্যাসের সাক্ষ্য প্রদান না করবেন সেই পর্যন্ত যেন তাদেরকে শাস্তি দেয়া না হয়। হযরত লূত ( আঃ ) যখন তাদেরকে নিয়ে চললেন তখন পথিমধ্যেই তাদেরকে বললেনঃ “ এখানকার লোকেরা বড়ই দুশ্চরিত্র, এই এই দোষ তাদের মধ্যে রয়েছে । কিছু দূর গিয়ে দ্বিতীয়বার তিনি তাদেরকে বলেনঃ “ এই গ্রামের লোকদের দুষ্কার্য কি আপনারা অবগত নন? আমার জানা মতে এদের চেয়ে দুষ্ট লোক-ভূপৃষ্ঠে আর নেই । হায়! আমি আপনাদেরকে কোথায় নিয়ে যাবো! আমার কওম তো সমস্ত মাখলুক হতে বদতর। ঐ সময় হযরত জিবরাঈল ( আঃ ) তার সঙ্গীয় ফেরেশতাদেরকে বলেনঃ “ দেখো, দু’বার তিনি একথা বললেন ।” অতঃপর যখন তিনি তাদেরকে নিয়ে বাড়ীর দরজায় পৌঁছলেন তখন মনের দুঃখে তিনি কেঁদে ফেললেন এবং বলতে লাগলেনঃ “ আমার কওম সমস্ত মাখলুকের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বদ ও দূষ্ট প্রকৃতির । এরা কোন দুষ্কার্যে জড়িয়ে পড়েছে তা কি আপনাদের জানা নেই? ভূ-পৃষ্ঠে কোন বস্তি এই বস্তি অপেক্ষা খারাপ নেই।” ঐ সময় হযরত জিবরাঈল ( আঃ ) পুনঃরায় ফেরেশতাগণকে বললেনঃ “ দেখো, তিনি তিন বার স্বীয় কওমের বদ অভ্যাসের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন । মনে রেখোঁরেখো যে, এখন তাদের উপর শাস্তি অবধারিত হয়ে গেছে।” অতঃপর তারা বাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করেন। ঐ সময় তাঁর বৃদ্ধা স্ত্রী উঁচু জায়গায় চড়ে কাপড় নাড়াতে শুরু করে। সাথে সাথে গ্রামের দুবৃত্তেরা দৌড়ে এসে তাকে জিজ্ঞেস করেঃ “ ব্যাপার কি?” সে উত্তরে বলেঃ “লূতের ( আঃ ) বাড়ীতে মেহমান এসেছে । আমি এদের চেয়ে সুদর্শন ও সুগন্ধময় লোক আর কখনো দেখি নাই।” এ কথা শোনা মাত্রই আনন্দে আত্মহারা হয়ে তারা হযরত লূতের ( আঃ ) বাড়ীতে দৌড়ে আসে। চারদিক থেকে তারা তার বাড়ীকে ঘিরে ফেলে। তিনি তাদেরকে কসম দেন এবং উপদেশ দিতে গিয়ে বলেনঃ “ দেখো, স্ত্রীলোক বহু রয়েছে ।” কিন্তু তারা কিছুতেই ঐ দুষ্কার্য হতে বিরত থাকলো না। ঐ সময় হযরত জিবরাঈল ( আঃ ) তাদের শাস্তির জন্যে আল্লাহ তাআ’লার নিকট অনুমতি প্রার্থনা করেন। আল্লাহ পাক অনুমতি দান করেন। তখন হযরত জিবরাঈল ( আঃ ) তাঁর প্রকৃত রূপের ডানা খুলে দেন। তাঁর দু’টি ডানা রয়েছে; যে গুলির উপর মণিমুক্তা বসানো আছে। তাঁর দাঁত গুলি তক্‌তকে, ঝকঝকে। তাঁর কপাল উঁচু এবং বড়। তাঁর মস্তক মুক্তার মতো, যেন বরফ। তাঁর পদদ্বয় সবুজ বর্ণের। হযরত লূতকে ( আঃ ) তিনি বলেনঃ “ আমরা আপনার প্রতিপালক কর্তৃক প্রেরিত হয়েছি । তারা ( আপনার কওম ) আপনার নিকট পৌঁছতে পারবে না। আপনি দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান।” একথা বলে তিনি তার ডানা দ্বারা তাদের মুখের উপর মেরে দেন। ফলে তারা অন্ধ হয়ে যায়। তারা পথও চিনতে পারছিল না। হযরত লূত ( আঃ ) স্বীয় পরিবার বর্গ নিয়ে ঐ রাত্রেই বেরিয়ে পড়ে, আল্লাহ তাআ’লার নির্দেশও এটাই ছিল। মুহাম্মদ ইবনু কা’ব ( রঃ ), কাতাদা’ ( রঃ ), সুদ্দী ( রঃ ) প্রভৃতি গুরুজনের বর্ণনা এটাই।

সূরা হুদ আয়াত 81 সূরা

قالوا يالوط إنا رسل ربك لن يصلوا إليك فأسر بأهلك بقطع من الليل ولا يلتفت منكم أحد إلا امرأتك إنه مصيبها ما أصابهم إن موعدهم الصبح أليس الصبح بقريب

سورة: هود - آية: ( 81 )  - جزء: ( 12 )  -  صفحة: ( 230 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অথবা উপদেশ গ্রহণ করতো এবং উপদেশ তার উপকার হত।
  2. তাদের একদল হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।
  3. আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পারেন। আপনি
  4. আমার কাছে উপদেশ আসার পর সে আমাকে তা থেকে বিভ্রান্ত করেছিল। শয়তান মানুষকে বিপদকালে ধোঁকা
  5. আর আছে খোসাবিশিষ্ট শস্য ও সুগন্ধি ফুল।
  6. কিন্তু যখন দেখলেন যে, আহার্য্যের দিকে তাদের হস্ত প্রসারিত হচ্ছে না, তখন তিনি সন্ধিগ্ধ হলেন
  7. আমার ভাই হারুনকে।
  8. যারা অপরাধী, তারা বিশ্বাসীদেরকে উপহাস করত।
  9. তাহলে আপনি বলে দিন, চেয়ে দেখ তো আসমানসমুহে ও যমীনে কি রয়েছে। আর কোন নিদর্শন
  10. আর যখন কোন সূরা অবতীর্ণ হয়, তখন তাদের কেউ কেউ বলে, এ সূরা তোমাদের মধ্যেকার

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা হুদ ডাউনলোড করুন:

সূরা Hud mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Hud শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত হুদ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত হুদ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত হুদ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত হুদ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত হুদ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত হুদ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত হুদ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত হুদ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত হুদ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত হুদ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত হুদ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত হুদ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত হুদ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত হুদ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত হুদ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত হুদ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত হুদ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত হুদ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত হুদ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত হুদ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত হুদ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত হুদ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত হুদ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত হুদ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত হুদ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers