কোরান সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত 81 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Al Isra ayat 81 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত 81 আরবি পাঠে(Al Isra).
  
   

﴿وَقُلْ جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ ۚ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا﴾
[ الإسراء: 81]

বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল। [সূরা বনী ইসরাঈল: 81]

Surah Al-Isra in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Al Isra ayat 81


আর বলো -- ''সত্য এসেই গেছে আর মিথ্যা অন্তর্ধান করেছে। নিঃসন্দেহ মিথ্যা তো সদা অন্তর্ধানশীল।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


৮১. হে রাসূল! আপনি এ মুশরিকদেরকে বলে দিন: সত্য ইসলাম এসে গেছে এবং আল্লাহর ওয়াদাকৃত সাহায্য বাস্তবায়িত হয়েছে। আর কুফরি ও শিরক চলে গিয়েছে। নিশ্চয়ই বাতিল নিশ্চিহ্ন হয়ে চলে যাবে। সত্যের সামনে তা স্থির হতে পারবে না।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আর বল, ‘সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলীন হয়েছে; নিশ্চয় মিথ্যা বিলীয়মান।’ [১] [১] হাদীসে এসেছে যে, মক্কা বিজয়ের পর যখন নবী ( সাঃ ) কা'বাগৃহে প্রবেশ করেন, তখন সেখানে তিনশ' ষাটটি মূর্তি রাখা ছিল। নবী ( সাঃ )-এর হাতে ছিল একটি কাষ্ঠখন্ড বা লাঠি। তিনি তার ডগা দিয়ে মূর্তিগুলোকে খোঁচা দিচ্ছিলেন আর ﴿جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ﴾..। এবং ﴿ جَاءَ الْحَقُّ وَمَا يُبْدِئُ الْبَاطِلُ وَمَا يُعِيدُ﴾ পড়ে যাচ্ছিলেন। ( বুখারীঃ কিতাবুল মাযালিম, মুসলিমঃ কিতাবুল জিহাদ )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর বলুন, ‘হক এসেছে ও বাতিল বিলুপ্ত হয়েছে; ‘নিশ্চয় বাতিল বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল []। [] এ আয়াতটি হিজরতের পর মক্কা বিজয়ের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উচ্চারণ করেছিলেন। ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কায় প্রবেশ করেন, তখন বায়তুল্লাহর চতুর্পার্শ্বে তিনশ ষাটটি মূর্তি স্থাপিত ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সেখানে পৌঁছেন, তখন তাঁর মুখে এ আয়াতটি উচ্চারিত হচ্ছিল, এবং তিনি স্বীয় ছড়ি দ্বারা প্রত্যেক মূর্তির বক্ষে আঘাত করে যাচ্ছিলেন। [ বুখারীঃ ২৪৭৮, ৪৭২০, মুসলিমঃ ১৭৮১ ] সুতরাং সত্য প্রতিষ্ঠিত হলে মিথ্যা অপসৃত হবেই। অন্য আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন, “ কিন্তু আমি সত্য দ্বারা আঘাত হানি মিথ্যার উপর; ফলে তা মিথ্যাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয় এবং তৎক্ষণাৎ মিথ্যা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় । [ সূরা আল-আম্বিয়াঃ ১৮ ] আরো বলেন, “ বলুন, ‘সত্য এসেছে এবং অসত্য না পারে নূতন কিছু সৃজন করতে, আর না পারে পুনরাবৃত্তি করতে’ [ সূরা সাবাঃ ৪৯ ] আরো বলেনঃ আল্লাহ মিথ্যাকে মুছে দেন এবং নিজ বাণী দ্বারা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেন । অন্তরে যা আছে সে বিষয়ে তিনি তো সবিশেষ অবহিত ”। [ সূরা আশ-শূরাঃ ২৪ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৮০-৮১ নং আয়াতের তাফসীর হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী ( সঃ ) মক্কায় ছিলেন, অতঃপর তাঁর প্রতি হিজরতের হুকুম হয় এবং এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। ( এটা মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে। ইমাম তিরমিযী (রঃ ) এ হাদীসটি হাসান সহীহবলেছেন) হযরত হাসান বসরী ( রঃ ) বলেনঃ মক্কার কুরায়েশরা রাসূলুল্লাহকে ( সঃ ) হত্যা করার অথবা দেশ থেকে বের করে দেয়ার কিংবা বন্দী করার পরামর্শ করে। তখন আল্লাহ তাআলা মক্কাবাসীকে তাদের দুষ্কর্যের স্বাদ গ্রহণ করাবার ইচ্ছা করেন এবং স্বীয় নবীকে ( সঃ ) মদীনায় হিজরত করার নির্দেশ দেন। এই আয়াতে এরই বর্ণনা রয়েছে। কাতাদা ( রঃ ) বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছে মক্কা হতে বের হওয়া ও মদীনায় প্রবেশ করা। এই উক্তিটিই সবচেয়ে বেশী প্রসিদ্ধ।ইবনু আইয়ায ( রঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, শুভ ও সন্তোষজনক ভাবে প্রবেশ দ্বারা মৃত্যু এবং শুভ ও সন্তোষজনকভাবে বের হওয়ার দ্বারা মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে বুঝানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আরো উক্তি রয়েছে, কিন্তু প্রথম উক্তিটিই সঠিকতম। ইমাম ইবনু জারীরও ( রঃ ) এটাকেই গ্রহণ করেছেন।এরপর আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিচ্ছেনঃ “ বিজয় লাভ ও সাহায্যের জন্যে আমারই নিকট প্রার্থনা কর । এই প্রার্থনার কারণে আল্লাহ তাআলা পারস্য ও রোম দেশ বিজয় এবং সম্মান প্রদানের ওয়াদা করেন। এটা তো রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) জানতেই পেরেছিলেন যে, বিজয় লাভ ছাড়া দ্বীনের প্রচার, প্রসার এবং শক্তিলাভ সম্ভবপর নয়। এ জন্যেই তিনি মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য ও বিজয় কামনা করেছিলেন যাতে তিনি আল্লাহর কিতাব, তাঁর হুদৃদ, শরীয়তের কর্তব্যসমূহ এবং দ্বীনের প্রতিষ্ঠা চালু করতে পারেন। এই বিজয় দানও আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ রহমত। এটা না হলে একে অপরকে খেয়ে ফেলতো এবং সবল দুর্বলকে শিকার করে নিতো। কেউ কেউ বলেছেন যে, ‘সুলতান নাসীর' দ্বারা স্পষ্ট দলীল’ বুঝানো হয়েছে। কিন্তু প্রথম উক্তিটিই বেশী উত্তম। কেননা, সত্যের সাথে বিজয় ও শক্তিও জরুরী। যাতে সত্যের বিরোধীরা জব্দ থাকে। এই জন্যেই আল্লাহ তাআলা লোহা অবতীর্ণ করার অনুগ্রহকে কুরআন কারীমে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছেন।একটি হাদীসে আছে যে, “ সালতানাত বা রাজত্বের কারণে আল্লাহ তাআলা এমন বহু মন্দ কার্য বন্ধ করে দেন যা শুধুমাত্র কুরআনের মাধ্যমে বন্ধ করা যেতো না । এটা চরম সত্য কথা যে, কুরআন কারীমের উপদেশাবলী, ওর ওয়াদা, ভীতি প্রদর্শন তাদেরকে তাদের দুষ্কার্য হতে সরাতে পারতো না। কিন্তু ইসলামী শক্তি দেখে ভীত হয়ে তারা দুষ্কার্য হতে বিরত থাকে।এরপর কাফিরদের সতর্ক করা হচ্ছে যে, আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সত্যের আগমন ঘটেছে, যাতে সন্দেহের লেশমাত্র নেই। কুরআন,ঈমান এবং লাভজনক সত্য ইলম আল্লাহর পক্ষ হতে এসে গেছে এবং কুফরী ধ্বংস ও বিলুপ্ত হয়েছে। ওটা সত্যের মুকাবিলায় হাত পা হীন দুর্বল সাব্যস্ত হয়েছে। হক। বাতিলের মস্তক চূণ বিচূর্ণ করে দিয়েছে। তাই বাতিলের কোন অস্তিত্বই নেই।সহীহ বুখরীতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) মক্কায় ( বিজয়ী বেশে। প্রবেশ করেন। সেই সময় বায়তুল্লাহর আশে পাশে তিনশ ষাটটি প্রতিমা ছিল। তিনি তাঁর হাতের লাঠিটি দ্বারা ওগুলিকে আঘাত করেছিলেন এবং মুখে এই আয়াতটি উচ্চারণ করেছিলেন। অর্থাৎ “ সত্যের আগমন ঘটেছে এবং মিথ্যা বিদূরিত হয়েছে, মিথ্যা বিদূরিত হয়েই থাকে ।”মুসনাদে আবি ইয়ালায় বর্ণিত আছে যে, সাহাবীগণ বলেনঃ “ আমরা রাসূলুল্লাহর (সঃ ) সাথে মক্কায় আগমন করি । ঐ সময় বায়তুল্লাহর আশে পাশে তিন শ ষাটটি মূর্তি ছিল, যেগুলির পূজা অর্চনা করা হতো। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তৎক্ষণাৎ নির্দেশ দিলেনঃ “ এগুলিকে উপুড় করে ফেলে দাও ।” অতঃপর তিনি এই আয়াতটি পাঠ করেন।”

সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত 81 সূরা

وقل جاء الحق وزهق الباطل إن الباطل كان زهوقا

سورة: الإسراء - آية: ( 81 )  - جزء: ( 15 )  -  صفحة: ( 290 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. এদের প্রতিই আল্লাহ অভিসম্পাত করেন, অতঃপর তাদেরকে বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন করেন।
  2. যিনি যথাবিধি আকাশরাজি ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছেন। তারা যাকে শরীক করে তিনি তার বহু উর্ধ্বে।
  3. আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয়ে রেখে দিয়েছি যে,
  4. কিন্তু যখন দেখলেন যে, আহার্য্যের দিকে তাদের হস্ত প্রসারিত হচ্ছে না, তখন তিনি সন্ধিগ্ধ হলেন
  5. যারা তোমাদের ধর্মমতে চলবে, তাদের ছাড়া আর কাউকে বিশ্বাস করবে না। বলে দিন নিঃসন্দেহে হেদায়েত
  6. আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে
  7. স্মরণ কর, যখন তাকে তার পালনকর্তা বললেনঃ অনুগত হও। সে বললঃ আমি বিশ্বপালকের অনুগত হলাম।
  8. তোমরা পৃথিবীতে পলায়ন করে আল্লাহকে অক্ষম করতে পার না এবং আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন কার্যনির্বাহী
  9. হে ঈমানদানগণ! ধৈর্য্য ধারণ কর এবং মোকাবেলায় দৃঢ়তা অবলম্বন কর। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক
  10. যেমন, কওমে নূহ, আদ, সামুদ ও তাদের পরবর্তীদের অবস্থা হয়েছিল। আল্লাহ বান্দাদের প্রতি কোন যুলুম

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বনী ইসরাঈল ডাউনলোড করুন:

সূরা Al Isra mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Al Isra শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Thursday, November 21, 2024

Please remember us in your sincere prayers