কোরান সূরা ইউনুস আয়াত 87 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Yunus ayat 87 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ইউনুস আয়াত 87 আরবি পাঠে(Yunus).
  
   

﴿وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ وَأَخِيهِ أَن تَبَوَّآ لِقَوْمِكُمَا بِمِصْرَ بُيُوتًا وَاجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قِبْلَةً وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ ۗ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ﴾
[ يونس: 87]

আর আমি নির্দেশ পাঠালাম মূসা এবং তার ভাইয়ের প্রতি যে, তোমরা তোমাদের জাতির জন্য মিসরের মাটিতে বাস স্থান নির্ধারণ কর। আর তোমাদের ঘরগুলো বানাবে কেবলামুখী করে এবং নামায কায়েম কর আর যারা ঈমানদার তাদেরকে সুসংবাদ দান কর। [সূরা ইউনুস: 87]

Surah Yunus in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Yunus ayat 87


আর আমরা মূসা ও তাঁর ভাইয়ের প্রতি প্রত্যাদেশ দিলাম এই বলে -- ''তোমাদের লোকদের জন্য মিশরে বাড়িঘর স্থাপন করো, আর তোমাদের ঘরগুলোকে উপাসনার স্থান বানাও আর নামায কায়েম করো। আর বিশ্বাসীদের সুসংবাদ দাও।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


৮৭. আমি মূসা ও তাঁর ভাই হারূন ( আলাইহিমাস-সালাম ) এর নিকট এ মর্মে ওহী পাঠিয়েছি যে, তোমরা এক আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে নিজেদের সম্প্রদায়ের জন্য কিছু ঘর চয়ন ও তৈরি করো এবং তোমাদের ঘরগুলোকে কিবলা তথা বাইতুল-মাকদিসমুখী করো। আর পরিপূর্ণরূপে সালাত আদায় করো। হে মূসা! তুমি মু’মিনদেরকে আল্লাহর সাহায্য-সহযোগিতা, শত্রæদেরকে ধ্বংস এবং তাদেরকে জমিনের প্রতিনিধি বানানোর সুসংবাদ দাও।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আমি মূসা ও তার ভায়ের প্রতি অহী ( প্রত্যাদেশ ) করলাম, ‘তোমরা উভয়ে তোমাদের সম্প্রদায়ের জন্য মিসরে গৃহ নির্মাণ কর। আর তোমরা নিজেদের সেই গৃহগুলোকে নামায পড়ার স্থানরূপে গণ্য কর[১] এবং নামায প্রতিষ্ঠা কর। আর মুমিনদেরকে সুসংবাদ দাও।’ [১] এর অর্থ এই যে, নিজ নিজ বাসস্থানকে মসজিদ বানিয়ে নাও এবং কিবলার ( বাইতুল মাকদিসের ) দিকে তার মুখ করে নাও। যাতে ইবাদত করার জন্য তোমাদেরকে বাইরে গির্জা ইত্যাদিতে যাওয়ার প্রয়োজন না হয়, যেখানে ফিরআউন ও তার দল-বলের অত্যাচারের ভয় থাকে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর আমরা মূসা ও তার ভাইকে ওহী পাঠালাম যে, ‘মিসরে আপনাদের সম্প্রদায়ের জন্য ঘর তৈরী করুন এবং তোমাদের ঘরগুলোকে ‘কিবলা [] তথা ইবাদাতের ঘর বানান, আর সালাত কায়েম করুন এবং মুমিনদেরকে সুসংবাদ দিন []। ’ [] এখানে ( وَّ اجۡعَلُوۡا بُیُوۡتَکُمۡ قِبۡلَةً ) -এর দ্বারা কি উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে তা নির্ধারনে কয়েকটি মত রয়েছে- ( এক ) কোন কোন মুফাসসিরের মতে এর অর্থ তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কেবলামুখী করে তৈরী করে নাও। যাতে করে সেগুলোতে সালাত আদায় করলে ফিরআউনের লোকেরা বুঝতে না পারে। [ ইবন কাসীর ] ( দুই ) কোন কোন মুফাস্‌সির-এর মতে এর অর্থ তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে মসজিদে রূপান্তরিত করে নাও। যাতে সেগুলোতে সালাত আদায় করার ব্যাপারে কোন প্রতিবন্ধকতা না থাকে। কারণ পূর্ববর্তী উম্মতদের উপর সালাত আদায় করার জন্য মসজিদ হওয়া শর্ত ছিল। যেখানে সেখানে সালাত আদায়ের অনুমতি ছিল না। [ ইবন কাসীর ] ( তিন ) কাতাদাহ রাহিমাহুল্লাহ্‌ বলেনঃ এর অর্থ তোমরা তোমাদের ঘরের মধ্যে মসজিদ বানিয়ে নেবে যাতে তার দিক হয় কেবলার দিকে এবং সেদিকে ফিরে সালাত আদায় করবে। [ কুরতুবী ] এ আয়াত দ্বারা আরো প্রমাণিত হয় যে, সালাত আদায়ের জন্য কেবলামুখী হওয়ার শর্তটি পূর্ববতী নবীগণের সময়ও বিদ্যমান ছিল। [ কুরতুবী ] [] অর্থাৎ কোন কোন মুফাসসির বলেন, এখানে রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে। তখন অর্থ হবে, বর্তমানে ঈমানদারদের ওপর যে হতাশা, ভীতি-বিহবলতা ও নিস্তেজ-নিস্পৃহ ভাব ছেয়ে আছে তা দূর করে তাদেরকে আশান্বিত করুন। তাদেরকে উৎসাহিত ও উদ্যমশীল করুন। অপর মুফাসসিরগণের মতে এখানে মূসা আলাইহিস সালামকেই উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে। আর এটা বেশী সুস্পষ্ট। অর্থাৎ বনী ইসরাঈলকে সুসংবাদ দিন যে, নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে তাদের শক্ৰদের উপর বিজয় দান করবেন। [ কুরতুবী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


আল্লাহ তা'আলা বানী ইসরাঈলকে ফিরআউন হতে মুক্তি দেয়ার কারণ বর্ণনায় বলেন, মূসা ( আঃ ) ও হারূন ( আঃ )-কে আমি হুকুম করলাম- তোমরা তোমাদের কওমকে মিসরে নিয়ে যাও এবং সেখানেই বসতি স্থাপন কর। ( আরবী ) এর ব্যাপারে মুফাসসিরদের মতানৈক্য রয়েছে। ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে-তোমরা নিজেদের ঘরগুলোকেই মসজিদ বানিয়ে নাও। ইবরাহীম ( রঃ ) বলেন যে, বানী ইসরাঈল ভীত-সন্ত্রস্ত ছিল। তাই তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয় যে, তারা যেন বাড়ীতেই সালাত আদায় করে। এই নির্দেশের ব্যাপারটি ঠিক এইরূপই যে, ফিরআউন এবং তার কওমের পক্ষ থেকে কষ্ট ও বিপদ যখন খুব বেশী আসতে লাগলো, তখন খুব বেশী বেশী করে সালাত পড়ার নির্দেশ দেয়া হলো। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে ( আল্লাহর নিকট ) সাহায্য প্রার্থনা কর ।” হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) যখন কোন ব্যাপারে হতবুদ্ধি ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়তেন, তখন তিনি সালাত শুরু করে দিতেন। এজন্যেই এই আয়াতে বলা হয়েছে- গৃহকেই মসজিদ মনে করে তোমরা সালাত আদায় করতে থাকো। আর মুমিনদেরকে সওয়াব ও সাহায্যদানের সুসংবাদ দিয়ে দাও।ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, বানী ইসরাঈল মূসা ( আঃ )-কে বলেছিলঃ “ আমরা ফিরআউনের লোকদের সামনে প্রকাশ্যভাবে সালাত আদায় করতে পারবো না ।” তখন আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে বাড়ীতেই সালাতের অনুমতি দেন। মুজাহিদ ( রঃ ) বলেন, বানী ইসরাঈল এই ভয় করতো যে, যদি তারা মসজিদে সালাত আদায় করে তবে ফিরআউন তাদেরকে হত্যা করবে। এজন্যেই তাদেরকে গোপনে বাড়ীতে সালাত আদায় করার অনুমতি দেয়া হয়। সাঈদ ইবনে জুবাইর ( রঃ ) বলেন যে, ( আরবী ) -এর অর্থ হচ্ছে- যেন একটি অপরটির সামনে থাকে।

সূরা ইউনুস আয়াত 87 সূরা

وأوحينا إلى موسى وأخيه أن تبوآ لقومكما بمصر بيوتا واجعلوا بيوتكم قبلة وأقيموا الصلاة وبشر المؤمنين

سورة: يونس - آية: ( 87 )  - جزء: ( 11 )  -  صفحة: ( 218 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. সুরক্ষিত মোতিসদৃশ কিশোররা তাদের সেবায় ঘুরাফেরা করবে।
  2. বললেনঃ আমি তোমার সম্প্রদায়কে পরীক্ষা করেছি তোমার পর এবং সামেরী তাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে।
  3. যখন বেড়িও শৃঙ্খল তাদের গলদেশে পড়বে। তাদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে।
  4. সুলায়মান পক্ষীদের খোঁজ খবর নিলেন, অতঃপর বললেন, কি হল, হুদহুদকে দেখছি না কেন? নাকি সে
  5. যে লোক পুরুষ হোক কিংবা নারী, কোন সৎকর্ম করে এবং বিশ্বাসী হয়, তবে তারা জান্নাতে
  6. সুতরাং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্যে আছে পাপ মার্জনা এবং সম্মানজনক
  7. যদি তারা তওরাত, ইঞ্জিল এবং যা প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, পুরোপুরি পালন
  8. পূর্বে তারা যাদের পূজা করত, তারা উধাও হয়ে যাবে এবং তারা বুঝে নেবে যে, তাদের
  9. আমি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে থাকি পরিমাণ মত অতঃপর আমি জমিনে সংরক্ষণ করি এবং
  10. আমি সব পয়গম্বরকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদেরকে পরিষ্কার বোঝাতে পারে। অতঃপর

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ইউনুস ডাউনলোড করুন:

সূরা Yunus mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Yunus শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ইউনুস  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ইউনুস  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ইউনুস  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ইউনুস  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ইউনুস  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ইউনুস  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ইউনুস  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ইউনুস  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ইউনুস  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ইউনুস  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ইউনুস  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ইউনুস  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ইউনুস  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ইউনুস  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ইউনুস  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ইউনুস  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ইউনুস  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ইউনুস  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ইউনুস  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ইউনুস  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ইউনুস  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ইউনুস  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ইউনুস  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ইউনুস  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ইউনুস  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Tuesday, May 14, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب