কোরান সূরা নাহল আয়াত 89 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Nahl ayat 89 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা নাহল আয়াত 89 আরবি পাঠে(Nahl).
  
   

﴿وَيَوْمَ نَبْعَثُ فِي كُلِّ أُمَّةٍ شَهِيدًا عَلَيْهِم مِّنْ أَنفُسِهِمْ ۖ وَجِئْنَا بِكَ شَهِيدًا عَلَىٰ هَٰؤُلَاءِ ۚ وَنَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ تِبْيَانًا لِّكُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً وَبُشْرَىٰ لِلْمُسْلِمِينَ﴾
[ النحل: 89]

সেদিন প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে আমি একজন বর্ণনাকারী দাঁড় করাব তাদের বিপক্ষে তাদের মধ্য থেকেই এবং তাদের বিষয়ে আপনাকে সাক্ষী স্বরূপ উপস্থাপন করব। আমি আপনার প্রতি গ্রন্থ নাযিল করেছি যেটি এমন যে তা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুসলমানদের জন্যে সুসংবাদ। [সূরা নাহল: 89]

Surah An-Nahl in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Nahl ayat 89


আর সেদিন আমরা প্রত্যেক জাতির মধ্যে দাঁড় করাব তাদের মধ্যে থেকে তাদের বিষয়ে এক-একজন সাক্ষী, আর তোমাকে আমরা আনব একজন সাক্ষীরূপে এদের উপরে। আর তোমার কাছে আমরা অবতারণ করেছি ধর্মগ্রন্থ সব বিষয়ের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাস্বরূপ আর পথনির্দেশ ও করুণা এবং আ‌ত্মসমর্পণকারীদের জন্য সুসংবাদ-স্বরূপ।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৮৯. হে রাসূল! আপনি স্মরণ করুন সে দিনের কথা যে দিন আমি প্রত্যেক জাতির রাসূলকে পুনরুত্থিত করবো তাদের কুফরি কিংবা ঈমানের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য। যে রাসূল তাদের বংশ ও ভাষারই হবে। আর আপনাকে সকল জাতির উপর সাক্ষী বানাবো। বস্তুতঃ আমি আপনার উপর কুর‘আন নাযিল করেছি হালাল ও হারাম এবং সাওয়াব ও শাস্তি ইত্যাদি তথা যা কিছু বর্ণনা করা প্রয়োজন তা সবই বর্ণনা করার জন্য। আমি সেটিকে নাযিল করেছি সত্যের প্রতি মানুষের হিদায়েত, তার উপর ঈমান ও আমলকারীর জন্য রহমত এবং আল্লাহ বিশ্বাসীদের জন্য অপেক্ষমাণ স্থায়ী নিয়ামতের সুসংবাদ স্বরূপ।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


সেদিন প্রত্যেক জাতিতে তাদেরই মধ্য হতে তাদেরই বিপক্ষে এক একজন সাক্ষী দাঁড় করাব এবং ওদের বিষয়ে তোমাকে আমি আনব সাক্ষীরূপে।[১] আর আমি তোমার প্রতি গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছি প্রত্যেক বিষয়ের স্পষ্ট ব্যাখ্যা স্বরূপ[২] এবং আত্মসমর্পণকারী ( মুসলিম )দের জন্য, পথনির্দেশ, করুণা ও সুসংবাদ স্বরূপ। [১] অর্থাৎ, প্রত্যেক নবী তাঁর জাতির জন্য সাক্ষ্য দেবে এবং নবী ( সাঃ ) ও তাঁর উম্মত অন্যান্য সকল নবীদের ব্যাপারে সাক্ষী দেবেন যে, তাঁরা সত্যবাদী; তাঁরা অবশ্যই তোমার বাণী পৌঁছে দিয়েছিলেন। ( বুখারীঃ তফসীর সূরা নিসা ) [২] 'গ্রন্থ' বলতে আল্লাহর কিতাব ও নবী ( সাঃ )-এর ব্যাখ্যা অর্থাৎ হাদীসকে বুঝানো হয়েছে। মহানবী ( সাঃ ) নিজ হাদীসকেও 'আল্লাহর কিতাব' বলে ঘোষণা করেছেন। যেমন এক চাকরের প্রভু-পত্নীর সাথে ব্যভিচারের ঘটনা ইত্যাদিতে উল্লিখিত। ( দেখুনঃ বুখারীঃ কিতাবুল মুহারেবীন, কিতাবুস সালাত প্রভৃতি ) আর 'প্রত্যেক বিষয়' বলতে অতীত ও ভবিষ্যতের এমন সংবাদ যার জ্ঞান রাখা উপকারী ও আব্যশিক। অনুরূপ হালাল হারামের বিস্তারিত আলোচনা এবং দ্বীন ও দুনিয়ার এমন সব কথা বা ইহকাল ও পরকালের এমন সব ব্যাপার যা মানুষের জানা প্রয়োজন; কুরআন ও হাদীস উভয়েই সে সব পরিষ্কারভাবে বর্ণিত হয়েছে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর স্মরণ করুন, যেদিন আমরা প্রত্যেক উম্মতের কাছে, তাদের থেকে তাদেরই বিরুদ্ধে একজন সাক্ষী উত্থিত করব [] এবং আপনাকে আমরা তাদের উপর সাক্ষীরূপে নিয়ে আসব []। আর আমরা আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি [] প্রত্যেক বিষয়ের স্পষ্ট ব্যাখ্যাস্বরূপ [], পথনির্দেশ, দয়া ও মুসলিমদের জন্য সুসংবাদস্বরূপ। [] তারা প্রত্যেক উম্মতের নবীগণ। কিয়ামতের দিন তারা তাদের উম্মতের উপর সাক্ষ্য হবেন। তারা সাক্ষ্য দেবেন যে, তারা উম্মতের কাছে রিসালাত পৌছিয়েছেন, তাদেরকে ঈমানের দিকে আহবান জানিয়েছেন। [ কুরতুবী ] [] এ আয়াতাংশটি সূরা আন-নিসার ৪১ নং আয়াতের সমার্থবোধক। সেখানে এর বিষয়বস্তুর ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। [] আয়াতের প্রথমাংশে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হাশরের মাঠে সাক্ষ্য বানানোর কথা ঘোষণা করার পর দ্বিতীয়াংশে কুরআন নাযিল করার কথা উল্লেখ করে সম্ভবতঃ এ দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, যিনি আপনাকে কিতাব দিচ্ছেন এবং আপনার উপর তা প্রচার-প্রসার করা ফরয করে দিয়েছেন তিনিই আপনাকে এ ব্যাপারে কিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। এ ব্যাপারে কুরআনের আরও আয়াত থেকে প্রমাণ পাওয়া যায়। [ দেখুনঃ সূরা আল-আরাফঃ ৬, সূরা আল-হিজরঃ ৯২-৯৩, সূরা আল-মায়েদাহঃ ১০৯, সূরা আল-কাসাসঃ ৮৫ ] [] ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, কুরআন আমাদেরকে সবকিছুর জ্ঞান বর্ণনা করেছে এবং সবকিছু জানিয়েছে। মুজাহিদ বলেন, হালাল ও হারাম জানিয়েছে। তবে ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর কথাটি বেশী ব্যাপক। কেননা কুরআন প্রতিটি উপকারী জ্ঞানসমৃদ্ধ, যা গত হয়েছে সেটার সংবাদ এবং যা আসবে সেটার জ্ঞান। আর প্রতিটি হালাল ও হারাম। তেমনিভাবে মানুষ তাদের দুনিয়া ও দ্বীনের ব্যাপারে তাদের জীবিকা ও পুনরুত্থান সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য এতে পাবে। অন্তরসমূহের জন্য এতে রয়েছে হেদায়াত এবং মুসলিমদের জন্য এতে রয়েছে রহমত ও সুসংবাদ [ ইবন কাসীর ] ইমাম আওযায়ী বলেন, আয়াতের অর্থ, আমরা কুরআনকে সুন্নাহ দ্বারা সবকিছুর স্পষ্টব্যাখ্যারূপে নাযিল করেছি। [ ইবন কাসীর ] মোটকথা: কুরআন এমন প্রত্যেকটি জিনিস পরিষ্কারভাবে তুলে ধরে, যার ওপর হিদায়াত ও গোমরাহী এবং লাভ ও ক্ষতি নির্ভর করে, যা জানা সঠিক পথে চলার জন্য একান্ত প্রয়োজন এবং যার মাধ্যমে হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে। বস্তুত কুরআনুল কারীমে সব বিষয়েরই মূলনীতি বিদ্যমান রয়েছে। যেসব মূলনীতির আলোকেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদীস মাস’আলা বর্ণনা করেছেন। কুরআনেই সেটা করতে রাসূলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। [ ফাতহুল কাদীর ] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে বলেছেন, জেনে রাখ! আমাকে কুরআন দেয়া হয়েছে এবং কুরআনের অনুরূপও দেয়া হয়েছে। [ মুসনাদে আহমাদ ৪/১৩০ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


আল্লাহ তাআলা স্বীয় রাসূলকে ( সঃ ) সম্বোধন করে বলছেনঃ “ হে মুহাম্মদ ( সঃ )! তুমি ঐ দিনটিকে স্মরণ কর যেই দিন হচ্ছে তোমার মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশিত হওয়ার দিন ।” এই আয়াতটি সূরায়ে নিসার নিম্নের আয়াতটির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ যখন আমি প্রত্যেক উম্মত হতে একজন সাক্ষী উপস্থিত করবো । এবং তোমাকে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষীরূপে উপস্থিত করবো তখন কি অবস্থা হবে?” ( ৪:৪১ ) একদা রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) হযরত ইবনু মাসউদকে ( রাঃ ) সূরায়ে নিসা পাঠ করতে বলেন। যখন তিনি এই আয়াত পর্যন্ত পৌঁছেন, তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাঁকে বলেনঃ “ থাক, যথেষ্ট হয়েছে । হযরত ইবনু মাসউদ ( রাঃ ) তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখেন যে, তার চক্ষু অশ্রুসিক্ত হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেনঃ “ এটা আমার অবতারিত কিতাব । সবকিছুই আমি তোমার সামনে বর্ণনা করে দিয়েছি। সমস্ত জ্ঞান এবং সমস্ত জিনিস এই কুরআন কারীমে রয়েছে। প্রত্যেক হালাল, হারাম, প্রত্যেক উপকারী বিদ্যা, সমস্ত কল্যাণ, অতীতের খবর, আগামী দিনের ঘটনাবলী, দ্বীন ও দুনিয়া, উপজীবিকা, পরকাল প্রভৃতির সমস্ত জরুরী আহকাম এবং অবস্থাবলী এর মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। এটা হচ্ছে অন্তরের হিদায়াত, রহমত এবং সুসংবাদ।ইমাম আওযায়ী ( রাঃ ) বলেন যে, সুন্নাতে রাসূলকে ( সঃ ) মিলিয়ে এই কিতাবে সমস্ত কিছুর বর্ণনা রয়েছে। এই আয়াতের সাথে পূর্ববর্তী আয়াতের সম্পর্ক প্রধানতঃ এই যে, হে নবী ( সঃ )! যিনি তোমার উপর এই কিতাবের তাবলীগ ফরয করেছেন এবং ওটা অবতীর্ণ করেছেন, তিনি কিয়ামতের দিন। তোমাকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করবেন। যেমন তিনি ( আল্লাহ ) বলেনঃ “ যাদের কাছে রাসূলদেরকে পাঠানো হয়েছিল তাদেরকে এবং রাসূলদেরকে আমি অবশ্যই প্রশ্ন করবো । তোমার প্রতিপালকের শপথ! অবশ্যই আমি তাদের সকলকেই তাদের আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। সেই দিন তিনি রাসূলদেরকে একত্রিত করে জিজ্ঞেস করবেনঃ “ তোমাদেরকে কি উত্তর দেয়া হয়েছিল?” তারা উত্তর দিবেঃ “আমাদের কিছুই জানা নাই । নিশ্চয় আপনিই অদৃশ্যের খবর জানেন।” অন্য আয়াতে রয়েছেঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ যিনি তোমার উপর কুরআনের তাবলীগ ফরয করেছেন তিনি । তোমাকে কিয়ামতের দিন তাঁর কাছে ফিরিয়ে এনে তার অর্পণকৃত দায়িত্ব সম্পর্কে তোমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।” ( ২৮:৮৫ ) এই আয়াতের তাফসীরের উক্তিগুলির মধ্যে এটি একটি উক্তি এবং এটা খুবই যথার্থ ও উত্তম উক্তি।

সূরা নাহল আয়াত 89 সূরা

ويوم نبعث في كل أمة شهيدا عليهم من أنفسهم وجئنا بك شهيدا على هؤلاء ونـزلنا عليك الكتاب تبيانا لكل شيء وهدى ورحمة وبشرى للمسلمين

سورة: النحل - آية: ( 89 )  - جزء: ( 14 )  -  صفحة: ( 277 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. যখন আমি বনী-ইসরাঈলের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারও উপাসনা করবে না,
  2. আপনি তো আমাদের অবস্থা সবই দেখছেন।
  3. আমি তাদেরকে এমন দেহ বিশিষ্ট করিনি যে, তারা খাদ্য ভক্ষণ করত না এবং তারা চিরস্থায়ীও
  4. এবং এ কারণে যে, কেয়ামত অবশ্যম্ভাবী, এতে সন্দেহ নেই এবং এ কারণে যে, কবরে যারা
  5. তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দিবেন,
  6. এবং বলত, আমরা কি এক উম্মাদ কবির কথায় আমাদের উপাস্যদেরকে পরিত্যাগ করব।
  7. বলুনঃ আল্লাহ তা’আলার কবল থেকে আমাকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না এবং তিনি ব্যতীত আমি
  8. যারা আরশ বহন করে এবং যারা তার চারপাশে আছে, তারা তাদের পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা
  9. এবং তাদের বাঞ্ছিত ফল-মূলের মধ্যে।
  10. বলুনঃ সপ্তাকাশ ও মহা-আরশের মালিক কে?

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা নাহল ডাউনলোড করুন:

সূরা Nahl mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Nahl শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত নাহল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত নাহল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত নাহল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত নাহল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত নাহল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত নাহল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত নাহল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত নাহল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত নাহল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত নাহল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত নাহল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত নাহল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত নাহল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত নাহল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত নাহল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত নাহল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত নাহল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত নাহল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত নাহল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত নাহল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত নাহল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত নাহল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত নাহল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত নাহল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত নাহল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Thursday, May 16, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب