কোরান সূরা তাওবা আয়াত 96 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Tawbah ayat 96 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা তাওবা আয়াত 96 আরবি পাঠে(Tawbah).
  
   

﴿يَحْلِفُونَ لَكُمْ لِتَرْضَوْا عَنْهُمْ ۖ فَإِن تَرْضَوْا عَنْهُمْ فَإِنَّ اللَّهَ لَا يَرْضَىٰ عَنِ الْقَوْمِ الْفَاسِقِينَ﴾
[ التوبة: 96]

তারা তোমার সামনে কসম খাবে যাতে তুমি তাদের প্রতি রাযী হয়ে যাও। অতএব, তুমি যদি রাযী হয়ে যাও তাদের প্রতি তবু আল্লাহ তা’আলা রাযী হবেন না, এ নাফরমান লোকদের প্রতি। [সূরা তাওবা: 96]

Surah At-Tawbah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Tawbah ayat 96


তারা তোমাদের কাছে হলফ করবে যেন তোমরা তাদের প্রতি সন্তষ্ট হও। কিন্তু তোমরা যদিও বা তাদের প্রতি সন্তষ্ট হও তথাপি আল্লাহ্ নিশ্চয়ই দুষ্কৃতিকারিগোষ্ঠীর প্রতি তুষ্ট হবেন না।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৯৬. হে মু’মিনরা! এ পিছপা হওয়া মুনাফিকরা তোমাদের নিকট কসম খাবে যেন তোমরা তাদের উপর খুশি হয়ে যাও এবং তাদের ওজর-আপত্তিগুলো গ্রহণ করো। তোমরা তাদের উপর সন্তুষ্ট হয়ো না। তোমরা তাদের উপর সন্তুষ্ট হলে প্রকৃতার্থে তোমাদের প্রতিপালকের বিরোধিতা করা হবে। কারণ, তিনি কুফরি ও মুনাফিকীর মাধ্যমে তাঁর আনুগত্য থেকে বেরিয়ে আসা সম্প্রদায়ের উপর খুশি হন না। তাই হে মুসলমানরা! যার উপর আল্লাহ তা‘আলা সন্তুষ্ট নন তার উপর সন্তুষ্ট হওয়ার ব্যাপারে তোমরা খুব সতর্ক থাকো।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তারা এ জন্য শপথ করবে, যেন তোমরা তাদের প্রতি রাজী হয়ে যাও, অনন্তর যদি তোমরা তাদের প্রতি রাজী হয়ে যাও, তবে আল্লাহ তো এমন দুষ্কর্মকারী লোকদের প্রতি রাজী হবেন না। [১] [১] উক্ত তিন আয়াতে ঐ সকল মুনাফিকদের কথা আলোচিত হয়েছে, যারা তাবুক অভিযানে মুসলিমদের সাথে শরীক হয়নি। এরা নবী ( সাঃ ) ও মুসলিমদেরকে সুস্থ ও সফলভাবে ফিরে আসতে দেখে নিজেদের ওজর পেশ করে তাঁদের নিকট বিশ্বস্ত হতে চেয়েছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, যখন তুমি তাদের নিকট উপস্থিত হবে, তখন তারা ওজর পেশ করবে, তুমি তাদেরকে বলে দাও যে, আমাদের নিকট ওজর পেশ করায় কোন লাভ নেই। কারণ আল্লাহ তাআলা আমাদের নিকট তোমাদের মুখোশ খুলে দিয়েছেন। এখন তোমাদের মিথ্যা ওজর আমরা কিভাবে বিশ্বাস করতে পারি? বস্তুতঃ এই সব ওজরের আসল রহস্য অতি অল্প সময়ের মধ্যে আরো পরিষ্কারভাবে উদ্ঘাটিত হয়ে যাবে। তোমাদের কর্ম, যা আল্লাহ তাআলা দেখছেন এবং রসূল ( সাঃ )-এর সামনেও পরিষ্ফুটিত। অতএব স্বয়ং তিনি তোমাদের ওজরের আসল রহস্য উদঘাটন করে দেবেন। আর যদি পুনরায় তোমরা রসূল ( সাঃ ) ও মুসলিমদেরকে প্রতারিত করতে ও ধোঁকা দিতে কৃতকার্য হয়েই যাও, তবে এমন এক সময় অবশ্যই আসবে, যখন তোমাদেরকে এমন এক সত্তার নিকট উপস্থিত করা হবে, যিনি প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সব কিছু ভালভাবেই অবগত আছেন। তাঁকে তো আর ধোঁকা দিতে পারবে না; তিনি তোমাদের সকল আসল রহস্য তোমাদের সামনে খুলে দেবেন। দ্বিতীয় আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন যে, তুমি ফিরে এলে ওরা শপথ করবে, যাতে তুমি তাদেরকে ক্ষমা করে দাও। অতএব তুমি তাদেরকে নিজের অবস্থাতে ছেড়ে দাও। ওরা নিজেদের বিশ্বাস ও কর্ম অনুযায়ী অপবিত্র। তারা যা কিছু করেছে তার প্রাপ্যই হল জাহান্নাম। তৃতীয় আয়াতে বলেছেন, ওরা তোমাকে সন্তুষ্ট করার জন্য শপথ করবে। কিন্তু ঐ সকল অবুঝদের জানা নেই যে, যদি তুমি তাদের উপর সন্তুষ্ট হয়েই যাও, তবে তারা যে আল্লাহর আনুগত্য থেকে দূর হওয়া ও পালিয়ে যাওয়ার পথ অবলম্বন করেছে, তার ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি কিভাবে সন্তুষ্ট হতে পারেন?

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তারা তোমাদের কাছে শপথ করবে যাতে তোমরা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হও। অতঃপর তোমরা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেও আল্লাহ্‌ তো ফাসিক সম্প্রদায়ের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন না []। [] এ আয়াতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, এরা কসম খেয়ে খেয়ে আপনাকে এবং মুসলিমদেরকে রাষী করাতে চাইবে। এ ব্যাপারে আল্লাহ্ তা'আলা হেদায়েত দান করেছেন যে, তাদের প্রতি রাযী হবেন না। এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের প্রতি রাযী নন। তাছাড়াও তারা যখন নিজেদের কুফরী ও মুনাফিকীর উপরই অটল থাকল, তখন আল্লাহ তা'আলা কেমন করে রাযী হবেন? আর ঈমানদাররাই বা কি করে রাযী হতে পারে, যখন ঈমানদাররা সেটাতেই রাযী হয়ে থাকে যাতে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল রাযী? [ দেখুন, তাবারী; ফাতহুল কাদীর; সা’দী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৯৪-৯৬ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা মুনাফিকদের সম্পর্কে সংবাদ দিচ্ছেন যে, মুমিনরা যখন মদীনায় ফিরে আসবে তখন ঐ মুনাফিকরা তাদের কাছে ওর পেশ করবে। তাই আল্লাহ পাক স্বীয় রাসূলকে বলেছেনঃ হে নবী ( সঃ )! ঐ মুনাফিকদেরকে বলে দাও- তোমরা আমাদের কাছে মিথ্যা ওযর পেশ করো না। তোমাদের কথা কখনো আমরা সত্য বলে বিশ্বাস করবো না। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে তোমাদের সংবাদ অবহিত করেছেন। অতিসত্বরই তিনি দুনিয়ায় তোমাদের আমল লোকদের সামনে প্রকাশ করে দিবেন এবং তোমাদের ভাল মন্দ কার্যাবলীর খবর প্রদান করবেন। অতঃপর তোমাদেরকে তোমাদের কর্মের ফলও দেখতে হবে।এরপর মহান আল্লাহ তাদের সম্পর্কে আরো সংবাদ দিচ্ছেন তারা তাদের ওরের কথা শপথ করে করে বর্ণনা করবে, যেন তাদেরকে ক্ষমা করে দাও। কিন্তু হে মুমিনগণ! তোমরা কখনো তাদের কথার সত্যতা স্বীকার করো না এবং ঘৃণার সাথে তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও। এসব ব্যাপার ঐ সময় ঘটবে যখন তোমরা যুদ্ধ শেষে মদীনায় ফিরে আসবে। জেনে রেখো যে, তাদের নফস্ কলুষিত হয়ে গেছে। তাদের ভিতর খুবই খারাপ এবং তাদের ধারণা ও বিশ্বাস অপবিত্র। পরকালে তাদের ঠিকানা জাহান্নাম। এটাই তাদের দুষ্কর্মের সঠিক প্রতিফল। আল্লাহ তা'আলা মুমিনদেরকে আরো বলে দেন- তোমরা যদি এই মুনাফিকদের কথা ও কসম বিশ্বাস করে তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যাও তবে জেনে রেখো যে, আল্লাহ তা'আলা তাদের প্রতি কখনো সন্তুষ্ট হবেন না। তারা আল্লাহ ও তার রাসূল ( সঃ )-এর আনুগত্য হতে বেরিয়ে গেছে। তারা ফাসেক। ( আরবী ) শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বাইরে বের হওয়া। যেমন বলা হয়ঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ ইঁদুর দুষ্কৃতি ও ফাসাদ দৃষ্টি করার উদ্দেশ্যেই স্বীয় গর্ত হতে বের হয়ে থাকে ।” আরো বলা হয়ঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ শাখা বা ডাল হতে খেজুরের গুচ্ছ বের হয়ে এসেছে ।

সূরা তাওবা আয়াত 96 সূরা

يحلفون لكم لترضوا عنهم فإن ترضوا عنهم فإن الله لا يرضى عن القوم الفاسقين

سورة: التوبة - آية: ( 96 )  - جزء: ( 11 )  -  صفحة: ( 202 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অতঃপর আমি স্বজ্ঞানে তাদের কাছে অবস্থা বর্ণনা করব। বস্তুতঃ আমি অনুপস্থিত তো ছিলাম না।
  2. যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারি, যা আমি করিনি। কখনই নয়, এ তো তার একটি কথার
  3. তোমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অভিপ্রায়ের বাইরে অন্য কিছুই ইচ্ছা করতে পার না।
  4. যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
  5. কেয়ামতের দিন তাদের সবাই তাঁর কাছে একাকী অবস্থায় আসবে।
  6. অতঃপর কেটে দিতাম তার গ্রীবা।
  7. হে আমার পিতা, শয়তানের এবাদত করো না। নিশ্চয় শয়তান দয়াময়ের অবাধ্য।
  8. আরও দিয়েছিলাম তাদেরকে ধর্মের সুস্পষ্ট প্রমাণাদি। অতঃপর তারা জ্ঞান লাভ করার পর শুধু পারস্পরিক জেদের
  9. তাদের জন্যে একটি নিদর্শন এই যে, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিকে বোঝাই নৌকায় আরোহণ করিয়েছি।
  10. ধ্বংস হোক সে, কিরূপে সে মনঃস্থির করেছে!

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা তাওবা ডাউনলোড করুন:

সূরা Tawbah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Tawbah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত তাওবা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত তাওবা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত তাওবা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত তাওবা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত তাওবা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত তাওবা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত তাওবা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত তাওবা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত তাওবা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত তাওবা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত তাওবা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত তাওবা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত তাওবা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত তাওবা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত তাওবা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত তাওবা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত তাওবা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত তাওবা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত তাওবা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers