কোরান সূরা মায়িদা আয়াত 105 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Maidah ayat 105 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা মায়িদা আয়াত 105 আরবি পাঠে(Maidah).
  
   

﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنفُسَكُمْ ۖ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ ۚ إِلَى اللَّهِ مَرْجِعُكُمْ جَمِيعًا فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ﴾
[ المائدة: 105]

হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের চিন্তা কর। তোমরা যখন সৎপথে রয়েছ, তখন কেউ পথভ্রান্ত হলে তাতে তোমাদের কোন ক্ষতি নাই। তোমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে। তখন তিনি তোমাদেরকে বলে দেবেন, যা কিছু তোমরা করতে। [সূরা মায়িদা: 105]

Surah Al-Maidah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Maidah ayat 105


ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমাদের উপরে ভার রয়েছে তোমাদের জীবনের, যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে তোমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না যদি তোমরা পথনির্দেশ মেনে চল। আল্লাহ্‌র কাছেই তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন, তখন তিনি তোমাদের জানাবেন কী তোমরা করতে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১০৫. হে মু’মিনগণ! তোমরা নিজেদের ব্যাপার নিজেরাই দেখো। তোমাদের সংশোধনে আসে এমন কাজ করতে তোমরা নিজেদেরকে বাধ্য করো। তোমরা হিদায়েতের উপর থাকলে তোমাদের ডাকে সাড়া না দেয়া পথভ্রষ্টরা তোমাদের কোন ক্ষতিই করতে পারবে না। তোমাদের হিদায়েতের উপর থাকা মানে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা। কিয়ামতের দিন একমাত্র আল্লাহর দিকেই তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে। তখন তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে তোমাদের দুনিয়ার কর্মের প্রতিদান দিবেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের আত্মরক্ষা করাই কর্তব্য। তোমরা যদি সৎপথে পরিচালিত হও, তবে যে পথভ্রষ্ট হয়েছে, সে তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।[১] আল্লাহরই দিকেই তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর তোমরা যা করতে, তিনি সে সম্বন্ধে তোমাদেরকে অবহিত করবেন। [১] কিছু লোকের মনে বাহ্যিক এই শব্দাবলীর কারণে সংশয়ের সৃষ্টি হয় যে, নিজেকে সংশোধন করে নেওয়াই যথেষ্ট। আর সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে বাধা দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু এ ধরনের ধারণা সঠিক নয়, তার কারণ হচ্ছে, সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে বাধা দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফরয বিষয়। যদি একজন মুসলিম এই ফরয ত্যাগ করে, তাহলে পথভোলাকে কে পথ দেখাবে? ( এই কাজ ত্যাগ করলে কেউ কি সৎপথে থাকতে পারে? ) অথচ কুরআন শর্তারোপ করেছে যে, যদি তোমরা সৎপথে পরিচালিত হও তবে। এই আয়াতের মর্মার্থ সম্পর্কে যখন আবু বাকর ( রাঃ ) অবগত হলেন, তখন তিনি বললেন, 'হে লোক সকল! তোমরা আয়াতকে ভুল জায়গায় ব্যবহার করছ। আমি তো রসূল ( সাঃ )-কে বলতে শুনেছি যে, " লোকেরা যখন কাউকে কোন পাপ কাজে লিপ্ত দেখে এবং পরিবর্তন করার পরিকল্পনা বা চেষ্টা না করে, সম্ভবতঃ আল্লাহ তাদেরকে অচিরেই আযাব দ্বারা গ্রেফতার করবেন। " ( আহমাদ, তিরমিযী ২১৭৮, আবু দাউদ ৪৩৩৮নং ) সুতরাং আয়াতের সঠিক ভাবার্থ এই যে, তোমাদের বুঝানো সত্ত্বেও যদি তারা পাপ থেকে বিরত না থাকে এবং সৎপথ অবলম্বন না করে, তাহলে এই অবস্থায় তোমাদের কোন ক্ষতি হবে না; বরং তোমরা সৎপথে আছ এবং পাপ করা হতে বিরত আছ। অবশ্য একটি অবস্থায় সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে বাধা দেওয়া থেকে বিরত থাকা বৈধ, যদি কেউ সে কাজে নিজের মধ্যে দুর্বলতা পায় এবং জীবননাশের আশঙ্কা থাকে, তাহলে এই অবস্থায় " তাতে যদি সক্ষম না হয়, তাহলে হৃদয় দ্বারা; আর এ হল সবচেয়ে দুর্বল ঈমানের পরিচায়ক " হাদীসের ভিত্তিতে অনুমতি আছে। উক্ত আয়াতও এই অবস্থার প্রতি ইঙ্গিত বহন করতে পারে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


হে মুমিনগণ! তোমাদের দায়িত্ব তোমাদেরই উপর। তোমরা যদি সৎপথে পরিচালিত হও তবে যে পথ ভ্রষ্ট হয়েছে সে তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না []। আল্লাহ্‌র দিকেই তোমাদের সবার প্রত্যাবর্তন; তারপর তোমারা যা করতে তিনি সে সম্বন্ধে তোমাদেরকে অবহিত করবেন। [] এ আয়াতের বাহ্যিক শব্দের দ্বারা বোঝা যায় যে, প্রতিটি মানুষের পক্ষে নিজের ও কর্ম সংশোধনের চিন্তা করাই যথেষ্ট। অন্যরা যা ইচ্ছা করুক, সেদিকে ভ্রক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই। অথচ এ বিষয়টি কুরআনের যে সব আয়াতে ‘সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ’ করাকে ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য এবং মুসলিম জাতির একটি স্বাতন্ত্র্যমূলক বৈশিষ্ট্য সাব্যস্ত করা হয়েছে, তার পরিপন্থি হয়ে যায়। এ কারণেই আয়াতটি নাযিল হলে কিছু লোকের মনে প্রশ্ন দেখা দেয়। তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালামের সামনে প্রশ্ন রাখেন এবং তিনি উত্তরে বলেন যে, আয়াতটি ‘সৎকাজে আদেশ দান’-এর পরিপন্থী নয়। তোমরা যদি সৎকাজে আদেশ দান’ পরিত্যাগ কর, তবে অপরাধীদের সাথে তোমাদেরকেও পাকড়াও করা হবে। [ ইবন কাসীর; সাদী ] আবুবকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এক ভাষণে বলেন, তোমরা আয়াতটি পাঠ করে একে অস্থানে প্রয়োগ করছ। জেনে রাখ, আমি নিজে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখে শুনেছিঃ যারা কোন পাপকাজ হতে দেখেও তা দমন করতে চেষ্টা করে না, আল্লাহ তা'আলা সত্ত্বরই হয় তো তাদেরকেও অপরাধীদের অন্তর্ভুক্ত করে আযাবে নিক্ষেপ করবেন। [ আবু দাউদঃ ৪৩৪১, তিরমিযীঃ ৩০৫৮, ইবন মাজাহঃ ৪০১৪ ] তাই মুফাসসিরগণ এ আয়াতের তাফসীরে বলেন, তোমরা স্বীয় কর্তব্য পালন করতে থাক। সৎকাজে আদেশ দান’ও এ কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত। এগুলো করার পরও যদি কেউ পথভ্রষ্ট থেকে যায়, তবে তাতে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই। [ সা‘দী ] কুরআনের ( اِذَا اهْتَدَيْتُمْ ) শব্দে চিন্তা করলে এ তাফসীরের যথার্থতা ফুটে উঠে। কেননা, এর অর্থ এই যে, যখন তোমরা সঠিক পথে চলতে থাকবে, তখন অন্যের পথ ভ্রষ্টতা তোমাদের জন্য ক্ষতিকর নয়। এখন একথা সুস্পষ্ট যে, যে ব্যক্তি সৎকাজে আদেশ দান’-এর কর্তব্যটি বর্জন করে, সে সঠিক পথে চলমান নয়। সা’য়ীদ ইবন মুসাইয়্যাব বলেন, এর অর্থ, যদি সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজে নিষেধ কর, তাহলে কেউ পথভ্রষ্ট হলে, তাতে তোমার ক্ষতি নেই, যখন তুমি হিদায়াতপ্রাপ্ত হলে। [ ইবন কাসীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


( আরবী ) আল্লাহ পাক স্বীয় বান্দাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তারা যেন নিজেদেরকে সংশোধন করে নেয় এবং সকার্য সম্পাদনে যথাসাধ্য চেষ্টা করে। আর তিনি তাদেরকে এ সংবাদও দিচ্ছেন যে, যারা নিজেদেরকে সংশোধন করে নেয়, দুনিয়ার নিকটবর্তী ও দূরবর্তী সবাই ঝগড়া ফাসাদে লিপ্ত হলেও তাদের কোনই ক্ষতি হবে না। এ আয়াতের তাফসীরে হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ যখন বান্দা হারাম ও হালালের ব্যাপারে আমার নির্দেশ মেনে চলবে তখন যে যতই পথভ্রষ্ট হয়ে যাক না কেন তার কোনই ক্ষতি হবে না। তোমাদের সকলকেই আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে, তখন তিনি তোমাদেরকে তোমাদের কৃত ভাল ও মন্দ সম্পর্কে অবহিত করবেন। যার কাজ ভাল হবে তাকে ভাল বিনিময় প্রদান করা হবে এবং যার কাজ মন্দ হবে তাকে মন্দ বিনিময় দেয়া হবে। এ আয়াত দ্বারা এ দলীল গ্রহণ করা যেতে পারে না যে, ভাল কাজের আদেশ প্রদান ও মন্দ কাজ হতে নিষেধ করণ জরুরী নয়। হযরত আবু বকর সিদ্দীক ( রাঃ ) একদা দাঁড়িয়ে আল্লাহর হামদ ও সানা বর্ণনা করার পর বলেনঃ হে লোক সকল! তোমরা এ আয়াতটি পাঠ কর বটে, কিন্তু ওটাকে ওর নিজ স্থানে রাখছে না। আমি আল্লাহর রাসূল ( সঃ )-কে বলতে শুনেছি-'মানুষ যখন কোন পাপের কাজ দেখে, অতঃপর ওর প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করতঃ তার মধ্যে ক্রোধের সঞ্চার না হয়, তখন হতে বিস্ময়ের কিছুই নেই যে মহা প্রতাপান্বিত আল্লাহ সাধারণভাবে শাস্তি আনয়ন করবেন ( সবাই সেই শাস্তির শিকার হবে।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ), আসহাবুস সুনান এবং ইবনে মাজা ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন) ইমাম তিরমিযী ( রঃ ) আবূ উমাইয়া শাবানী ( রঃ ) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ আমি আবু সা'লাবা খুশানী ( রাঃ )-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি এ আয়াতের কি ভাবার্থ গ্রহণ করে থাকেন? তিনি উত্তরে বললেনঃ কোন আয়াত? আমি বললাম, ( আরবী ) এ আয়াতটি। তিনি বললেনঃ আল্লাহর শপথ! এ সম্পর্কে অবহিত ব্যক্তিকেই আপনি জিজ্ঞেস করেছেন। আমি আল্লাহর রাসূল ( সঃ )-কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি উত্তরে বলেছিলেনঃ “ তোমরা নিজ নিজ পাগড়ি সামলিয়ে নেয়ার পর নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থেকো না । তোমরা ভাল কাজের আদেশ দান ও মন্দ কাজ হতে নিষেধ করণের কাজ অব্যাহত রাখো। তোমাদেরকে এ কাজ ঐ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে যে পর্যন্ত মানুষ সংকীর্ণমনা ও নিরুৎসাহী থাকে, যাকাত প্রদান না করে, কু-প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, দুনিয়াকে আখিরাতের উপর প্রাধান্য দেয়, প্রত্যেকে নিজ নিজ মতের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে এবং কোন উপদেষ্টার উপদেশবাণী শ্রবণ না করে। যখন অবস্থা এরূপ হবে, এ সময় তাদের থেকে পৃথক থাকবে। তাদেরকে তাদের নিজেদের অবস্থার উপর ছেড়ে দেবে। তোমাদের পরেই এমন এক যুগ আসবে যে, তাতে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকা ব্যক্তি হাতে আগুন ধরে রাখার মত বিপদে পতিত হবে। ঐ সময় যে ব্যক্তি শুধু নিজেই ভাল কাজ করবে সে পঞ্চাশজন লোকের নেক আমলের সমান পুণ্য লাভ করবে। জিজ্ঞেস করা। হলোঃ আমাদের পঞ্চাশজন লোকের, না সেই দলের পঞ্চাশজন লোকের? তিনি উত্তরে বললেনঃ “ না, না বরং তোমাদের মধ্যকার পঞ্চাশজন লোকের পুণ্যের সমান ( সে পুণ্য লাভ করবে ) ইমাম রাযী ( রঃ ) আবুল আলিয়া ( রঃ ) হযরত ইবনে মাসউদ ( রাঃ )-এর মাধ্যমে ( আরবী ) -এ আয়াতের ব্যাখ্যা সম্পর্কে বলেন যে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ( রাঃ )-এর নিকট লোকেরা বসেছিল, এমন সময় কোন দুটি লোকের মধ্যে ঝগড়া বাধে। তখন উপস্থিত জনতার মধ্য হতে একটি লোক বলেঃ আমি উঠে গিয়ে এদের দুজনের মধ্যে ( একটা সমঝোতা করে দেয়ার মানসে ) ভাল কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করার ব্রত পালন করবো। তার এ কথা শুনে তার পার্শ্ববর্তী একটি লোক বললোঃ তুমি স্ব-স্থানে বসে থাক। কেননা, আল্লাহ তা'আলা ( আরবী ) বলেছেন। তার একথা শুনে হযরত ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) বলেনঃ “ তাকে বাধা দিয়ো না । এ আয়াতের উপর আমল করার স্থান এটা নয়। কুরআন যখন অবতীর্ণ হওয়ার প্রয়োজন ছিল তখন অবতীর্ণ হয়েছে। কুরআনের কতগুলো আয়াত এমন রয়েছে, যেগুলোর তাবীল আল্লাহর রাসূল ( সঃ )-এর যুগে হয়ে গেছে। আর কতগুলো আয়াতের তাবীল কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার দিন কার্যকরী হবে। যতদিন পর্যন্ত তোমাদের মন ও অনুভূতি এক থাকবে, তোমাদের মধ্যে ভাঙ্গন না ধরবে, তোমরা একে অপরের ক্ষতি সাধন করা থেকে বিরত থাকবে, ততদিন পর্যন্ত ভাল কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করতে হবে। কিন্তু যখন তোমাদের মন বিগড়ে যাবে, তোমাদের একতায় ভাঙ্গন ধরবে এবং তোমরা একে অপরের শত্রুতে পরিণত হয়ে যাবে, তখন তোমরা জনগণ থেকে সম্পূর্ণরূপে পৃথক থাকবে।” এ আয়াতের এ তাফসীরই বর্ণনা করা হয়েছে। ইবনে জারীর ( রঃ ) এটা বর্ণনা করেছেন। ইবনে জারীর ( রঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত হাসান ( রঃ ) এ আয়াতটি পাঠ করার পর বলেনঃ ‘আল্লাহর জন্যে সমুদয় প্রশংসা যে, অতীত যুগেও মুনাফিক ছিল এবং বর্তমান যুগেও মুনাফিক রয়েছে, কিন্তু মুসলমানরা মুনাফিকদের কাজকে সদা খারাপ মনে করে থাকে।' হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়াব ( রঃ ) বলেনঃ “ যখন তুমি ভাল কাজের আদেশ করবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে তখন তুমি হিদায়াতের পথে রয়েছে বলে পথভ্রষ্ট লোকদের পথভ্রষ্টতা তোমার কোনই ক্ষতি করতে পারবে না ।

সূরা মায়িদা আয়াত 105 সূরা

ياأيها الذين آمنوا عليكم أنفسكم لا يضركم من ضل إذا اهتديتم إلى الله مرجعكم جميعا فينبئكم بما كنتم تعملون

سورة: المائدة - آية: ( 105 )  - جزء: ( 7 )  -  صفحة: ( 125 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না
  2. আর কাফেরেরা যখন প্রতারণা করত আপনাকে বন্দী অথবা হত্যা করার উদ্দেশ্যে কিংবা আপনাকে বের করে
  3. সে বললঃ আমি দেখলাম যা অন্যেরা দেখেনি। অতঃপর আমি সেই প্রেরিত ব্যক্তির পদচিহেߦ#2480; নীচ থেকে
  4. আমার প্রতি তোমার যে অনুগ্রহের কথা বলছ, তা এই যে, তুমি বনী-ইসলাঈলকে গোলাম বানিয়ে রেখেছ।
  5. প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে গাফেল রাখে,
  6. অবশ্যই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হয়।
  7. তোমরা কি কামতৃপ্তির জন্য নারীদেরকে ছেড়ে পুরুষে উপগত হবে? তোমরা তো এক বর্বর সম্প্রদায়।
  8. আপনি বলুনঃ কে তোমাদেরকে স্থল ও জলের অন্ধকার থেকে উদ্ধার করেন, যখন তোমরা তাঁকে বিনীতভাবে
  9. সেদিন আকাশ হবে গলিত তামার মত।
  10. অনুসৃতরা যখন অনুসরণকারীদের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে যাবে এবং যখন আযাব প্রত্যক্ষ করবে আর বিচ্ছিন্ন হয়ে

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মায়িদা ডাউনলোড করুন:

সূরা Maidah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Maidah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত মায়িদা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত মায়িদা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত মায়িদা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত মায়িদা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত মায়িদা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত মায়িদা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত মায়িদা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত মায়িদা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত মায়িদা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত মায়িদা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত মায়িদা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত মায়িদা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত মায়িদা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত মায়িদা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত মায়িদা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত মায়িদা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত মায়িদা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত মায়িদা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত মায়িদা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত মায়িদা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত মায়িদা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত মায়িদা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত মায়িদা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত মায়িদা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত মায়িদা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers