কোরান সূরা আনআম আয়াত 105 তাফসীর
﴿وَكَذَٰلِكَ نُصَرِّفُ الْآيَاتِ وَلِيَقُولُوا دَرَسْتَ وَلِنُبَيِّنَهُ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ﴾
[ الأنعام: 105]
এমনি ভাবে আমি নিদর্শনাবলী ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বর্ণনা করি যাতে তারা না বলে যে, আপনি তো পড়ে নিয়েছেন এবং যাতে আমি একে সুধীবৃন্দের জন্যে খুব পরিব্যক্ত করে দেই। [সূরা আনআম: 105]
Surah Al-Anam in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Anam ayat 105
আর এইভাবে আমরা নির্দেশাবলী নানাভাবে বর্ণনা করি, আর যেন তারা বলতে পারে,''তুমি পাঠ করেছ’’, আর যেন আমরা এটি সুস্পষ্ট করতে পারি তেমন লোকদের কাছে যারা জানে।
Tafsir Mokhtasar Bangla
১০৫. আল্লাহর কুদরতের উপর বিভিন্ন প্রকারের দলীল ও প্রমাণের মতোই আমি ওয়াদা, হুমকি এবং উপদেশের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধরনের আয়াত উপস্থাপন করেছি। অচিরেই মুশরিকরা বলবে: এটি মূলতঃ ওহী নয়। বরং আপনি পূর্বের আহলে কিতাব থেকে এগুলো শিখেছেন। মুহাম্মাদ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর উম্মতের মু’মিনদের জন্য এ আয়াতগুলোকে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছি যেন আমি মানুষের সামনে সত্যকে বিশদভাবে বর্ণনা করতে পারি। কারণ, তারাই তো সত্য গ্রহণ ও তার অনুসরণ করবে।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
আর এভাবে আমি নিদর্শনাবলী বিভিন্ন প্রকারে বিবৃত করি। যাতে অবিশ্বাসীরা বলে, ‘তুমি এ ( পূর্ববর্তী কিতাব ) অধ্যয়ন করে বলছ’[১] এবং যাতে আমি তা জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য সুস্পষ্টভাবে বিবৃত করি। [১] অর্থাৎ, আমি তাওহীদ এবং তার দলীলাদিকে এমনভাবে পরিষ্কার ভাষায় বিভিন্ন আকারে বর্ণনা করি যে, তা দেখে মুশরিকরা বলে, মুহাম্মাদ ( সাঃ ) কোথাও থেকে পড়ে এবং শিখে এসেছে। যেমন, অন্যত্র বলেন, {وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا إِنْ هَذَا إِلَّا إِفْكٌ افْتَرَاهُ وَأَعَانَهُ عَلَيْهِ قَوْمٌ آخَرُونَ فَقَدْ جَاءُوا ظُلْمًا وَزُورًا * وَقَالُوا أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ اكْتَتَبَهَا} " কাফেররা বলে, এটা মিথ্যা বৈ আর কিছুই নয়, যা সে উদ্ভাবন করেছে এবং অন্য লোকেরা তাকে সাহায্য করেছে। অবশ্যই তারা অবিচার ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। তারা বলে, এগুলো তো পূর্বকালের রূপকথা, যা সে লিখে রেখেছে। " ( সূরা ফুরকান ২৫:৪-৫ ) অথচ ব্যাপার এটা নয়, যা তারা মনে করে বা দাবী করে, বরং এই বর্ণনার উদ্দেশ্য হল বিবেকবান লোকদের জন্য পরিষ্কার আকারে ব্যাখ্যা করা, যাতে তাদের উপর হুজ্জত পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
আর এভাবেই আমারা নানাভাবে আয়াতসমূহ বিবৃত করি [ ১ ] এবং যাতে তারা বলে , ‘ আপনি পড়ে নিয়েছেন [ ২ ]’ , আর যাতে আমারা এটাকে [ ৩ ] সুস্পষ্টভাবে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য বর্ণনা করি [ ৪ ]। [ ১ ] অর্থাৎ এভাবেই আমরা আমাদের আয়াতসমূহকে বিশদভাবে বর্ণনা করি, যাতে তারা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। [ জালালাইন ] [ ২ ] এর মর্ম এই যে, হেদায়াতের সব সাজ-সরঞ্জাম, মু'জিযা, অনুপম প্রমাণাদি- যেমন, কুরআন- একজন নিরক্ষরের মুখ দিয়ে এমন জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সত্য প্রকাশ করা, যা ব্যক্ত করতে জগতের সব দার্শনিক পর্যন্ত অক্ষম এবং এমন অলঙ্কারপূর্ণ কালাম উচ্চারিত হওয়া, যার সমতুল্য কালাম রচনা করার জন্য কেয়ামত পর্যন্ত আগমনকারী সমস্ত জ্বিন ও মানুষকে চ্যালেঞ্জ করার পরও সারা বিশ্ব অক্ষমতা প্রকাশ করেছে- সত্য দর্শনের এসব সরঞ্জাম দেখে যে কোন হটকারী অবিশ্বাসীরও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য নিদ্বিধায় মেনে নেয়া উচিত ছিল, কিন্তু যাদের অন্তরে বক্রতা বিদ্যমান ছিল, তারা বলতে থাকে, এসব জ্ঞান-বিজ্ঞান তুমি কারো কাছ থেকে অধ্যয়ন করে নিয়েছ। এটা ছিল কাফেরদের নিত্য-মন্তব্যের একটি। তারা এ ধরনের মন্তব্য করেই যাচ্ছিল। অন্য আয়াতেও এটা বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ বলেন, “ আমরা অবশ্যই জানি যে, তারা বলে, তাকে তো শুধু একজন মানুষ শিক্ষা দেয় । তারা যার প্রতি এটাকে সম্পর্কযুক্ত করার জন্য ঝুঁকছে তার ভাষা তো আরবী নয়; কিন্তু কুরআনের ভাষা স্পষ্ট আরবী ভাষা " [ সূরা আন-নাহল: ১০৩ ] আল্লাহ আরও বলেন, “ অতঃপর সে বলল, “এটা তো লোক পরম্পরায় প্রাপ্ত জাদু ভিন্ন আর কিছু নয়, "এ তো মানুষেরই কথা । অচিরেই আমি তাকে দগ্ধ করব ‘সাকার’ এ” [ আল-মুদ্দাসসির ২৪-২৬ ] তিনি আরও বলেন, কাফেররা বলে, “ এটা মিথ্যা ছাড়া কিছুই নয়, সে এটা রটনা করেছে এবং ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক তাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করেছে । সুতরাং অবশ্যই কাফেররা যুলুম ও মিথ্যা নিয়ে এসেছে " তারা আরও বলে, ‘এগুলো তো সে কালের উপকথা, যা সে লিখিয়ে নিয়েছে; তারপর এগুলো সকাল-সন্ধ্যা তার কাছে পাঠ করা হয়। “ বলুন, ‘এটা তিনিই নাযিল করেছেন যিনি আসমানসমূহ ও যমীনের সমুদয় রহস্য জানেন; নিশ্চয়ই তিনি পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু । [ আল-ফুরকান: ৪-৬ ] [ আদওয়াউল বায়ান ] [ ৩ ] এখানে এটা বলে কুরআন উদ্দেশ্য হতে পারে। [ ফাতহুল কাদীর ] অনুরূপভাবে পূর্বোক্ত আয়াতসমূহে যে হক প্রতিষ্ঠা করার কথা বলা হয়েছে তাও হতে পারে। উদ্দেশ্য এই যে, আমাদের নানাভাবে বর্ণনা পদ্ধতি দ্বারা যারা জানে তারা হককে জানতে পারবে, সেটা গ্রহণ করতে পারবে, সে হকের অনুসরণ করতে পারবে। আর তারা হচ্ছে, মুমিনরা যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার উপর যা নাযিল হয়েছে সে সবের উপর ঈমান আনয়ন করেছিল। [ মুয়াসসার ] [ ৪ ] অর্থাৎ সঠিক বুদ্ধিমান ও সুস্থ জ্ঞানীদের জন্য এ বর্ণনা উপকারী প্রমাণিত হয়েছে। মোটকথা এই যে, হেদায়াতের সরঞ্জাম সবার সামনেই রাখা হয়েছে। কিন্তু কুটিল ব্যক্তিরা এর দ্বারা উপকৃত হয়নি। পক্ষান্তরে সুস্থ জ্ঞানী মনীষীরা এর মাধ্যমে সত্যের পথ প্রদর্শক হয়ে গেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলা হয়েছে, কে মানে আর কে মানে না- তা আপনার দেখার বিষয় নয়। আপনি স্বয়ং ঐ পথ অনুসরণ করুন, যা অনুসরণ করার জন্য আপনার রব-এর পক্ষ থেকে আপনার প্রতি ওহী আগমন করেছে। এর প্রধান বিষয় হচ্ছে এ বিশ্বাস যে, আল্লাহ ছাড়া উপাসনার যোগ্য আর কেউ নেই। এ ওহী প্রচারের নির্দেশও রয়েছে। এর উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে মুশরিকদের জন্য পরিতাপ করবেন না যে, তারা কেন গ্রহণ করল না। এর কারণ এটাই ব্যক্ত করা হয়েছে যে, আল্লাহ্ যদি সৃষ্টিগতভাবে ইচ্ছা করতেন যে, সবাই মুসলিম হয়ে যাক, তবে কেউ শির্ক করতে পারতো না। কিন্তু তাদের দুষ্কৃতির কারণে তিনি ইচ্ছা করেননি, বরং তাদেরকে শাস্তি দিতেই চেয়েছেন। তাই শাস্তির সরঞ্জামও সরবরাহ করে দিয়েছেন। এমতাবস্থায় আপনি তাদেরকে কিরূপে মুসলিম করতে পারেন? আপনি এ ব্যাপারে মাথা ঘামাবেন কেন, আমি আপনাকে তাদের সংরক্ষক নিযুক্ত করিনি এবং আপনি এসব কাজকর্মের কারণে তাদেরকে শাস্তি দেয়ার জন্য আমার পক্ষ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্তও নন। কাজেই তাদের কাজকর্মের ব্যাপারে আপনার উদ্বিগ্ন না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। [ দেখুন, আল-মানার ]
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
১০৪-১০৫ নং আয়াতের তাফসীর: ( আরবী ) শব্দের অর্থ হচ্ছে দলীল প্রমাণাদি এবং নিদর্শনাবলী যা কুরআন মাজীদের মধ্যে রয়েছে এবং যা রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) পেশ করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি এগুলো অনুযায়ী কাজ করলো সে নিজেরই উপকার সাধন করলো। যেমন আল্লাহ পাক বলেনঃ “ যে ব্যক্তি হিদায়াত গ্রহণ করবে সে তার নিজের উপকারের জন্যে করবে, আর যে পথভ্রষ্ট হবে তার পথভ্রষ্টতার শাস্তি তার নিজের উপরই বর্তিত হবে ।” এজন্যেই এখানে মহান আল্লাহ বলেন, যে অন্ধ থাকবে সে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেমন তিনি অন্য জায়গায় বলেনঃ “ তাদের চক্ষু অন্ধ হয় না, বরং তাদের অন্তরগুলো অন্ধ হয়ে থাকে ।” আল্লাহ পাক স্বীয় রাসূল ( সঃ )-কে বলেনঃ হে রাসূল ( সঃ )! তুমি তাদেরকে বলে দাও-আমি তো তোমাদের প্রহরী নই। আমি শুধুমাত্র একজন প্রচারক। হিদায়াতের মালিক তো আল্লাহ। তিনি যাকে চান হিদায়াত করেন এবং যাকে ইচ্ছা করেন পথভ্রষ্ট করেন। ইরশাদ হচ্ছে- এরূপেই আমি নিদর্শনসমূহ বিভিন্ন ধারায় বর্ণনা করে থাকি। যেমন তিনি এই সূরায় একত্ববাদের বর্ণনা করেছেন এবং এর উপর ভিত্তি করেও যে, মুশরিক ও কাফিররা বলে-হে মুহাম্মাদ ( সঃ )! আপনি এইসব কথা পূর্ববর্তী কিতাবগুলো হতে নকল করেছেন এবং ওগুলো শিখে নিয়েই আমাদেরকে শুনাচ্ছেন। ( এটা ইবনে আব্বাস (রাঃ ), মুজাহিদ ( রঃ ), সাঈদ ইবনে জুবাইর ( রঃ ), যহহাক ( রঃ ) এবং অন্যান্যদের উক্তি)হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, ( আরবী ) শব্দের অর্থ ( আরবী ) অর্থাৎ ‘আপনি পাঠ করেছেন। তাদের এ কথাগুলো তর্ক বিতর্ক ও ঝগড়ার স্থলে ছিল। যেমন আল্লাহ তা'আলা ঐ কাফিরদের মিথ্যা অপবাদ ও বিরোধিতার সংবাদ দিয়ে বলেনঃ “ কাফিররা বলে-এটা তো বানানো মিথ্যা কথা এবং অন্যান্যরাও এই কুরআন তৈরী করতে সাহায্য করেছে । এটাই বড়ই অত্যাচার ও মিথ্যা প্রতিপন্ন। করার কথা। তারা বলে- এটা তো পূর্ববর্তী লোকদের কথিত ও লিখিত কথা যা তিনিও ( নবী সঃ ) লিখে নিয়েছেন।” কাফিরদের মিথ্যা ধারণা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “ সে চিন্তা করলো, তৎপর একটা মন্তব্য স্থির করলো? সুতরাং সে ধ্বংস হাক, কেমন মন্তব্য সে স্থির করল? অতঃপর সে দৃষ্টিপাত করলো । তৎপর মুখ বিকৃত করলো, আরও অধিক বিকৃত করলো। তৎপর সে মুখ ফিরিয়ে নিলো এবং গর্ব করলো। অনন্তর বললো- এটা তো নকল করা যাদু। এটা তো মানুষের উক্তি।”আল্লাহ পাক বলেনঃ আমি একে জ্ঞানবান লোকদের জন্যে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে থাকি যারা সত্যকে জেনে নেয়ার পর ওর অনুসরণ করে থাকে এবং মিথ্যা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকে। কাফিরদের পথভ্রষ্টতা এবং মুমিনদের সত্যকে স্বীকার করে নেয়ার মধ্যে আল্লাহ তাআলার কৌশল ও যৌক্তিকতা রয়েছে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “ তিনি এর দ্বারা অনেককে বিপথগামী করে থাকেন এবং অনেককে সুপথগামী করে থাকেন ।” অন্য জায়গায় মহান আল্লাহ বলেনঃ “ যাদের অন্তরে রোগ আছে এবং যাদের অন্তর পাথরের মত) শক্ত, শয়তান তাদের অন্তরে ফিন্যা নিক্ষেপ করে থাকে এবং এই জিনিসগুলো তাদের জন্যে আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা বনে যায়, আর আল্লাহ মুমিনদেরকে সরল সোজা পথ প্রদর্শন করে থাকেন ।" আল্লাহ তা'আলা আর এক জায়গায় বলেনঃ “ আমি জাহান্নামে ফেরেশতাদেরকে নিযুক্ত করে রেখেছি এবং তাদের নির্ধারিত সংখ্যা ( ১৯ ) কাফিরদের জন্যে একটা ফিত্রার কারণ, কিন্তু এর মাধ্যমেই আহলে কিতাব ও মুমিনদের ঈমান আরও বৃদ্ধি পেয়ে থাকে, আহলে কিতাব ও মুমিনরা এতে সন্দেহ পোষণ করে না ( কেননা, আহলে কিতাব নিজেদের কিতাবেও এই নির্ধারিত সংখ্যার উল্লেখ পেয়ে থাকে, কিন্তু কাফির ও রোগাক্রান্ত অন্তর বিশিষ্ট লোকেরা বলে থাকে এসব কথা বলার আল্লাহর কি প্রয়োজন ছিল? এভাবেই বহু লোক পথভ্রষ্ট হয়ে যায় এবং বহু লোক সুপথ প্রাপ্ত হয়, আল্লাহ ছাড়া তার সেনাবাহিনী সম্পর্কে কার জ্ঞান রয়েছে?" আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “আমি এমন বস্তু অর্থাৎ কুরআন নাযিল করেছি যে, ওটা ঈমানদারদের জন্যে শেফা ও রহমত এবং ওর দ্বারা যালিমদের শুধু অনিষ্টই বর্ধিত হয় ।” তিনি আর এক জায়গায় বলেনঃ “ (হে মুহাম্মাদ সঃ! ) তুমি বলে দাও-এই কুরআন মুমিনদের জন্যে হিদায়াত ও শেফা আর কাফিরদের কানে কর্ক বা ছিপি লাগা আছে এবং তারা অন্ধ ।” কুরআন মুমিনদের জন্যে যে হিদায়াত স্বরূপ এবং হিদায়াত ও পথভ্রষ্টতা যে তারই ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল এ সম্পর্কে বহু আয়াত রয়েছে। এ জন্যেই এখানে তিনি বলেনঃ “ এরূপেই আমি নিদর্শনসমূহ বিভিন্ন ধারায় প্রকাশ করে থাকি, কিন্তু কাফিররা একথাই বলছে যে, তুমি কারও নিকট থেকে লিখিয়ে নিয়েছে ।”হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) ( আরবী ) শব্দের অর্থ ( আরবী ) এবং ( আরবী ) বর্ণনা করেছেন। ( মুজাহিদ (রহঃ ), সুদ্দী ( রহঃ ) এবং যহহকি ( রহঃ ) হতেও এটা বর্ণিত আছে) হাসান ( রঃ ) এটার অর্থ ( আরবী ) বলেছেন। ইবনে যুবাইর ( রঃ ) বলেনঃ “ ছেলেরা এখানে ( আরবী ) পড়ে থাকে, অথচ ( আরবী ) রয়েছে । হযরত ইবনে মাসউদ ( রাঃ )-এর কিরআতে দারাসতা রয়েছে এবং এর অর্থ ( আরবী )-ই বটে। এর ভাবার্থ হচ্ছে- “ হে মুহাম্মাদ ( সঃ )! যেসব কথা আপনি আমাদেরকে শুনাচ্ছেন সেগুলো আমরা পূর্ববর্তীদের মাধ্যমে অবগত রয়েছি ।” হযরত ইবনে মাসউদের কিরআতে ( আরবী ) রয়েছে। অর্থাৎ মুহাম্মাদ ( সঃ ) ওটা শিখে রেখেছেন। এই মতভেদ বিস্ময়করই বটে। হযরত উবাই ইবনে কাব ( রাঃ ) বলেনঃ “ রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) আমাকে ‘ওয়া লিয়াকুলু দারাস্তা’এইরূপ শুনিয়েছেন ।
সূরা আনআম আয়াত 105 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকাজ করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে সৎকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করব।
- নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে
- যারা স্বচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি
- আর কেউ ঈমান আনল না মূসার প্রতি তাঁর কওমের কতিপয় বালক ছাড়া-ফেরাউন ও তার সর্দারদের
- তারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক মিথ্যাবাদী, গোনাহগারের উপর।
- এমনিভাবে, তাদের পূর্ববর্তীদের কাছে যখনই কোন রসূল আগমন করেছে, তারা বলছেঃ যাদুকর, না হয় উম্মাদ।
- তিনি বললেন, পরওয়ারদেগার! কেমন করে আমার সন্তান হবে; আমাকে তো কোন মানুষ স্পর্শ করেনি। বললেন
- নিশ্চয় তারা কাফের, যারা বলে, মসীহ ইবনে মরিয়মই আল্লাহ। আপনি জিজ্ঞেস করুন, যদি তাই হয়,
- এটা বিচার দিবস, আমি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে একত্রিত করেছি।
- ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী অথবা মুশরিকা নারীকেই বিয়ে করে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী অথবা
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আনআম ডাউনলোড করুন:
সূরা Anam mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Anam শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers