কোরান সূরা ইউসুফ আয়াত 109 তাফসীর
﴿وَمَا أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ إِلَّا رِجَالًا نُّوحِي إِلَيْهِم مِّنْ أَهْلِ الْقُرَىٰ ۗ أَفَلَمْ يَسِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَيَنظُرُوا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ ۗ وَلَدَارُ الْآخِرَةِ خَيْرٌ لِّلَّذِينَ اتَّقَوْا ۗ أَفَلَا تَعْقِلُونَ﴾
[ يوسف: 109]
আপনার পূর্বে আমি যতজনকে রসূল করে পাঠিয়েছি, তারা সবাই পুরুষই ছিল জনপদবাসীদের মধ্য থেকে। আমি তাঁদের কাছে ওহী প্রেরণ করতাম। তারা কি দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করে না, যাতে দেখে নিত কিরূপ পরিণতি হয়েছে তাদের যারা পূর্বে ছিল ? সংযমকারীদের জন্যে পরকালের আবাসই উত্তম। তারা কি এখনও বোঝে না? [সূরা ইউসুফ: 109]
Surah Yusuf in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Yusuf ayat 109
আর তোমার পূর্বে জনপদবাসীদের মধ্যে থেকে মানুষ ছাড়া অন্য কাউকে আমরা পাঠাই নি যাঁদের কাছে আমরা প্রত্যাদেশ দিয়েছিলাম। কাজেই তারা কি পৃথিবীতে পর্যটন করে নি এবং দেখে নি কেমন হয়েছিল তাদের পরিণাম যারা ছিল তাদের অগ্রগামী? আর পরকালের আবাসস্থল অবশ্যই অধিকতর ভাল তাদের জন্য যারা ধর্মভীরুতা অবলন্বন করে। তোমরা কি তবে বোঝ না?
Tafsir Mokhtasar Bangla
১০৯. হে রাসূল! আমি আপনাকে যেমনভাবে ওহী দিয়ে পাঠিয়েছি তেমনভাবে আপনার পূর্বেও পুরুষ মানুষদেরকেই পাঠিয়েছিলাম। কোন ফিরিশতাকে নয়। যাদের নিকট আমি আপনার মতোই ওহী পাঠিয়েছি। যারা শহরবাসী ছিলো; গ্রামবাসী নয়। তাঁদের জাতিরা তাঁদের প্রতি মিথ্যারোপ করলে আমি তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি। আপনার প্রতি এ মিথ্যারোপকারীরা কি জমিনে ভ্রমণ কওে দেখে না যে, আপনার পূর্বের মিথ্যারোপকারীদের পরিণতি কেমন ছিলো? ফলে তারা তাদেরকে দেখে শিক্ষা গ্রহণ করতো?! যারা দুনিয়াতে আল্লাহকে ভয় করে পরকালের নিয়ামত তাদের জন্য অনেক উত্তম। তোমরা কি জানো না যে, এটি খুবই উত্তম? তাই তোমরা আল্লাহর আদেশ -যার সর্বোচ্চটি হলো ঈমান আনার নির্দেশ- মেনে এবং তাঁর নিষিদ্ধ কাজ -যার বড়টি হলো আল্লাহর সাথে শিরক করা- পরিত্যাগ করে তাঁকে ভয় করবে।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
তোমার পূর্বে জনপদবাসীদের মধ্য হতে পুরুষদেরকেই আমি ( রসূলরূপে ) প্রেরণ করেছি; যাদের নিকট অহী পাঠাতাম।[১] তাদের পূর্ববর্তীদের কি পরিণাম হয়েছিল, তা দেখার জন্য তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করেনি? যারা সংযমশীল তাদের জন্য পরলোকের গৃহই উত্তম; তোমরা কি বুঝ না? [১] এই আয়াত এ কথার প্রমাণ যে, সকল নবী পুরুষ ছিলেন এবং মহিলাদের মধ্য হতে কেউ নবুঅত লাভ করেনি। অনুরূপ তাঁরা সকলেই সমাজবদ্ধ জনপদের অধিবাসী ছিলেন, যাতে ছোট শহর, বড় শহর এবং গ্রামাঞ্চলও শামিল। তাঁদের মধ্যে কেউই মরুবাসী ( বেদুঈন ) ছিলেন না। কেননা মরুবাসীরা নগরবাসীদের তুলনায় কঠোর মেজাজের এবং অসভ্য চরিত্রের হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে শহরবাসীরা তাদের তুলনায় কোমল, গম্ভীর, সভ্য ও ভদ্র হয়ে থাকে। আর এ ধরনের বৈশিষ্ট্য নবুঅতের জন্য আবশ্যক।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
আর আমরা আপনার আগেও জনপদবাসীদের মধ্য থেকে [ ১ ] পুরুষদেরকেই পাঠিয়েছিলাম [ ২ ], যাদের কাছে ওহী পাঠাতাম। তারা কি যমীনে ভ্রমণ করেনি? ফলে দেখতে পেত তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কী হয়েছিল? আর অবশ্যই যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে তাদের জন্য আখেরাতের আবাসই উত্তম [ ৩ ]; তবুও কি তোমরা বুঝ না? [ ১ ] এ আয়াতেই ( اَهْلِ الْقُرٰى ) শব্দ দ্বারা জানা যায় যে, আল্লাহ্ তা'আলা সাধারণতঃ শহর ও নগরবাসীদের মধ্য থেকে পুরুষদেরকেই রাসূল প্রেরণ করেছেন; কোন গ্রাম কিংবা বনাঞ্চলের অধিবাসীদের মধ্য থেকে রাসূল প্রেরিত হননি। কারণ, সাধারণতঃ গ্রাম বা বনাঞ্চলের অধিবাসীরা স্বভাব-প্রকৃতি ও জ্ঞান-বুদ্ধিতে নগরবাসীদের তুলনায় পশ্চাতপদ হয়ে থাকেন। [ ইবন কাসীর ] ইয়াকূব ‘আলাইহিস্ সালামও শহরবাসী ছিলেন, কিন্তু কোন কারণে তারা শহর ছেড়ে গ্রামে চলে গিয়েছিলেন। তাই কুরআনের সূরা ইউসুফেরই ১০০ নং আয়াতে তাদেরকে গ্রাম থেকে নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। কোন কোন মুফাসসির বলেন, এ আয়াতে কাফেরদের একটি প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে, যেখানে তারা ফিরিশতার উপর এ কুরআন নাযিল হলো না কেন তা জিজ্ঞেস করেছিল। উত্তর দেয়া হচ্ছে যে, আমি তো কেবল নগরবাসী পুরুষদেরকেই রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছি। [ কুরতুবী ] [ ২ ] এ আয়াতে নবীগণের সম্পর্কে ( رِجَالًا ) শব্দের ব্যবহার থেকে বোঝা যায় যে, নবী সবসময় পুরুষই হন। নারীদের মধ্যে কেউ নবী বা রাসূল হতে পারে না। মূলত: এটাই বিশুদ্ধ মত যে, আল্লাহ্ তা'আলা কোন নারীকে নবী কিংবা রাসূল হিসেবে পাঠাননি। কোন কোন আলেম কয়েকজন মহিলা সম্পর্কে নবী হওয়ার দাবী করেছেন; উদাহরণতঃ ইবরাহীম ‘আলাইহিস্ সালাম-এর বিবি সারা, মূসা ‘আলাইহিস্ সালাম-এর জননী এবং ঈসা ‘আলাইহিস্ সালাম-এর জননী মরিয়ম। এ তিন জন মহিলা সম্পর্কে কুরআনুল কারীমে এমন ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছে, যা দ্বারা বোঝা যায় যে, আল্লাহ্ তা'আলার নির্দেশে ফিরিশতারা তাদের সাথে বাক্যালাপ করেছে, সুসংবাদ দিয়েছে কিংবা ওহীর মাধ্যমে স্বয়ং তারা কোন বিষয় জানতে পেরেছেন। কিন্তু ব্যাপকসংখ্যক আলেমের মতে এসব আয়াত দ্বারা উপরোক্ত তিন জন মহিলার মাহাত্ম্য এবং আল্লাহ্র কাছে তাদের উচ্চ মর্যাদাশালিনী হওয়া বোঝা যায় মাত্র। এই ভাষা নবুওয়াত ও রেসালাত প্রমাণের জন্য যথেষ্ট নয়। [ ইবন কাসীর ] [ ৩ ] বলা হয়েছে যে, দুনিয়ার সুখ-দুঃখ সর্বাবস্থায়ই ক্ষণস্থায়ী। আসল চিন্তা আখেরাতের হওয়া উচিত। সেখানকার অবস্থান চিরস্থায়ী এবং সুখ-দুঃখও চিরস্থায়ী। আরো বলা হয়েছে যে, আখেরাতের সুখ-শান্তি তাকওয়ার উপর নির্ভরশীল। তাকওয়ার অর্থ আল্লাহ্র নিষেধকৃত যাবতীয় বিষয় থেকে নিজেকে হেফাযত করে শরী’আতের যাবতীয় বিধি-বিধান পালন করা।
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
আল্লাহ তাআ’লা খবর দিচ্ছেন যে, তিনি রাসূল ও নবী হিসেবে দুনিয়ায় পুরুষ লোককেই পাঠিয়েছেন। স্ত্রীলোকদেরকে নয়। জমহুর আলেমদের উক্তি এটাই যে, নুবওয়াত কখনো নারীদেরকে দান করা হয় নাই। এই আয়াতের ধরণেও এটাই প্রমাণিত হয়। কিন্তু কোন কোন আলেমের উক্তি এই যে, হযরত ইবরাহীমের ( আঃ ) স্ত্রী হযরত সারা ( আঃ ) হযরত মূসার ( আঃ ) মাতা এবং হযরত ঈসার ( আঃ ) মাতা মারইয়ামও ( আঃ ) নবী ছিলেন। ফেরেশতাগণ হযরত সারা ( আঃ ) কে তার পুত্র হযরত ইসহাক ( আঃ ) এবং পৌত্র হযরত ইয়াকুবের ( আঃ ) সুসংবাদ দিয়েছিলেন। হযরত মূসার ( আঃ ) মাতার নিকট তাঁকে দুধ পান করাবার ওয়াহী করা হয়। হযরত মারইয়ামকে ( আঃ ) ফেরেশতাগণ তাঁর পুত্র হযরত ঈসার ( আঃ ) সুসংবাদ দিয়েছিলেন। ফেরেশতাগণ তাকে বলেছিলেনঃ “ হে মারইয়াম ( আঃ )! আল্লাহ তোমাকে মনোনীত ও পবিত্র করেছেন এবং বিশ্বের নারীদের মধ্যে তোমাকে মনোনীত করেছেন । হে মারইয়াম ( আঃ ) তোমার প্রতিপালকের অনুগত হও ও সিজদা কর, এবং যারা রুকু করে তাদের সাথে রুকু’ কর।” এর উত্তর এই যে, কুরআন কারীমে যেটুকু বর্ণনা রয়েছে তা আমরা বিনা বাক্য ব্যয়ে স্বীকার করে নিচ্ছি। কিন্তু এর দ্বারা তাদের নুবওয়াত প্রমাণিত হয় না। শুধু এইটুকু ফরমান বা এইটুকু শুভ সংবাদ অথবা এইটুকু হুকুম কারো নুবওয়াতের জন্যে দলীল নয়। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সবারই মাযহাব এটাই যে, নারীদের মধ্যে কেউই নবী হন নাই। হ্যাঁ তবে তাঁদের মধ্যে সিদ্দিকা বা সত্যবাদিণী রয়েছেন। যেমন সর্বাপেক্ষা সম্ভ্রান্ত বংশীয়া ও মর্যাদা সম্পন্না স্ত্রীলোক মারইয়াম ( আঃ ) সম্পর্কে কুরআন কারীমে ঘোষিত হয়েছেঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ তার ( হযরত ঈসার (আঃ ) মা হচ্ছে সিদ্দীকা বা চরম সত্যবাদিনী ।” সুতরাং যদি তিনি নবী হতেন তবে এই জায়গায় তাকে এটাই বলা হতো।আয়াতটির ভাবার্থ হচ্ছে এই যে, যমীনে বসবাসকারী মানুষই নবী হয়ে থাকেন, এটা নয় যে, আকাশ হতে কোন ফেরেশতা অবতীর্ণ হন। যেমন এক জায়গায় মহান আল্লাহ বলেছেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ ( হে নবী সঃ )! তোমার পূর্বে আমি যে রাসূলদেরকে প্রেরণ করেছিলাম তারা অবশ্যই খাদ্য খেতো এবং বাজারে চলাফেরা করতো ।” ( ২৫: ২০ ) তারা এইরূপ দেহ বিশিষ্ট ছিলেন না যে, খাদ্য গ্রহণ থেকে পবিত্র থাকবেন। তারা এমনও ছিলেন না যে, মৃত্যু তাদেরকে পেয়ে বসবে না। তারা বাজারেও চলাফেরা করতেন। আল্লাহ তাদের সাথে কৃত ওয়াদা পূর্ণ করেছেন। তিনি তাঁদের সাথে যাদেরকে ইচ্ছা মুক্তি দিয়েছেন এবং সীমালংঘনকারী লোকদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। এক আয়াতে আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ ( হে নবী (সঃ )! তুমি বলঃ আমি তো প্রথম রাসূল নই ।” ( ৪৬: ৯ ) এ কথা জেনে রাখা প্রয়োজন যে, এখানে ‘গ্রামবাসী’ দ্বারা শহরবাসী উদ্দেশ্য। কেননা, গ্রামবাসী বড়ই বক্র স্বভাব ও দুশ্চরিত্র হয়ে থাকে। এটা সর্বজন বিদিত যে, শহরবাসী হয় কোমল অন্তর ও মহৎ চরিত্রের অধিকারী। অনুরূপভাবে জনপদ হতে দূরে তাঁবুতে বসবাসকারী বেদুঈনরাও অত্যন্ত কঠোর স্বভাবের হয়ে থাকে। এ জন্যেই আল্লাহ পাক বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ মরুবাসী বেদুঈনরা কুফরী ও নিফাকে খুবই কঠিন ।” ( ৯: ৯৭ ) কাতাদা’'ও ( রঃ ) এই ভাবার্থ বর্ণনা করেছেন। কেননা, শহরের লোকদের মধ্যে বিদ্যা ও ধৈর্য বেশি থাকে।একটি হাদীসে এসেছে যে, এক মরুবাসী বেদুঈন রাসূলুল্লাহর ( সঃ ) সমিনে কিছু হাদিয়া পেশ করে। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাকে ওর বিনিময় প্রদান করেন। সে কিন্তু ওটাকে খুবই কম মনে করে। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাকে আরো দেন এবং শেষ পর্যন্ত তাকে খুশী করেন। অতঃপর তিনি বলেনঃ “ আমি ইচ্ছা করছি যে, আমি কুরায়েশ, আনসারী, সাকাথী এবং দাওসী গোত্রের লোক ছাড়া আর কারো উপঢৌকন গ্রহণ করবো না ।”হযরত আ’মাশ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যে মুমিনমু’মিন লোকদের সাথে মেলামেশা করে এবং তাদের দেয়া কষ্টের উপর ধৈর্য ধারণ করে সে ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা উত্তম যে লোকদের সাথে মেলামেশা করে না এবং তাদের দেয়া কষ্টের উপর ধৈর্য ধারণও করে না ।” ( এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (রঃ ) স্বীয় মুসনাদ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)আল্লাহ তাআ’লার উক্তিঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ হে মুহাম্মদ ( সঃ )! তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্নকারী এই লোকগুলি কি ভূপৃষ্ঠে ভ্রমণ করে নাই, অতঃপর তাদের পুর্ববর্তীদের পরিণাম কি হয়েছিল তা কি দেখে নাই?’ ( ৪০: ৪৮২ ) অর্থাৎ তাদের পূর্ববর্তী যে সব উম্মত তাদের রাসূলদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল তাদের পরিণাম ফল কি হয়েছিল! আল্লাহ কিভাবে তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন! এই কাফিরদের জন্যে অনুরূপ শাস্তি রয়েছে । যেমন মহান আল্লাহ এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে নাই যে, তাদের অন্তরগুলি তার ফলে বোধশক্তি সম্পন্ন হতো?” ( ২২: ৪৬ ) এরূপ করলে তারা দেখতে পেতো যে, তাদের ন্যায় কাফির ও গুনাহগারদের পরিণতি কি হয়েছিল! আল্লাহ তাআ’লা কাফিরদের ধ্বংস করে দিয়েছিলেন এবং মুমিনমু’মিনদেরকে মুক্তি দিয়েছিলেন। আল্লাহ তাআ’লার নীতি তাঁর মাখলুকের সাথে এইরূপই বটে। এই জন্যেই আল্লাহ পাক বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ যারা আল্লাহকে ভয় করে তাদের জন্যে পরকালই উত্তম। অর্থাৎ যেমন দুনিয়ায় আমি মু'মিনদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি, অনুরূপভাবে আখেরাতেও তাদেরকে আমার শাস্তি হতে রক্ষা করবো এবং পরকালের মুক্তি তাদের জন্যে দুনিয়ার মুক্তি হতে উত্তম হবে। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ আমি অবশ্যই আমার রাসূলদেরকে এবং মু'মিনদেরকে পার্থিব জগতে সাহায্য করবো এবং যে দিন সাক্ষীগণ দাঁড়িয়ে যাবে । সেইদিন অত্যাচারীদের ওজর কোনই উপকারে আসবে না। তাদের উপর অভিসম্পাত বর্ষিত হবে এবং তাদের জন্যে নিকৃষ্ট ঘর হবে।” ( ৪০: ৫১-৫২ ) এখানে ( আরবি ) বা ঘরের সম্বন্ধ আখেরাতের দিকে লাগানো হয়েছে। যেমন ( আরবি ) এবং ( আরবি ) বলা হয়ে থাকে। আরব কবিদের কবিতাতেও এইরূপ ( আরবি ) বা সম্বন্ধ অনেক রয়েছে।
সূরা ইউসুফ আয়াত 109 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- শপথ প্রাণের এবং যিনি তা সুবিন্যস্ত করেছেন, তাঁর,
- যারা দুঃখ-কষ্ট ভোগের পর দেশত্যাগী হয়েছে অতঃপর জেহাদ করেছে, নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা এসব বিষয়ের পরে
- তাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্য যখন তাদেরকে আল্লাহ ও রসূলের দিকে আহবান করা হয তখন
- অজ্ঞাত বিষয়ে অনুমানের উপর ভিত্তি করে এখন তারা বলবেঃ তারা ছিল তিন জন; তাদের চতুর্থটি
- বস্তুতঃ ইহুদীদের জন্য আমি হারাম করে দিয়েছি বহু পূত-পবিত্র বস্তু যা তাদের জন্য হালাল ছিল-তাদের
- অতঃপর তাদের মধ্যে দলগুলো পৃথক পৃথক পথ অবলম্বন করল। সুতরাং মহাদিবস আগমনকালে কাফেরদের জন্যে ধবংস।
- আল্লাহ এক কাক প্রেরণ করলেন। সে মাটি খনন করছিল যাতে তাকে শিক্ষা দেয় যে, আপন
- সুতরাং কোন জনপদ কেন এমন হল না যা ঈমান এনেছে অতঃপর তার সে ঈমান গ্রহণ
- যে গোনাহ, করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে
- অতঃপর সেখানে বিস্তর অশান্তি সৃষ্টি করেছিল।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ইউসুফ ডাউনলোড করুন:
সূরা Yusuf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Yusuf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers