কোরান সূরা ত্বা-হা আয়াত 130 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah TaHa ayat 130 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ত্বা-হা আয়াত 130 আরবি পাঠে(TaHa).
  
   

﴿فَاصْبِرْ عَلَىٰ مَا يَقُولُونَ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا ۖ وَمِنْ آنَاءِ اللَّيْلِ فَسَبِّحْ وَأَطْرَافَ النَّهَارِ لَعَلَّكَ تَرْضَىٰ﴾
[ طه: 130]

সুতরাং এরা যা বলে সে বিষয়ে ধৈর্য্য ধারণ করুন এবং আপনার পালনকর্তার প্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন সূর্যোদয়ের পূর্বে, সূর্যাস্তের পূর্বে এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন রাত্রির কিছু অংশ ও দিবাভাগে, সম্ভবতঃ তাতে আপনি সন্তুষ্ট হবেন। [সূরা ত্বা-হা: 130]

Surah Ta-Ha in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah TaHa ayat 130


সেজন্য অধ্যবসায় অবলন্বন করো তারা যা বলে তাতে, আর তোমার প্রভুর প্রশংসার দ্বারা মহিমা জপে থাকো সূর্য উদয়ের আগে ও তার অস্ত যাবার আগে, আর রাত্রির কিছু সময়েও তবে জপতপ করো, আর দিনের বেলায়, যাতে তুমি সন্তষ্টি লাভ করতে পারো।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৩০. হে রাসূল! আপনার প্রতি মিথ্যারোপকারীরা যে বাতিল বিশেষণগুলো আপনার ব্যাপারে বলে থাকে সে বিষয়ে আপনি ধৈর্য ধরুন। আর আপনি ফজরের সালাতে সূর্য উঠার আগে, আসরের সালাতে সূর্য ডুবার আগে, মাগরিব ও ইশার সালাতে রাতের কিছু সময়, যোহরের সালাতে দিনের প্রথমাংশ শেষে সূর্য হেলে যাওয়ার সময় এবং মাগরিবের সালাতে দিনের দ্বিতীয়াংশ শেষে আল্লাহর নিকট সন্তোষজনক সাওয়াব পাওয়ার আশায় নিজ প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করুন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


সুতরাং ওরা যা বলে সে বিষয়ে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং সূর্যের উদয় ও অস্তের পূর্বে তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা কর এবং রাত্রিকালে ও দিনের প্রান্তভাগসমূহে পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর; [১] যাতে তুমি সন্তুষ্ট হতে পার।[২] [১] কোন কোন মুফাসসিরগণের মতে তসবীহ ( প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা ) বলতে নামায এবং এ আয়াত হতে পাঁচ অক্তের নামাযকে বুঝানো হয়েছে। সূর্য উঠার আগে ফজরের নামায, সূর্য ডোবার আগে আসরের নামায, 'রাত্রিকালে' বলতে মাগরিব ও এশার নামায এবং 'দিনের প্রান্তভাগসমূহ' বলতে যোহরের নামাযকে বুঝানো হয়েছে। কেননা যোহরের সময় দিনের প্রথম ভাগের শেষ প্রান্ত এবং দিনের শেষ ভাগের প্রথম প্রান্ত। আর কিছু উলামার মতে, এই সময় গুলোতে সাধারণভাবে আল্লাহর মহিমা তথা প্রশংসা বর্ণনার কথা বলা হয়েছে; যার মধ্যে নামায, কুরআন পাঠ, যিকর, দু'আ ও নফল ইবাদত সবই শামিল। অর্থ এই যে, তুমি মক্কার মুশরিকদের মিথ্যা ভাবার কারণে অধৈর্য ও মনঃক্ষুণ্ণ হবে না; বরং আল্লাহর মহিমা ও প্রশংসা বর্ণনা করতে থাকো। আল্লাহ যখন ইচ্ছা করবেন তাদেরকে পাকড়াও করবেন।[২] এর সম্পর্ক 'পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর'-এর সাথে। অর্থাৎ উক্ত সময়গুলোতে আল্লাহর মহিমা বর্ণনা কর এই আশায় যে আল্লাহর নিকট এমন মর্যাদা ও সুউচ্চ স্থান প্রাপ্ত হবে, যাতে তুমি সন্তুষ্ট ও খোশ হয়ে যাবে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


কাজেই তারা যা বলে , সে বিষয়ে আপনি ধৈর্য ধারণ করুন [] এবং সূর্যোদয়ের আগে ও সূর্যাস্তের আগে আপনার রব এর সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন এবং রাতে পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন, এবং দিনের প্রান্তসমূহেও [], যাতে আপনি সন্তুষ্ট হতে আপ্রেন []। [] মক্কাবাসীরা ঈমান থেকে গা বাঁচানোর জন্য নানারকম বাহানা খুঁজত এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে অশালীন কথাবার্তা বলত। কেউ জাদুকর, কেউ কবি এবং মিথ্যাবাদী বলত। [ ফাতহুল কাদীর ] কুরআনুল করীম এখানে তাদের এসব যন্ত্রণাদায়ক কথাবার্তার দু'টি প্রতিকার বর্ণনা করেছে। ( এক ) আপনি তাদের কথাবার্তার প্রতি ভ্ৰক্ষেপ করবেন না; বরং সবর করবেন। ( দুই ) আল্লাহর ইবাদাতে মশগুল হয়ে যান। وَسِبِّحْ بِحَمْدِرَبِّكَ বাক্যে একথা বলা হয়েছে। [] অর্থাৎ যেহেতু মহান আল্লাহ এখনই তাদেরকে ধ্বংস করতে চান না এবং তাদের জন্য একটি অবকাশ সময় নির্ধারিত করে ফেলেছেন, তাই তাঁর প্রদত্ত এ অবকাশ সময়ে তারা আপনার সাথে যে ধরনের আচরণই করুক না কেন আপনাকে অবশ্যি তা বরদাশত করতে হবে এবং সবরের সাথে তাদের যাবতীয় তিক্ত ও কড়া কথা শুনেও নিজের সত্যবাণী প্রচার ও স্মরণ করিয়ে দেবার দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। আপনি সালাত থেকে এ সবর, সহিষ্ণুতা ও সংযমের শক্তি লাভ করবেন। এ নির্ধারিত সময়গুলোতে আপনার প্রতিদিন নিয়মিত এ সালাত পড়া উচিত। “ রবের সপ্ৰশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা” করা মানে হচ্ছে সালাত । যেমন সামনের দিকে আল্লাহ্ নিজেই বলেছেনঃ “ নিজের পরিবার পরিজনকে সালাত পড়ার নির্দেশ দিন এবং নিজেও নিয়মিত তা পালন করতে থাকুন ।” সালাতের সময়গুলোর প্রতি এখানেও পরিষ্কার ইশারা করা হয়েছে। সূর্য উদয়ের পূর্বে ফজরের সালাত। সূর্য অস্ত যাবার আগে আসরের সালাত। আর রাতের বেলা হচ্ছে এশা ও তাহাজ্জুদের সালাত। দিনের প্রান্তগুলো অবশ্যি তিনটিই হতে পারে। একটি প্রান্ত হচ্ছে প্রভাত, দ্বিতীয় প্রান্তটি সূর্য ঢলে পড়ার পর এবং তৃতীয় প্ৰান্তটি হচ্ছে সন্ধ্যা। কাজেই দিনের প্রান্তগুলো বলতে ফজর, যোহর ও মাগরিবের সালাত হতে পারে। সহীহ হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘তোমরা তোমাদের রবকে স্বচ্ছভাবে দেখতে পাবে যেমনিভাবে তোমরা এ ( পূর্নিমার চাঁদ ) কে দেখতে পাচ্ছ। দেখতে তোমাদের কোন সমস্যা হবে না। সুতরাং তোমরা যদি সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পূর্বে তোমাদের সালাতগুলো আদায়ের ব্যাপারে কোন প্রকার ব্যাঘাত সৃষ্টি করা হতে মুক্ত হতে পার তবে তা কর; অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( তোমরা সূর্যোদয়ের পূর্বে এবং সূর্যাস্তের পূর্বে তোমাদের প্রভূর সপ্ৰশংস পবিত্রতা ঘোষণা কর ) এ আয়াতটি বললেন। [ বুখারীঃ ৫৭৩ ] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেনঃ “ যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে এবং সূর্যাস্তের পূর্বে সালাত আদায় করবে সে জাহান্নামে যাবে না । ” অর্থাৎ ফজর ও আসার। [ মুসলিমঃ ৬৩৪ ] [ ইবন কাসীর ] [] অর্থাৎ তাসবীহ ও ইবাদাত এজন্যে করুন যাতে আপনার জন্য এমন কিছু অর্জিত হয়, যাতে আপনি সন্তুষ্ট হতে পারেন। মুমিনের সঠিক সস্তুষ্টি আসবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে। হাদীসে এসেছে, আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ হে জান্নাতবাসী! তারা বলবেঃ হাজির হে আমাদের প্রভু, হাজির । তারপর তিনি বলবেনঃ তোমরা কি সন্তুষ্ট হয়েছ? তারা বলবেঃ কেন আমরা সন্তুষ্ট হব না, অথচ আপনি আমাদেরকে যা দিয়েছেন, সৃষ্টি জগতের কাউকে তা দেননি। তারপর তিনি বলবেনঃ আমি তোমাদেরকে তার থেকেও উত্তম কিছু দেব। তারা বলবেঃ এর থেকে উৎকৃষ্ট আর কিইবা আছে। তিনি বলবেনঃ আমি তোমাদের উপর এমনভাবে সন্তুষ্ট হব, যার পরে আর কখনো অসন্তুষ্ট হব না। [ বুখারীঃ ৬৫৪৯, ৭৫১৮, মুসলিমঃ ২৮২৯ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১২৮-১৩০ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা বলেনঃ হে নবী ( সঃ )! যারা তোমাকে মানে না এবং তোমার শরীয়তকে অস্বীকার করে তারা কি এর দ্বারা শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণ করে না যে, তাদের পূর্বে যারা এইরূপ আচরণ করেছিল, আমি তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছিলাম? আজ তাদের মধ্যে চোখ দিয়ে দেখার মত, শ্বাস গ্রহণ করার মত এবং মুখে কিছু বলার মত কেউ অবশিষ্ট আছে কি? তাদের সুউচ্চ, সুদৃশ্য এবং আঁকজমকপূর্ণ প্রাসাদ গুলির ধ্বংসাবশেষ রয়ে গেছে মাত্র। সেখান দিয়ে তো এরা চলা ফেরা করে থাকে। তাদের যদি জ্ঞান বুদ্ধি থাকতো তবে এর দ্বারা তারা বহু কিছু শিক্ষাগ্রহণ করতে পারতো। তারা কি যমীনে ঘোরাফেরা করে আল্লাহ তাআলার নিদর্শনাবলীর উপর চিন্তা গবেষণা করে না? কাফিরদের এ সব যন্ত্রণাদায়ক কাহিনী শুনে কি তারা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না? তাদের বস্তিগুলির ধ্বংসাবশেষ দেখেও কি তাদের চক্ষু খুলে না? এরা চোখের অন্ধ নয়, বরং অন্তরের অন্ধ। সূরায়ে আলিফ-লাম-মীম সিজদায়ও উপরোল্লিখিত আয়াতের মত আয়াত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা স্বীয় বান্দাদের উপর একটা কাল নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এই কাল নির্ধারিত কাল না থাকলে তাদের প্রতি আশু শাস্তি অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়তো। ঐ নির্ধারিত কাল এসে গেলেই তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের প্রতিফল দেয়া হবে। সুতরাং হে নবী ( সঃ )! তারা যে তোমাকে মিথ্যা প্রতিপাদন করছে তার উপর ধৈর্য ধারণ কর। জেনে রেখো যে, তারা আমার আয়ত্তের বাইরে নয়।‘সূর্যোদয়ের পূর্বে একথা দ্বারা ফজরের নামায উদ্দেশ্য এবং সুর্যাস্তের পূর্বে একথা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আসরের নামায।হযরত জারীর ইবনু আবদিল্লাহ বাজালী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “ একদা আমরা রাসূলুল্লাহ( সঃ ) নিকট বসেছিলাম । তিনি চৌদ্দ তারিখের চাদের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ “ তোমরা সত্বরই তোমাদের প্রতিপালককে এভাবেই দেখতে পাবে যেভাবে এই চাদকে কোন প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই দেখতে পাচ্ছ । সুতরাং সম্ভম্ব হলে তোমরা সূর্যোদয়ের পূর্বের ও সূর্যাস্তের পূর্বের নামাযের হিফাযত করো।” অতঃপর তিনি এই আয়াতটি পাঠ করেন।” ( এহাদীসটি সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে )হযরত আম্মারা ইবনু রাবিয়া ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহকে ( সঃ ) বলতে শুনেছেনঃ “ এমন কেউই কখনো জাহান্নামে যাবে না যে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বের নামায আদায় করলো ।( এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (রঃ ) স্বীয় মুসনাদে বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনু উমার ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ সবচেয়ে নিম্নমানের জান্নাতী হলো ঐ ব্যক্তি যে দুই হাজার বছরের রাস্তা পর্যন্ত নিজের অধিকারভুক্ত জায়গায়ই দেখতে পাবে । সবচেয়ে দুরবর্তী জিনিস তার জন্যে এমনই হবে যেমন হবে সবচেয়ে নিকটবর্তী জিনিস। আর সবচেয়ে উচ্চমানের জান্নাতী তো প্রতি দিন দু'বার করে আল্লাহ তাআলার দর্শন লাভ করবে।” ( এ হাদীসটি মুসনাদে ও সুনান গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে )মহান আল্লাহ বলেনঃ এবং রাত্রিকালে ( তোমার প্রতিপালকের ) পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর। অর্থাৎ রাত্রে তাহাজ্জুদের নামায পড়। কেউ কেউ বলেন যে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো মাগরিব ও এশার নামায। আর দিনের প্রান্ত সমূহেও আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা কর, যাতে তার পুরস্কার ও প্রতিদান পেয়ে তুমি সন্তুষ্ট হতে পার। যেমন আল্লাহ তাআলা এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ অচিরেই তোমার প্রতিপালক তোমাকে অনুগ্রহ দান করবেন, আর তুমি সন্তুষ্ট হবে ।( ৯৩:৫ ) সহীহ হাদীসে রয়েছে যে, আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ “ হে জান্নাতবাসীরা!” তারা উত্তরে বলবেঃ “হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা হাজির আছি ।" তখন তিনি বলবেনঃ “ তোমরা খুশী হয়েছে কি?” তারা জবাব দিবেঃ “হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের কি হয়েছে যে, আমরা খুশী হবো না? আপনি তো আমাদেরকে এমন কিছু দিয়েছেন যা আপনার সৃষ্টজীবের আর কাউকেও দেন নি!” আল্লাহ তাআলা তখন বলবেনঃ “এগুলি অপেক্ষাও উত্তম জিনিস আমি তোমাদেরকে প্রদান করবো ।" তারা উত্তরে। বলবেঃ “ এর চেয়েও উত্তম জিনিস আর কি আছে?” আল্লাহ তাআলা জবাব দিবেনঃ “আমি তোমাদেরকে আমার সন্তুষ্টি প্রদান করছি । এরপরে আর কোনও দিন আমি তোমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হবে না।” অন্য হাদীসে আছে যে, বলা হবেঃ “ হে জান্নাতীরা! আল্লাহ তাআলা তোমাদের সাথে যে ওয়াদা করেছিলেন তা তিনি পূর্ণ করতে চান । তারা বলবেঃ আল্লাহ তাআলার সব ওয়াদা তো পূর্ণ হয়েই গেছে । আমাদের চেহারা উজ্জ্বল হয়েছে, আমাদের পুণ্যের পাল্লা ভারী হয়ে গেছে, আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে এবং জান্নাতে প্রবিষ্ট করা হয়েছে। সুতরাং আর কিছুই তো বাকী নেই।” তৎক্ষণাৎ পর্দা উঠে যাবে এবং তারা। মহামহিমান্বিত আল্লাহকে দেখতে পাবে। আল্লাহর শপথ! এর চেয়ে উত্তম নিয়ামত আর কিছুই হবে না এটাই প্রচুর।

সূরা ত্বা-হা আয়াত 130 সূরা

فاصبر على ما يقولون وسبح بحمد ربك قبل طلوع الشمس وقبل غروبها ومن آناء الليل فسبح وأطراف النهار لعلك ترضى

سورة: طه - آية: ( 130 )  - جزء: ( 16 )  -  صفحة: ( 321 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অতঃপর আমি বললামঃ হে আদম, এ তোমার ও তোমার স্ত্রীর শত্রু, সুতরাং সে যেন বের
  2. তারা আল্লাহর পরিবর্তে যা কিছুকে ডাকে, আল্লাহ তা জানেন। তিনি শক্তিশালী, প্রজ্ঞাময়।
  3. বান্দাদের জন্যে আক্ষেপ যে, তাদের কাছে এমন কোন রসূলই আগমন করেনি যাদের প্রতি তারা বিদ্রুপ
  4. যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের
  5. যে পর্যন্ত না ইয়াজুজ ও মাজুজকে বন্ধন মুক্ত করে দেয়া হবে এবং তারা প্রত্যেক উচ্চভুমি
  6. দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন
  7. অতঃপর আমি ফেরআউনের দলকে তাদের বাগ-বাগিচা ও ঝর্ণাসমূহ থেকে বহিষ্কার করলাম।
  8. আপনার পালনকর্তা সত্বরই আপনাকে দান করবেন, অতঃপর আপনি সন্তুষ্ট হবেন।
  9. তারপরও যদি বিমুখতা অবলম্বন কর, তবে আমি তোমাদের কাছে কোন রকম বিনিময় কামনা করি না।
  10. নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের গোপন রহস্য আল্লাহর কাছেই রয়েছে। কিয়ামতের ব্যাপারটি তো এমন, যেমন চোখের পলক

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ত্বা-হা ডাউনলোড করুন:

সূরা TaHa mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি TaHa শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers