কোরান সূরা নিসা আয়াত 141 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Nisa ayat 141 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা নিসা আয়াত 141 আরবি পাঠে(Nisa).
  
   

﴿الَّذِينَ يَتَرَبَّصُونَ بِكُمْ فَإِن كَانَ لَكُمْ فَتْحٌ مِّنَ اللَّهِ قَالُوا أَلَمْ نَكُن مَّعَكُمْ وَإِن كَانَ لِلْكَافِرِينَ نَصِيبٌ قَالُوا أَلَمْ نَسْتَحْوِذْ عَلَيْكُمْ وَنَمْنَعْكُم مِّنَ الْمُؤْمِنِينَ ۚ فَاللَّهُ يَحْكُمُ بَيْنَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۗ وَلَن يَجْعَلَ اللَّهُ لِلْكَافِرِينَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ سَبِيلًا﴾
[ النساء: 141]

এরা এমনি মুনাফেক যারা তোমাদের কল্যাণ-অকল্যাণের প্রতীক্ষায় ওঁৎপেতে থাকে। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় তোমাদের যদি কোন বিজয় অর্জিত হয়, তবে তারা বলে, আমরাও কি তোমাদের সাথে ছিলাম না? পক্ষান্তরে কাফেরদের যদি আংশিক বিজয় হয়, তবে বলে, আমরা কি তোমাদেরকে ঘিরে রাখিনি এবং মুসলমানদের কবল থেকে রক্ষা করিনি? সুতরাং আল্লাহ তোমাদের মধ্যে কেয়ামতের দিন মীমাংসা করবেন এবং কিছুতেই আল্লাহ কাফেরদেরকে মুসলমানদের উপর বিজয় দান করবেন না। [সূরা নিসা: 141]

Surah An-Nisa in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Nisa ayat 141


নিঃসন্দেহ মূনাফিকরা চায় আল্লাহ্‌কে ফাঁকি দিতে, কিন্তু তিনিই তাদের ফাঁকি প্রতিদানকারী। আর যখন তারা নামাযে দাঁড়ায়, তারা দাঁড়ায় অমনোযোগের সাথে, লোককে তারা দেখাতে যায়; আর তারা আল্লাহ্‌কে স্মরণ করে না অল্প পরিমাণে ছাড়া,


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৪১. যারা তোমাদের কল্যাণ অথবা অকল্যাণ যাই হোক না কেন তার অপেক্ষা করে অতঃপর আল্লাহর পক্ষ থেকে যদি তোমাদের জন্য বিজয় নেমে আসে এবং তোমরা যুদ্ধলব্ধ সম্পদ আহরণ করো তখন তারা তোমাদেরকে বলে: আমরা কি তোমাদের সাথে ছিলাম না। আমরা সে জিনিসের সাক্ষী হয়েছি তোমরা যার সাক্ষী হয়েছো?! তথা আমরা সেখানে উপস্থিত হয়েছি যেখানে তোমরা উপস্থিত হয়েছো। যাতে তারা যুদ্ধলব্ধ সম্পদ পেতে পারে। আর যদি কাফিরদের কোন লাভ হয়ে যায় তখন তারা তাদেরকে বলে: আমরা কি তোমাদের দায়িত্ব নেইনি। গুরুত্ব ও সহযোগিতা দিয়ে আমরা কি তোমাদেরকে বেষ্টন করে রাখিনি। আমরা কি তোমাদের সহযোগিতা ও মু’মিনদের অসহযোগিতা করে তাদের হাত থেকে তোমাদের রক্ষা করিনি?! আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন তোমাদের সকলের মাঝে ফায়সালা করে দিবেন। তখন তিনি মু’মিনদেরকে জান্নাতে প্রবেশের প্রতিদান দিবেন। আর মুনাফিকদেরকে জাহান্নামের তলদেশে প্রবেশের প্রতিদান দিবেন। আল্লাহ তা‘আলা কখনো তাঁর দয়ায় মু’মিনদের উপর কাফিরদেরকে কর্তৃত্ব করতে দিবেন না। বরং তিনি অচিরেই মু’মিনদেরকে সুপরিণতি দিবেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


যারা তোমাদের ( শুভাশুভ পরিণতির ) প্রতীক্ষায় থাকে; সুতরাং আল্লাহর অনুগ্রহে তোমাদের বিজয় লাভ হলে তারা ( তোমাদেরকে ) বলে, ‘আমরা কি তোমাদের সঙ্গে ছিলাম না?’ আর যদি অবিশ্বাসীদের আংশিক বিজয় লাভ হয়, তাহলে তারা ( তাদেরকে ) বলে, ‘আমরা কি তোমাদের বিরুদ্ধে জয়ী ছিলাম না এবং আমরা কি তোমাদেরকে বিশ্বাসীদের হাত থেকে রক্ষা করিনি?’[১] অতএব আল্লাহই কিয়ামতের দিন তোমাদের মধ্যে বিচার-মীমাংসা করবেন[২] এবং আল্লাহ কখনই বিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে অবিশ্বাসীদের জন্য কোন পথ রাখবেন না। [৩] [১] অর্থাৎ, আমরা তোমাদের উপর বিজয় লাভ করতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু আমরা তোমাদেরকে নিজেদের সাথী মনে করে ছেড়ে দিলাম এবং মুসলিমদের সঙ্গ ত্যাগ করে তোমাদেরকে তাদের কবল থেকে রক্ষা করলাম। অর্থাৎ, তোমাদের বিজয় অর্জিত হয়েছে কেবল আমাদের দ্বিমুখী সেই কৌশলের ফলে; যে কৌশল আমরা মুসলিমদের সাথে বাহ্যিকভাবে শরীক হয়ে অবলম্বন করেছিলাম। আর সেই সাথে গোপনে তাদের ক্ষতি করতে কোন প্রকার ত্রুটি ও অবহেলা আমরা করিনি। আর এইভাবেই তোমরা তাদের উপর জয়লাভ করলে। --এ ছিল মুনাফিকদের কথা, যা তারা কাফেরদেরকে বলেছিল।[২] অর্থাৎ, দুনিয়াতে ধোঁকা ও প্রতারণার মাধ্যমে সাময়িকভাবে কিঞ্চিৎ বিজয় লাভ করেছ বটে, কিন্তু কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তোমাদের বিচার করবেন সেই সব গুপ্ত অভিপ্রায় ও অবস্থাসমূহের আলোকে, যা তোমরা নিজেদের মনের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলে। কেননা, তিনি তো মনের মধ্যে লুক্কায়িত বিষয়সমূহের ব্যাপারে খুব ভালোভাবেই অবহিত। যখন তিনি এর জন্য শাস্তি দেবেন, তখন তারা অবগত হয়ে যাবে যে, দুনিয়ায় মুনাফিক্বী স্বভাব অবলম্বন করে ক্ষতিকর সামগ্রী ক্রয় করেছিল। যার কারণে তাদেরকে জাহান্নামের চিরস্থায়ী শাস্তি ভোগ করতে হবে। আল্লাহ আমাদেরকে পানাহ দিন।[৩] অর্থাৎ, বিজয় দান করবেন না। এর বিভিন্ন অর্থ বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন, ( ক ) মুসলিমদের এ জয় কিয়ামতের দিন লাভ হবে। ( খ ) হুজ্জত ও প্রমাণাদির দিক দিয়ে কাফেররা মুসলিমদের উপর জয়লাভ করতে পারবে না। ( গ ) কাফেরদের এমন বিজয় আসবে না, যাতে মুসলিমদের রাজ্য ও প্রতিপত্তি একেবারে নিঃশেষ হয়ে যাবে এবং তাদেরকে মুদ্রিত ভুল শব্দের মত বিশ্বের মানচিত্র থেকে মিটিয়ে দেওয়া হবে। একটি সহীহ হাদীস থেকেও এই অর্থের সমর্থন পাওয়া যায়। ( ঘ ) যতদিন পর্যন্ত মুসলিমরা নিজেদের দ্বীন অনুযায়ী আমল করবে, বাতিলের প্রতি অসন্তুষ্ট থাকবে এবং অন্যায় কাজে বাধা দেবে, ততদিন পর্যন্ত কাফেররা তাদের উপর জয়লাভ করতে পারবে না। ইমাম ইবনুল আরাবী বলেন, 'এটি সবার থেকে উত্তম অর্থ।' কারণ, মহান আল্লাহ বলেন,[وَمَا أَصَابَكُمْ مِنْ مُصِيبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيكُمْ] অর্থাৎ, যে বিপদই তোমাদের উপর আপতিত হয়, তা সবই তোমাদের কৃতকর্মের ফল। ( সূরা শূরা ৪২:৩০ ) ( ফাতহুল ক্বাদীর ) অর্থাৎ, মুসলিমদের পরাজয় তাদের ত্রুটি-বিচ্যুতিরই অনিবার্য কুফল।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


যারা তোমাদের অমঙ্গলের প্রতীক্ষায় থাকে, তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের জয় হলে বলে, ‘আমরা কি তোমাদের সাথে ছিলাম না’। আর যদি কাফেরদের কিছু বিজয় হয়, তবে তারা বলে, ‘আমরা কি তোমাদের বিরুদ্ধে প্রবল ছিলাম না এবং আমরা কি তোমাদেরকে মুমিনদের হাত থেকে রক্ষা করিনি?[]’ আল্লাহ কেয়ামতের দিন তোমাদের মধ্যে বিচার মীমাংসা করবেন এবং আল্লাহ কখনই মুমিনদের বিরুদ্ধে কাফেরদের জন্য কোন পথ রাখবেন না। [] [] এটিই প্রত্যেক যুগের মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্য। মৌখিক স্বীকারোক্তি ও ইসলামের গণ্ডীর মধ্যে নামমাত্র প্রবেশের মাধ্যমে মুসলিম হিসাবে যতটুকু স্বার্থ ভোগ করা যায় তা তারা ভোগ করে। আবার অন্যদিকে কাফের হিসাবে যে স্বার্থটুকু ভোগ করা সম্ভব তা ভোগ করার জন্য তারা কাফেরদের সাথে যোগ দেয়। তাদেরকে বলেঃ আমরা মোটেই গোঁড়া বা প্রতিক্রিয়াশীল অথবা মৌলবাদী-বিদ্বেষপরায়ণ মুসলিম নই। মুসলিমদের সাথে আমাদের নামের সম্পর্ক আছে কিন্তু আমাদের মানসিক ঝোঁক, আগ্রহ ও বিশ্বস্ততা রয়েছে তোমাদের প্রতি। চিন্তা-ভাবনা, আচার-ব্যবহার, রুচি-প্রকৃতি ইত্যাদি সবদিক দিয়ে তোমাদের সাথে আমাদের গভীর মিল। তাছাড়া ইসলাম ও কুফরীর সংঘর্ষে আমরা তোমাদের পক্ষই অবলম্বন করব। [] এ আয়াতের অর্থ এ নয় যে, দুনিয়াতে কোন কাফের ঈমানদারদের উপর বিজয়ী হবে না। কারণ, এটার মূলকথা আখেরাতের সাথে সম্পৃক্ত। আয়াতের শুরুতেই ‘কিয়ামতের দিন’ উল্লেখ করার মাধ্যমে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিকট এক লোক এসে বলল যে, এ আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন, আল্লাহ কখনই মুমিনদের বিরুদ্ধে কাফেরদের জন্য কোন পথ রাখবেন না” অথচ কাফেররা মুমিনদের উপর বিজয়ী হচ্ছে । তখন আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আয়াতের প্রথমাংশের দিকে তাকাও। সেখানে বলা হয়েছে, ‘কিয়ামতের দিন’। সুতরাং কিয়ামতের দিন আল্লাহ কখনই মুমিনদের বিরুদ্ধে কাফেরদের জন্য কোন পথ রাখবেন না। [ মুস্তাদরাকে হাকিম: ২/৩০৯; দ্বিয়া আল-মাকদেসী, আল-আহাদিসুল মুখতারাহ ২/৪০৬-৪০৭, হাদীস নং ৭৯৩ ] তবে ইমামগণ এ আয়াত থেকে দুনিয়াতে এ মাস’আলা নিয়েছেন যে, কোন কাফের কোন মুমিনের ওয়ারিশ হয় না। [ আত-তালিকুল মুমাজ্জাদ আলা মুওয়াত্তা ইমাম মুহাম্মাদ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


এখানে মুনাফিকদের মন্দ অন্তরের বর্ণনা দেয়া হয়েছে যে, তারা সব সময় মুসলমানদের ধ্বংস ও অবনতির অনুসন্ধানে লেগে থাকে। কোন জিহাদে মুসলমানদের বিজয় লাভ ঘটলে তারা নিজেদেরকে মুসলমানদের বন্ধুরূপে পরিচিত করার উদ্দেশ্যে তাদের নিকট এসে বলেঃ আমরা কি তোমাদের সঙ্গে ছিলাম না?' পক্ষান্তরে যদি কোন কোন সময় মুসলমানদেরকে পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে তাদের উপর আল্লাহ তাআলা কাফিরদেরকে জয়যুক্ত করেন তবে তারা তাদের দিকে দ্রুত বেগে ধাবিত হয়ে বলেঃ “ আমরা তো গোপনে তোমাদেরকেই সাহায্য করেছি এবং সর্বদা মুসলমানদের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করেছি । এটা ছিল আমাদের একটা কৌশল যার বলে আজ তোমরা বিজয় লাভ করলে। এটা হচ্ছে তাদের কাজ যে, তারা দু’নৌকায় পা দিয়ে থাকে। যদিও তারা তাদের এ কৌশলকে নিজেদের পক্ষে গৌরবের কারণ মনে করে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটা তাদের বেঈমানির পরিচায়ক। কাঁচা রং কয়দিন থাকবে? গাজরের বাঁশী কয়দিন বাজবে? কাগজের নৌকাই বা কয়দিন চলবে? এমনই সময় আসছে যে, তারা তাদের কৃতকর্মের জন্যে লজ্জিত হবে। স্বীয় কৃতকর্মের জন্যে তারা আফসোস করবে। স্বীয় লজ্জাজনক কাজের কারণে কেঁদে কেঁদে চক্ষু ভাসাবে। তারা আল্লাহ তা'আলার সত্য মীমাংসা মেনে নিতে বাধ্য হবে এবং সমস্ত মঙ্গল হতে নিরাশ হয়ে যাবে। সেদিন তাদের ভুল ভেঙ্গে যাবে। তাদের গোপনীয়তা সেদিন প্রকাশ পেয়ে যাবে। সমস্ত রহস্য সেদিন উদ্ঘাটিত হয়ে যাবে। তাদের জঘন্য কাজ অত্যন্ত ভয়াবহ আকারে সামনে এসে হাযির হবে এবং তারা আল্লাহ তা'আলার ভীষণ শাস্তির শিকারে পরিণত হয়ে যাবে।এরপর আল্লাহ তাআলা বলেন-আল্লাহ তা'আলা কখনও মুমিনদের বিপক্ষে কাফিরদেরকে বিজয়ী করবেন না । এক ব্যক্তি হযরত আলী ( রাঃ )-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি এ বাক্যটিকে পূর্ববর্তী বাক্যের সাথে মিলিয়ে পাঠ করেন। ভাবার্থ ছিল এই যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা মুমিনদের উপর কাফিরদেরকে বিজয়ী করবেন না। এও বর্ণিত আছে যে, ( আরবী ) শব্দের ভাবার্থ হচ্ছে প্রমাণ। কিন্তু তথাপিও এর প্রকাশ্য অর্থ উদ্দেশ্য হওয়াতেও কোন অসুবিধে নেই। অর্থাৎ এটা অসম্ভব যে, আল্লাহ তা'আলা এখন থেকে নিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত এমন কোন সময় আনয়ন করবেন যখন কাফিররা মুসলমানদের নাম ও নিশানা মিটিয়ে দেয়ার মত শক্তি অর্জন করতে পারবে। পৃথিবীতে কোন সময় হয়তো তারা বিজয়ী হয়ে যায় সেটা অন্য কথা। কিন্তু পরিণামে জয় মুসলমানদেরই দুনিয়াতেও এবং আখিরাতেও। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ নিশ্চয়ই আমি আমার রাসূলগণকে এবং মুমিনগণকে ইহলৌকিক জগতে অবশ্যই সাহায্য করবো ।' ( ৪০:৫১ ) এ অর্থের মধ্যে একটা সৌন্দর্য এই রয়েছে যে, মুনাফিকরা ঐ সময়ে আগমনের জন্যে অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করছিল যে সময়ে তারা মুসলমানদের ধ্বংস কামনা করছিল। তাতে তাদেরকে নিরাশ করে দেয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, কাফিরদেরকে তিনি মুসলমানদের উপর এমনভাবে বিজয়ী করবেন না, যার ফলে তারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাবে। তারা যে ভয়ে মুসলমানদের সাথে প্রকাশ্যভাবে মিশতে পারছিল না সেই ভয়কেও তিনি দূর করে দিয়ে বলেন যে, মুসলমানেরা যে ভূ-পৃষ্ঠ হতে সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়ে যাবে এটা যেন তারা মনে না করে। এ ভাবার্থকেই তিনি ( আরবী ) ( ৫:৫২ )-এ আয়াতে পরিষ্কার করেছেন।উপরোক্ত আয়াত-ই-কারীমা দ্বারা উলামা-ই-কিরাম যুক্তি নিয়েছেন যে, মুসলমান দাসকে কাফিরদের হাতে বিক্রী করা বৈধ নয়। কেননা, ঐ অবস্থায় কাফিরদেকে মুসলমানের উপর বিজয়ী করে দেয়া হয় এবং এতে মুসলমানের হীনতা প্রকাশ পায়। যারা একে জায়েয রেখেছেন তারা তাকে নির্দেশ দেন যে, সে যেন তৎক্ষণাৎ তার উপর হতে স্বীয় অধিকার নষ্ট করে দেয়।

সূরা নিসা আয়াত 141 সূরা

الذين يتربصون بكم فإن كان لكم فتح من الله قالوا ألم نكن معكم وإن كان للكافرين نصيب قالوا ألم نستحوذ عليكم ونمنعكم من المؤمنين فالله يحكم بينكم يوم القيامة ولن يجعل الله للكافرين على المؤمنين سبيلا

سورة: النساء - آية: ( 141 )  - جزء: ( 5 )  -  صفحة: ( 101 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. নিঃসন্দেহে এটাই হলো সত্য ভাষণ। আর এক আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই। আর আল্লাহ;
  2. মানুষ যেভাবে কল্যাণ কামনা করে, সেভাবেই অকল্যাণ কামনা করে। মানুষ তো খুবই দ্রুততা প্রিয়।
  3. উভয় পক্ষের দৃষ্টান্ত হচ্ছে যেমন অন্ধ ও বধির এবং যে দেখতে পায় ও শুনতে পায়
  4. তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর ভূপৃষ্ট সবুজ-শ্যামল হয়ে
  5. হে আমার কওম, ব্যাপার কি, আমি তোমাদেরকে দাওয়াত দেই মুক্তির দিকে, আর তোমরা আমাকে দাওয়াত
  6. এবং কা’বার জন্যে উৎসর্গীকৃত উটকে আমি তোমাদের জন্যে আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন করেছি। এতে তোমাদের জন্যে
  7. তার কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হলে সে বলে, পুরাকালের উপকথা।
  8. এমনিভাবে অনেক মুশরেকের দৃষ্টিতে তাদের উপাস্যরা সন্তান হত্যাকে সুশোভিত করে দিয়েছে যেন তারা তাদেরকে বিনষ্ট
  9. তারা বললঃ পিতাঃ ব্যাপার কি, আপনি ইউসুফের ব্যাপারে আমাদেরকে বিশ্বাস করেন না ? আমরা তো
  10. যখন দৃষ্টি চমকে যাবে,

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা নিসা ডাউনলোড করুন:

সূরা Nisa mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Nisa শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত নিসা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত নিসা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত নিসা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত নিসা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত নিসা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত নিসা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত নিসা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত নিসা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত নিসা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত নিসা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত নিসা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত নিসা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত নিসা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত নিসা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত নিসা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত নিসা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত নিসা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত নিসা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত নিসা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত নিসা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত নিসা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত নিসা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত নিসা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত নিসা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত নিসা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, May 19, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب