কোরান সূরা আনআম আয়াত 158 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Anam ayat 158 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আনআম আয়াত 158 আরবি পাঠে(Anam).
  
   

﴿هَلْ يَنظُرُونَ إِلَّا أَن تَأْتِيَهُمُ الْمَلَائِكَةُ أَوْ يَأْتِيَ رَبُّكَ أَوْ يَأْتِيَ بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ ۗ يَوْمَ يَأْتِي بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ لَا يَنفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا لَمْ تَكُنْ آمَنَتْ مِن قَبْلُ أَوْ كَسَبَتْ فِي إِيمَانِهَا خَيْرًا ۗ قُلِ انتَظِرُوا إِنَّا مُنتَظِرُونَ﴾
[ الأنعام: 158]

তারা শুধু এ বিষয়ের দিকে চেয়ে আছে যে, তাদের কাছে ফেরেশতা আগমন করবে কিংবা আপনার পালনকর্তা আগমন করবেন অথবা আপনার পালনকর্তার কোন নির্দেশ আসবে। যেদিন আপনার পালনকর্তার কোন নিদর্শন আসবে, সেদিন এমন কোন ব্যক্তির বিশ্বাস স্থাপন তার জন্যে ফলপ্রসূ হবে না, যে পূর্ব থেকে বিশ্বাস স্থাপন করেনি কিংবা স্বীয় বিশ্বাস অনুযায়ী কোনরূপ সৎকর্ম করেনি। আপনি বলে দিনঃ তোমরা পথের দিকে চেয়ে থাক, আমরাও পথে দিকে তাকিয়ে রইলাম। [সূরা আনআম: 158]

Surah Al-Anam in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Anam ayat 158


তারা কি প্রতীক্ষা করছে পাছে ফিরিশ্‌তারা তাদের কাছে আসুক, অথবা তোমার প্রভু আসুন, অথবা তোমার প্রভুর কোনো কোনো নিদর্শন আসুক, তখন কোনো লোকেরই তার ঈমানে কোনো ফায়দা হবে না যে এর আগে বিশ্বাস স্থাপন করে নি, কিংবা যে তার ঈমানের দ্বারা কোনো কল্যাণ অর্জন করে নি। বলো -- ''তোমরা অপেক্ষা করো, আমরাও প্রতীক্ষাকারী।”


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৫৮. হে রাসূল! যারা আল্লাহর আয়াতগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে তারা কেবল মৃত্যুর ফিরিশতা ও তাঁর সহযোগীরা এসে দুনিয়াতে তাদের রূহগুলো কবয করে নেক অথবা পরকালে বিচারের দিন আপনার প্রভু তাদের মাঝে চ‚ড়ান্ত ফায়সালার জন্য এসে যাক কিংবা কিয়ামতের আলামত স্বরূপ আপনার প্রভুর পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন দ্রæত এসে যাক এমন কিছুরই অপেক্ষা করে মাত্র। বস্তুতঃ আপনার প্রভুর কোন নিদর্শন যদি এসে যায় যেমন: সূর্যাস্তের দিক থেকে সূর্য উঠা তখন কোন কাফিরের ঈমান তার উপকারে আসবে না। না কোন মু’মিনের আমল তার উপকারে আসবে। যে ইতিপূর্বে কোন কল্যাণকর কাজ করেনি। হে রাসূল! আপনি এ মিথ্যা প্রতিপন্নকারী মুশরিকদেরকে বলে দিন, তোমরা উক্ত বিষয়গুলোর কোন একটির অপেক্ষা করো; আর আমরাও আমাদের পরিণামের অপেক্ষা করছি।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তারা কি এরই প্রতীক্ষা করে যে, তাদের নিকট ফিরিশতা আসবে কিংবা তোমার প্রতিপালক আসবেন কিংবা তোমার প্রতিপালকের কিছু নিদর্শন আসবে?[১] যেদিন তোমার প্রতিপালকের কিছু নিদর্শন আসবে, সেদিন সে ব্যক্তির বিশ্বাস কোন কাজে আসবে না, যে ব্যক্তি পূর্বে বিশ্বাস স্থাপন করেনি[২] কিংবা স্বীয় বিশ্বাস সহ কল্যাণ অর্জন ( সৎকর্ম ) করেনি।[৩] বল, ‘তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমরাও প্রতীক্ষা করছি।’ [৪] [১] কুরআন কারীম অবতীর্ণ করে এবং মুহাম্মাদ ( সাঃ )-কে রসূল হিসাবে প্রেরণ করে আমি হুজ্জত ( অকাট্য প্রমাণ ) কায়েম করে দিয়েছি। এখনও যদি তারা ভ্রষ্টতা থেকে ফিরে না আসে, তবে কি তারা এই অপেক্ষায় আছে যে, তাদের কাছে ফিরিশতা আসুক, অর্থাৎ, তাদের জান কবজ করার জন্য, তখন তারা ঈমান আনবে? অথবা তোমার প্রতিপালক তাদের কাছে আসুক অর্থাৎ, কিয়ামত সংঘটিত হোক এবং তাদেরকে আল্লাহর সামনে হাজির করা হোক, তখন তারা ঈমান আনবে? কিংবা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে কোন বৃহৎ নিদর্শন আসুক, যেমন কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার পূর্বে সূর্যের পশ্চিম দিক থেকে উদয় হওয়া, এই ধরনের বড় নিদর্শন দেখে তারা ঈমান আনবে? পরের বাক্যে এ কথা পরিষ্কার করে দেওয়া হচ্ছে যে, যদি তারা এই অপেক্ষায় থেকে থাকে, তাহলে তারা বিরাট মূর্খতা প্রদর্শন করছে। কেননা, মহা নিদর্শন প্রকাশ হওয়ার পর কাফেরের ঈমান এবং পাপী ও অবাধ্যজনদের তওবা কবুল করা হবে না। সহীহ হাদীসে নবী করীম ( সাঃ ) বলেছেন, " ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সূর্য ( পূর্ব দিকের পরিবর্তে ) পশ্চিম দিক হতে উদয় হবে। আর যখন এ রকম হবে এবং মানুষ তাকে পশ্চিম দিক থেকে উদিত হতে দেখবে, তখন সকলে ঈমান নিয়ে আসবে। " অতঃপর তিনি ( সাঃ ) এই আয়াত তেলাঅত করলেন, {لا يَنْفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا لَمْ تَكُنْ آمَنَتْ مِنْ قَبْلُ} অর্থাৎ, তখন ঈমান আনা কারো উপকারে আসবে না, যে পূর্ব থেকে ঈমান আনেনি। ( বুখারী, তাফসীর সূরা আনআম )[২] অর্থাৎ, কাফেরের ঈমান ফলপ্রসূ অর্থাৎ, গৃহীত হবে না।[৩] এর অর্থ হল, কোন পাপী মু'মিন পাপসমূহ থেকে তওবা করলে তখন তার তওবা কবুল করা হবে না এবং এরপর নেক আমলও গৃহীত হবে না। যেমন, বহু হাদীস দ্বারাও এ কথা প্রমাণিত।[৪] এটা তাদের জন্য ধমক, যারা ঈমান আনে না এবং তওবা করে না। এই বিষয়টি কুরআন কারীমের সূরা মুহাম্মাদের ৪৭:১৮ এবং সূরা মু'মিনের ৪০:৮৪-৮৫ নং আয়াতেও বর্ণিত হয়েছে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তারা শুধু এরই তো প্রতীক্ষা করে যে, তাদের কাছে ফিরিশতা আসবে, কিংবা আপনার রব আসবেন, কিংবা আপনার রব-এর কোন নিদর্শন আসবে []? যেদিন আপনার রব - এর কোন নিদর্শন আসবে সেদিন তার ঈমান কোন কাজে আসবে না, যে পূর্বে ঈমান আনেনি [] অথবা যে ব্যাক্তি ঈমানের মাধ্যমে কল্যাণ লাভ করেনি []। বলুন, ‘তোমরা প্রতীক্ষা কর , আমরাও প্রতীক্ষায় রইলাম।’ [] সূরা আল-আন’আমের অধিকাংশই মক্কাবাসী ও আরব-মুশরিকদের বিশ্বাস ও ক্রিয়া-কর্মের সংস্কার এবং তাদের সন্দেহ ও প্রশ্নের জবাবে নাযিল হয়েছে। গোটা সূরায় এবং বিশেষভাবে পূর্ববতী আয়াতসমূহে মক্কা ও আরবের অধিবাসীদের সামনে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে যে, হে কাফের সম্প্রদায়! তোমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মু'জিযা ও প্রমাণাদি দেখে নিয়েছ, তার সম্পর্কে পূর্ববর্তী গ্রন্থ ও নবীগণের ভবিষ্যদ্বাণীও শুনে নিয়েছ এবং একজন নিরক্ষরের মুখ থেকে কুরআনের সুস্পষ্ট আয়াত শোনার মু'জিযাটিও লক্ষ্য করেছ। এখন ন্যায় ও সত্য সমুদয় পথ তোমাদের সামনে উন্মুক্ত হয়ে গেছে। অতএব, ঈমান আনার জন্য আর কিসের অপেক্ষা? এ বিষয়টি আলোচ্য আয়াতে অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ভঙ্গিতে বলা হয়েছেঃ তারা কি বিশ্বাস স্থাপনের ব্যাপারে এ জন্য অপেক্ষা করছে যে, মৃত্যুর ফিরিশতা তাদের কাছে পৌঁছবে। না কি হাশরের ময়দানের জন্য অপেক্ষা করছে, যেখানে প্রতিদান ও শাস্তির ফয়সালা করার জন্য আল্লাহ তা'আলা স্বয়ং আগমন করবেন অথবা কেয়ামতের কোন একটি সর্বশেষ নিদর্শন দেখে নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে? বিচার-ফয়সালার জন্য কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহ্‌ তা’আলার উপস্থিতি কুরআনুল কারীমের একাধিক আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহ্ তাআলা কিভাবে এবং কি অবস্থায় উপস্থিত হবেন, তা মানবজ্ঞান পুরোপুরি হৃদয়ঙ্গম করতে অক্ষম। তাই এ ধরণের আয়াত সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরাম ও পূর্ববতী মনীষীবৃন্দের অভিমত এই যে, কুরআনে যা উল্লেখ করা হয়েছে, তাই বিশ্বাস করতে হবে। উদাহরণতঃ এ আয়াতে বিশ্বাস করতে হবে যে, আল্লাহ তা'আলা কেয়ামতের ময়দানে প্রতিদান ও শাস্তির মীমাংসা করার জন্য উপস্থিত হবেন। তবে কিভাবে উপস্থিত হবেন, এ আলোচনা নিষিদ্ধ। কোন কোন আয়াতে এসেছে যে, আল্লাহর সাথে ফেরেশতাগণও কাতারে কাতারে উপস্থিত হবেন। “ আর যখন আপনার রব আগমন করবেন ও সারিবদ্ধভাবে ফেরেশতাগণও” [ আল-ফাজর:২২ ] আবার কোথাও এসেছে যে, আল্লাহ্ তা'আলা মেঘের ছায়া সমেত উপস্থিত হবেন । “ তারা কি শুধু এর প্রতীক্ষায় রয়েছে যে, আল্লাহ ও ফেরেশতাগণ মেঘের ছায়ায় তাদের কাছে উপস্থিত হবেন" [ সূরা আল-বাকারাহ ২১০ ] এসবগুলোই সত্য । এগুলোর উপর ঈমান আনয়ন করা ফরয। তবে কোন প্রকার সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি নির্ধারণ করা যাবে না। [ আদওয়াউল বায়ান ] [] এতে হুঁশিয়ার করা হয়েছে যে, আল্লাহ তা'আলার কোন কোন নিদর্শন প্রকাশিত হওয়ার পর তাওবার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। যে ব্যক্তি ইতোপূর্বে বিশ্বাস স্থাপন করেনি, তখন বিশ্বাস স্থাপন করলে তা কবুল করা হবে না এবং যে ব্যক্তি পূর্বেই বিশ্বাস স্থাপন করেছে; কিন্তু কোন সৎকর্ম করেনি, সে তখন তওবা করে ভবিষ্যতে সৎকর্ম করার ইচ্ছা করলে তার তাওবাও কবুল করা হবে না। মোটকথা, কাফের স্বীয় কুফর থেকে এবং পাপাচারী স্বীয় পাপাচার থেকে যদি তখন তাওবা করতে চায়, তবে তা কবুল হবে না। কারণ, বিশ্বাস স্থাপন ও তাওবা যতক্ষণ মানুষের ইচ্ছাধীন থাকে, ততক্ষণই তা কবুল হতে পারে। আল্লাহর শাস্তি ও আখেরাতের স্বরূপ ফুটে উঠার পর প্রত্যেক মানুষ বিশ্বাস স্থাপন ও তাওবা করতে আপনা থেকেই বাধ্য হবে। বলাবাহুল্য, এরূপ ঈমান ও তাওবা গ্রহণযোগ্য নয়। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যখন কেয়ামতের সর্বশেষ নিদর্শনটি প্রকাশিত হবে, অর্থাৎ সূর্য পূর্বদিকের পরিবর্তে পশ্চিম দিক থেকে উদয় হবে, তখন এ নিদর্শনটি দেখা মাত্রই সারা বিশ্বের মানুষ ঈমানের কালেমা পাঠ করতে শুরু করবে এবং সব অবাধ্য লোকও অনুগত হয়ে যাবে। কিন্তু তখনকার ঈমান ও তাওবা গ্রহণীয় হবে না। [ বুখারীঃ ৪৬৩৬ ] এ আয়াত থেকে এ কথা জানা গেল যে, কেয়ামতের কোন কোন নিদর্শন প্রকাশিত হওয়ার পর তাওবার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আর কোন কাফের কিংবা ফাসেকের তাওবা কবুল হবে না। হুযায়ফা ইবনে আসীদ রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, একবার সাহাবায়ে কেরাম পরস্পর কেয়ামতের লক্ষণাদি সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে উপস্থিত হয়ে বললেনঃ ‘দশটি নিদর্শন না দেখা পর্যন্ত কেয়ামত হবে না( এক ) পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয়, ( দুই ) বিশেষ এক প্রকার ধোঁয়া, ( তিন ) দাব্বাতুল-আরদ, ( চার ) ইয়াজুয-মাজুযের আবির্ভাব, ( পাঁচ ) ঈসা 'আলাইহিস সালাম-এর অবতরণ, ( ছয় ) দাজ্জালের অভ্যুদয়, ( সাত, আট, নয় ) প্রাচ্য, প্রাশ্চাত্য ও আরব উপদ্বীপ-এ তিন জায়গায় মাটি ধ্বসে যাওয়া এবং ( দশ ) আদনগর্ত থেকে একটি আগুন বের হয়ে মানুষকে সামনের দিকে হাকিয়ে নিয়ে যাওয়া’। [ মুসলিমঃ ২৯০১ ] ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর রেওয়ায়েতক্রমে বর্ণিত এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘এসব নিদর্শনের মধ্যে সর্বপ্রথম নিদর্শনটি হলো পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় ও দাব্বাতুল-আরদের আবির্ভাব’। [ মুসলিমঃ ২৯৪১ ] [] সুদ্দী বলেন, ‘তারা ঈমান আনার পরে কোন কল্যাণকর কাজ তথা সৎকাজ করেনি।‘ এটা দ্বারা সেসব কিবলার অনুসারী মুমিন লোকদের বোঝানো হয়েছে যারা ঈমান এনেছে সত্য কিন্তু কোন সৎকাজ করে নি। যখনই তারা আল্লাহর কোন বৃহৎ নিদর্শন পশ্চিম দিকে সূর্য উদিত হওয়া- দেখবে, তখনই সৎকাজের জন্য তৎপর হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের তখনকার আমল কোন কাজে আসবে না। কিন্তু যদি তারা এ নিদর্শন দেখার পূর্বে সৎকাজ করে থাকে, তবে এ নিদর্শন দেখার পরে সৎকাজ করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে।’ [ তাবারী ]।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


রাসূল ( সঃ )-এর বিরুদ্ধাচরণ কারীদেরকে ও কাফিরদেরকে হুমকি দেয়া হচ্ছে- তোমরা তো শুধু এরই অপেক্ষা করছো যে, তোমাদের কাছে ফেরেশতারা এসে যাবে কিংবা স্বয়ং তোমাদের প্রতিপালক এসে যাবেন, এটা কিয়ামতের দিন অবশ্যই হবে, অথবা আল্লাহর কোন কোন নিদর্শন তোমাদের কাছে প্রকাশ হয়ে পড়বে! তাহলে যখন ঐ নিদর্শনগুলো প্রকাশ হয়ে পড়বে তখন কারো ঈমান আনয়ন তার কোন উপকারে আসবে না। আর এটা কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে কিয়ামতের আলামত হিসেবে অবশ্যই প্রকাশ পাবে। যেমন ইমাম বুখারী ( রঃ ) এই আয়াতের তাফসীরে হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত না পশ্চিম দিক হতে সূর্য উদিত হবে । আর যখন লোকেরা এ অবস্থা অবলোকন করবে তখন সারা দুনিয়াবাসীর এটার প্রতি বিশ্বাস হয়ে যাবে এবং তারা ঈমান আনয়ন করবে। আর যদি পূর্বে ঈমান না এনে থাকে তবে তখনকার ঈমান আনয়নে কোনই ফল হবে না।” অতঃপর তিনি এই আয়াতটি পাঠ করেন। ( এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ ) হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে কয়েকটি পন্থায় তাখরীজ করেছেন)আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যদি তিনটি জিনিস প্রকাশ হয়ে পড়ে তবে ওগুলো প্রকাশ পাওয়ার পূর্বে কেউ ঈমান এনে না থাকলে তখন ঈমান আনয়ন বিফল হবে এবং পূর্বে ভাল কাজ করে না থাকলে তখন ভাল কাজ করে কোনই লাভ হবে না । প্রথম নিদর্শন হচ্ছে পূর্ব দিকের স্থলে পশ্চিম দিক হতে সূর্য উদিত হওয়া। দ্বিতীয় নিদর্শন হচ্ছে দাজ্জালের আবির্ভাব এবং তৃতীয় নিদর্শন হচ্ছে দাব্বাতুল আরদের প্রকাশ।” হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত না সূর্য পশ্চিম দিক হতে উদিত হবে । অতঃপর যখন সূর্য পশ্চিম দিক হতে উদিত হবে তখন সমস্ত লোক ঈমান আনবে। ওটা এমন এক সময় যখন এমন ব্যক্তির ঈমান আনয়ন কোন উপকারে আসবে না যে ব্যক্তি ওর পূর্বে ঈমান আনেনি।” ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণনা করেছেন)আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যে ব্যক্তি সূর্য পশ্চিম দিকে উদিত হওয়ার পূর্বেই তাওবা করবে তার তাওবা কবুল হবে, এর পরে আর তাওবা কবুল হবে না ।( বিশুদ্ধ ছ’খানা হাদীস গ্রন্থের একখানা ছাড়া সবগুলোর মধ্যেই এ হাদীসটি রয়েছে )হযরত আবু যার আল গিফারী ( রাঃ ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) আমাকে বললেনঃ “ সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর কোথায় যায় তা তুমি জান কি?” আমি বললাম, না, আমি জানি না । তিনি বললেনঃ “ ওটা আরশের সামনে পৌছে এবং সিজদায় পড়ে যায় । তারপর উঠে পড়ে, শেষ পর্যন্ত ওকে বলা হয়-ফিরে যাও। হে আবু যার ( রাঃ )! ঐদিন নিকটবর্তী যেই দিন ওকে বলা হবে-তুমি যেখান থেকে এসেছে সেখানেই ফিরে যাও। ওটা এমনই এক দিন, যেই দিন ঐ ব্যক্তির ঈমান আনয়নে কোনই উপকার হবে না যে ব্যক্তি ওর পূর্বে ঈমান আনেনি।” ( এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ ) ও ইমাম মুসলিম ( রঃ ) আবু যর গিফারী ( রাঃ ) হতে তাখরীজ করেছেন)অপর একটি হাদীস- হুযাইফা ইবনে উসায়েদ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) কক্ষ থেকে বের হয়ে আমাদের কাছে আসলেন, সেই সময় আমরা কিয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। অতঃপর তিনি বললেনঃ “ কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত না তোমরা দশটি নিদর্শন অবলোকন করবে । ( সেগুলো হচ্ছে ) পশ্চিম দিক হতে সূর্য উদিত হওয়া, ধোয়া ওঠা, দাব্বাতুল আরদের আবির্ভাব হওয়া, ইয়াজু মাজুযের আত্মপ্রকাশ ঘটা, ঈসা ইবনে মারইয়াম ( আঃ )-এর আগমন হওয়া, দাজ্জাল বের হওয়া, তিনটি ভূমিকম্প হওয়া বা যমীন ধ্বসে যাওয়া, একটি পূর্ব দিকে, একটি পশ্চিম দিকে এবং একটি আরব উপদ্বীপে, আদনে এক আগুন প্রকাশিত হওয়া যার কারণে মানুষ দৌড়িয়ে পালাতে থাকবে, তারা রাত্রে কোন জায়গায় ঘুমাতে চাইলে সেখানেও ঐ আগুন বিদ্যমান, আবার দিনে কোন স্থানে শুইতে চাইলে সেখানেও ঐ আগুন হাজির।” ( ইমাম আহমাদ (রঃ ) ও আসহাবুস সুনানিল আরবা' এটাকে তাখরীজ করেছেন এবং ইমাম তিরমিযী ( রঃ ) এটাকে হাসান সহীহ বলেছেন)হযরত হুযাইফা ( রাঃ ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে জিজ্ঞেস করলামহে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হওয়ার নিদর্শন কি? তিনি উত্তরে বললেনঃ “ সেই দিন রাত্রি এতো দীর্ঘ হবে যে, দুটি রাত্রির সমান অনুভূত হবে । রাত্রে যারা নামায পড়ে তারা জেগে উঠবে এবং যেভাবে তাহাজ্জুদের নামায পড়ে থাকে সেভাবেই পড়বে। তারকাগুলোকে স্ব স্ব স্থানে প্রতিষ্ঠিত দেখা যাবে, অস্ত যাবে না। এ লোকগুলো নামায শেষ করে ঘুমিয়ে পড়বে। পুনরায় জেগে উঠবে এবং নামায পড়বে। আবার শুয়ে যাবে এবং পুনরায় জেগে উঠবে ও নামায পড়বে। শুয়ে শুয়ে তাদের পার্শ্বদেশ অনড় হয়ে যাবে। রাত্রি এতো দীর্ঘ হয়ে যাবে যে, মানুষ হতভম্ব হয়ে পড়বে, সকাল হবে না। তারা অপেক্ষমান থাকবে যে, সূর্য পূর্ব দিক থেকেই উদিত হবে। অকস্মাৎ ওটাকে পশ্চিম দিক থেকে উদিত হতে দেখা যাবে। তখন ঈমান আনয়নে কোনই উপকার হবে না।" ( ইবনে মিরদুওয়াই (রঃ ) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এই ঢঙ্গে ছ'খানা সহীহ হাদীস গ্রন্থের কোন একটাতেও বিদ্যমান নেই)অপর একটি হাদীস সাফওয়ান ইবনে উসসাল ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে বলতে শুনেছি- আল্লাহ তা'আলা পশ্চিম দিকে একটি দরযা খুলে রেখেছেন যার প্রস্থ সত্তর বছরের পথ । এটা তাওবার দর। সূর্য বিপরীত দিক থেকে উদিত হওয়ার পূর্বে এটা বন্ধ করা হবে না।” ( ইমাম তিরমিযী (রঃ ) এটা বর্ণনা করেছেন এবং নাসাঈ ( রঃ ) ও ইবনে মাজাহ ( রঃ ) এটাকে বিশুদ্ধ বলেছেন)অপর একটি হাদীসঃ “ একটি রাত্রি লোকদের উপর এমন আসবে যা তিন রাত্রির সমান হবে । যখন এরূপ ঘটবে তখন যারা তাহাজ্জুদের নামায পড়ে থাকে তারা এর পরিচয় পেয়ে যাবে। সুতরাং তারা নফল নামায পড়বে, তারপর শুয়ে যাবে, আবার উঠবে, আবার নামায পড়বে। তারা এরূপ বারবার করতে থাকবে এমন সময় হঠাৎ শোরগোল উঠবে। লোকেরা চীৎকার করতে থাকবে এবং ভয়ে মসজিদের দিকে দৌড়িয়ে যাবে। কেননা সূর্য সে সময় পশ্চিম দিক হতে উদিত অবস্থায় রইবে । এখন ওটা আকাশের মধ্যস্থলে এসে আবার পশ্চিম দিকে ফিরে যাবে। এরপরে যথা নিয়মে পূর্ব দিক থেকেই উদিত হতে থাকেবে। ঐ সময় ঈমান আনয়ন বিফল হবে।” ( এ হাদীসটি গারীব এবং ছ’খানা সহীহ হাদীস গ্রন্থের কোনটাতেই নেই )অপর একটি হাদীসঃ তিনজন মুসলমান মদীনায় মারওয়ানের নিকট উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি কিয়ামতের নিদর্শনাবলীর আলোচনা করতে গিয়ে বলছিলেন যে, দাজ্জাল বের হওয়া কিয়ামতের একটি আলামত। অতঃপর লোকগুলো হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার ( রাঃ )-এর কাছে আগমন করেন এবং মারওয়ানের কাছে যা শুনেছিলেন তা তার কাছে বর্ণনা করেন। তিনি তখন বললেনঃ “ মারওয়ান তো কিছুই বলেননি । আমি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর নিকট থেকে যা শুনে স্মরণ করে রেখেছি তাই তোমাদেরকে শুনাচ্ছি। প্রথম নিদর্শন এই যে, সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হবে। তারপর দাব্বাতুল আরদের আবির্ভাব অথবা কোন একটি প্রথমে এবং অন্যটি এরপরে প্রকাশ পাবে।”অপর একটি হাদীসঃ আমর ইবনুল আস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেন, যখন সূর্য পশ্চিম দিক হতে উদিত হবে তখন ইবলীস শয়তান সিজদায় পড়ে যাবে এবং চীৎকার করে বলবে-“ হে আমার প্রভু! এখন আপনি আমাকে যাকে সিজদা করার হুকুম করতেন তাকেই আমি সিজদা করতাম ।” তখন তার দেহরক্ষীরা তাকে বলবে, এসব অনুনয় বিনয় কেন? সে উত্তরে বলবে, আমি আল্লাহর কাছে আবেদন করেছিলাম, “ আমাকে ওয়াক্তে মা’ম পর্যন্ত অবসর দিন । আর আজকের দিনটিই হচ্ছে ওয়াক্তে মালুম।” তারপর দাব্বাতুল আরদ বের হবে। তার প্রথম পা রাখার স্থান হবে ইতাকিয়া। ইবলীস এসে তাকে চপেটাঘাত করবে। ( এ হাদীসটি গারীব। এর সনদ দুর্বল। সম্ভবতঃ ইবনুল আস (রাঃ ) ঐ যখীরা থেকে হাদীসটি গ্রহণ করে থাকবেন যা আবদুল্লাহ ইবনে উমার ( রাঃ ) ইয়ারমুকের যুদ্ধে পড়ে পেয়েছিলেন। আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে ভাল জানেন)ইবনু সা'দী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ হিজরত লুপ্ত হবে না ( বরং অব্যাহত থাকবে ) যে পর্যন্ত শত্রু যুদ্ধ করতে থাকবে ।” মুআবিয়া ( রাঃ ), আবদুর রহমান ইবনে আউফ ( রাঃ ) এবং আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ হিজরত দু’প্রকারের রয়েছে । একটি হচ্ছে খারাপ কাজ থেকে হিজরত করে ভাল কাজের দিকে ধাবিত হওয়া এবং অপরটি হচ্ছে আল্লাহ ও রাসূল ( সঃ )-এর দিকে হিজরত করা। আর এটা বাকী থাকবে যে পর্যন্ত না তাওবার দরযা বন্ধ হবে। সূর্য যখন পশ্চিম দিক থেকে উদিত হবে তখন প্রত্যেক লোকের অন্তরে মোহর লেগে যাবে। যা কিছু তার মধ্যে রয়েছে সেটাই থাকবে এবং যা কিছু আমল মানুষ করেছে ওটাই যথেষ্ট হয়েছে ( অর্থাৎ এর পরে কোন আমল করলে তা কোনই কাজে আসবে না )।” ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। ইবনে কাসীর ( রঃ ) বলেন, এ হদীসটির ইসনাদ উত্তম)হযরত ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, কিয়ামতের নিদর্শনগুলো সবই ঘটে গেছে, শুধুমাত্র চারটি নিদর্শন আসতে বাকী আছে। ( ১ ) পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হওয়া, ( ২ ) দাজ্জালের আবির্ভাব, ( ৩ ) দাব্বাতুল আরদ বের হওয়া এবং ( ৪ ) ইয়াজুজ মাজুজের আগমন । হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে একটি হাদীস মার’রূপে বর্ণিত আছে। হাদীসটি দীর্ঘ এবং গারীব। তা এই যে, ঐ দিন সূর্য ও চন্দ্র মিলিতভাবে পশ্চিম দিক থেকে উদিত হবে এবং অর্ধ আকাশ পর্যন্ত এসে পুনরায় ঐ দিকেই ফিরে যাবে। এ হাদীসটি মুনকার ও মাওযু'। কিন্তু এর মারফু হওয়ার দাবী করা হয়েছে। ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) এবং অহাব ইবনে মুনাব্বাহ ( রঃ ) পর্যন্ত এসে বর্ণনাকারীদের বিরতি হয়েছে। সুতরাং এটাকে সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দেয়া যায় না। আল্লাহ্ তা'আলাই সবচেয়ে ভাল জানেন।হযরত আয়েশা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, প্রথম আলামত প্রকাশ পাওয়া মাত্রই কিরামান কাতেবীনের কাজ শেষ হয়ে যাবে এবং দেহের আমলের উপর সাক্ষ্য প্রদানের সময় এসে যাবে। ওর পূর্বেই যারা ঈমানদার ছিল এবং ভাল কাজ করতো তারা বড়ই উপকৃত হবে। পক্ষান্তরে যার পূর্বে ভাল ছিল না, তারা তখন তাওবাহ করতে শুরু করবে। কিন্তু তখন তাওবাহ্ করে কি লাভ? ( আরবী ) এর ভাবার্থ এটাই। অর্থাৎ তখন আর ভাল কাজ কবুল করা হবে না যদি পূর্বে ভাল কাজ করে না থাকে। আল্লাহ পাক বলেনঃ “ হে নবী ( সঃ )! তুমি বলে দাও-তোমরা ঐ দিনের অপেক্ষা কর, আমিও অপেক্ষা করছি ।” এটা কাফিরদের প্রতি কঠিন ভৎসনা, যারা ঈমান ও তাওবাহ থেকে উদাসীন রয়েছে, শেষ পর্যন্ত ঐ সময় এসে গেছে। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ “ এরা শুধু কিয়ামতের সময়ের অপেক্ষা করছে, যেন তা তাদের কাছে হঠাৎ এসে পড়ে, অবশ্যই এর নিদর্শনগুলো তো এসেই পড়েছে, সুতরাং যখন তা সংঘটিত হয়েই যাবে তখন তাদের বুঝবার সুযোগ থাকবে কোথায়?” ইরশাদ হচ্ছে-যখন তারা আমার শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে তখন বলবে আমরা একক আল্লাহর উপর ঈমান আনলাম এবং শরীকদেরকে অস্বীকার করলাম, কিন্তু শাস্তি দেখার পর ঈমানের এসব কথা বাজে ও ভিত্তিহীন ।

সূরা আনআম আয়াত 158 সূরা

هل ينظرون إلا أن تأتيهم الملائكة أو يأتي ربك أو يأتي بعض آيات ربك يوم يأتي بعض آيات ربك لا ينفع نفسا إيمانها لم تكن آمنت من قبل أو كسبت في إيمانها خيرا قل انتظروا إنا منتظرون

سورة: الأنعام - آية: ( 158 )  - جزء: ( 8 )  -  صفحة: ( 150 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন। তাদের
  2. নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব তাঁরই। সবকিছু তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করবে।
  3. তাদের অন্তরে যা কিছু দুঃখ ছিল, আমি তা বের করে দেব। তাদের তলদেশ দিয়ে নির্ঝরণী
  4. এবং তোমাদের সেবায় নিয়োজিত করেছেন সূর্যকে এবং চন্দ্রকে সর্বদা এক নিয়মে এবং রাত্রি ও দিবাকে
  5. তারা আরও বলেছে, আমরা ধনে-জনে সমৃদ্ধ, সুতরাং আমরা শাস্তিপ্রাপ্ত হব না।
  6. আপনার পালনকর্তা ক্ষমাশীল, দয়ালু, যদি তিনি তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের জন্যে পাকড়াও করেন তবে তাদের শাস্তি
  7. (বিপথগামী ওরাই) যারা আল্লাহর সঙ্গে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে এবং আল্লাহ পাক যা
  8. এখন বোঝা হালকা করে দিয়েছেন আল্লাহ তা’আলা তোমাদের উপর এবং তিনি জেনে নিয়েছেন যে, তোমাদের
  9. যেন তাঁরা কোনদিনই সেখানে ছিল না। জেনে রাখ, নিশ্চয় সামুদ জাতি তাদের পালনকর্তার প্রতি অস্বীকার
  10. তথায় থাকবে প্রবাহিত ঝরণা।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আনআম ডাউনলোড করুন:

সূরা Anam mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Anam শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আনআম  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আনআম  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আনআম  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আনআম  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আনআম  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আনআম  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আনআম  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আনআম  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আনআম  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আনআম  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আনআম  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আনআম  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আনআম  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আনআম  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আনআম  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আনআম  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আনআম  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আনআম  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আনআম  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আনআম  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আনআম  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আনআম  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আনআম  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আনআম  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আনআম  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers