কোরান সূরা কাহ্ফ আয়াত 17 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Kahf ayat 17 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা কাহ্ফ আয়াত 17 আরবি পাঠে(Kahf).
  
   

﴿۞ وَتَرَى الشَّمْسَ إِذَا طَلَعَت تَّزَاوَرُ عَن كَهْفِهِمْ ذَاتَ الْيَمِينِ وَإِذَا غَرَبَت تَّقْرِضُهُمْ ذَاتَ الشِّمَالِ وَهُمْ فِي فَجْوَةٍ مِّنْهُ ۚ ذَٰلِكَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ ۗ مَن يَهْدِ اللَّهُ فَهُوَ الْمُهْتَدِ ۖ وَمَن يُضْلِلْ فَلَن تَجِدَ لَهُ وَلِيًّا مُّرْشِدًا﴾
[ الكهف: 17]

তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বামদিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম। আল্লাহ যাকে সৎপথে চালান, সেই সৎপথ প্রাপ্ত এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, আপনি কখনও তার জন্যে পথপ্রদর্শনকারী ও সাহায্যকারী পাবেন না। [সূরা কাহ্ফ: 17]

Surah Al-Kahf in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Kahf ayat 17


আর সূর্য যখন উদয় হত তখন তুমি দেখতে পেতে তাদের গুহা থেকে ডান দিকে হেলে আছে, আর যখন অস্ত যেত তখন বাম পাশ দিয়ে তাদের অতিক্রম করছে, আর তারা এর এক বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে রয়েছিল। এটি ছিল আল্লাহ্‌র নিদর্শনগুলোর অন্যতম। যাকে আল্লাহ্ সৎপথে চালান সেই তবে সৎপথে চালিত, আর যাকে তিনি পথভ্রষ্ট হতে দেন তার জন্যে তুমি তবে কোনো পথ প্রদর্শনকারী অভিভাবক পাবে না।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৭. ফলে তাদেরকে যা আদেশ করা হয়েছে তারা তা মেনে নিয়েছে এবং আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর ঘুম ঢেলে দিয়েছেন। উপরন্তু তাদেরকে শত্রæ থেকে রক্ষা করেছেন। হে প্রত্যক্ষদর্শী! তুমি দেখবে সূর্য যখন পূর্ব দিক থেকে উঠে তখন তা গুহা থেকে প্রবেশকারীর একটু ডানে হেলে যায়। আর ডুবার সময় তা প্রবেশকারীর একটু বাঁয়ে মোড় নেয়। ফলে তাদের গায়ে কখনো তা লাগে না। তারা সর্বদা ছায়াতে অবস্থান করে। সূর্যের তাপ কখনোই তাদেরকে কষ্ট দেয় না। তারা গুহার এক প্রশস্ত জায়গায় অবস্থান করছে। ফলে তাদের গায়ে প্রয়োজনীয় পরিমাণ হাওয়া লাগে। এ গুহায় আশ্রয় গ্রহণ, তাদের উপর ঘুম ঢেলে দেয়া, তাদের উপর থেকে সূর্য হেলে যাওয়া, তাদের থাকার স্থান প্রশস্ত হওয়া ও তাদের সম্প্রদায় থেকে তাদেরকে রক্ষা করা আল্লাহর সৃষ্ট এক প্রকার আশ্চর্য ব্যাপার। যা মূলতঃ তাঁর অসীম ক্ষমতাকেই প্রমাণ করে। বস্তুতঃ যাকে আল্লাহ তা‘আলা হিদায়েতের পথের তাওফীক দিবেন সেই সত্যিকারার্থে হিদায়েতপ্রাপ্ত। আর যাকে তিনি লাঞ্ছিত ও পথভ্রষ্ট করবেন তার জন্য হে রাসূল! আপনি কোন সাহায্যকারী পাবেন না। যে তাকে হিদায়েতের পথ দেখাবে ও তা লাভের ব্যবস্থা করবে। কারণ, হিদায়েত তো একমাত্র আল্লাহরই হাতে। আর কারো হাতে নয়।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তোমরা যখন তাদের ও তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের উপাসনা করে তাদের সংস্পর্শ হতে বিচ্ছিন্ন হলে, তখন তোমরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ কর;[১] তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্য তাঁর দয়া বিস্তার করবেন এবং তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজকর্মকে ফলপ্রসূ করবার ব্যবস্থা করবেন।’ [১] অর্থাৎ, তোমরা যখন তোমাদের জাতির বাতিল উপাস্যসমূহ থেকে ( মানসিকভাবে ) পৃথক হয়েছ, তখন এবার দৈহিকভাবেও তাদের নিকট থেকে পৃথক হয়ে যাও। এ কথা গুহার অধিবাসীরা আপোসে বলল। তাই তারা এরপর এক গুহায় গিয়ে আত্মগোপন করল। এদিকে যখন তাদের নিখোঁজ হওয়ার কথা প্রচার হয়ে গেল, তখন তাদের খোঁজ করা হল। কিন্তু তারা ঐরূপ ব্যর্থ হল, যেরূপ নবী ( সাঃ )-এর খোঁজে মক্কার কাফেররা সেই 'সওর গুহা' পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া সত্ত্বেও তাঁর সন্ধান পেতে ব্যর্থ হয়েছিল, যেখানে তিনি ( সাঃ ) আবূ বাকর সহ লুকিয়ে ছিলেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর আপনি দেখতে পেতেন- সূর্য উদয়ের সময় তাদের গুহার ডান পাশে হেলে যায় এবং অস্ত যাওয়ার সময় তাদেরকে অতিক্রম করে বাম পাশ দিয়ে [] , অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে, এ সবই আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে অন্যতম। আল্লাহ্ যাকে সৎপথে পরিচালিত করেন , সে সৎপথপ্রাপ্ত এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, আপনি কখনো তার জন্য কোন পথনির্দেশকারী অভিভাবক পাবেন না। [] আয়াতের অর্থ বর্ণনায় দু'টি মত রয়েছে। এক, তারা গুহার এক কোনে এমনভাবে আছে যে, সেখানে সূর্যের আলো পৌঁছে না। স্বাভাবিক আড়াল তাদেরকে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করছে। কারণ, তাদের গুহার মুখ ছিল উত্তর দিকে। এ কারণে সূর্যের আলো কোন মওসুমেই গুহার মধ্যে পৌঁছুতো না এবং বাহির থেকে কোন পথ অতিক্রমকারী দেখতে পেতো না গুহার মধ্যে কে আছে। দেখুন, ইবন কাসীর] দুই, তারা একটি প্রশস্ত চত্বরে অবস্থান করা সত্ত্বেও দিনের বেলার আলো সূর্যের উদয় বা অস্ত কোন অবস্থায়ই তাদের কাছে পৌছে না। কেননা, মহান আল্লাহ তাদের সম্মনার্থে এ অলৌকিক ব্যবস্থা করেছেন। প্রশস্ত স্থানে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে কোন বাধা না থাকলেও তিনি তার স্পেশাল ব্যবস্থাপনায় তাদেরকে সূর্যের আলোর তাপ থেকে রক্ষা করেছেন। এ অর্থের সপক্ষে প্রমাণ হলো এর পরে বর্ণিত মহান আল্লাহর বাণী: “ এটা তো আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম” । যদি স্বাভাবিক ব্যবস্থাপনা হতো তবে আল্লাহর নিদর্শন বলার প্রয়োজন ছিল না। [ ফাতহুল কাদীর ] ইবনে আব্বাস বলেন, সূর্যের আলো যদি তাদের গায়ে লাগত। তবে তাদের কাপড় ও শরীর পুড়ে যেতে পারত। [ ইবন কাসীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


এটা হচ্ছে ঐ বিষয়ের দলীল যে, ঐ গুহাটির মুখ ছিল উত্তর দিকে। সূর্য উদয়ের সময় ওর ডান দিকে রৌদ্রের ছায়া প্রবেশ করতো। সুতরাং দুপুরের সময় সেখানে রৌদ্র মোটেই থাকতো না। সূর্য উপরে উঠার সাথে সাথে এরূপ জায়গা হতে রৌদ্রের আলো কমে যায় এবং সূর্যাস্তের সময় তাদের গুহার দিকে ওর দরজার উত্তর দিক থেকে রৌদ্র প্রবেশ করে থাকে। জ্যোতিষ্ক বিদ্যায় পারদর্শী লোকেরা এটা খুব ভালভাবে বুঝতে পারেন, যাদের সূর্য, চন্দ্র ও তারকারাজির চলন গতি সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে। যদি গুহার দরজাটি পূর্ব মুখী হতো তবে সূর্যাস্তের সময় সেখানে রৌদ্র মোটেই যেতো না আর যদি কিবলামুখী হতো তবে সূর্যোদয়ের সময়ও সেখানে সূর্যের আলো পৌঁছতো না। এবং সূর্যাস্তের সময়ও না এবং সূর্যের ছায়া ডান বামেও ঝুঁকে পড়তো না আর যদি দরজাপশ্চিমমুখী হতো তবে তখনো সুর্যোদয়ের সময় ভিতরে সূর্যের আলো প্রবেশ করতো না, বরং সূর্য হেলে পড়ার পরে আলো ভিতরে প্রবেশ করতো। তারপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত বরবারই আলো থাকতো। সুতরাং আমরা যা বর্ণনা করলাম সঠিক কথা ওটাই। অতএব, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) ( আরবী ) এর অর্থ করেছেন ছেড়ে দেয়া ও পরিত্যাগ করা। মহামহিমান্বিত আল্লাহ আমাদেরকে এটা জানিয়ে দিলেন যাতে আমরা চিন্তা করি ও বুঝি। ঐ গুহাটি কোন শহরের কোন পাহাড়ে রয়েছে, তা তিনি বলে দেন নাই। কারণ, এটা জেনে আমাদের কোনই উপকার নাই। এর দ্বারা শরীয়তের কোন উদ্দেশ্যই লাভ হয় না। তবুও কোন কোন তাফসীরকার এ ব্যাপারে কষ্ট করেছেন। কেউ কেউ বলেন যে, ওটা ঈলার নিকটবর্তী জায়গায় অবস্থিত, কেউ বলেন যে, ওটা নীনওয়ার পাশে রয়েছে। কেউ বলেন যে, রোমের মধ্যে রয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেছেন যে, ওটা রয়েছে বালকাতে। ওটা যে কোথায় রয়েছে এর প্রকৃত জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ তাআলারই আছে। যদি এতে আমাদের কোন দ্বীনী বা মাযহাবী উপকার থাকতো তবে অবশ্যই তিনি তা আমাদেরকে তার নবীর ( সঃ ) মাধ্যমে জানিয়ে দিতেন। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যে যে কাজ ও জিনিস তোমাদেরকে জান্নাতের নিকটবর্তী ও জাহান্নাম হতে দূরে করে থাকে ওগুলির একটিও না ছেড়ে সবই আমি বর্ণনা করে দিয়েছি ।” সুতরাং আল্লাহ তাআলা ওর বিশেষ বর্ণনা করেছেন, কিন্তু ওর জায়গার উল্লেখ করেন নাই। তিনি বলেন যে, সূর্যোদয়ের সময় তাদের গুহা হতে ওটা ডানে-বামে ঝুঁকে পড়ে এবং সূর্যাস্তের সময় তাদেরকে বাম দিকে ছেড়ে দেয়। তারা প্রশস্ততার মধ্যে রয়েছে। সুতরাং তাদের উপর সূর্যের তাপ পোঁছে না। অন্যথায় তাদের দেহ ও কাপড় পুড়ে যেতো। এটা আল্লাহ তাআলার একটা নিদর্শন যে, তিনি তাদেরকে ঐগুহায় পৌঁছিয়েছেন, যেখানে তাদেরকে জীবিত রেখেছেন। সেখানে রৌদ্রও পৌঁছেছে, বাতাসও পৌঁছেছে এবং চন্দ্রালোকও প্রবেশ করেছে; যাতে তাদের নিদ্রার কোন ব্যাঘাত না ঘটে, না কোন ক্ষতি হয়। প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে এটাও একটা পূর্ণক্ষমতার নিদর্শন। ঐ একত্ববাদী যুবকদেরকে হিদায়াত স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই দান করেছিলেন। কারো ক্ষমতা ছিল না যে, তাদের পথভ্রষ্ট করে। পক্ষান্তরে তিনি যাদেরকে হিদায়াত দান করেন না, তাদেরকে হিদায়াত করার ক্ষমতা কারো নেই।

সূরা কাহ্ফ আয়াত 17 সূরা

وترى الشمس إذا طلعت تزاور عن كهفهم ذات اليمين وإذا غربت تقرضهم ذات الشمال وهم في فجوة منه ذلك من آيات الله من يهد الله فهو المهتد ومن يضلل فلن تجد له وليا مرشدا

سورة: الكهف - آية: ( 17 )  - جزء: ( 15 )  -  صفحة: ( 295 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. যে দিন আল্লাহ তাদেরকে ডেকে বলবেন, তোমরা রসূলগণকে কি জওয়াব দিয়েছিলে?
  2. সেদিন আমি আকাশকে গুটিয়ে নেব, যেমন গুটানো হয় লিখিত কাগজপত্র। যেভাবে আমি প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম,
  3. তাদেরই জন্য প্রতিদান হলো তাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হচ্ছে প্রস্রবণ যেখানে
  4. তোমাদের কারো যখন মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়, সে যদি কিছু ধন-সম্পদ ত্যাগ করে যায়, তবে
  5. হেদায়েত আসার পর এ প্রতীক্ষাই শুধু মানুষকে বিশ্বাস স্থাপন করতে এবং তাদের পালনকর্তার কাছে ক্ষমা
  6. তিনি তোমাদের উপর হারাম করেছেন, মৃত জীব, রক্ত, শুকর মাংস এবং সেসব জীব-জন্তু যা আল্লাহ
  7. বলা হবেঃ তোমরা যা করতে তার বিনিময়ে তৃপ্তির সাথে পানাহার কর।
  8. নিশ্চয় খোদাভীরুরা থাকবে জান্নাতে ও নেয়ামতে।
  9. অতঃপর তিনি এক উপায় অবলম্বন করলেন।
  10. তারা আল্লাহর বান্দাদের মধ্য থেকে আল্লাহর অংশ স্থির করেছে। বাস্তবিক মানুষ স্পষ্ট অকৃতজ্ঞ।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা কাহ্ফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Kahf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Kahf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers