কোরান সূরা সাফ্ফাত আয়াত 170 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Assaaffat ayat 170 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা সাফ্ফাত আয়াত 170 আরবি পাঠে(Assaaffat).
  
   

﴿فَكَفَرُوا بِهِ ۖ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ﴾
[ الصافات: 170]

বস্তুতঃ তারা এই কোরআনকে অস্বীকার করেছে। এখন শীঘ্রই তারা জেনে নিতে পারবে, [সূরা সাফ্ফাত: 170]

Surah As-Saaffat in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Assaaffat ayat 170


কিন্তু তারা এতে অবিশ্বাস পোষণ করে, কাজেই শীঘ্রই তারা জানতে পারবে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৬৭-১৭০. মক্কার মুশরিকরা বলে, যদি আমাদের নিকট পূর্বসূরীদের কোন কিতাব থাকতো যেমন: তাওরাত, তাহলে আমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে ইবাদাতকে খাঁটি করতাম। অথচ তারা নিজেদের দাবিতে মিথ্যাবাদী। কেননা, তাদের নিকট মুহাম্মদ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কর্তৃক কুরআন আনা সত্তে¡ও তারা তাঁকে অস্বীকার করেছে। ফলে তারা অচিরেই জানতে পারবে, কিয়ামত দিবসে তাদের উদ্দেশ্যে কেমন শাস্তি অপেক্ষমাণ রয়েছে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


কিন্তু ওরা তা ( কুরআন ) প্রত্যাখ্যান করল[১] এবং শীঘ্রই ওরা এর পরিণাম জানতে পারবে।[২] [১] অর্থাৎ, যখন তাদের মনের বাসনা অনুযায়ী নবী ( সাঃ ) পথপ্রদর্শক হিসাবে এসে গেলেন, কুরআন মাজীদও অবতীর্ণ করে দেওয়া হল, তখন তারা তাঁর প্রতি ঈমান না এনে তাঁকে অস্বীকার করে বসল! [২] এটা তাদের জন্য ধমক যে, এই অস্বীকারের কুফল অতি তাড়াতাড়ি তারা জানতে পারবে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


কিন্তু তারা কুরআনের সাথে কুফরী করল সুতরাং শীঘ্রই তারা জানতে পারবো []; [] অর্থাৎ তারা তাদের কাছে নাযিলকৃত কিতাব কুরআনের সাথে কুফরী করেছে। অচিরেই তারা এ কুফরীর পরিণাম জানতে পারবে। [ জালালাইন ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১৬১-১৭০ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা মুশরিকদেরকে জানাচ্ছেনঃ তোমাদের পথভ্রষ্টতা ও অংশীবাদী শিক্ষা শুধু তারাই গ্রহণ করবে যাদেরকে জাহান্নামের জন্যেই সৃষ্টি করা হয়েছে। যারা অন্তর থাকা সত্ত্বেও বুঝে না, চক্ষু থাকা সত্ত্বেও দেখে না এবং কান থাকা সত্ত্বেও শুনে না, তারা চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায়, বরং তার চেয়েও নিকৃষ্ট এবং তারা বেখেয়াল।” অপর জায়গায় বলা হয়েছেঃ “ তাতে তারাই পথভ্রষ্ট হয় যাদের বোধশক্তি রহিত ও যারা মিথ্যার বেশাতি চড়ায় ।”অতঃপর মহান আল্লাহ্ ফেরেশতাদের নিষ্কলুষিতা, তাদের আত্মসমর্পণ, ঈমানে সন্তুষ্টি এবং আনুগত্যের বর্ণনা দিচ্ছেন যে, তারা নিজেরাই বলেঃ আমাদের প্রত্যেকের জন্যেই নির্ধারিত স্থান রয়েছে এবং ইবাদতের জন্যে বিশেষ জায়গা আছে। সেখান থেকে আমরা সরতে পারি না বা কমবেশীও করতে পারি না।'হযরত সা'দ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ( সঃ ) একদা তাঁর সাথীদেরকে বলেনঃ “ আসমান চড় চড় শব্দ করছে এবং প্রকৃতপক্ষে ওর এরূপ শব্দ করাই উচিত । কেননা, ওর এমন কোন স্থান ফাকা নেই যেখানে ফেরেশতাদের কেউ না কেউ রুকূ' বা সিজদার অবস্থায় থাকেন না।” অতঃপর তিনি ( আরবী ) হতে ( আরবী ) পর্যন্ত আয়াত তিনটি তিলাওয়াত করেন। ( এ হাদীসটি ইবনে আসাকির (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আয়েশা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ( সঃ ) বলেছেনঃ “ দুনিয়ার আকাশে এমন কোন স্থান নেই যেখানে কোন ফেরেশতা সিজদারত বা দণ্ডায়মান অবস্থায় না রয়েছেন ।”হযরত কাতাদা ( রঃ ) বলেন যে, প্রথমে নারী-পুরুষ সবাই মিলে একত্রে নামায পড়তো। অতঃপর ( আরবী )-এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর পুরুষদেরকে সামনে বাড়িয়ে দেয়া হলো এবং নারীদেরকে পিছনে সরিয়ে দেয়া হলো।“ আমরা সব ফেরেশতা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আল্লাহর ইবাদত করে থাকি” এর বর্ণনা ( আরবী )-এর তাফসীরে গত হয়েছে ।অলীদ ইবনে আবদিল্লাহ ( রঃ ) বলেনঃ এই আয়াত নাযিল হওয়ার পূর্বে নামাযের সারি ছিল না। এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর সারিবদ্ধভাবে নামায পড়া শুরু হয়। হযরত উমার ( রাঃ ) ইকামতের পর মানুষের দিকে মুখ করে বলতেনঃ “ সারি ঠিক ও সোজা করে নাও এবং সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যাও । আল্লাহ তা'আলা ফেরেশতাদের মত তোমাদেরকেও সারিবদ্ধ দেখতে চান। যেমন তারা বলেনঃ “ আমরা তো সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান হই । হে অমুক! তুমি সামনে বেড়ে যাও এবং হে অমুক! তুমি পিছনে সরে যাও।” অতঃপর তিনি সম্মুখে অগ্রসর হয়ে নামায শুরু করতেন। ( এটা ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত হুযাইফা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সাঃ ) বলেছেনঃ “ তিনটি বিষয়ে আমাদেরকে লোকদের উপর ( অন্যান্য উম্মতের উপর ) ফযীলত বা মর্যাদা দান করা হয়েছে । যেমনঃ আমাদের ( নামাযের ) সারিসমূহ ফেরেশ্তাদের সারির ন্যায় করা হয়েছে, আমাদের জন্যে সমগ্র যমীনকে সিজদার স্থান বানানো হয়েছে এবং ওর মাটিকে আমাদের জন্যে পবিত্র করা হয়েছে।” ( এ হাদীসটি সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে )আল্লাহ্ পাক ফেরেশতাদের উক্তি উদ্ধৃত করেনঃ “ আমরা অবশ্যই আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণাকারী । আমরা তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করে থাকি। আমরা স্বীকার করি যে, তিনি সর্বপ্রকারের ক্ষয়-ক্ষতি হতে পবিত্র। আমরা সকল ফেরেশতা তাঁর আজ্ঞাবহ এবং তাঁর মুখাপেক্ষী। তাঁর সামনে আমরা আমাদের নম্রতা ও অপারগতা প্রকাশ করে থাকি।” এই তিনটি হলো ফেরেশতাদের বিশেষণ। কাতাদা ( রঃ ) বলেন যে, তাসবীহ্ পাঠের অর্থ হচ্ছে নামায আদায় করা। অন্য আয়াতে রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ কাফিররা বলেঃ আল্লাহর সন্তান রয়েছে, অথচ তিনি তা হতে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র, অবশ্য ফেরেশতারা তাঁর সম্মানিত বান্দা । তারা তাঁর আজ্ঞাবহ। তার হুকুমের উপর তারা আমল করে থাকে। তিনি তাদের সামনের ও পিছনের খবর রাখেন। তারা কারো জন্যে সুপারিশ করারও অধিকার রাখে না। তবে তিনি সম্মত হয়ে যাকে অনুমতি দেন সেটা স্বতন্ত্র কথা। তারা আল্লাহ্ ভয়ে সদা প্রকম্পিত থাকে। তাদের মধ্যে যারা আল্লাহ্ ছাড়া নিজেদেরকে ইবাদতের যোগ্য মনে করবে, আমি তাদেরকে জাহান্নামে প্রবিষ্ট করবো। এভাবেই আমি যালিম ও সীমালংঘন কারীদেরকে প্রতিফল দিয়ে থাকি।”( ২১:২৬-২৯ ) প্রবল প্রতাপান্বিত আল্লাহ্ বলেনঃ তারাই তো বলে এসেছে যে, পূর্ববর্তীদের কিতাবের মত যদি তাদের কোন কিতাব থাকতো তবে অবশ্যই তারা আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা হয়ে যেতো। যেমন অন্য আয়াতে রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ তারা খুব কঠিন শপথ করে করে বলতোঃ যদি আমাদের বিদ্যমানতায় আল্লাহর কোন নবী এসে পড়েন তবে আমরা তাঁর আনুগত্য স্বীকার করে নেবো এবং হিদায়াতের পথে সর্বাগ্রে দৌড়িয়ে যাবো। কিন্তু যখন আল্লাহর নবী এসে গেলেন তখন তাদের বিমুখতাই বৃদ্ধি পেলো।”( ৬:১০৯ ) এখানে বলা হয়েছে যে, যখন তাদের এ আকাঙ্ক্ষা পুরো করা হলো তখন তারা কুফরী করতে লাগলো। আল্লাহর সাথে কুফরী করা এবং নবী ( সঃ )-কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার পরিণতি কি তা তারা অতি সত্বরই জানতে পারবে।'

সূরা সাফ্ফাত আয়াত 170 সূরা

فكفروا به فسوف يعلمون

سورة: الصافات - آية: ( 170 )  - جزء: ( 23 )  -  صفحة: ( 452 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তোমরা সীমাতিক্রমকারী সম্প্রদায়-এ কারণে কি আমি তোমাদের কাছ থেকে কোরআন প্রত্যাহার করে নেব?
  2. তার মাতা, তার পিতা,
  3. ফেরাউন তার পরিষদবর্গকে বলল, তোমরা কি শুনছ না?
  4. আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর এবং
  5. এরূপ ক্ষেত্রে সব অধিকার সত্য আল্লাহর। তারই পুরস্কার উত্তম এবং তারই প্রদত্ত প্রতিদান শ্রেষ্ঠ।
  6. আল্লাহ তা’আলা তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দিবেন। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলার
  7. আর আমি নির্দেশ পাঠালাম মূসা এবং তার ভাইয়ের প্রতি যে, তোমরা তোমাদের জাতির জন্য মিসরের
  8. এতীমদেরকে তাদের সম্পদ বুঝিয়ে দাও। খারাপ মালামালের সাথে ভালো মালামালের অদল-বদল করো না। আর তাদের
  9. আল্লাহর দিকে একনিষ্ট হয়ে, তাঁর সাথে শরীক না করে; এবং যে কেউ আল্লাহর সাথে শরীক
  10. নাকি তারা একথা বলে যে, তিনি আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা করেছেন? আল্লাহ ইচ্ছা করলে আপনার

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা সাফ্ফাত ডাউনলোড করুন:

সূরা Assaaffat mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Assaaffat শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত সাফ্ফাত  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers