কোরান সূরা ইউসুফ আয়াত 18 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Yusuf ayat 18 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ইউসুফ আয়াত 18 আরবি পাঠে(Yusuf).
  
   

﴿وَجَاءُوا عَلَىٰ قَمِيصِهِ بِدَمٍ كَذِبٍ ۚ قَالَ بَلْ سَوَّلَتْ لَكُمْ أَنفُسُكُمْ أَمْرًا ۖ فَصَبْرٌ جَمِيلٌ ۖ وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ عَلَىٰ مَا تَصِفُونَ﴾
[ يوسف: 18]

এবং তারা তার জামায় কৃত্রিম রক্ত লাগিয়ে আনল। বললেনঃ এটা কখনই নয়; বরং তোমাদের মন তোমাদেরকে একটা কথা সাজিয়ে দিয়েছে। সুতরাং এখন ছবর করাই শ্রেয়। তোমরা যা বর্ণনা করছ, সে বিষয়ে একমাত্র আল্লাহই আমার সাহায্য স্থল। [সূরা ইউসুফ: 18]

Surah Yusuf in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Yusuf ayat 18


আর তারা এল তাঁর সার্টের উপরে ঝুটা রক্ত নিয়ে। তিনি বললেন -- ''না, তোমাদের অন্তর তোমাদের জন্য এই বিষয়টি উদ্ভাবন করেছে, কিন্তু ধৈর্যধারণই উত্তম। আর আল্লাহ্‌ই সাহায্য কামনার স্থল তোমরা যা বর্ণনা করছ সে-ক্ষেত্রে।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৮. তারা একটি বাহানা করে তাদের খবরটি নিশ্চিত করার জন্য ইউসুফের জামায় এমন রক্ত মিশিয়ে নিয়ে আসল যা আসলে তার রক্ত নয়। যেন তারা এ দ্বারা এমন ধারণা সৃষ্টি করতে পারে যে, এটি মূলতঃ তাকে বাঘে খেয়ে ফেলার আলামত। তবে ইয়াকূব ( আলাইস-সালাম ) এর বিচক্ষণতায় তাদের এ মিথ্যা ধরা পড়ে গেল যে, জামা তো ছেঁড়া নয়, তখন তিনি তাদেরকে বললেন: ব্যাপারটি তোমরা যেভাবে খবর দিচ্ছ তা নয়, বরং তোমাদের প্রবৃত্তি তোমাদেরকে একটি খারাপ কাহিনী বানাতে উদ্বুদ্ধ করেছে; তাই তোমরা তা বানিয়েছ। সুতরাং আমার কর্তব্য হল উত্তমরূপে ধৈর্যধারণ করা, যাতে কোন ধরনের অস্থিরতা থাকবে না। ইউসুফের ব্যাপারে তোমরা যা বর্ণনা করছ সে ক্ষেত্রে আল্লাহর কাছেই আমি সাহায্য প্রার্থনা করি।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আর তারা তার জামায় মিথ্যা রক্ত লেপন করে এনেছিল। সে বলল, ‘বরং তোমাদের মন তোমাদের জন্য একটি কাহিনী গড়ে নিয়েছে। সুতরাং আমার পক্ষে পূর্ণ ধৈর্যই শ্রেয়।[১] তোমরা যা বর্ণনা করছ সে বিষয়ে একমাত্র আল্লাহই আমার সাহায্যস্থল।’[২] [১] বলা হয় যে, তাঁরা একটি ছাগল ছানা যবেহ করে ইউসুফের জামায় রক্ত লেপন করে নেন এবং এ কথা তাঁরা ভুলে যান যে, যদি ইউসুফকে বাঘে খেয়ে ফেলত, তবে অবশ্যই তাঁর জামাও ছিঁড়ে যেত। কিন্তু জামা অক্ষত অবস্থায় ছিল। যা দেখে এবং তার উপর ইউসুফ ( আঃ )-এর স্বপ্ন এবং নিজ নবুঅতের জ্ঞান দ্বারা অনুমান করে ইয়াকূব ( আঃ ) বললেন, ঘটনা ঐরূপ ঘটেনি, যেরূপ তোমরা বর্ণনা করছ; বরং তোমরা নিজের মন থেকে সাজিয়ে এ কথা বলছ। সুতরাং যা হওয়ার ছিল তা হয়ে গেছে। কিন্তু ইয়াকূব ( আঃ ) ঘটনার আসল রহস্য জানতেন না, ফলে ধৈর্য ছাড়া কোন অবলম্বন এবং আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোন উপায় তাঁর ছিল না। [২] মদীনার মুনাফেকরা যখন আয়েশা ( রাঃ ) উপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে, তখন নবী ( সাঃ ) তাঁর ব্যাপারে যা বুঝেছিলেন ও বলেছিলেন তার উত্তরে তিনিও বলেছিলেন, 'আল্লাহর কসম! আমি আমার ও আপনাদের জন্য ইউসুফের আব্বার ঐ উদাহরণই দেখতে পাচ্ছি। সুতরাং " আমার পক্ষে পূর্ণ ধৈর্যই শ্রেয়। তোমরা যা বর্ণনা করছ, সে বিষয়ে একমাত্র আল্লাহই আমার সাহায্যস্থল। " অর্থাৎ আমারও ধৈর্য ধারণ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর তারা তার জামায় মিথ্যা রক্ত লেপন করে এনেছিল। তিনি বললেন, ‘না, বরং তোমাদের মন তোমাদের জন্য একটি কাহিনী সাজিয়ে দিয়েছে। কাজেই উত্তম ধৈর্যই আমি গ্রহণ করব। আর তোমরা যা বর্ণনা করছ সে বিষয়ে একমাত্র আল্লাহ্‌ই আমার সাহায্যস্থল []। [] অর্থাৎ ইউসুফ আলাইহিস সালাম-এর ভ্রাতারা তার জামায় কৃত্রিম রক্ত লাগিয়ে এনেছিল, যাতে পিতার মনে বিশ্বাস জন্মাতে পারে যে, বাঘই তাকে খেয়ে ফেলেছে। কিন্তু ইয়াকুব ‘আলাইহিস্ সালাম ঠিকই বুঝলেন যে, ইউসুফকে বাঘে খায়নি; বরং তোমাদেরই মন একটি বিষয় খাড়া করেছে। এখন আমার জন্য উত্তম এই যে, ধৈর্য্যধারণ করি এবং তোমরা যা বল, তাতে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করি।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১৬-১৮ নং আয়াতের তাফসীর হযরত ইউসুফকে ( আঃ ) অন্ধকার কূপে ফেলে দেয়ার পর তাঁর ভ্রাতাগণ কি করেছিল আল্লাহ তাআ’লা এখানে সেই খবরই দিচ্ছেন। গুপ্তভাবে তারা ছোট ভাই, আল্লাহর নিস্পাপ নবী এবং পিতার চোখের মণি হযরত ইউসুফের ( আঃ ) উপর অবিচার ও অত্যাচারের পাহাড় ভেঙ্গে দিয়ে রাত্রে তারা বাহ্যিকভাবে দুঃখের ভান করে কাঁদতে কাঁদতে পিতার নিকট আগমন করে। আর ইউসুফকে ( আঃ ) হাত ছাড়া করে দেয়ার কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেঃ “ হে পিতঃ! আমরা তীরন্দাযী ও দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু করি এবং ছোট ভাই ইউসুফকে ( আঃ ) আমাদের আসবাবপত্রের নিকট রেখে যাই । ঘটনাক্রমে ঐ সময়েই নেকড়ে বাঘ এসে পড়ে এবং তাঁকে খেয়ে ফেলে। এরপর তারা তাদের পিতার কাছে নিজেদের কথা সত্য প্রমাণিত করার জন্যে বললো: “ আব্বাজান! এটা এমন একটা ঘটনা যে, তা সত্য বলে মেনে নিতে আপনার বিবেকে বাধছে, পূর্বেই তো আপনার মনে খটকা লেগেছিল এবং ঘটনাক্রমে তা ঘটেই গেল । তবুও কিন্তু আপনি আমাদেরকে সত্যবাদী রূপে মেনে নিতে পারছেন না। অথচ আমরা যে সত্যবাদী তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ থাকতে পারে না। কিন্তু আমাদেরকে সত্যবাদীরূপে মেনে না নেয়ার ব্যাপারে আপনি একদিক দিয়ে সত্যের উপর রয়েছেন। কেননা, এটা এমনই একটা অস্বাভাবিক ঘটনা যে, এটা দেখে আমরা নিজেরাই বিস্মিত না হয়ে পারি না। এটা ছিল তাদের মৌখিক কথা। এছাড়া একটা মিথ্যা প্রমাণও তারা পেশ করেছিল। অর্থাৎ তারা বকরীর একটা বাচ্চাকে যবাহ করে ওর রক্ত দ্বারা হযরত ইউসুফের ( অঃ ) জামাটি রঞ্জিত করেছিল। ঐ জামাটি তারা পিতার সামনে হাযির করে বলেছিলঃ “ দেখুন! ইউসুফের ( আঃ ) দেহের রক্ত তার জামায় ভরে রয়েছে । কিন্তু আল্লাহ তাআ’লার কি মহিমা যে, তারা সবকিছুই করেছিল, কিন্তু জামাটি ছেদন করতে ভুলে গিয়েছিল। ফলে পিতার কাছে তাদের প্রতারণা ধরা পড়ে যায়। কিন্তু তিনি নিজেকে সামলিয়ে নিলেন এবং স্পষ্টভাবে ছেলেদেরকে তেমন কিছু বললেন না। তথাপি ছেলেরা বুঝে নেয় যে, তাদের পিতার কাছে তাদের ধোকাবাজী ধরা পড়ে গেছে। তাদের পিতা তাদেরকে শুধু বললেনঃ “ তোমাদের মন এই কথা বানিয়ে নিয়েছে । যাই হোক, আমি ধৈর্য ধারণ করবো যে পর্যন্ত না আল্লাহ তাআ’লা দয়া পরবশ হয়ে আমার এই দুঃখ দুর করে দেন। তোমরা যে একটা মিথ্যা কথা আমার কাছে বর্ণনা করছে এবং একটা অসম্ভব ব্যাপারের উপর আমাকে বিশ্বাস স্থাপন করতে বলছো তার জন্যে আমি একমাত্র আল্লাহরই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করছি। যদি তাঁর সাহায্য লাভে আমি সমর্থ হই তবে অবশ্যই দুধ ও পানি পৃথক হয়ে যাবে।হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত ইউসুফের ( আঃ ) রক্ত-রঞ্জিত জামাটি দেখে তাঁর পিতা হযরত ইয়াকুব ( আঃ ) বলেছিলেনঃ “ এটা বড়ই বিস্ময়কর ব্যাপার যে, নেকড়ে বাঘে ইউসুফকে ( আঃ ) খেয়ে ফেললো এবং তাঁর জামাটি রক্তে রঞ্জিত হলো, অথচ তা একটুও ছিড়লো না বা ফাটলো না! যা হোক, আমি ধৈর্যধারণকরবো, যাতে না থাকবে কোন অভিযোগ এবং না থাকবে কোন চিন্তা ও উদ্বেগ ।” সাওরী ( রঃ ) তাঁর কোন এক সহচর হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ “ সবর বা ধৈর্য হচ্ছে তিনটি জিনিষের নাম । ( ১ ) নিজের বিপদ আপদের কথা কারো কাছে বর্ণনা না করা। ( ২ ) নিজের দুঃখের কাহিনী গেয়ে কারো সামনে ক্রন্দন না করা এবং ( ৩ ) নিজেকে পাক পবিত্র মনে না করা।” এখানে ইমাম বুখারী ( রঃ ) হযরত আয়েশার ( রাঃ ) ঐ ঘটনাটির পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেছেন, যাতে তাঁর উপর অপবাদ লাগানোর বর্ণনা রয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেনঃ আল্লাহর শপথ! আমার এবং আপনাদের দৃষ্টান্ত হযরত ইউসুফের ( আঃ ) পিতার মতই বটে । তিনি বলেছিলেনঃ “ এখন পূর্ণ ধৈর্যই শ্রেয়, তোমরা যা বলছে সে বিষয়ে একমাত্র আল্লাহই আমার সাহায্যস্থল ।

সূরা ইউসুফ আয়াত 18 সূরা

وجاءوا على قميصه بدم كذب قال بل سولت لكم أنفسكم أمرا فصبر جميل والله المستعان على ما تصفون

سورة: يوسف - آية: ( 18 )  - جزء: ( 12 )  -  صفحة: ( 237 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অনেক জনপদ তাদের পালনকর্তা ও তাঁর রসূলগণের আদেশ অমান্য করেছিল, অতঃপর আমি তাদেরকে কঠোর হিসাবে
  2. ওযর-আপত্তির অবকাশ না রাখার জন্যে অথবা সতর্ক করার জন্যে।
  3. অতএব, আপনি সবর করুন। আল্লাহর ওয়াদা সত্য। যারা বিশ্বাসী নয়, তারা যেন আপনাকে বিচলিত করতে
  4. আল্লাহর নেয়ামত ও অনুগ্রহের জন্যে তারা আনন্দ প্রকাশ করে এবং তা এভাবে যে, আল্লাহ, ঈমানদারদের
  5. সে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে, যে তার অপকার করতে পারে না এবং উপকারও করতে
  6. তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ,
  7. তিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে একই ব্যক্তি থেকে। অতঃপর তা থেকে তার যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং
  8. আমি তোমাদের কাছে একজন রসূলকে তোমাদের জন্যে সাক্ষী করে প্রেরণ করেছি, যেমন প্রেরণ করেছিলাম ফেরাউনের
  9. যে কেউ সৎকর্ম নিয়ে আসবে, সে উৎকৃষ্টতর প্রতিদান পাবে এবং সেদিন তারা গুরুতর অস্থিরতা থেকে
  10. আপনি আপনার পালনকর্তার নাম স্মরণ করুন এবং একাগ্রচিত্তে তাতে মগ্ন হোন।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ইউসুফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Yusuf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Yusuf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ইউসুফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ইউসুফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ইউসুফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ইউসুফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ইউসুফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ইউসুফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ইউসুফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ইউসুফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ইউসুফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ইউসুফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers