কোরান সূরা আ'রাফ আয়াত 184 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Araf ayat 184 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আ'রাফ আয়াত 184 আরবি পাঠে(Araf).
  
   

﴿أَوَلَمْ يَتَفَكَّرُوا ۗ مَا بِصَاحِبِهِم مِّن جِنَّةٍ ۚ إِنْ هُوَ إِلَّا نَذِيرٌ مُّبِينٌ﴾
[ الأعراف: 184]

তারা কি লক্ষ্য করেনি যে, তাদের সঙ্গী লোকটির মস্তিষ্কে কোন বিকৃতি নেই? তিনি তো ভীতি প্রদর্শনকারী প্রকৃষ্টভাবে। [সূরা আ'রাফ: 184]

Surah Al-Araf in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Araf ayat 184


তারা কি চিন্তা করে না? তাদের সহচরের মধ্যে কোনো পাগলামি নেই। বাস্তবে তিনি তো এক সুস্পষ্ট সতর্ককারী।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৮৪. যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ এবং তাঁর রাসূলকে মিথ্যা মনে করে তারা কি নিজেদের মেধাগুলোকে কাজে লাগিয়ে একটু চিন্তা করে দেখে না? যাতে তাদের নিকট এ কথা সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) পাগল নন। বরং তিনি আল্লাহর রাসূল। আল্লাহ তা‘আলা নিজ আযাব থেকে সুস্পষ্ট ভীতি প্রদর্শনের জন্য তাঁকে রাসূল হিসেবে পাঠিয়েছেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তারা কি চিন্তা করে না যে, তাদের সঙ্গী ( নবী ) উন্মাদ নয়, সে তো এক স্পষ্ট সতর্ককারী। [১] [১] صاحب ( সঙ্গী ) বলতে নবী ( সাঃ )-কে বুঝানো হয়েছে। যাঁর সম্পর্কে মুশরিকরা কখনও যাদুকর, কখনো বা পাগল বলত। ( নাউযু বিল্লাহ ) মহান আল্লাহ বলেন, এ হল তোমাদের চিন্তা-ভাবনা না করার ফল। সে তো আমার বার্তাবাহক, যে আমার আদেশ পৌঁছিয়ে থাকে এবং যারা তা হতে উদাসীন ও বৈমুখ থাকে, তাদের জন্য সতর্ককারী।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তারা কি চিত্তা করে না যে, তাদের সাথী মোটেই উন্মাদ নন []; তিনি তো এক স্পষ্ট সতর্ককারী। [] সাথী বলতে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বুঝানো হয়েছে। [ ইবন কাসীর ] অন্য আয়াতেও আল্লাহ তা'আলা এ ঘোষণা দিয়েছেন, “ আর তোমাদের সার্থী উন্মাদ নন” [ আত-তাকওয়ীর: ২২ ] আরও বলেন, “বলুন, ‘আমি তোমাদেরকে একটি বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছিঃ তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে দু-দুজন অথবা এক-একজন করে দাঁড়াও, তারপর তোমরা চিন্তা করে দেখ---তোমাদের সার্থীর মধ্যে কোন উন্মাদনা নেই আসন্ন কঠিন শাস্তি সম্পর্কে তিনি তোমাদের জন্য একজন সতর্ককারী মাত্র" [ সাবা: ৪৬ ] অর্থাৎ তিনি তাদের মধ্যেই জন্মলাভ করেন। তাদের মধ্যে বসবাস করেন। শৈশব থেকে যৌবন এবং যৌবন থেকে বার্ধক্যে পদার্পন করেন। নবুওয়াত লাভের পূর্বে সমগ্র জাতি তাকে একজন অত্যন্ত শান্ত-শিষ্ট-ভারসাম্যপূর্ণ স্বভাব প্রকৃতি ও সুস্থ মন-মগজধারী মানুষ বলে জানতো। নবুওয়াত লাভের পর যে-ই তিনি মানুষের কাছে আল্লাহর দাওয়াত পৌছাতে শুরু করলেন, অমনি তাকে পাগল বলা আরম্ভ হয়ে গেল। একথা সুস্পষ্ট, নবী হওয়ার আগে তিনি যেসব কথা বলতেন সেগুলোর জন্য তাকে পাগল বলা হয়নি বরং নবী হওয়ার পর তিনি যেসব কথা প্রচার করতে থাকেন সেগুলোর জন্য তাকে পাগল বলা হতে থাকে। তাই এখানে বলা হচ্ছে, তারা কি কখনো ভেবে দেখেছে, যে কথাগুলো তিনি বলছেন তার মধ্যে কোনটি পাগলামির কথা? কোন কথাটি অর্থহীন, ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক? যদি তারা চিন্তা করতো তাহলে তারা নিজেরাই বুঝতে পারতো যে, শিরকের মতবাদ খণ্ডন, তাওহীদের প্রমাণ, রবের বন্দেগীর দাওয়াত এবং মানুষের দায়িত্ব পালন ও জবাবদিহি সম্পর্কে তাদের সার্থী তাদেরকে যা কিছু বুঝাচ্ছেন তা কোন পাগলের কথা নয়। তাঁর স্বভাব ও চরিত্র সবচেয়ে উন্নত। তার কথা সবচেয়ে সুন্দর। তিনি তো শুধু কল্যাণের দিকেই আহবান করেন। অন্যায় ও অকল্যাণ থেকেই শুধু নিষেধ করেন। [ সা'দী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


এই মিথ্যা প্রতিপন্নকারীরা এটাও চিন্তা করেনি যে, তাদের বন্ধু ও সঙ্গী হযরত মুহাম্মাদ ( সঃ ) মোটেই পাগল নন, বরং তিনি আল্লাহর রাসূল। যিনি মানুষকে সত্যের পথে আহ্বান করে থাকেন। যে ব্যক্তির স্থির বুদ্ধি রয়েছে এবং তা সে কাজে লাগিয়ে থাকে সেই পরিষ্কারভাবে এটা বুঝতে পারবে। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “ আমি তোমাদেরকে একটি কথার নসীহত করছি যে, তোমরা । আল্লাহরই ইবাদত করবে এবং এর তাবলীগের জন্যে এক একজন ও দুজন দু’জন মিলিত হয়ে দাড়িয়ে যাও। অতঃপর গভীরভাবে চিন্তা করে দেখো যে, তোমাদের সঙ্গী ( হযরত মুহাম্মাদ সঃ ) পাগল নয়। বরং তিনি তো তোমাদেরকে আল্লাহর ভীষণ শাস্তি থেকে ভয় প্রদর্শনকারী।” খাটি অন্তরে আল্লাহকে ডাকতে থাকো। গোঁড়ামি ও একগুয়েমি পরিত্যাগ কর। যদি তোমরা এরূপ কর তবে হাকীকত তোমাদের কাছে খুলে যাবে যে, এই রাসূল ( সঃ ) সত্য এবং তোমাদের শুভাকাঙ্খী।রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) একদা ‘সাফা পাহাড়ের উপর আরোহণ করেন। সেখানে তিনি কুরায়েশদেরকে একত্রিত করেন এবং এক এক গোত্রের নাম ধরে ডাকতে থাকেন। অতঃপর তিনি তাদেরকে আল্লাহর শাস্তি এবং আকস্মিক দুর্ঘটনা থেকে ভয় প্রদর্শন করেন। তখন কোন কোন নির্বোধ ব্যক্তি বলতে শুরু করে যে, তাঁকে তো পাগল বলে মনে হচ্ছে। সকাল পর্যন্ত তিনি বক্তৃতা করতে থাকেন। তখন আল্লাহ তাআলা এই আয়াত অবতীর্ণ করেন।

সূরা আ'রাফ আয়াত 184 সূরা

أولم يتفكروا ما بصاحبهم من جنة إن هو إلا نذير مبين

سورة: الأعراف - آية: ( 184 )  - جزء: ( 9 )  -  صفحة: ( 174 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ
  2. তোমরা আল্লাহর সাথে কোন উপাস্য সাব্যস্ত করো না। আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট
  3. পৃথিবীতে দম্ভভরে পদচারণা করো না। নিশ্চয় তুমি তো ভূ পৃষ্ঠকে কখনই বিদীর্ণ করতে পারবে না
  4. সুউচ্চ জান্নাতে।
  5. কে তোমাদের মধ্যে বিকারগ্রস্ত।
  6. আর বনী-ইসরাঈলকে আমি পার করে দিয়েছি নদী। তারপর তাদের পশ্চাদ্ধাবন করেছে ফেরাউন ও তার সেনাবাহিনী,
  7. এবং যারা বিশ্বাস স্থাপণ করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে তাদেরকে এমন উদ্যানে প্রবেশ করানো হবে,
  8. তাদের অন্তর থাকে খেলায় মত্ত। জালেমরা গোপনে পরামর্শ করে, সে তো তোমাদেরই মত একজন মানুষ;
  9. তারা পরস্পরকে মন্দ কাজে নিষেধ করত না, যা তারা করত। তারা যা করত তা অবশ্যই
  10. এ সবের মধ্যে যেগুলো মন্দকাজ, সেগুলো তোমার পালনকর্তার কাছে অপছন্দনীয়।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আ'রাফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Araf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Araf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আ'রাফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আ'রাফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আ'রাফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আ'রাফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আ'রাফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আ'রাফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers