কোরান সূরা রূম আয়াত 19 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Rum ayat 19 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা রূম আয়াত 19 আরবি পাঠে(Rum).
  
   

﴿يُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَيُحْيِي الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا ۚ وَكَذَٰلِكَ تُخْرَجُونَ﴾
[ الروم: 19]

তিনি মৃত থেকে জীবিতকে বহির্গত করেন জীবিত থেকে মৃতকে বহির্গত করেন, এবং ভূমির মৃত্যুর পর তাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। এভাবে তোমরা উত্থিত হবে। [সূরা রূম: 19]

Surah Ar-Rum in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Rum ayat 19


তিনি জীবন্তদের বের করে আনেন মৃতদের থেকে আর মৃতদের বের করে আনেন জীবন্তদের থেকে, আর পৃথিবীকে তিনি সঞ্জীবিত করেন তার মৃত্যুর পরে। আর এইভাবেই তোমাদের বের করে আনা হবে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৯. তিনি জীবিতকে মৃত থেকে বের করেন। যেমন: মানূষকে বীর্য থেকে ও বাচ্চাকে ডিম থেকে বের করা। তেমনিভাবে মৃতকে জীবিত থেকে বের করেন। যেমন: মানুষ থেকে বীর্যকে বের করা এবং মুরগী থেকে ডিমকে বের করা। এমনিভাবে যমীনকে বারি বর্ষণ ও শস্যাদি উৎপাদনের মাধ্যমে শুকিয়ে জাওয়ার পর জীবিত করা। আর এহেন যমীন মরে যাওয়ার পর জীবিত হওয়ার মত তোমরাও কবর থেকে হিসাব ও প্রতিদানের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে আসবে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তিনিই মৃত হতে জীবন্তের আবির্ভাব ঘটান[১] এবং ভূমির মৃত্যুর পর ওকে পুনর্জীবিত করেন। আর এভাবেই তোমাদেরকেও ( মাটি থেকে ) বের করা হবে। [২] [১] যেমন ডিমকে মুরগি থেকে, মুরগিকে ডিম থেকে, মানুষকে বীর্য থেকে, বীর্যকে মানুষ থেকে এবং মু'মিনকে কাফের থেকে, কাফেরকে মু'মিন থেকে সৃষ্টি করেন। [২] দ্বিতীয়বার জীবিত করে কবর থেকে উঠানো হবে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তিনিই মৃত থেকে জীবিতকে বের কতেন এবং তিনিই বের করেন মৃতকে জীবিত থেকে [], আর যমীনকে জীবিত করেন তার মৃত্যুর পর এবং এভাবেই বের করে আনা হবে []। [] হাসান বসরী বলেন, এর অর্থ কাফের থেকে মুমিনকে বের করেন, আর মুমিন থেকে কাফের বের করেন। [ তাবারী ] [] যেমন অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, “ আর তাদের জন্য একটি নিদর্শন মৃত যমীন, যাকে আমরা সঞ্জীবিত করি এবং তা থেকে বের করি শস্য, অতঃপর তা থেকেই তারা খেয়ে থাকে । আর সেখানে আমরা সৃষ্টি করি খেজুর ও আঙ্গুরের উদ্যান এবং সেখানে উৎসারিত করি কিছু প্রস্রবণ”। [ সূরা ইয়াসীন: ৩৩-৩৪ ] [ ইবন কাসীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১৭-১৯ নং আয়াতের তাফসীর সেই আল্লাহ তাআলার একচ্ছত্র আধিপত্য এবং সার্বভৌম ও সীমাহীন রাজত্বের প্রকাশ ঘটবে তার তাসবীহ পাঠ ও প্রশংসা কীর্তনের মাধ্যমে। আল্লাহ তা'আলা স্বীয় বান্দাদেরকে সে দিকেই পথ নির্দেশ করেছেন। তিনি যে মহান ও পবিত্র এবং তিনি যে প্রশংসার যোগ্য তারই বর্ণনা তিনি দিচ্ছেন। সন্ধ্যায় যখন ঘনঘটা অন্ধকার বয়ে আনে তখন এরপর দিন জ্যোতির্ময় আলোক নিয়ে হাযির হয়। এতোটুকু বর্ণনা করার পর তার পরবর্তী বাক্য বর্ণনা করার আগেই এ কথাগুলো প্রকাশ করে দিয়েছেন যে, দুনিয়া ও আসমানে প্রশংসার যোগ্য একমাত্র তিনিই। তাঁর সৃষ্টিই স্বয়ং তার মর্যাদার ও বুযুর্গীর দলীল। সকাল ও সন্ধ্যার তাসবীহ পাঠের কথা বলার পর এশা ও যোহরের সময়ের কথা তিনি জুড়ে দিয়েছেন। রাত্রি হলো কঠিন অন্ধকারের সময় এবং এশা ও যোহর হলো পূর্ণ অন্ধকার ও আলোকোজ্জ্বলের সময়। নিশ্চয়ই সমস্ত পবিত্রতা ও মহিমা তাঁরই জন্যে শোভনীয় যিনি রাত্রির অন্ধকার ও দিনের ঔজ্জ্বল্য সষ্টিকারী। তিনিই সকালকে প্রকাশকারী ও রাত্রিকে বিশ্রামের জন্যে সৃষ্টিকারী। এ ধরনের আরো বহু আয়াত রয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ শপথ দিবসের, যখন ওটা ( সূর্য ) ওকে প্রকাশ করে এবং শপথ রজনীর, যখন ওটা ওকে আচ্ছাদিত করে ।" ( ৯১:৩-৪ ) আর এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ শপথ পূর্বাহের এবং শপথ রজনীর যখন ওটা হয় নিঝুম ।( ৯৩:১-২ )।হযরত মুআয ইবনে আনাস আলজুহনী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা হযরত ইবরাহীম ( আঃ )-কে বিশ্বস্ত বন্ধু আখ্যায় কেন আখ্যায়িত করেছেন এ খবর কি দেবো না? কারণ এই যে, সকালে ও সন্ধ্যায় তিনি এই কালেমাগুলো পাঠ করতেন ।” অতঃপর তিনি( আরবি ) হতে পর্যন্ত দু’টি আয়াত তিলাওয়াত করেন। ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ বলেছেনঃ “ যে ব্যক্তি সকাল সন্ধ্যায় এ আয়াত দু’টি পাঠ করবে, তার দিন-রাতের যা কিছু নষ্ট হয়েছে তা ফিরে পাবে ।( এ হাদীসটি ইমাম তিবরানী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন) এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ তিনিই মৃত হতে জীবন্তের আবির্ভাব ঘটান এবং তিনিই জীবন্ত হতে মৃতের আবির্ভাব ঘটিয়ে থাকেন। প্রত্যেক জিনিসের উপর এবং ওর উল্টোর উপর তিনি পূর্ণ ক্ষমতাবান। তিনি বীজ হতে গাছ, গাছ। হতে বীজ, মুরগী হতে ডিম, ডিম হতে মুরগী, বীর্য হতে মানুষ ও মানুষ হতে বীর্য, মুমিন হতে কাফির ও কাফির হতে মুমিন বের করে থাকেন। মোটকথা, তিনি প্রত্যেক বিষয় ও তার প্রতিপক্ষ বিষয়ের উপর পূর্ণ কর্তৃত্ব রাখেন। শুষ্ক মাটিতে তিনি আর্দ্রতা আনয়ন করেন এবং অনুর্বর ভূমি থেকেও তিনি ফসল উৎপাদন করেন। যেমন তিনি বলেছেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ তাদের জন্যে একটি নিদর্শন মৃত ধরিত্রী, যাকে আমি সঞ্জীবিত করি এবং যা হতে উৎপন্ন করি শস্য যা তারা ভক্ষণ করে । তাতে আমি সৃষ্টি করি খর্জুর ও আঙ্গুরের উদ্যান এবং উৎসারিত করি প্রস্রবণ।" ( ৩৬:৩৩-৩৪ ) আর এক জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ তুমি ভূমিকে দেখ শুষ্ক, অতঃপর তাতে আমি বারি বর্ষণ করলে তা শস্য-শ্যামল হয়ে আন্দোলিত ও স্ফীত হয় এবং উদ্গত করে সর্বপ্রকার নয়নাভিরাম উদ্ভিদ ......
যারা কবরে আছে তাদেরকে আল্লাহ নিশ্চয়ই পুনরুত্থিত করবেন ।
( ২২:৫-৭ ) আরো বহু জায়গায় এ ধরনের আয়াত কোথাও সংক্ষিপ্ত আবার কোথাও বিস্তারিতভাবে তিনি বর্ণনা করেছেন। এখানে আল্লাহ পাক বলেনঃ এভাবেই তোমরাও সবাই মৃত্যুর পরে ( কবর হতে ) উথিত হবে।

সূরা রূম আয়াত 19 সূরা

يخرج الحي من الميت ويخرج الميت من الحي ويحي الأرض بعد موتها وكذلك تخرجون

سورة: الروم - آية: ( 19 )  - جزء: ( 21 )  -  صفحة: ( 406 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. উঠুন, সতর্ক করুন,
  2. যারা একবার মুসলমান হয়ে পরে পুনরায় কাফের হয়ে গেছে, আবার মুসলমান হয়েছে এবং আবারো কাফের
  3. তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না,
  4. তারা বললঃ হে ঐ ব্যক্তি, যার প্রতি কোরআন নাযিল হয়েছে, আপনি তো একজন উম্মাদ।
  5. নিশ্চয় আমি আপনার প্রতি সত্য কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যাতে আপনি মানুষের মধ্যে ফয়সালা করেন, যা
  6. আমি তো তাদেরকে কিছুই বলিনি, শুধু সে কথাই বলেছি যা আপনি বলতে আদেশ করেছিলেন যে,
  7. যে কেউ ইহকাল কামনা করে, আমি সেসব লোককে যা ইচ্ছা সত্ত্বর দিয়ে দেই। অতঃপর তাদের
  8. ফেরেশতা যাদের জান কবজ করেন তাদের পবিত্র থাকা অবস্থায়। ফেরেশতারা বলেঃ তোমাদের প্রতি শাস্তি বর্ষিত
  9. তারা সংঘবদ্ধভাবেও তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবে না। তারা যুদ্ধ করবে কেবল সুরক্ষিত জনপদে অথবা
  10. আল্লাহ তা’আলা মুমিনদেরকে মজবুত বাক্য দ্বারা মজবুত করেন। পার্থিবজীবনে এবং পরকালে। এবং আল্লাহ জালেমদেরকে পথভ্রষ্ট

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা রূম ডাউনলোড করুন:

সূরা Rum mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Rum শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত রূম  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত রূম  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত রূম  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত রূম  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত রূম  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত রূম  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত রূম  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত রূম  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত রূম  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত রূম  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত রূম  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত রূম  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত রূম  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত রূম  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত রূম  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত রূম  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত রূম  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত রূম  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত রূম  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত রূম  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত রূম  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত রূম  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত রূম  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত রূম  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত রূম  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, May 20, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب