কোরান সূরা বাকারাহ্ আয়াত 194 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Baqarah ayat 194 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বাকারাহ্ আয়াত 194 আরবি পাঠে(Baqarah).
  
   

﴿الشَّهْرُ الْحَرَامُ بِالشَّهْرِ الْحَرَامِ وَالْحُرُمَاتُ قِصَاصٌ ۚ فَمَنِ اعْتَدَىٰ عَلَيْكُمْ فَاعْتَدُوا عَلَيْهِ بِمِثْلِ مَا اعْتَدَىٰ عَلَيْكُمْ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ مَعَ الْمُتَّقِينَ﴾
[ البقرة: 194]

সম্মানিত মাসই সম্মানিত মাসের বদলা। আর সম্মান রক্ষা করারও বদলা রয়েছে। বস্তুতঃ যারা তোমাদের উপর জবর দস্তি করেছে, তোমরা তাদের উপর জবরদস্তি কর, যেমন জবরদস্তি তারা করেছে তোমাদের উপর। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, যারা পরহেযগার, আল্লাহ তাদের সাথে রয়েছেন। [সূরা বাকারাহ্: 194]

Surah Al-Baqarah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Baqarah ayat 194


পবিত্র মাস পবিত্র মাসের খাতিরে, আর সব নিষিদ্ধ ব্যাপারে প্রতিশোধ নিতে হবে। কাজেই যে কেউ তোমাদের উপরে আক্রমণ চালায়, তোমরাও তবে তাদের উপরে আঘাত হানবে সেইভাবে যেমনটা তারা তোমাদের উপরে আঘাত করেছিল। আর আল্লাহ্‌কে ভয়-শ্রদ্ধা করবে, আর জেনে রেখো নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ ধর্মভীরুদের সাথে আছেন।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৯৪. ষষ্ঠ হিজরীর যে মাসে মুশরিকরা তোমাদেরকে হারাম এলাকায় প্রবেশে বাধা দিয়েছে সেটির বিনিময় হলো সপ্তম হিজরীর এই হারাম মাস। যে মাসে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে হারামে তথা মক্কায় প্রবেশ করিয়ে উমরা করার সুযোগ দিয়েছেন। সম্মানজনক বস্তুগুলো যেমন: হারাম এলাকা তথা মক্কা, সম্মানিত মাস যেমন: শাওয়াল, যিলকদ, যিলহজ্জ ও রজব এবং ইহরামের সম্মান কোন অত্যাচারীর পক্ষ থেকে তা ক্ষুণœ হলে তাতে কিসাস তথা তার অপরাধের সমপরিমাণ শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা চলবে। সুতরাং কেউ এই সময় ও এলাকায় তোমাদের উপর অত্যাচার করলে তার সাথে তার কাজের সমপরিমাণ আচরণ করবে। তবে এ ক্ষেত্রে তোমরা সমপরিমাণের সীমা অতিক্রম করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সীমাসমূহ অতিক্রমকারীদেরকে পছন্দ করেন না। তোমরা সেই পরিমাপ অতিক্রম করার ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো যার ব্যাপারে তিনি তোমাদেরকে অনুমতি দিয়েছেন। উপরন্তু তোমরা এ কথা জেনে রাখো যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাওফীক ও সহয়োগিতার ক্ষেত্রে মুত্তাকীদের সাথেই রয়েছেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


নিষিদ্ধ ( পবিত্র ) মাসের পরিবর্তে নিষিদ্ধ ( পবিত্র ) মাস এবং সকল নিষিদ্ধ ( পবিত্র ) জিনিসের জন্য এরূপ বিনিময়।[১] সুতরাং যে তোমাদেরকে ( ঐ মাসে ) আক্রমণ করবে, তোমরাও তাকে অনুরূপ ( মাসে ) আক্রমণ কর। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ যে, আল্লাহ সাবধানীদের সাথী। [১] হিজরী সনের ৬ষ্ঠ বছরে যুলহজ্জ মাসে রসূল ( সাঃ ) চৌদ্দশ সাহাবীদেরকে সাথে নিয়ে উমরাহ করার জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু মক্কার কাফেররা তাঁদেরকে প্রবেশ করতে বাধা দিল এবং আপোসে ফায়সালা এই হল যে, আগামী বছর মুসলিমরা তিন দিনের জন্য উমরাহ করার উদ্দেশ্যে মক্কায় প্রবেশ করতে পারবে। মাসটা ছিল 'হারাম' ( যুদ্ধবিগ্রহ নিষিদ্ধ ) মাসসমূহের একটি মাস। পরের বছরে চুক্তি অনুযায়ী মুসলিমরা যখন উক্ত মাসেই উমরা করার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন, তখন মহান আল্লাহ এই আয়াত অবতীর্ণ করলেন। উদ্দেশ্য এই যে, এবারও যদি মক্কার কাফেররা এই মাসের সম্মান রক্ষা না করে ( গতবারের মত ) তোমাদেরকে মক্কায় প্রবেশ করতে বাধা দেয়, তবে তোমরাও এর মর্যাদার কোন খেয়াল না করে তাদের সাথে পূর্ণ উদ্যমে মোকাবেলা কর। 'সকল নিষিদ্ধ ( পবিত্র ) জিনিসের জন্য এরূপ বিনিময়' অর্থাৎ, তারা যদি নিষিদ্ধ মাসের সম্মান রক্ষা করে, তাহলে তোমরাও তার সম্মান রক্ষা কর। অন্যথা তোমরাও এই সম্মানকে দৃষ্টিচ্যুত করে কাফেরদেরকে উপদেশমূলক শিক্ষা দাও। ( ইবনে কাসীর )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


পবিত্র মাস পবিত্র মাসের বিনিময়ে [] যার পবিত্রতা অলংঘনীয় তার অবমাননা কিসাসের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই যে কেউ তোমাদেরকে আক্রমণ করবে তোমরাও তাকে অনুরূপ আক্রমণ করবে এবং তোমরা আল্লাহ্‌র তাকওয়া অবলম্বন করবে। আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন। [] সাহাবীগণের মনে সন্দেহ এই ছিল যে, আশহুরে-হারাম বা সম্মানিত মাসসমূহে কোথাও কারো সাথে যুদ্ধ করা জায়েয নয়। এমতাবস্থায় যদি মক্কার মুশরিকরা যুদ্ধ শুরু করে তবে তার প্রতিরোধকল্পে কিভাবে যুদ্ধ করব? তাদের এ দ্বিধা দূর করার জন্যই আয়াতটি নাযিল করা হয়েছে। অর্থাৎ মক্কার হারাম শরীফের সম্মানার্থে শক্রর হামলা প্রতিরোধকল্পে যুদ্ধ করা যেমন শরীআতসিদ্ধ, তেমনি হারাম মাসে ( সম্মানিত মাসেও ) যদি কাফেররা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হয়, তবে তার প্রতিরোধকল্পে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাও জায়েয।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


ষষ্ঠ হিজরীর যীলকদ মাসে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) সাহাবীগণ ( রাঃ ) সমভিব্যহারে উমরা ( ছোট হজ্ব ) করার জন্যে মক্কা শরীফের দিকে যাত্রা করেন। কিন্তু মুশরিকরা তাদেরকে হুদায়বিয়া’ প্রান্তরে বাধা দিতে এগিয়ে আসে। অবশেষে এই শর্তের উপর তাদের সাথে সন্ধি হয় যে, তারা আগামী বছর উমরা করবেন এবং এ বছর ফিরে যাবেন। যুকা'দাহ্ও নিষিদ্ধ মাস ছিল বলে এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। মুসনাদ-ই-আহমাদের মধ্যে হাদীস রয়েছে যে, নিষিদ্ধ মাসসমূহে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) যুদ্ধ করতেন না। তবে যদি তার উপর কেউ আক্রমণ করতে তাহলে সেটা অন্য কথা। এমনকি যুদ্ধ করতে করতে নিষিদ্ধ মাস এসে পড়লে তিনি যুদ্ধ বন্ধ করে দিতেন। হুদায়বিয়ার প্রান্তরেও যখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর নিকট এ সংবাদ পৌছে যে, হযরত উসমান ( রাঃ )-কে মুশরিকরা শহীদ করে ফেলেছে যিনি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর বাণী নিয়ে মক্কায় গিয়েছিলেন; তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাঁর চৌদ্দশো সাহাবী ( রাঃ )-এর নিকট একটি বৃক্ষের নীচে মুশরিকদের সাথে জিহাদ করার বায়'আত গ্রহণ করেন। অতঃপর যখন তিনি জানতে পারেন যে, ওটা ভুল সংবাদ তখন তিনি তাঁর ইচ্ছা স্থগিত রাখেন এবং সন্ধির দিকে ঝুঁকে পড়েন। এর পরে যা ঘটবার তা ঘটেছিল। অনুরূপভাবে ‘হাওয়াযিন গোত্রের সাথে হুনায়েনের যুদ্ধ হতে যখন তিনি অবকাশ লাভ করেন তখন মুশরিকরা তায়েফে গিয়ে দুর্গের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে পড়েরাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাদেরকে অবরোধ করেন। চল্লিশ দিন পর্যন্ত এই অবরোধ স্থায়ী হয়। অবশেষে কয়েকজন সাহাবীর ( রাঃ ) শাহাদাতের পর এই অবরোধ উঠিয়ে নেয়া হয় এবং রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) মক্কার দিকে ফিরে যান। জাআররানা’ নামক স্থান হতে তিনি উমরাহর ইহরাম বাঁধেন। এখানে যুদ্ধ লব্ধ দ্রব্য বন্টন করেন। তাঁর এই উমরাহ যুকা’দাহ মাসে সংঘটিত হয়। এটা ছিল হিজরী অষ্টম সনের ঘটনা। অতঃপর বলা হচ্ছে যে, যারা তোমাদের প্রতি অত্যাচার করে তোমরাও তাদের প্রতি ঐ পরিমাণই অত্যাচার কর। অর্থাৎ মুশরিকদের ব্যাপারেও ন্যায়ের প্রতি খেয়াল রেখো। এখানেও অত্যাচারের বিনিময় অত্যাচার দ্বারাই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যেমন অন্যান্য জায়গায় শাস্তির বিনিময়কেও শাস্তি' শব্দের দ্বারাই ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং অন্যায়ের বিনিময়কে অন্যায় দ্বারাই বর্ণনা করা হয়েছে।হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বর্ণনা করেন যে, এই আয়াতটি মক্কা শরীফে অবতীর্ণ হয়, যেখানে মুসলমানদের কোন মর্যাদা বা সম্মান ছিল না। সেখানে তাদের প্রতি জিহাদেরও নির্দেশ ছিল না। অতঃপর এই আয়াতটি মদীনা শরীফের জিহাদ সম্পৰ্কীয় নির্দেশের দ্বারা রহিত হয়। কিন্তু ইবনে জারীর ( রঃ ) এটা অগ্রাহ্য করেছেন এবং বলেছেন যে, এই আয়াতটি মাদানী যা উমরাহ পুরো করার পর অবতীর্ণ হয়েছিল। হযরত মুজাহিদেরও ( রঃ ) উক্তি এটাই। অতঃপর বলা হয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার কর ও তাঁকে ভয় কর এবং জেনে রেখো যে, এরূপ লোকের উপরেই ইহকালে ও পরকালে আল্লাহ তা'আলার সহায়তা ও সাহায্য রয়েছে।

সূরা বাকারাহ্ আয়াত 194 সূরা

الشهر الحرام بالشهر الحرام والحرمات قصاص فمن اعتدى عليكم فاعتدوا عليه بمثل ما اعتدى عليكم واتقوا الله واعلموا أن الله مع المتقين

سورة: البقرة - آية: ( 194 )  - جزء: ( 2 )  -  صفحة: ( 30 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তিনিই সমান্তরালে দুই সমুদ্র প্রবাহিত করেছেন, এটি মিষ্ট, তৃষ্ণা নিবারক ও এটি লোনা, বিস্বাদ; উভয়ের
  2. অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
  3. তারা বলল, আপনি তাকে ও তার ভাইকে অবকাশ দান করুন এবং শহরে বন্দরে লোক পাঠিয়ে
  4. আর অবশ্যই আমার প্রেরিত ফেরেশতারা ইব্রাহীমেরে কাছে সুসংবাদ নিয়ে এসেছিল তারা বলল সালাম, তিনিও বললেন-সালাম।
  5. আর নৌকাখানি তাদের বহন করে চলল পর্বত প্রমাণ তরঙ্গমালার মাঝে, আর নূহ (আঃ) তাঁর পুত্রকে
  6. তিনি এর রাত্রিকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং এর সূর্যোলোক প্রকাশ করেছেন।
  7. আমি জানি যে, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ মিথ্যারোপ করবে।
  8. তারা মর্যাদা দেয় না কোন মুসলমানের ক্ষেত্রে আত্নীয়তার, আর না অঙ্গীকারের। আর তারাই সীমালংঘনকারী।
  9. সমুদ্রে ভাসমান পর্বতসম জাহাজসমূহ তাঁর অন্যতম নিদর্শন।
  10. মহা ত্রাস তাদেরকে চিন্তান্বিত করবে না এবং ফেরেশতারা তাদেরকে অভ্যর্থনা করবেঃ আজ তোমাদের দিন, যে

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বাকারাহ্ ডাউনলোড করুন:

সূরা Baqarah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Baqarah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers