কোরান সূরা ফাতির আয়াত 2 তাফসীর
﴿مَّا يَفْتَحِ اللَّهُ لِلنَّاسِ مِن رَّحْمَةٍ فَلَا مُمْسِكَ لَهَا ۖ وَمَا يُمْسِكْ فَلَا مُرْسِلَ لَهُ مِن بَعْدِهِ ۚ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ﴾
[ فاطر: 2]
আল্লাহ মানুষের জন্য অনুগ্রহের মধ্য থেকে যা খুলে দেন, তা ফেরাবার কেউ নেই এবং তিনি যা বারণ করেন, তা কেউ প্রেরণ করতে পারে না তিনি ব্যতিত। তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। [সূরা ফাতির: 2]
Surah Fatir in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Fatir ayat 2
আল্লাহ্ লোকেদের জন্য করুণা থেকে যা খুলে ধরেন সেটি তবে রোধ করবার কেউ থাকবে না, আর যা তিনি রোধ করে রাখেন সেটি তবে এরপরে পাঠানোর কেউ থাকবে না। আর তিনি মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।
Tafsir Mokhtasar Bangla
২. সকল বস্তুর চাবিকাঠি আল্লাহর হাতে। আল্লাহ যে রিযিক, হেদায়ত ও সুখের দ্বার উম্মুক্ত করেন তা বন্ধ কারার ক্ষমতা কেউ রাখেনা। আর তিনি এ থেকে যা বারণ করেন তা কেউ প্রদান করতে পারে না। তিনি সেই পরাক্রমশালী যাঁকে কেউ পরাভূত করতে পারে না। তিনি তাঁর নিরূপণ ও পরিচালনায় প্রজ্ঞাবান।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
আল্লাহ মানুষের প্রতি কোন করুণা করলে কেউ তার নিবারণকারী নেই এবং তিনি যা নিবারণ করেন তারপর কেউ তার প্রেরণকারী নেই। [১] তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। [১] রসূলগণের প্রেরণ ও কিতাবসমূহের অবতারণও সেই সকল করুণার মধ্যে গণ্য। অর্থাৎ সকল বস্তুর দাতাও তিনি এবং ফিরিয়ে নেওয়া বা নিবারণ করার মালিকও তিনি। তিনি ছাড়া না কেউ দাতা ও অনুগ্রহকারী আছে, আর না কেউ রোধকারী ও নিবারণকারী আছে। যেমন নবী ( সাঃ ) বলতেন, ( اَللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ ) অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তুমি যা দান কর, তা রোধ করার এবং যা রোধ কর, তা দান করার সাধ্য কারো নেই। ( বুখারী, মুসলিম )
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
আল্লাহ্ মানুষের প্রতি কোন অনুগ্রহ অবারিত করলে কেউ তা নিবারণকারী নেই এবং তিনি কিছু নিরুদ্ধ করতে চাইলে পরে কেউ তার উন্মুক্তকারী নেই [ ১ ]। আর তিনি পরাক্রমশালী, হিকমতওয়ালা [ ২ ] [ ১ ] অন্য আয়াতে আল্লাহ্ বলেন, “ এমন কে আছে, যে তোমাদেরকে রিযিক দান করবে, যদি তিনি তাঁর রিযিক বন্ধ করে দেন? বরং তারা অবাধ্যতা ও সত্য বিমুখতায় অবিচল রয়েছে ।” [ সূরা আল-মুলক: ২১ ] [ ২ ] এক হাদীসে এ বিষয়টি স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে বলেন, হে বৎস! জেনে রাখ, যদি দুনিয়ার সমস্ত জাতি তোমার কোন উপকার করতে চায় তবে সে আল্লাহ যা নির্ধারিত করে রেখেছেন এর বাইরে তোমার কোন উপকার করতে পারবে না, পক্ষান্তরে যদি দুনিয়ার সমস্ত জাতি তোমার ক্ষতি করতে চায় তবে ততটুকু ক্ষতি করতে পারবে যতটুকু আল্লাহ তোমার উপর লিখে রেখেছেন।” [ তিরমিয়ী:২৫১৬ ]
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
আল্লাহ তা'আলা খবর দিচ্ছেন যে, তিনি যা কিছু ইচ্ছা করেন তা হয়েই যায়। আর যা তিনি ইচ্ছা করেন না তা কখনো হয় না। যখন তিনি কাউকেও কিছু দেন তখন তা কেউ বন্ধ করতে পারে না। আর যাকে তিনি দেন না তাকে কেউ দিতে পারে না। ফরয নামাযের সালাম ফিরানোর পর রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) সদা নিম্নের কালেমাগুলো পাঠ করতেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তিনি এক, তার কোন অংশীদার নেই, রাজ্য-রাজত্ব ও প্রশংসা তারই এবং তিনি প্রত্যেক বস্তুর উপর ক্ষমতাবান । হে আল্লাহ! আপনি যা দেন তা কেউ রোধ বা বন্ধ করতে পারে না এবং আপনি যা দেন না কেউ দিতে পারে না। আর ধনবানকে ধন আপনা হতে কোন উপকার পৌঁছাতে পারে না।” রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বাজে কথা বলতে, বেশী প্রশ্ন করতে এবং টাকা অপচয় করতে নিষেধ করতেন। তিনি মেয়েদেরকে জীবন্ত পুঁতে ফেলতে, মাতাদের অবাধ্যাচরণ করতে, নিজে গ্রহণ করা ও অন্যকে না দেয়া ইত্যাদি কাজগুলো হতে নিষেধ করেছেন। ( এ হাদীসটি মুসনাদে আহমাদে হযরত মুগীরা ইবনে শু’বা (রাঃ ) হতে বর্ণিত হয়েছে এবং ইমাম বুখারী ( রঃ ) ও ইমাম মুসলিম ( রঃ ) এটা তাখরীজ করেছেন)হযরত আবূ সাঈদ খুদরী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) রুকূ' হতে মাথা উঠাবার পর ( আরবী ) বলতেন এবং তারপর নিম্নলিখিত কালেমাগুলো বলতেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ হে আল্লাহ! হে আমাদের প্রতিপালক! আপনার জন্যেই প্রশংসা আকাশপূর্ণ, যমীনপূর্ণ এবং এর পরে আপনি যা চান সবকিছু পূর্ণ । হে আল্লাহ! আপনি প্রশংসা ও মর্যাদা বিশিষ্ট। বান্দা যা বলে আপনি তার হকদার। আমাদের প্রত্যেকেই আপনার বান্দা। হে আল্লাহ! আপনি যা দেন তা কেউ বন্ধ করতে পারে না এবং যা দেন না কেউ দিতে পারে না এবং ধনীকে তার ধন আপনা ( আপনার শাস্তি ) হতে কোন উপকার পৌছাতে পারে না।” ( এ হাদীসটি সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আছে ) এ আয়াত আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলার নিম্নের আয়াতের মতঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ যদি আল্লাহ্ তোমাকে কোন কষ্ট ও বিপদে আবদ্ধ করে ফেলেন তবে তিনি ছাড়া কেউ তা উন্মুক্তকারী নেই, আর যদি তিনি তোমার প্রতি কল্যাণের ইচ্ছা করেন তবে কেউ তার অনুগ্রহকে নিবারণ করতে পারে না ।” ( ১০:১০৭ ) ইমাম মালিক ( রঃ ) বলেন যে, যখন বৃষ্টি বর্ষিত হতো তখন হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) বলতেনঃ “ আমাদের উপর -এর তারকা হতে বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে । অতঃপর তিনি ( আরবী )-এই আয়াতটি পাঠ করতেন। ( ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) এটা বর্ণনা করেছেন)
সূরা ফাতির আয়াত 2 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- তখন ইব্রাহীমের সম্প্রদায়ের এছাড়া কোন জওয়াব ছিল না যে তারা বলল, তাকে হত্যা কর অথবা
- আদ সম্প্রদায় মিথ্যারোপ করেছিল, অতঃপর কেমন কঠোর হয়েছিল আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী।
- আমাদের প্রথম মৃত্যু ছাড়া এবং আমরা শাস্তি প্রাপ্তও হব না।
- আর আমি মূসা (আঃ)-কে অবশ্যই কিতাব দিয়েছিলাম অতঃপর তাতে বিরোধ সৃষ্টি হল; বলাবাহুল্য তোমার পালনকর্তার
- আমি জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়ক ফেরেশতাই রেখেছি। আমি কাফেরদেরকে পরীক্ষা করার জন্যেই তার এই সংখ্যা করেছি-যাতে কিতাবীরা
- ইব্রাহীমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।
- সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।
- আর আমি রসূলগণের সব বৃত্তান্তই তোমাকে বলছি, যদ্দ্বারা তোমার অন্তরকে মজবুত করছি। আর এভাবে তোমার
- ইহুদীরা বলে, খ্রীস্টানরা কোন ভিত্তির উপরেই নয় এবং খ্রীস্টানরা বলে, ইহুদীরা কোন ভিত্তির উপরেই নয়।
- তারা দোযখের আগুন থেকে বের হয়ে আসতে চাইবে কিন্তু তা থেকে বের হতে পারবে না।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ফাতির ডাউনলোড করুন:
সূরা Fatir mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Fatir শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers