কোরান সূরা নামল আয়াত 21 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Naml ayat 21 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা নামল আয়াত 21 আরবি পাঠে(Naml).
  
   

﴿لَأُعَذِّبَنَّهُ عَذَابًا شَدِيدًا أَوْ لَأَذْبَحَنَّهُ أَوْ لَيَأْتِيَنِّي بِسُلْطَانٍ مُّبِينٍ﴾
[ النمل: 21]

আমি অবশ্যই তাকে কঠোর শাস্তি দেব কিংবা হত্যা করব অথবা সে উপস্থিত করবে উপযুক্ত কারণ। [সূরা নামল: 21]

Surah An-Naml in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Naml ayat 21


''আমি অবশ্যই তাকে কঠিন শাস্তি দেব, অথবা আমি নিশ্চয়ই তাকে জবাই করব, অথবা তাকে অবশ্যই আমার কাছে আসতে হবে সুস্পষ্ট অজুহাত নিয়ে।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


২১. তার অনুপস্থিতির ব্যাপারটি সুস্পষ্ট হলে তিনি তার সম্পর্কে বললেন: আমি অবশ্যই তাকে কঠিন শাস্তি দেবো, না হয় তাকে অনুপস্থিতির শাস্তি স্বরূপ জবাই করে দেবো, না হয় সে আমার নিকট এমন একটি সুস্পষ্ট প্রমাণ আনবে যা তার অনুপস্থিতির ওজর প্রকাশ করবে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


সে উপযুক্ত কারণ না দর্শালে আমি অবশ্যই ওকে কঠিন শাস্তি দেব অথবা জবাই করব।’

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আমি অবশ্যই তাকে কঠিন শাস্তি দেব কিংবা তাকে যবেহ করব [] অথবা সে আমার নিকট উপযুক্ত কারণ দর্শাবে []।’ [] এ আয়াত থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা আমরা পাই, এক.
শাস্তি দিতে হবে অপরাধ মোতাবেক শরীর মোতাবেক নয়। দুই.
যদি কোন পালিত জন্তু গাভী, বলদ, গাধা, ঘোড়া, উট ইত্যাদি কাজে অলসতা করে তবে প্রয়োজনমাফিক প্ৰহারের সুষম শাস্তি দেয়া জায়েয। তবে বিনা কারণে কাউকে শাস্তি দেয়া জায়েয নেই। [ কুরতুবী ] [] এর দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া বিচারকের কর্তব্য। উপযুক্ত ওযর পেশ করলে তা গ্ৰহণ করা উচিত। [ দেখুন, তাবারী; আত-তাহরীর ওয়াত তানওয়ীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


২০-২১ নং আয়াতের তাফসীর হযরত সুলাইমান ( আঃ )-এর সেনাবাহিনীর মধ্যে হুহু গণতকারের কাজ। করতো। পানি কোথায় আছে তা সে বলতে পারতো। যমীনের নীচের পানি সে তেমনই দেখতে পেতো যেমন যমীনের উপরের জিনিস মানুষ দেখতে পায়। যখন হযরত সুলাইমান ( আঃ ) জঙ্গলে থাকতেন তখন পানি কোথায় আছে তা তিনি হুহুকে জিজ্ঞেস করতেন। তখন হুদহু বলে দিতো যে, অমুক অমুক জায়গায় পানি আছে ও এতোটা নীচে আছে ইত্যাদি। এরূপ সময় হযরত সুলাইমান ( আঃ ) জ্বিনদেরকে হুকুম করে কূপ খনন করিয়ে নিতেন। এইভাবে একদিন তিনি এক জঙ্গলে ছিলেন এবং পানির খোঁজ নেয়ার জন্যে পাখীগুলোর সন্ধান নেন। ঘটনাক্রমে ঐ সময় হুদহুদ উপস্থিত ছিল না। তাকে দেখতে না পেয়ে হযরত সুলাইমান ( আঃ ) বলেনঃ “ আমি আজ হুহুকে দেখতে পাচ্ছি না । সে কি পাখীদের মধ্যে কোন জায়গায় লুকিয়ে রয়েছে বলেই আমার চোখে পড়ছে না, না আসলেই সে অনুপস্থিত রয়েছে?” একদা হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ )-এর নিকট এই তাফসীর শুনে নাফে ইবনে আরযাক খারেজী প্রতিবাদ করে বসে। এই বাজে উক্তিকারী লোকটি প্রায়ই হযরত আবদুল্লাহ ( রাঃ )-এর কথার প্রতিবাদ করতো। সে বললোঃ “ হে ইবনে আব্বাস ( রাঃ )! আপনি তো আজ হেরে গেলেন । হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বললেনঃ “ এটা তুমি কেন বলছো?” উত্তরে সে বললোঃ “আপনি বলছেন যে, হুহু যমীনের নীচের পানি দেখতে পেতো । কিন্তু কি করে এটা সত্য হতে পারে? ছেলেরা জাল বিছিয়ে ওকে মাটি দ্বারা ঢেকে ওর উপর দানা নিক্ষেপ করে হুদহুদ পাখীকে শিকার করে থাকে। যদি সে যমীনের নীচের পানি দেখতে পায় তবে যমীনের উপরের জাল সে দেখতে পায় না কেন?” তখন হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) উত্তর দেনঃ “ তুমি মনে করবে যে, ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) নিরুত্তর হয়ে গেছেন, এরূপ ধারণা আমি না করলে তোমার প্রশ্নের জবাব দেয়া প্রয়োজন মনে করতাম না । জেনে রেখো যে, যখন মৃত্যু এসে যায় তখন চক্ষু অন্ধ হয়ে যায় এবং জ্ঞান লোপ পায়।” একথা শুনে নাফে নিরুত্তর হয়ে যায় এবং বলেআল্লাহর কসম! আর আমি আপনার কথার কোন প্রতিবাদ করবো না ।”হযরত আবদুল্লাহ বারাযী ( রঃ ) অলীউল্লাহ লোক ছিলেন। প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার নিয়মিতভাবে রোযা রাখতেন। আশি বছর তাঁর বয়স হয়েছিল। তাঁর এক চক্ষু কানা ছিল। সুলাইমান ইবনে যায়েদ ( রঃ ) তাঁকে তাঁর একটি চোখ নষ্ট হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি তা বলতে অস্বীকার করেন। কিন্তু তিনি তাঁর পিছনে লেগেই থাকেন। মাসের পর মাস কেটে যায়, কিন্তু না তিনি কারণ বলেন এবং না তিনি তাঁর পিছন ছাড়েন। শেষে অসহ্য হয়ে তিনি বলেনঃ “ তাহলে শোন- দু’জন খুরাসানী দামেশকের পার্শ্ববর্তী বারযাহ নামক একটি শহরে আমার নিকট আগমন করে এবং আমাকে অনুরোধ করে যে, আমি যেন তাদেরকে বারযাহ উপত্যকায় নিয়ে যাই । আমি তখন তাদেরকে সেখানে নিয়ে যাই। তারা অঙ্গার ধানিকাসমূহ বের করলো এবং তাতে চন্দন কাঠ জ্বালিয়ে দিলো। এর ফলে সাৱা উপত্যকা সুগন্ধে ভরপুর হয়ে গেল এবং চতুর্দিক হতে সেখানে সাপ আসতে লাগলো। কিন্তু তারা বেপরোয়াভাবে সেখানে বসেই থাকলো। কোন সাপের দিকেই তারা হৃক্ষেপও করলো না। অল্পক্ষণ পরে একটি সাপ আসলো যা এক হাত বরাবর ছিল। তার চক্ষুগুলো সোনার ন্যায় জ্বলজ্বল করছিল। এতে তারা খুবই খুশী হলো এবং বললোঃ “ আমরা আল্লাহ তা'আলার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে, আমাদের এক বছরের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে ।” অতঃপর সাপটিকে ধরে তারা ওর চোখে শলাকা ঘুরিয়ে দিলো এবং এরপর নিজেদের চোখে ঐ শলাকা ঘুরালো। আমি তখন তাদেরকে বললামঃ আমার চোখেও এই শলাকা ঘুরিয়ে দাও। তারা অস্বীকার করলো। কিন্তু আমার পীড়াপীড়িতে শেষে সম্মত হলো এবং আমার চোখে শলাকা ঘুরিয়ে দিলো। তখন আমি তাকিয়ে দেখি তো যমীন যেন আমার নিকট একটি শীশার মত মনে হতে লাগলো। যমীনের উপরের জিনিস আমি যেমন দেখছিলাম, ঠিক তেমনই যমীনের নীচের জিনিসও দেখতে পাচ্ছিলাম। অতঃপর তারা আমাকে বললোঃ “ আচ্ছা, আপনি আমাদের সাথে কিছু দূর চলেন । আমি তখন তাদের কথামত তাদের সাথে চলতে থাকলাম। যখন আমরা জনপদ হতে বহু দূরে চলে গেলাম তখন তারা দুজন আমাকে দু’দিক থেকে ধরে নিলো এবং একজন আমার চোখে অঙ্গুলী ভরে দিয়ে আমার চোখ উঠিয়ে নিলো এবং তা ফেলে দিলো। তারপর আমাকে তারা বেঁধে সেখানে রেখে চলে গেল। ঘটনাক্রমে সেখান দিয়ে এক যাত্রীদল যাচ্ছিল। তারা আমাকে ঐ অবস্থায় দেখে আমার প্রতি দয়াপরবশ হয়ে আমাকে বন্ধনমুক্ত করলো। অতঃপর আমি সেখান হতে চলে আসলাম। আমার চক্ষু নষ্ট হওয়ার কাহিনী এটাই।” ( এ ঘটনাটি হাফিয ইবনে আসাকের (রাঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত সুলাইমান ( আঃ )-এর ঐ হুহুদের নাম ছিল আম্বার। তিনি বললেনঃ “ যদি সত্যিই সে অনুপস্থিত থেকে থাকে তবে অবশ্যই আমি তাকে কঠিন শাস্তি দিবো অথবা যবাহ করেই ফেলবো । আর যদি সে তার অনুপস্থিতির উপযুক্ত কারণ দর্শাতে পারে তবে তাকে ক্ষমা করা হবে।”কিছুক্ষণ পর হুদহুদ এসে গেল। জীব-জন্তুগুলো তাকে বললোঃ “ আজ তোমার রক্ষা নেই । বাদশাহ সুলাইমান ( আঃ ) তোমাকে হত্যা করে ফেলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।” হুদহুদ তখন তাদেরকে বললোঃ “ বাদশাহ কি শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন বল দেখি?” তারা তা বর্ণনা করলো । তখন সে খুশী হয়ে বললোঃ “ তাহলে আমি রক্ষা পেয়ে যাবো । হযরত মুজাহিদ ( রঃ ) বলেন যে, সে তার মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার করতো বলেই আল্লাহ তা'আলা তাকে রক্ষা করেছেন।

সূরা নামল আয়াত 21 সূরা

لأعذبنه عذابا شديدا أو لأذبحنه أو ليأتيني بسلطان مبين

سورة: النمل - آية: ( 21 )  - جزء: ( 19 )  -  صفحة: ( 378 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অতঃপর তোমরা তা অবশ্যই দেখবে দিব্য প্রত্যয়ে,
  2. যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারা জান্নাতে সমাদৃত হবে;
  3. এবং আপনাকে কোরআন প্রদত্ত হচ্ছে প্রজ্ঞাময়, জ্ঞানময় আল্লাহর কাছ থেকে।
  4. আমি যদি একে অনারব ভাষায় কোরআন করতাম, তবে অবশ্যই তারা বলত, এর আয়াতসমূহ পরিস্কার ভাষায়
  5. এই কি উত্তম আপ্যায়ন, না যাক্কুম বৃক্ষ?
  6. তারা আমার দেয়া জীবনোপকরণ থেকে তাদের জন্যে একটি অংশ নির্ধারিত করে, যাদের কোন খবরই তারা
  7. এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।
  8. মুসলমানের কাজ নয় যে, মুসলমানকে হত্যা করে; কিন্তু ভুলক্রমে। যে ব্যক্তি মুসলমানকে ভূলক্রমে হত্যা করে,
  9. তোমাদের কারো যখন মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়, সে যদি কিছু ধন-সম্পদ ত্যাগ করে যায়, তবে
  10. তারা যা বলে তা থেকে আল্লাহ পবিত্র।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা নামল ডাউনলোড করুন:

সূরা Naml mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Naml শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত নামল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত নামল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত নামল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত নামল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত নামল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত নামল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত নামল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত নামল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত নামল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত নামল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত নামল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত নামল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত নামল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত নামল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত নামল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত নামল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত নামল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত নামল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত নামল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত নামল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত নামল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত নামল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত নামল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত নামল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত নামল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, May 12, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب