কোরান সূরা শুআরা আয়াত 22 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Shuara ayat 22 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা শুআরা আয়াত 22 আরবি পাঠে(Shuara).
  
   

﴿وَتِلْكَ نِعْمَةٌ تَمُنُّهَا عَلَيَّ أَنْ عَبَّدتَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ﴾
[ الشعراء: 22]

আমার প্রতি তোমার যে অনুগ্রহের কথা বলছ, তা এই যে, তুমি বনী-ইসলাঈলকে গোলাম বানিয়ে রেখেছ। [সূরা শুআরা: 22]

Surah Ash-Shuara in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Shuara ayat 22


''আর এই তো হচ্ছে সেই অনুগ্রহ যা তুমি আমার কাছে উল্লেখ করছ যার জন্যে তুমি ইসরাইলের বংশধরদের দাস বানিয়েছ!’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


২২. আর বনী ইসরাঈলের ন্যায় আমাকে গোলাম না বানিয়ে স্বাধীনভাবে আমাকে লালন-পালন করা সত্যিই এমন একটি নিয়ামত যার খোঁটা তুমি আমাকে দিচ্ছো। তবে তা আমাকে তোমার প্রতি দা’ওয়াত দেয়া থেকে বিরত রাখতে পারবে না।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আমার প্রতি তোমার যে অনুগ্রহের কথা উল্লেখ করেছ, তা তো এ যে, তুমি বনী ইস্রাঈলকে দাসে পরিণত করেছ।’ [১] [১] অর্থাৎ, এটি উত্তম অনুগ্রহ যা তুমি স্মরণ করাচ্ছ। তুমি অবশ্যই আমাকে দাস বানাওনি; বরং মুক্ত রেখেছ। কিন্তু আমার পুরো জাতিকেই গোলাম বানিয়ে রেখেছ। এই মহা অত্যাচারের পরিবর্তে এই সামান্য অনুগ্রহের মূল্য কোথায়?

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর আমার প্রতি তোমার যে অনুগ্রহের কথা উল্লেখ করে তুমি দয়া দেখাচ্ছ তা তো এই যে, তুমি বনী ইসরাঈলকে দাসে পরিণত করেছ [] ।’ [] অর্থাৎ তোমরা যদি বনী ইসরাঈলের প্রতি জুলুম-নিপীড়ন না চালাতে তাহলে আমি প্রতিপালিত হবার জন্য তোমাদের গৃহে কেন আসতাম? তোমাদের জুলুমের কারণেই তো আমার মা আমাকে ঝুড়িতে ভরে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। নয়তো আমার লালন-পালনের জন্য কি আমার নিজের গৃহ ছিল না? তাই এ লালন-পালনের জন্য অনুগৃহীত করার খোঁটা দেয়া তোমার মুখে শোভা পায় না। [ দেখুন- কুরতুবী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১০-২২ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা'আলা স্বীয় বান্দা এবং রাসূল হযরত মূসা কালীমুল্লাহ ( আঃ )-কে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন এখানে তিনি তারই বর্ণনা দিচ্ছেন। তুর পাহাড়ের ডান দিক হতে আল্লাহ তা'আলা তাঁকে ডাক দেন, তাঁর সাথে কথা বলেন এবং তাকে নিজের রাসূল ও মনোনীত বান্দারূপে নির্বাচন করেন। তাঁকে তিনি ফিরাউনের নিকট প্রেরণ করেন, যে ছিল চরম অত্যাচারী বাদশাহ। তার মধ্যে আল্লাহর ভয় মোটেই ছিল না। হযরত মূসা ( আঃ ) মহান আল্লাহর নিকট স্বীয় দুর্বলতার কথা প্রকাশ করেন এবং তা তার পক্ষ থেকে দূর করে দেয়া হয়। যেমন সূরায়ে। তোয়-হায় তাঁর প্রার্থনার পরে বলা হয়ঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ হে । মূসা ( আঃ )! তোমার প্রার্থিত জিনিস তোমাকে দিয়ে দেয়া হলো।” ( ২০: ৩৬ ) এখানে তিনি তাঁর ওজর বর্ণনা করে বলেনঃ “ আমার হৃদয় সংকুচিত হয়ে পড়ছে, আমার জিহ্বায় জড়তা রয়েছে । সুতরাং ( আমার বড় ভাই ) হারুন ( আঃ )-কেও আমার সাথে নবী বানিয়ে দিন। আর আমি তাদেরই মধ্য হতে একজন কিবতীকে বিনা দোষে মেরে ফেলেছিলাম। ঐ কারণে আমি মিসর ছেড়েছিলাম। তাই এখন আমার ভয় হচ্ছে যে, তারা হয়তো আমাকে হত্যা করে ফেলবে।” জবাবে মহান আল্লাহ তাঁকে বললেনঃ “ ভয়ের কোন কারণ নেই । তোমার ভাইকে আমি তোমার সঙ্গী বানিয়ে দিলাম এবং তোমাদেরকে উজ্জ্বল দলীল প্রদান করলাম। সুতরাং তারা তোমাদের কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। তোমরা ও তোমাদের অনুসারীরা জয়যুক্ত হবে। তোমরা আমার নিদর্শনগুলো নিয়ে তার কাছে যাও এবং তাকে বুঝাতে থাকো। তোমাদের সাথে আমার সাহায্য রয়েছে। তোমাদের ও তাদের সব কথাই আমি শুনতে থাকবে এবং তোমাদের সবকিছুই আমি দেখতে থাকবো। আমার হিফাযত, সাহায্য-সহানুভূতি এবং পৃষ্ঠপোষকতা তোমাদের সাথে রইলো। কাজেই তোমরা উভয়ে ফিরাউনের কাছে গিয়ে বল, আমরা জগতসমূহের প্রতিপালকের রাসূলরূপে তোমার নিকট প্রেরিত হয়েছি।” যেমন অন্য আয়াতে রয়েছেঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ আমরা দু’জন তোমার প্রতিপালকের রাসূল ।( ২০: ৪৭ ) আল্লাহ তাদেরকে আরো বলতে বললেনঃ বানী ইসরাঈলকে আমাদের সাথে পাঠিয়ে দাও। তারা আল্লাহর মুমিন বান্দা। তুমি তাদেরকে তোমার দাস বানিয়ে রেখেছে এবং তাদের অবস্থা করেছো অত্যন্ত শোচনীয়। তুমি তাদের দ্বারা লাঞ্ছনার সাথে সেবার কাজ করিয়ে নিচ্ছ এবং তাদেরকে বিভিন্ন প্রকারের শাস্তি দিচ্ছ। এখন তুমি তাদেরকে আযাদ করে দিয়ে আমাদের সাথে পাঠিয়ে দাও।হযরত মূসা ( আঃ )-এর এ পয়গাম ফিরাউন অত্যন্ত তুচ্ছ জ্ঞানে শুনলো এবং তাকে ধমকের সুরে বললোঃ আমরা কি তোমাকে শৈশবে আমাদের মধ্যে প্রতিপালন করিনি? এবং তুমি তো তোমার জীবনের বহু বছর আমাদের মধ্যে কাটিয়েছে। আর তুমি আমাকে এর প্রতিদান এই দিয়েছে যে, আমাদের একটি লোককে হত্যা করেছো। তুমি বড়ই অকৃতজ্ঞ। তার একথার জবাবে হযরত মূসা ( আঃ ) তাকে বললেনঃ “ আমি তো এটা করেছিলাম । তখন যখন আমি অজ্ঞ ছিলাম এবং ওটা ছিল আমার নবুওয়াত প্রাপ্তির পূর্বের ঘটনা।” হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ( রাঃ )-এর কিরআতে( আরবি ) -এর স্থলে ( আরবি ) রয়েছে। হযরত মূসা ( আঃ ) বললেনঃ ঐ যুগ চলে গেছে, এখন অন্য যুগ এসেছে। আল্লাহ তা'আলা আমাকে রাসূল করে তোমার নিকট পাঠিয়েছেন। এখন যদি তুমি আমার কথা মেনে নাও তবে তুমি শান্তি লাভ করবে। আর যদি আমাকে অবিশ্বাস কর তবে নিঃসন্দেহে তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে। আমি যে ভুল করেছিলাম ওর পর তোমাদের ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিলাম। এরপর আমার প্রতি আল্লাহ এই অনুগ্রহ করেছেন। সুতরাং এখন পুরাতন কথার উল্লেখ না করে আমার দাওয়াত কবুল করে নাও। জেনে রেখো যে, তুমি আমার একার প্রতি একটা অনুগ্রহ। করেছিলে বটে, কিন্তু আমার কওমের উপর তুমি যুলুম ও বাড়াবাড়ি করেছে। তাদেরকে তুমি অন্যায়ভাবে গোলাম বানিয়ে রেখেছে। আমার সাথে তুমি যে। সদাচরণ করেছে এবং আমার কওমের প্রতি যে অন্যায়াচরণ করেছো দুটো কি সমান হবে?

সূরা শুআরা আয়াত 22 সূরা

وتلك نعمة تمنها علي أن عبدت بني إسرائيل

سورة: الشعراء - آية: ( 22 )  - جزء: ( 19 )  -  صفحة: ( 368 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. যারা দৃঢ়পদ রয়েছে এবং তাদের পালনকর্তার উপর ভরসা করেছে।
  2. যখন খাঁটিভাবে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়, তখন যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, তাদের অন্তর
  3. লূত (আঃ) বললেন-হায়, তোমাদের বিরুদ্ধে যদি আমার শক্তি থাকত অথবা আমি কোন সূদৃঢ় আশ্রয় গ্রহণ
  4. তালাকে-‘রাজঈ’ হ’ল দুবার পর্যন্ত তারপর হয় নিয়মানুযায়ী রাখবে, না হয় সহৃদয়তার সঙ্গে বর্জন করবে। আর
  5. আর যেদিন আমি তাদের সবাইকে একত্রিত করব, অতঃপর যারা শিরক করেছিল, তাদের বলবঃ যাদেরকে তোমরা
  6. বরকতময় তিনিই, নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু যার। তাঁরই কাছে আছে কেয়ামতের জ্ঞান এবং
  7. আর হে আমার জাতি, ন্যায়নিষ্ঠার সাথে ঠিকভাবে পরিমাপ কর ও ওজন দাও এবং লোকদের জিনিসপত্রে
  8. আর আমি তোমাদের উপর ছায়া দান করেছি মেঘমালার দ্বারা এবং তোমাদের জন্য খাবার পাঠিয়েছি ’মান্না’
  9. আর কোন কোন লোক রয়েছে যারা নিজেদের পাপ স্বীকার করেছে, তারা মিশ্রিত করেছে একটি নেককাজ
  10. আমি তাদের জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে,

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা শুআরা ডাউনলোড করুন:

সূরা Shuara mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Shuara শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত শুআরা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত শুআরা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত শুআরা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত শুআরা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত শুআরা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত শুআরা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত শুআরা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত শুআরা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত শুআরা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত শুআরা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত শুআরা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত শুআরা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত শুআরা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত শুআরা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত শুআরা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত শুআরা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত শুআরা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত শুআরা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত শুআরা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত শুআরা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত শুআরা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত শুআরা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত শুআরা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত শুআরা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত শুআরা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Tuesday, September 30, 2025

Please remember us in your sincere prayers