কোরান সূরা ইবরাহীম আয়াত 26 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Ibrahim ayat 26 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ইবরাহীম আয়াত 26 আরবি পাঠে(Ibrahim).
  
   

﴿وَمَثَلُ كَلِمَةٍ خَبِيثَةٍ كَشَجَرَةٍ خَبِيثَةٍ اجْتُثَّتْ مِن فَوْقِ الْأَرْضِ مَا لَهَا مِن قَرَارٍ﴾
[ إبراهيم: 26]

এবং নোংরা বাক্যের উদাহরণ হলো নোংরা বৃক্ষ। একে মাটির উপর থেকে উপড়ে নেয়া হয়েছে। এর কোন স্থিতি নেই। [সূরা ইবরাহীম: 26]

Surah Ibrahim in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Ibrahim ayat 26


আর খারাপ কথার উপমা হচ্ছে মন্দ গাছের মতো যা মাটির উপর থেকে উপড়ে ফেলা হয়েছে, এর কোনো স্থিতি নেই।


Tafsir Mokhtasar Bangla


২৬. আর শিরকের নিকৃষ্ট কালিমার দৃষ্টান্ত হলো একটি নিকৃষ্ট গাছ। যেটি একটি তিক্ত ফলের গাছ। যাকে মূল থেকেই উঠিয়ে ফেলা হয়েছে। জমিনে যার কোন ভিত্তি নেই। না আকাশের দিকে তার কোন উচ্চতা রয়েছে। ফলে তা একদা মরে যায় এবং বাতাস সেটিকে খÐ খÐ আকারে উড়িয়ে নেয়। এভাবেই কুফরির কালিমার পরিণতি হলো নিঃশেষ হয়ে যাওয়া। তাই এ কালিমার দাবিদারের কোন নেক আমলই আল্লাহর নিকট পৌঁছায় না।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


পক্ষান্তরে কুবাক্যের উপমা এক মন্দ বৃক্ষ; যার মূল ভূপৃষ্ঠ হতে বিছিন্ন, যার কোন স্থায়িত্ব নেই।[১] [১] كَلِمَة خَبِيْثَة ( কুবাক্য ) থেকে কুফরী এবং شَجَرَة خَبِيْثَة ( মন্দ বৃক্ষ ) থেকে হানযাল ( তেলাকচু বা মাকাল ) গাছকে বুঝানো হয়েছে যার শিকড় মাটির উপরেই থাকে এবং একটু টান দিতেই উপড়ে যায়। অর্থাৎ কাফেরদের আমল একেবারেই মূল্যহীন; তা না আকাশে যায়, আর না আল্লাহর দরবারে তা গৃহীত হয়।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর অসৎবাক্যের তুলনা এক মন্দ গাছ যার মূল ভূপৃষ্ঠ হতে বিচ্ছিন্নকৃত, যার কোন স্থায়িত্ব নেই []। [] ( كَلِمَةٍ خَبِيْثَةٍ ) এটি কলেমা তাইয়্যেবার বিপরীত শব্দ। এখানে কাফেরদের দৃষ্টান্ত দেয়া হয়েছে খারাপ বৃক্ষ দ্বারা। কালেমায়ে তাইয়্যেবার অর্থ যেমন লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ অর্থাৎ ঈমান, তেমনি কালেমায়ে খবীসার অর্থ কুফরী বাক্য ও কুফরী কাজকর্ম। [ কুরতুবী ] আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর তাফসীরে ( كَشَجَرَةٍ خَبِيْثَةِ ) অর্থাৎ খারাপ বৃক্ষের উদ্দিষ্ট অর্থ হানযল বৃক্ষ সাব্যস্ত করা হয়েছে। [ কুরতুবী ] কেউ কেউ রসুন ইত্যাদি বলেছেন। [ বাগভী ] কুরআনে এই খারাপ বৃক্ষের অবস্থা এরূপ বর্ণিত হয়েছে যে, এর শিকড় ভূগর্ভের অভ্যন্তরে বেশী যেতে পারে না। ফলে যখন কেউ ইচ্ছা করে, এ বৃক্ষকে সমূলে উৎপাটিত করতে পারে। [ কুরতুবী ] কাফেরের কাজকর্মকে এ বৃক্ষের সাথে তুলনা করার কারণ হচ্ছে, ইবন আব্বাস বলেন, শির্কের কোন মূল নেই, কোন প্রমাণ নেই যে, কাফের তা ধারণ করবে। আর আল্লাহ্ শির্ক মিশ্রিত কোন আমল কবুল করেন না। [ তাবারী ] অর্থাৎ কাফেরের দ্বীনের বিশ্বাসের কোন শিকড় ও ভিত্তি নেই। অল্পক্ষণের মধ্যেই নড়বড়ে হয়ে যায়। অনুরূপভাবে এ বৃক্ষের ফল-ফুল অর্থাৎ কাফেরের ক্রিয়াকর্ম আল্লাহ্‌র দরবারে ফলদায়ক নয়। গ্রহণযোগ্য নয়। [ বাগভী; কুরতুবী; ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


২৪-২৬ নং আয়াতের তাফসীর হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) বলেন, লা ইলালাহ ইল্লাল্লাহ ( আল্লাহ ছাড়া কেউ উপাস্য নেই ) এর সাক্ষ্য দেয়াই বুঝানো হয়েছে কালেমায়ে তায়্যেবা দ্বারা। আর উত্তম ও পবিত্র বৃক্ষ দ্বারা মুমিনকে বুঝানো হয়েছে। এর মূল দৃঢ়, অর্থাৎ মুমিনের অন্তরে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ রয়েছে। এর শাখা রয়েছে ঊর্ধ্বে অর্থাৎ মুমিনের তাওহীদ বা একত্ববাদের কালেমার কারণে তার আমলগুলি আকাশে উঠিয়ে নেয়া হয়। আরো বহু মুফাসির হতে এটাই বর্ণিত হয়েছে যে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে মুমিনের আমল, কথা ও সৎ কার্যাবলী। মুমিন খেজুর বৃক্ষের ন্যায়। প্রত্যেক দিন সকালে ও সন্ধ্যায় তার আমলগুলি আকাশে উঠে যায়।হযরত আনাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ( সঃ ) কাছে একটি খেজুর গুচ্ছ আনয়ন করা হলে তিনি ( আরবি ) এই অংশটুকু পাঠ করেন এবং বলেনঃ “ ওটা খেজুর বৃক্ষ ।”হযরত ইবনু উমার ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “ আমরা ( একদা ) রাসূলুল্লাহ( সঃ ) কাছে ছিলাম । তিনি আমাদেরকে বলেনঃ “ ওটা কোন্ গাছ যা মুসলমানের মত, যার পাতা ঝরে পড়ে না, গ্রীষ্ম কালেও না শীতকালেও না; যা সব মওসুমেই ফল ধারণ করে থাকে?” হযরত আবদুল্লাহ ইবনু উমার ( রাঃ ) বলেনঃ “আমি মনে মনে বললাম যে, বলে দিইঃ ওটা খেজুর গাছ । কিন্তু আমি দেখলাম যে, মজলিসে হযরত আবু বকর ( রাঃ ) , হযরত উমার ( রাঃ ) রয়েছেন। এবং তাঁরা নীরব আছেন, কাজেই আমিও নীরব থাকলাম। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বললেনঃ “ ওটা হচ্ছে খেজুরের গাছ ।” এখান থেকে বিদায় হয়ে আমি আমার পিতা হযরত উমারকে ( রাঃ ) এটা বললে তিনি বলেনঃ “ হে আমার প্রিয় বৎস! যদি তুমি এই উত্তর দিয়ে দিতে তবে এটা আমার কাছে সমস্ত কিছু পেয়ে যাওয়ার অপেক্ষাও প্রিয় ও পছন্দনীয় ছিল ।( এ হাদিসটি ইমাম বুখারী (রঃ ) স্বীয় সহীহ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)হযরত মুজাহিদ ( রঃ ) বলেনঃ “ আমি মদীনায় হযরত ইবনু উমারের ( রাঃ ) সঙ্গ লাভ করি । আমি তাঁকে একটি মাত্র হাদীস ছাড়া কোন হাদীস রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) হতে বর্ণনা করতে শুনি নাই। তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ( সঃ ) কাছে বসেছিলাম, এমন সময় তাঁর কাছে খেজুর গাছের ভিতরের মজ্জা আনয়ন করা হয়। তখন তিনি বলেনঃ “ গাছের মধ্যে এমন এক গাছ রয়েছে যা মুসলমানের মত ।” আমি তখন বলবার ইচ্ছা করলাম যে, আমিই হলাম কওমের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ ( তাই, আমি বললাম না )রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বললেনঃ “ ওটা হচ্ছে খেজুর বৃক্ষ ।” অন্য রিওয়াইয়াতে রয়েছে যে, ঐ সময় উত্তরদাতাদের খেয়াল বন্য গাছ পালার দিকে গিয়েছিল।হযরত কাতাদা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, একটি লোক বলেঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! সম্পদশালী লোকেরা তো মর্যাদায় খুব বেড়ে গেল!” যদি দুনিয়ার সমস্ত কিছু নিয়ে স্কুপ করে দেয়া হয় তবুও কি তা আকাশ পর্যন্ত পেঁৗছতে পারবে? ( কখনই না ) তোমাকে কি এমন আমলের কথা বলবো যার মূল দৃঢ় এবং শাখা গুলি আকাশে ( চলে গেছে )?” সে জিজ্ঞেস করলোঃ “ওটা কি?” রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) উত্তরে বললেনঃ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, সুবহানাল্লাহ এবং আলহামদু লিল্লাহ প্রত্যেক ফরয নামাযের পর দশ বার করে পাঠ করো তা হলেই এটা হবে এমন আমল যার মূল মযবুত এবং শাখা আকাশে । হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) বলেন ঐ পবিত্র গাছ জান্নাতে রয়েছে। আল্লাহ পাকের উক্তিঃ ওটা প্রত্যেক মওসূমে ফলদান করে অর্থাৎ-সকাল-সন্ধ্যায় প্রতি মাসে বা প্রতি দু’মাসে অথবা প্রতি ছ’মাসে বা প্রতি সাত মাসে অথবা প্রতি বছরে। কিন্তু শব্দগুলির বাহ্যিক ভাবার্থ তো হচ্ছেঃ “ মুমিনের দৃষ্টান্ত ঐ বৃক্ষের মত যার ফল সব সময় শীতে, গ্রীষ্মে, দিনে, রাতে নেমে থাকে । অনুরূপভাবে মু'মিনের নেক আমল দিনরাত সব সময় আকাশে উঠে থাকে।”আল্লাহ তাআলা মানুষের শিক্ষা, উপদেশ ও অনুধাবনের জন্যে দৃষ্টান্ত বর্ণনা করে থাকেন।অতঃপর আল্লাহ তাআলা মন্দ কালেমা অর্থাৎ কাফিরের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করছেন, যার কোন মূল নেই এবং যা দৃঢ় নয়। এর দৃষ্টান্ত দেয়া হয়েছে ‘হানযাল গাছের সাথে, যাকে ‘শারইয়ান' বলা হয় হযরত আনাস ইবনু মালিক ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, ওটা হান্যাল গাছ। এই রিওয়াইয়াতটি মার’ রূপেও এসেছে। এর মূল ভূ-পৃষ্ঠ হতে বিচ্ছিন্ন যার কোন স্থায়িত্ব নেই। অনুরূপভাবে কুফরী মূলহীন ও শাখাহীন। কাফিরের কোন ভাল কাজ উপরে উঠে না এবং তার থেকে কিছু কবুলও হয় না।

সূরা ইবরাহীম আয়াত 26 সূরা

ومثل كلمة خبيثة كشجرة خبيثة اجتثت من فوق الأرض ما لها من قرار

سورة: إبراهيم - آية: ( 26 )  - جزء: ( 13 )  -  صفحة: ( 259 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. এই দু’টি ছাড়া আরও দু’টি উদ্যান রয়েছে।
  2. তার সঙ্গী শয়তান বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমি তাকে অবাধ্যতায় লিপ্ত করিনি। বস্তুতঃ সে নিজেই
  3. এবং যিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন পরিমিত। আতঃপর তদ্দ্বারা আমি মৃত ভূ-ভাগকে পুনরুজ্জীবিত করেছি।
  4. দূর্বল, রুগ্ন, ব্যয়ভার বহনে অসমর্থ লোকদের জন্য কোন অপরাধ নেই, যখন তারা মনের দিক থেকে
  5. মূসা বললেন, হে আমার পরওয়ারদেগার, ক্ষমা কর আমাকে আর আমার ভাইকে এবং আমাদেরকে তোমার রহমতের
  6. বস্তুতঃ যাদের অন্তরে রোগ রয়েছে, তাদেরকে আপনি দেখবেন, দৌড়ে গিয়ে তাদেরই মধ্যে প্রবেশ করে। তারা
  7. যখন যুবকরা পাহাড়ের গুহায় আশ্রয়গ্রহণ করে তখন দোআ করেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে নিজের কাছ
  8. তারা তাদের ত্বককে বলবে, তোমরা আমাদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দিলে কেন? তারা বলবে, যে আল্লাহ সব
  9. সে বলত, তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে বিষয়ের উপর পেয়েছ, আমি যদি তদপেক্ষা উত্তম বিষয় নিয়ে
  10. হে পরওয়ারদেগার! তাদের মধ্যে থেকেই তাদের নিকট একজন পয়গম্বর প্রেরণ করুণ যিনি তাদের কাছে তোমার

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ইবরাহীম ডাউনলোড করুন:

সূরা Ibrahim mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Ibrahim শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers