কোরান সূরা সাবা আয়াত 33 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Saba ayat 33 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা সাবা আয়াত 33 আরবি পাঠে(Saba).
  
   

﴿وَقَالَ الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا لِلَّذِينَ اسْتَكْبَرُوا بَلْ مَكْرُ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ إِذْ تَأْمُرُونَنَا أَن نَّكْفُرَ بِاللَّهِ وَنَجْعَلَ لَهُ أَندَادًا ۚ وَأَسَرُّوا النَّدَامَةَ لَمَّا رَأَوُا الْعَذَابَ وَجَعَلْنَا الْأَغْلَالَ فِي أَعْنَاقِ الَّذِينَ كَفَرُوا ۚ هَلْ يُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ﴾
[ سبأ: 33]

দুর্বলরা অহংকারীদেরকে বলবে, বরং তোমরাই তো দিবারাত্রি চক্রান্ত করে আমাদেরকে নির্দেশ দিতে যেন আমরা আল্লাহকে না মানি এবং তাঁর অংশীদার সাব্যস্ত করি তারা যখন শাস্তি দেখবে, তখন মনের অনুতাপ মনেই রাখবে। বস্তুতঃ আমি কাফেরদের গলায় বেড়ী পরাব। তারা সে প্রতিফলই পেয়ে থাকে যা তারা করত। [সূরা সাবা: 33]

Surah Saba in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Saba ayat 33


আর যাদের দুর্বল করা হয়েছিল তারা বলবে তাদের যারা গর্ব করছিল -- ''বস্তুত রাত ও দিনের চক্রান্ত, যখন তোমরা আমাদের হুকুম করতে যেন আমরা আল্লাহ্‌কে অবিশ্বাস করি এবং তাঁর সঙ্গে অংশী স্থাপন করি।’’ আর তারা যখন শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে তখন তারা আফসোসে আকুল হবে। আর যারা অবিশ্বাস পোষণ করত তাদের গলায় আমরা শিকল পরাব। তাদের কি প্রতিদান দেওয়া হচ্ছে তারা যা করে চলেছিল তা ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩৩. দুর্বল আনুসারীরা হক থেকে অহঙ্কার প্রদর্শনকারী নেতাদেরকে বলবে: বরং তোমরা আমাদেরকে দিন ও রাতভর প্রতারণা করে আল্লাহর সাথে কুফরি ও তাঁকে বাদ দিয়ে সৃষ্টির এবাদতের নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে বারণ করেছ। আর দুনিয়াতে কুফরির বিনিময়ে শাস্তি প্রদর্শন ও তারা শাস্তিপ্রাপ্ত হবে একথা জানার পর তারা অপমানকে ঢেকে রাখবে। আর দুনিয়াতে আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যের ইবাদাত করা ও পাপাচারে লিপ্ত হওয়ার কারণে আমি কাফিরদের ঘাড়ে শৃঙ্খল চাপিয়ে দিব।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আর যারা দুর্বল ( অনুসারী ) ছিল, তারা দাম্ভিক ( অনুসৃত )দেরকে বলবে, ‘প্রকৃতপক্ষে তোমরাই তো দিন-রাত আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত ছিলে, আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছিলে যেন আমরা আল্লাহকে অমান্য করি এবং তাঁর অংশী স্থাপন করি।’ [১] যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে তখন মনে মনে অনুতপ্ত হবে।[২] আমি অবিশ্বাসীদের গলদেশে বেড়ি পরাব।[৩] ওরা যা করত তারই প্রতিফল ওদেরকে দেওয়া হবে। [৪] [১] অর্থাৎ, আমরা অপরাধী তখনই হতাম, যখন আপন ইচ্ছায় পয়গম্বরদেরকে মিথ্যা মনে করতাম। কিন্তু ঘটনা হল যে, তোমরাই দিবা-রাত্রি আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করার এবং আল্লাহর সাথে কুফুরী ও তাঁর সাথে শরীক স্থাপন করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে, যার ফলে শেষ পর্যন্ত তোমাদের অনুসরণ করে আমরা ঈমান থেকে বঞ্চিত থেকেছি।[২] অর্থাৎ, এক অপরকে দোষারোপ তো করবে, কিন্তু উভয় দলই মনে মনে নিজেদের কুফরীর কারণে লজ্জিত হবে। কিন্তু শত্রুর আনন্দ থেকে বাঁচার জন্য তা প্রকাশ করবে না।[৩] অর্থাৎ, এমন বেড়ি যার দ্বারা তাদের হাতকে গলার সাথে বেঁধে দেওয়া হবে।[৪] অর্থাৎ, দুই দলই তাদের নিজ নিজ কর্মের প্রতিফল পাবে। নেতারা তাদের কর্ম অনুসারে এবং তাদের অনুসারীরা নিজেদের কর্ম অনুসারে শাস্তি পাবে। যেমন অন্য স্থানে আল্লাহ বলেন, ( لِكُلٍّ ضِعْفٌ وَلَكِنْ لا تَعْلَمُونَ ) অর্থাৎ, প্রত্যেকের জন্য দ্বিগুণ রয়েছে; কিন্তু তোমরা জান না। ( সূরা আ'রাফ ৭:৩৮ আয়াত )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল তারা, যারা অহংকার করেছিল তাদেরকে বলবে, 'প্রকৃতপক্ষে তোমরাই তো দিনরাত চক্রান্তে লিপ্ত ছিলে, যখন তোমরা আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছিলে যেন আমরা আল্লাহর সাথে কুফৱী করি এবং তাঁর জন্য সমকক্ষ ( শির্ক ) স্থাপন করি []।' আর যখন তারা শাস্তি দেখতে পাবে, তখন তারা অনুতাপ গোপন রাখবে এবং যারা কুফরী করেছে আমরা তাদের গলায় শৃঙ্খল পরাব। তারা যা করত তাদেরকে কেবল তারই প্রতিফল দেয়া হবে। [] অন্যকথায় এ জনতার জবাব হবে, তোমরা এ দায়িত্বের ক্ষেত্রে আমাদেরকে সমান অংশীদার করছ, কেমন করে? তোমাদের কি মনে আছে, তোমরা চালবাজী, প্রতারণা ও মিথ্যা প্রচারণার কেমন মোহময় যাদু সৃষ্টি করে রেখেছিলে এবং রাতদিন আল্লাহর বান্দাদেরকে নিজেদের ফাঁদে আটকাবার জন্য কেমন সব পদক্ষেপ নিয়েছিলে? তোমরা আমাদের সামনে দুনিয়া পেশ করেছিলে এবং আমরা তার জন্য জান দিয়ে দিলাম, ব্যাপারতো মাত্র এতটুকুই ছিল না বরং তোমরা রাতদিনের প্রতারণা ও চালাকির মাধ্যমে আমাদেরকে বেকুব বানাচ্ছিলে এবং তোমাদের প্রত্যেক শিকারী প্রতিদিন একটি নতুন জাল তৈরী করে নানা ছলচাতুরী ও কলা-কৌশলের মাধ্যমে আল্লাহর বান্দাদেরকে তাতে ফাঁসিয়ে দিচ্ছিল, এটাও ছিল বাস্তব ঘটনা। কুরআনের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পদ্ধতিতে নেতাদের এই বিবাদের উল্লেখ করা হয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য নিম্নোক্ত স্থানগুলো দেখুন, সূরা আল-আরাফ, ৩৮-৩৯ সূরা ইবরাহীম, ২১; আল কাসাস, ৬৩; আল মুমিন, ৪৭-৪৮ এবং হা মীম আস্‌ সাজদাহ, ২৯ আয়াত।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৩১-৩৩ নং আয়াতের তাফসীর: কাফিরদের ঔদ্ধত্যপনা ও বাতিলের জিদের বর্ণনা দিতে গিয়ে মহান আল্লাহ্ বলেনঃ তারা ফায়সালা করে নিয়েছে যে, যদিও তারা কুরআন কারীমের সত্যতার হাজার দলীল দেখে নেয় তবুও ওর উপর ঈমান আনবে না। এমনকি ওর পূর্ববর্তী কিতাবগুলোর উপরও না। তারা তাদের এই কথার স্বাদ ঐ সময় গ্রহণ করবে যখন আল্লাহর সামনে জাহান্নামের ধারে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছছাটরা বড়দেরকে এবং বড়রা ছোটদেরকে দোষারোপ করবে। প্রত্যেকেই অপরকে দোষী বলবে। অনুসারীরা অনুসৃতদেরকে বলবেঃ তোমরা না থাকলে অবশ্যই আমরা মুমিন হতাম। অনুসৃতরা তখন অনুসারীদেরকে জবাবে বলবেঃ তোমাদের কাছে সৎ পথের দিশা আসার পর আমরা কি তোমাদেরকে ওটা হতে নিবৃত্ত করেছিলাম? আমরা তোমাদেরকে যে কথা বলেছিলাম তোমরা জানতে যে, ওটার কোন দলীল নেই। অন্যদিক হতে দলীলসমূহের বর্ষিত বৃষ্টি তোমাদের চোখের সামনে বিদ্যমান ছিল। অতঃপর তোমরা ঐগুলোর অনুসরণ ছেড়ে দিয়ে আমাদের কথা কেন মেনেছিলে! সুতরাং তোমরাই তো ছিলে অপরাধী।অনুসারীরা আবার অনুসৃতদেরকে জবাব দিবে! প্রকৃতপক্ষে তোমরাই তো দিবারাত্র চক্রান্তে লিপ্ত ছিলে। তোমরা আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছিলে যে, তোমাদের আকীদা ও কাজ-কারবার ঠিক আছে। তোমরা বার বার আমাদেরকে নির্দেশ দিতে যে, আমরা যেন আল্লাহকে অমান্য করি এবং তাঁর শরীক স্থাপন করি। আমরা যেন আমাদের বাপ-দাদাদের রীতি-নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত থাকি এবং কুফরী ও শিক পরিত্যাগ না করি। আমাদের ঈমান আনয়ন হতে বিরত থাকার এটাই কারণ। ইসলাম থেকে তোমরাই আমাদেরকে ফিরিয়ে রেখেছিলে।এভাবে একদল অপর দলকে দোষারোপ করবে এবং প্রত্যেক দলই নিজেকে দোষমুক্ত বলে দাবী করবে। অতঃপর যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে তখন তারা অনুতাপ গোপন রাখবে। আল্লাহ্ তা'আলা কাফিরদের গলদেশে শৃঙ্খল পরিয়ে দিবেন। তারা যা করতো তারই প্রতিফল তাদেরকে দেয়া হবে। যারা পথভ্রষ্ট করেছিল এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছিল উভয় দলই প্রতিফল প্রাপ্ত হবে।হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ( সঃ ) বলেছেনঃ “ জাহান্নামীদের যখন জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে তখন জাহান্নামের একটি মাত্র লেলিহান শিখায় তাদের দেহ ঝলসে যাবে । দেহ ঝলসানোর পর ঐ অগ্নিশিখা তাদের পায়ের উপর এসে পড়বে।” ( এ হাদীসটি ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত হাসান ইবনে ইয়াহইয়া খুশানী ( রঃ ) বলেন যে, জাহান্নামের প্রত্যেক কয়েদখানায়, প্রত্যেক গর্তে, প্রত্যেক শিকলে জাহান্নামীদের নাম লিখিত থাকবে। হযরত সুলাইমান দারানী ( রঃ )-এর সামনে এটা বর্ণিত হলে তিনি খুব ক্রন্দন করেন। অতঃপর বলেনঃ “ হায়! হায়! ঐ ব্যক্তির অবস্থা কি হবে যার উপর সমস্ত শাস্তি একত্রিত হবে! পায়ে বেড়ি, হাতে হাতকড়ি ও গলায় তওক থাকবে । অতঃপর ধাক্কা দিয়ে জাহান্নামের গর্তে নিক্ষেপ করা হবে। হে আল্লাহ! আমাদেরকে নিরাপত্তা দান করুন!”

সূরা সাবা আয়াত 33 সূরা

وقال الذين استضعفوا للذين استكبروا بل مكر الليل والنهار إذ تأمروننا أن نكفر بالله ونجعل له أندادا وأسروا الندامة لما رأوا العذاب وجعلنا الأغلال في أعناق الذين كفروا هل يجزون إلا ما كانوا يعملون

سورة: سبأ - آية: ( 33 )  - جزء: ( 22 )  -  صفحة: ( 432 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন মানুষ বিভক্ত হয়ে পড়বে।
  2. অতঃপর উভয়ের পরিণতি হবে এই যে, তারা জাহান্নামে যাবে এবং চিরকাল তথায় বসবাস করবে। এটাই
  3. অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে;
  4. কাফেররা যা করত, তার প্রতিফল পেয়েছে তো?
  5. এটা কখনও উচিত নয়। তোমরা সত্ত্বরই জেনে নেবে।
  6. আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি গুরুত্বপূর্ণ বাণী।
  7. আর তাদের কথায় দুঃখ নিয়ো না। আসলে সমস্ত ক্ষমতা আল্লাহর। তিনিই শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ।
  8. এটা এ কারণে যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করেছে। যে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করে,
  9. এবং সন্ধ্যায়, তার পরেও কি তোমরা বোঝ না?
  10. কাফেররা বলেঃ তাঁর প্রতি তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন অবতীর্ণ হল না কেন? আপনার

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা সাবা ডাউনলোড করুন:

সূরা Saba mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Saba শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত সাবা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত সাবা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত সাবা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত সাবা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত সাবা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত সাবা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত সাবা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত সাবা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত সাবা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত সাবা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত সাবা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত সাবা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত সাবা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত সাবা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত সাবা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত সাবা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত সাবা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত সাবা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত সাবা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত সাবা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত সাবা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত সাবা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত সাবা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত সাবা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত সাবা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers