কোরান সূরা নিসা আয়াত 35 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Nisa ayat 35 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা নিসা আয়াত 35 আরবি পাঠে(Nisa).
  
   

﴿وَإِنْ خِفْتُمْ شِقَاقَ بَيْنِهِمَا فَابْعَثُوا حَكَمًا مِّنْ أَهْلِهِ وَحَكَمًا مِّنْ أَهْلِهَا إِن يُرِيدَا إِصْلَاحًا يُوَفِّقِ اللَّهُ بَيْنَهُمَا ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا خَبِيرًا﴾
[ النساء: 35]

যদি তাদের মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ হওয়ার মত পরিস্থিতিরই আশঙ্কা কর, তবে স্বামীর পরিবার থেকে একজন এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন সালিস নিযুক্ত করবে। তারা উভয়ের মীমাংসা চাইলে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছু অবহিত। [সূরা নিসা: 35]

Surah An-Nisa in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Nisa ayat 35


আর যদি তোমরা দু’জনের মধ্যে বিচ্ছেদ আশঙ্কা করো, তবে তার লোকদের থেকে একজন মধ্যস্থ নিয়োগ করো এবং ওর লোকদের থেকেও একজন মধ্যস্থ, যদি তারা দু’জনই মিটমাট চায় তবে আল্লাহ্ তাদের মধ্যে মিলন ঘটাবেন। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ সর্বজ্ঞাতা, ওয়াকিফহাল।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩৫. হে স্বামী-স্ত্রীর অভিভাবকরা! তোমরা যদি তাদের মধ্যকার বিরোধটুকু শত্রæতা এবং একে অপরের পেছনে পড়া পর্যন্ত গড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করো তাহলে স্বামীর পরিবারের পক্ষের একজন এবং স্ত্রীর পরিবারের পক্ষের একজন ন্যায়পরায়ণ লোক পাঠাও। যাতে তারা ওদের মাঝে ছাড়াছাড়ি কিংবা সমঝোতার মাধ্যমে লাভজনক ফায়সালা করে। তবে সমঝোতাই হলো উত্তম ও পছন্দনীয়। ফায়সালাকারীদ্বয় সমঝোতা চাইলে এবং উপযুক্ত পন্থা অবলম্বন করলে আল্লাহ তা‘আলা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সমঝোতারই ব্যবস্থা করবেন এবং তাদের বিরোধ মিটে যাবে। নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট তাঁর বান্দাদের কোন কিছুই গোপন নয়। তিনি তাদের অন্তরগুলোর গোপন এবং সূ2 ব্যাপারগুলোও ভালোভাবে জানেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আর যদি উভয়ের মধ্যে বিরোধ আশংকা কর, তাহলে তোমরা ওর ( স্বামীর ) পরিবার হতে একজন এবং এর ( স্ত্রীর ) পরিবার হতে একজন সালিস নিযুক্ত কর; [১] যদি তারা উভয়ে নিষ্পত্তির ইচ্ছা রাখে, তাহলে আল্লাহ তাদের মধ্যে মীমাংসার অনুকূল অবস্থা সৃষ্টি করে দেবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবিশেষ অবহিত। [১] উল্লিখিত তিনটি ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরও যদি কোন ফল না হয়, তাহলে এটা হল চতুর্থ ব্যবস্থা। এ ব্যাপারে বলা হল যে, দু'জন বিচারক নিষ্ঠাবান ও আন্তরিকতাপূর্ণ হলে, তাদের সংশোধনের প্রচেষ্টা অবশ্যই ফলপ্রসূ হবে। আর যদি তাদের প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ না হয়, তাহলে তালাকের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দেওয়ার অধিকার তাদের আছে, না নেই? এ ব্যাপারে আলেমদের মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, এ অধিকার শর্তসাপেক্ষ; অর্থাৎ, তাতে শাসনকর্তৃপক্ষের আদেশ অথবা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানোর ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের অনুমতি থাকতে হবে। তবে অধিকাংশ উলামার নিকট কোন শর্ত ছাড়াই তাদের এ অধিকার আছে। ( বিস্তারিত জানার জন্য দ্রষ্টব্যঃ তাফসীর ত্বাবারী, ফাতহুল ক্বাদীর এবং ইবনে কাসীর )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর তাদের উভয়ের মধ্যে বিরোধ আশংকা করলে তোমরা স্বামীর পরিবার থেকে একজন এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন সালিশ নিযুক্ত কর; তারা উভয়ে নিস্পত্তি চাইলে আল্লাহ তাদের মধ্যে মীমাংসার অনুকূল অবস্থঅ সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবিশেষ অবহিত []। [] উল্লেখিত ব্যবস্থাটি ছিল এ কারণে, যাতে ঘরের ব্যাপার ঘরেই মীমাংসা হয়ে যেতে পারে। কিন্তু অনেক সময় মনোমালিন্য বা বিবাদ দীর্ঘায়িতও হয়ে যায়। তা স্ত্রীর স্বভাবের তিক্ততা ও অবাধ্যতা কিংবা পুরুষের পক্ষ থেকে অহেতুক কড়াকড়ি প্রভৃতি যে কোন কারণেই হোক এমতাবস্থায় ঘরের বিষয় আর ঘরে সীমিত থাকে না; বাইরে নিয়ে যাওয়া অপরিহার্য হয়ে পড়ে। আল্লাহ তা’আলা এ ধরনের বিবাদ-বিসংবাদের দরজা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে সমসাময়িক শাসকবর্গ, উভয় পক্ষের সমর্থক ও পক্ষাবলম্বীদের এবং মুসলিম সংস্থাকে সম্বোধন করে এমন এক পবিত্র পন্থা বাতলে দিয়েছেন, তা হল এই যে, সরকার, উভয় পক্ষের মুরুত্ববী-অভিভাবক অথবা মুসলিমদের কোন শক্তিশালী সংস্থা তাদের ( অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রীর ) মধ্যে আপোষ করিয়ে দেয়ার জন্য দু’জন সালিস নির্ধারণ করে দেবেন। একজন স্বামীর পরিবার থেকে এবং একজন স্ত্রীর পরিবার থেকে। এতদুভয় ক্ষেত্রে সালিস অর্থে ( حكم ) ( হাকাম ) শব্দ প্রয়োগ করে কুরআন নির্বাচিত সালিসদ্বয়ের প্রয়োজনীয় গুণ-বৈশিষ্টের বিষয়টিও নির্ধারণ করে দিয়েছে। তা হচ্ছে এই যে, এতদুভয়ের মধ্যেই বিবাদ মীমাংসা করার গুণ থাকতে হবে। বলাবাহুল্য, এ গুণটি সে ব্যক্তির মধ্যেই থাকতে পারে, যিনি বিজ্ঞও হবেন এবং তৎসঙ্গে বিশ্বস্ত ও দ্বীনদারও হবেন।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


উপরে ঐ অবস্থার কথা বর্ণনা করা হয়েছে যে, অবাধ্যতা ও বক্রতা যদি স্ত্রীর পক্ষ হতে হয়। আর এখানে ঐ অবস্থার বর্ণনা দেয় হচ্ছে যে, যদি স্বামী-স্ত্রী উভয়েই একে অপরের প্রতি বিরূপ মত পোষণ করে তবে কি করতে হবে? এ ব্যাপারে উলামা-ই-কিরাম বলেন যে, এরূপ অবস্থায় শাসনকর্তা একজন নির্ভরযোগ্য ও বুদ্ধিমান বিচারক নিযুক্ত করবেন। যিনি দেখবেন যে, অত্যাচার ও বাড়াবাড়ি কার পক্ষ হতে হচ্ছে। অতঃপর তিনি অত্যাচারীকে অত্যাচার হতে বাধা দান করবেন। যদি এর দ্বারা কোন সন্তোষজনক ফল পাওয়া না যায় তবে শাসনকর্তা স্ত্রীর পক্ষ হতে একজন ও পুরুষের পক্ষ হতে একজন বিচারক নির্ধারণ করবেন এবং তাঁরা দুজন মিলিতভাবে বিষয়টি যাচাই করে দেখবেন। অতঃপর যাতে তারা মঙ্গল বিবেচনা করবেন সে মীমাংসাই করবেন। অর্থাৎ হয় তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ আনয়ন করবেন, না হয় মিলন ঘটিয়ে দেবেন। কিন্তু শরীয়তের প্রচারক ( সঃ ) তো ঐ কাজের দিকেই আগ্রহ উৎপাদন করেছেন যে, তাঁরা যেন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিলন ঘটাবারই যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। বিচারকদ্বয়ের যাচাইয়ে যদি স্বামীর দিক হতে অন্যায় প্রমাণিত হয় তবে তারা এ স্ত্রীকে তার স্বামী হতে পৃথক করে রাখবেন এবং স্বামীকে বাধ্য করবেন যে, সে। যেন তার চরিত্র ভাল না করা পর্যন্ত স্বীয় স্ত্রী হতে পৃথক থাকে এবং তার খরচ বহন করে। আর যদি দুষ্টামি স্ত্রীর দিক হতে প্রমাণিত হয় তবে তারা তার স্বামীকে খরচ বহন করতে বাধ্য করবেন না, বরং স্ত্রীকেই করবেন। অনুরূপভাবে যদি বিচারকদ্বয় তালাকের ফায়সালা করেন তবে স্বামী তালাক দিতে বাধ্য হবে। আর যদি তারা তাদের পরস্পরেই বসবাসের ফায়সালা করেন। তবে সেটাও তাদেরকে মানতে হবে। এমনকি হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) তো বলেন যে, সালিসদ্বয় যদি তাদেরকে একত্রীকরণের ফায়সালা করেন এবং সে ফায়সালা একজন মেনে নেয় ও অপরজন না মানে আর ঐ অবস্থাতেই একজনের মৃত্যু হয়ে যায় তবে যে সম্মত ছিল সে অসম্মত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী হবে। কিন্তু যে অসম্মত ছিল সে সম্মত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী হবে না। ( তাফসীর-ই-ইবনে জারীর )এ রকমই একটি বিবাদে হযরত উসমান ( রাঃ ) হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) এবং হযরত মু'আবিয়া ( রাঃ )-কে সালিস নিযুক্ত করেন এবং তাদেরকে বলেন, তোমরা যদি তাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে চাও তবে সংযোগ স্থাপিত হয়ে যাবে। আর যদি বিচ্ছেদ আনয়নের ইচ্ছে কর তবে বিচ্ছেদই হয়ে যাবে। একটি বর্ণনায় রয়েছে যে, হযরত আকীল ইবনে আবু তালিব ( রাঃ ) হযরত ফাতিমা বিনতে উত্মা ইবনে রাবিআ’ ( রাঃ )-কে বিয়ে করেন। হযরত ফাতিমা ( রাঃ ) হযরত আকীল ( রাঃ )-কে বলেন, তুমি আমার নিকট আসবেও এবং আমি তোমার খরচও বহন করবো। তখন এই ঘটতে থাকে যে, হযরত আকীল ( রাঃ ) যখন হযরত ফাতিমা ( রাঃ )-এর নিকট আসার ইচ্ছে করতেন তখন তিনি ( ফাতিমা রাঃ ) জিজ্ঞেস করতেন, উৎকী ইবনে রাধিকা এবং “ শাইবা ইবনে রাবীআ' কোথায় রয়েছে? হযরত আকীল ( রাঃ ) বলতেন, “তোমার বাম পার্শ্বে জাহান্নামে রয়েছে । এতে হযরত ফাতিমা ( রাঃ ) কুপিতা হয়ে স্বীয় কাপড় ঠিক করে নিতেন ( অর্থাৎ অনাবৃত দেহ বস্ত্রে আবৃত করতেন )। একদিন হযরত আকীল ( রাঃ ) হযরত উসমান ( রাঃ )-এর নিকট এসে ঘটনাটি বর্ণনা করেন। হযরত উসমান ( রাঃ ) এতে হৈসে উঠেন এবং হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হযরত মুআবিয়া ( রাঃ )-কে তাদের সালিস নিযুক্ত করেন। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) তো বলছিলেন যে, তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ আনয়ন করা হোক। কিন্তু হযরত মু'আবিয়া ( রাঃ ) বলেছিলেন, “ আমি বান্ ‘আবদ-ই-মানাফের মধ্যে এ বিচ্ছেদ অপছন্দ করি তখন তারা হযরত আকীল ( রাঃ )-এর গৃহে আগমন করেন। এসে দেখেন যে, দরজা কন্ধ রয়েছে এবং স্বামী-স্ত্রী দু'জনই ভেতরে রয়েছেন। তখন তারা ফিরে আসেন।মুসনাদ-ই-আবদুর রাযযাকে রয়েছে যে, আলী ( রাঃ )-এর খিলাফতকালে এক দম্পত্তি মনোমালিন্যের ঝগড়া নিয়ে হযরত আলী ( রাঃ )-এর নিকট আগমন করেন। উভয়ের সাথে নিজ উভয় দল হতে একজন করে লোক বেছে নিয়ে তাদেরকে সালিস নিযুক্ত করেন। অতঃপর তিনি সালিসদ্বয়কে বলেন, “ তোমাদের কাজ কি তা তোমরা জান কি? তোমাদের কাজ হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীকে একত্রিত করণ বা তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটান । একথা শুনে স্ত্রী বলে, আমি আল্লাহ তা'আলার সিদ্ধান্তের উপর সম্মত রয়েছি, সেটা হয় সংযোগ হোক, না হয় বিচ্ছেদই হোক। কিন্তু স্বামী বলে, বিচ্ছেদে আমি সম্মত নই। তাতে হযরত আলী ( রাঃ ) বলেন, না, না। আল্লাহর শপথ! তোমাকে দু'টোতেই সম্মত হতে হবে। অতএব, আলেমদের ইজমা হয়েছে যে, এরূপ অবস্থায় ঐ সালীসদ্বয়ের দু’টোরই স্বাধীনতা রয়েছে। এমনকি হযরত ইবরাহীম নাখঈ ( রঃ ) ৱলেন যে, তাঁরা ইচ্ছে করলে দু'টি বা তিনটি তালাকও দিতে পারেন। হযরত ইমাম মালিক ( রঃ ) হতেও এটাই বর্ণিত আছে। হ্যাঁ, তবে হযরত হাসান বসরী ( রঃ ) বলেন যে, তাদের একত্রিকরণের অধিকার রয়েছে বটে, কিন্তু বিচ্ছেদ করণের অধিকার নেই। হযরত কাতাদা ( রঃ ) এবং হযরত যায়েদ ইবনে আসলাম ( রঃ )-এরও এটাই উক্তি। ইমাম আহমাদ ( রঃ ), আবু সাউর এবং ( রঃ ) দাউদেরও মাযহাব এটাই। তাদের দলীল হচ্ছে- ( আরবী ) যুক্ত আয়াতটি। কেননা, এতে বিচ্ছেদের উল্লেখ নেই। হ্যা, তবে যদি তাঁরা দু’জন দু’পক্ষ হতে ওয়াকীলু ( উকিল ) নির্বাচিত হন তবে অবশ্যই তাদের সংযোগ ও বিচ্ছেদ দু'টোরই অধিকার রয়েছে। আর এতে কারও বিরোধ নকল করা হয়নি। এটাও মনে রাখতে হবে যে, এ দু’জন সালীস শাসনকর্তার পক্ষ হতে নিযুক্ত হবেন এবং তার পক্ষ হতেই ফায়সালা করবেন, যদিও তাতে উভয়পক্ষ অসম্মত থাকে। অথরা সালীসদ্বয়, স্বামী ও স্ত্রীর পক্ষ হতে ওয়াকীল ( উকিল ) নির্বাচিত হবেন। জমহূরের মাযহাব হচ্ছে প্রথমটি। তাদের দলীল হচ্ছে এই যে, কুরআন হাকিম তাঁদের নাম ‘হাকাম রেখেছে এবং ‘হাকামে’র ফায়সালায় কেউ সন্তুষ্ট হোক আর অসন্তুষ্টই হোক সর্বাবস্থাতেই তাদের ফায়সালা শিরোধার্য।আয়াতের বাহ্যিক শব্দগুলো জমহুরের পক্ষেই রয়েছে। ইমাম শাফিঈ ( রঃ )-এর নতুন উক্তি এটাই এবং ইমাম আবু হানিফা ( রঃ ) ও তাঁর সহচরদের এটাই উক্তি। দ্বিতীয় উক্তি যাদের তারা বলেন যে, যদি তারা ‘হাকামের অবস্থায় হতেন তবে.
হযরত আলী ( রাঃ ) ঐ স্বামীকে কেন বললেন- তোমার স্ত্রী যখন দু' • অবস্থাকেই মেনে নিয়েছে তখন তুমি না মানলে তুমি মিথ্যবাদীরূপে সাব্যস্ত হবে
। এ বিষয়ে আল্লাহ তা'আলারই জ্ঞান সবচেয়ে বেশী রয়েছে।ইমাম ইবনে বারুর ( রঃ ) বলেন, এ কথার উপর আলেমদের ইজমা হয়েছে যে, দু’জন সালীসের উক্তির মধ্যে যখন মতবিরোধ দেখা দেবে তখন অপরের উক্তির উপর কোন গুরুত্ব দেয়া হবে না। একথার উপরও ইজমা হয়েছে যে, যদি সালীসদ্বয় সংযোগ স্থাপন করতে চান তবে তাঁদের ফায়সালা কার্যকরী হবে। কিন্তু যদি তারা তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ, আনয়ন করতে চান তাহলেও তাদের সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে কি-না সে বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে। কিন্তু জমহুরের মাযহাব এটাই যে, সে সময়েও তাদের সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে যদিও তাদেরকে ওয়াকীল ( উকিল ) বানানো না হয়।

সূরা নিসা আয়াত 35 সূরা

وإن خفتم شقاق بينهما فابعثوا حكما من أهله وحكما من أهلها إن يريدا إصلاحا يوفق الله بينهما إن الله كان عليما خبيرا

سورة: النساء - آية: ( 35 )  - جزء: ( 5 )  -  صفحة: ( 84 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা আমাকে কেন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করলেন? আমি তো চক্ষুমান ছিলাম।
  2. আর আল্লাহ যদি তোমার উপর কোন কষ্ট আরোপ করেন তাহলে কেউ নেই তা খন্ডাবার মত
  3. তারা একে অপরের দিকে মুখ করে পরস্পরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
  4. যা পান করলে তাদের শিরঃপীড়া হবে না এবং বিকারগ্রস্ত ও হবে না।
  5. আর স্মরণ কর আল্লাহকে নির্দিষ্ট সংখ্যক কয়েকটি দিনে। অতঃপর যে লোক তাড়াহুড়া করে চলে যাবে
  6. অথবা যদি আমি তাদেরকে যে আযাবের ওয়াদা দিয়েছি, তা আপনাকে দেখিয়ে দেই, তবু তাদের উপর
  7. এবং ইহাও যে, আমার শাস্তিই যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।
  8. আমার ধন-সম্পদ আমার কোন উপকারে আসল না।
  9. হে মানুষ, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। সুতরাং, পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে প্রতারণা না করে। এবং
  10. ফেরাউনের সম্প্রদায়ের র্সদাররা বলল, তুমি কি এমনি ছেড়ে দেবে মূসা ও তার সম্প্রদায়কে। দেশময় হৈ-চৈ

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা নিসা ডাউনলোড করুন:

সূরা Nisa mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Nisa শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত নিসা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত নিসা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত নিসা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত নিসা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত নিসা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত নিসা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত নিসা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত নিসা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত নিসা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত নিসা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত নিসা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত নিসা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত নিসা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত নিসা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত নিসা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত নিসা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত নিসা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত নিসা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত নিসা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত নিসা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত নিসা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত নিসা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত নিসা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত নিসা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত নিসা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, May 17, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب