কোরান সূরা নাহল আয়াত 37 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Nahl ayat 37 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা নাহল আয়াত 37 আরবি পাঠে(Nahl).
  
   

﴿إِن تَحْرِصْ عَلَىٰ هُدَاهُمْ فَإِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي مَن يُضِلُّ ۖ وَمَا لَهُم مِّن نَّاصِرِينَ﴾
[ النحل: 37]

আপনি তাদেরকে সুপথে আনতে আগ্রহী হলেও আল্লাহ যাকে বিপথগামী করেন তিনি তাকে পথ দেখান না এবং তাদের কোন সাহায্যকারী ও নেই। [সূরা নাহল: 37]

Surah An-Nahl in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Nahl ayat 37


যদিও তুমি তাদের পথপ্রাপ্তির জন্যে বিশেষ প্রচেষ্টা কর তথাপি আল্লাহ্ নিশ্চয় তাকে পথ দেখান না যে বিপথে চালিয়েছে, ফলে তাদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩৭. হে রাসূল! আপনি যদি নিজের সাধ্যমতো এদেরকে দা’ওয়াত দেয়ার চেষ্টা ও হিদায়েত প্রদানের আগ্রহ এবং এজন্য সকল পদক্ষেপও গ্রহণ করেন তারপরও আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করবেন তাকে তিনি হিদায়েতের তাওফীক দিবেন না। না তাদের জন্য আল্লাহ ছাড়া এমন কোন সাহায্যকারী রয়েছে যে তাদের পক্ষ নিয়ে শাস্তি প্রতিরোধ করবে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তুমি তাদের পথপ্রাপ্তির ব্যাপারে আগ্রহী হলেও আল্লাহ যাকে বিভ্রান্ত করেছেন তাকে নিশ্চয় তিনি সৎপথে পরিচালিত করবেন না এবং তাদের কোন সাহায্যকারীও নেই।[১] [১] এই আয়াতে মহান আল্লাহ বলছেন যে, হে নবী! তোমার ইচ্ছা এরা সকলেই হেদায়তের পথ অবলম্বন করুক। কিন্তু আল্লাহর রীতি অনুসারে যারা পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে, তুমি তাদেরকে হিদায়াতের পথে চালাতে পারো না। এরা অবশ্যই শেষ পরিণতিতে পৌঁছবে, যেখানে তাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আপনি তাদের হিদায়াতের জন্য ঐকান্তিকভাবে আগ্রহী হলেও [] আল্লাহ্‌ যাকে বিভ্রান্ত করেন, তাকে হিদায়াত দেন না এবং তাদের জন্য কোন সাহায্যকারীও নেই []। [] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “ আমি এবং মানুষের দৃষ্টান্ত সেই ব্যক্তির ন্যায় যে আগুন জ্বালালো । আর আগুন যখন তার চারপাশ আলোকিত করল, পতঙ্গ এবং যে সমস্ত প্রাণী আগুনে ঝাঁপ দেয় সেগুলো ঝাঁপ দিতে লাগল। তখন সে ব্যক্তি সেগুলোকে আগুন থেকে ফিরাবার চেষ্টা করল, তা সত্বেও সেগুলো আগুনে পুড়ে মরে। তদ্রুপ আমিও তোমাদের কোমরের কাপড় ধরে আগুন থেকে বাঁচাবার চেষ্টা করি, কিন্তু তোমরা তাতে পতিত হও " [ বুখারীঃ ৬৪৮৩ ] [] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবসময় উম্মাতের হেদায়াতের জন্য ব্যস্ত থাকতেন। এ আয়াতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সান্তনা দিয়ে বলা হচ্ছে যে, আপনি চাইলেই যে, তারা হেদায়াত পেয়ে যাবে এমনটি নয়। হেদায়াত দেয়ার মালিক আল্লাহ। তিনি যাকে ইচ্ছা হেদায়াত করবেন। কিন্তু তার চিরাচরিত নিয়ম হলো, তিনি তাদেরকেই হেদায়াত দেন যারা হেদায়াত পাওয়ার জন্য আগ্রহী। অপরপক্ষে যারা হেদায়াতের পথ থেকে দূরে থাকা বেশী পছন্দ করছে, হেদায়াতের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে তাদেরকে তিনি হেদায়াত করেন না। [ এ ব্যাপারে আরো দেখুন, সূরা আল-মায়েদাহঃ ৪১, সূরা হুদঃ ৩৪, সূরা আল-আরাফঃ ১৮৬, সূরা ইউনুসঃ ৯৬-৯৭ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৩৫-৩৭ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআলা মুশরিকদের উল্টো বুঝের খবর দিচ্ছেন যে, তারা পাপ করছে, শিরক করছে, হালালকে হারাম করছে, যেমন জানোয়ারগুলিকে তাদের দেবতাদের নামে যবেহ করা এবং তারা তকদীরকে হুজ্জত বানিয়ে নিচ্ছে, আর বলছেঃ “ যদি আল্লাহ আমাদের বড়দের এই কাজ অপছন্দ করতেন তবে তখনই তিনি আমাদেরকে শাস্তি দিতেন?’ মহান আল্লাহ তাদেরকে জবাব দিচ্ছেনঃ “এটা আমার বিধান নয় । আমি তোমাদের এই কাজকে কঠিনভাবে অপছন্দ করি। আর আমি যে এটা অপছন্দ করি তা আমি আমার সত্য নবীদের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকি। তারা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তোমাদেরকে এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছে। প্রত্যেক গ্রামে-গঞ্জে এবং প্রত্যেক দলে ও গোত্রে আমি নবী পাঠিয়েছি। সবাই তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। আমার বান্দাদের মধ্যে আমার আহকামের তাবলীগ তারা পুরোপুরি ওষ্পষ্টভাবে করেছে। সকলকেই তারা বলেছেঃ “ তোমরা এক আল্লাহর ইবাদত কর । তিনি ছাড়া অন্য কারো উপাসনা করো না।”সর্বপ্রথম যখন যমীনে শিরকের উদ্ভব হয় তখন আল্লাহ তাআলা হযরত নহকে ( আঃ ) নুবওয়াত দান করে প্রেরণ করেন। আর সর্বশেষ হযরত মুহাম্মদকে ( সঃ ) “ খাতেমুল মুরসালীন’ ও রাহমাতুল লিলআ’লামীন’ উপাধি দিয়ে নবী বানিয়ে দেন, যার দাওয়াত ছিল যমীনের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত সমস্ত দানব ও মানবের জন্যে । সমস্ত নবীরই কথা একই ছিল। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ হে নবী ( সঃ )! তোমার পূর্বে আমি যত নবী পাঠিয়েছিলাম তাদের সবারই কাছে ওয়াহী করে ছিলামঃ আমি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই । সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদত কর।” ( ২১:২৫ ) অন্যত্রে তিনি বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ হে নবী ( সঃ )! তোমার পূর্ববর্তী নবীদেরকে জিজ্ঞেস করঃ আমি কি রহমান ( আল্লাহ ) ছাড়া অন্যান্য মাবুদদেরকে নির্ধারণ করেছিলাম যাদের তারা ইবাদত করছে?” ( ৪৩:৪৫ ) এখানেও আল্লাহ তাআলা বলেন, প্রত্যেক উম্মতের রাসূলের দাওয়াত ছিল তাওহীদের শিক্ষা দান এবং শিকহতে অসন্তুষ্টি প্রকাশ । সুতরাং মুশরিকরা কি করে নিজেদের শিরকের উপর আল্লাহর সম্মতির দলীল আনয়ন সমীচীন মনে করছে? আল্লাহ তাআলার চাহিদা তাঁর শরীয়তের মাধ্যমে অবগত হওয়া যায়, আর তা হচ্ছে প্রথম থেকেই শিরকের মূলোৎপাটন ও তাওহীদের দৃঢ়তা আনয়ন। সমস্ত রাসূলের ভাষায় তিনি এই পয়গামই প্রেরণ করেছেন। হ্যা, তবে তাদেরকে শিরকের উপর ছেড়ে দেয়া। অন্য কথা। এটা গৃহীত দলীল হতে পারে না। আল্লাহ তাআ'লা তো জাহান্নাম ও জাহান্নামীদেরকেও সৃষ্টি করেছেন। শয়তান এবং কাফিরদের এ জন্যেই সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি স্বীয় বান্দাদের কুফরীর উপর কখনোই সন্তুষ্ট নন। এর মধ্যেও তার পূর্ণ নিপুণতা ও হুজ্জত নিহিত রয়েছে।এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ “ রাসূলদের মাধ্যমে সতর্ককরণের পর কাফির ও মুশরিকদের উপর পার্থিব শাস্তিও এসেছে । কেউ কেউ পথ ভ্রষ্টতার উপরই রয়ে গেছে। হে মুমিনগণ! তোমরা ভূ-পৃষ্ঠে ভ্রমণ করে রাসূলদের বিরুদ্ধাচরণকারী এবং আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপনকারীদের পরিণাম দেখে নাও। অতীতের ঘটনাবলী যাদের জানা আছে তাদেরকে জিজ্ঞেস করে তোমরা জেনে নাও যে, আল্লাহর আযাব কিভাবে মুশরিকদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই সময়ের কাফিরদের জন্য ঐ সময়ের কাফিরদের মধ্যে দৃষ্টান্ত ও উপদেশ বিদ্যমান রয়েছে। এরপর আল্লাহ তাআলা স্বীয় রাসূলকে ( সঃ ) বলছেনঃ “ হে রাসূল ( সঃ )! তুমি এই কাফিরদেরকে হিদায়াত করার জন্যে আগ্রহী হচ্ছে বটে, কিন্তু এটা নিষ্ফল হবে । কেননা, আল্লাহ তাদের পথভ্রষ্টতার কারণে তাদেরকে স্বীয় রহমত হতে দূর করে দিয়েছেন। যেমন আল্লাহ পাক বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ আল্লাহ যাকে পরীক্ষায় ফেলার ইচ্ছা করেন, তার জন্যে তুমি আল্লাহ হতে কিছুই করার অধিকারী ( অর্থাৎ তুমি তার কিছুই উপকার করতে পার না )( ৫:৪১ ) হযরত নূহ ( আঃ ) স্বীয় কওমকে বলেছিলেনঃ “আল্লাহ যদি তোমাদেরকে পথভ্রষ্ট করার ইচ্ছা করেন তবে আমার উপদেশ তোমাদের কোন উপকারে আসবে না ।”এখানেও মহান আল্লাহ বলেনঃ “ তুমি তাদেরকে পথ প্রদর্শন করতে আগ্রহী হলেও আল্লাহ যাকে বিভ্রান্ত করেছেন, তাকে তিনি সৃৎপথে পরিচালিত করবেন না ।” যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ “ যাদেরকে আল্লাহ পথভ্রষ্ট করেন তাদেরকে হিদায়াত দানকারী কেউ নেই এবং তিনি তাদেরকে তাদের অবাধ্যতায় বিভ্রান্তের ন্যায় ঘুরে বেড়াতে ছেড়ে দেন ।” আর এক জায়গায় বলেনঃ “ হে নবী ( সঃ )! যাদের উপর তোমার প্রতিপালকের কথা বাস্তবায়িত হয়েছে তারা ঈমান আনবে না । যদিও তাদের কাছে সমস্ত নিদর্শন চলে আসে, যে পর্যন্ত না তারা বেদনাদায়ক শাস্তি অবলোকন করে।”আল্লাহপাকের উক্তিঃ ( আরবি ) নিশ্চয় আল্লাহ, অর্থাৎ তাঁর শান ও তাঁর আদেশ। কেননা, তিনি যা চান তাই হয় এবং যা চান না তা হয় না। তাই, তিনি বলেন, যাকে তিনি পথভ্রষ্ট করেন, কে এমন আছে যে, আল্লাহর পরে তাকে পথ দেখাতে পারে? অর্থাৎ কেউ নেই।( আরবি )তাদের কোন সাহায্যকারীও নেই' অর্থাৎ সেই দিন তাদের এমন কোন সাহায্যকারী থাকবে না, যে তাকে আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচাতে পারে। সৃষ্টি এবং হুকুম একমাত্র তাঁরই। তিনিই হলেন বিশ্ব প্রতিপালক। তিনি কল্যাণময়।

সূরা নাহল আয়াত 37 সূরা

إن تحرص على هداهم فإن الله لا يهدي من يضل وما لهم من ناصرين

سورة: النحل - آية: ( 37 )  - جزء: ( 14 )  -  صفحة: ( 271 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তারা বলল, হে মূসা! হয় তুমি নিক্ষেপ কর অথবা আমরা নিক্ষেপ করছি।
  2. আর প্রীতি সঞ্চার করেছেন তাদের অন্তরে। যদি তুমি সেসব কিছু ব্যয় করে ফেলতে, যা কিছু
  3. এমনকি, তোমরা কবরস্থানে পৌছে যাও।
  4. রাজত্ব সেদিন আল্লাহরই; তিনিই তাদের বিচার করবেন। অতএব যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন
  5. আল্লাহ বললেনঃ তোমরা ভয় করো না, আমি তোমাদের সাথে আছি, আমি শুনি ও দেখি।
  6. তারা বলল, হে লূত, তুমি যদি বিরত না হও, তবে অবশ্যই তোমাকে বহিস্কৃত করা হবে।
  7. আর সে সময়ের কথা স্মরণ কর, যখন আমি তোমাদেরকে ফেরাউনের লোকদের কবল থেকে মুক্তি দিয়েছি;
  8. তাদের কাছে কি রাজ্যের কোন অংশ আছে? তাহলে যে এরা কাউকেও একটি তিল পরিমাণও দেবে
  9. সেদিন তোমাদেরকে উপস্থিত করা হবে। তোমাদের কোন কিছু গোপন থাকবে না।
  10. কেমন করে তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে কুফরী অবলম্বন করছ? অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ। অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা নাহল ডাউনলোড করুন:

সূরা Nahl mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Nahl শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত নাহল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত নাহল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত নাহল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত নাহল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত নাহল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত নাহল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত নাহল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত নাহল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত নাহল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত নাহল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত নাহল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত নাহল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত নাহল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত নাহল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত নাহল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত নাহল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত নাহল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত নাহল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত নাহল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত নাহল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত নাহল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত নাহল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত নাহল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত নাহল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত নাহল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers