কোরান সূরা জাসিয়া আয়াত 37 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Jathiyah ayat 37 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা জাসিয়া আয়াত 37 আরবি পাঠে(Jathiyah).
  
   

﴿وَلَهُ الْكِبْرِيَاءُ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۖ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ﴾
[ الجاثية: 37]

নভোমন্ডলে ও ভূ-মন্ডলে তাঁরই গৌরব। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। [সূরা জাসিয়া: 37]

Surah Al-Jaathiyah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Jathiyah ayat 37


আর তাঁরই হচ্ছে সমস্ত গৌরব-গরিমা মহাকাশমন্ডলীতে ও পৃথিবীতে, আর তিনি হচ্ছেন মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩৭. আর আসমান ও যমীনসমূহে মহত্ত¡ ও বড়ত্ব তাঁরই। তিনি পরাক্রমশালী। যাকে কেউ পরাস্ত করতে পারে না। তিনি তাঁর সৃষ্টি, ফায়সালা, পরিচালনা ও বিধান রচনায় প্রজ্ঞাময়।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আর আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যাবতীয় গৌরব-গরিমা তাঁরই[১] এবং তিনিই পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। [১] যেমন, হাদীসে কুদসীতে মহান আল্লাহ বলেন, " আল্লাহ আয্যা অজাল্ল্ বলেন, "গৌরব ও গর্ব খাস আমার গুণ। সুতরাং যে তাতে আমার অংশী হতে চাইবে আমি তাকে শাস্তি দেব।" ( মুসলিম ২৬২০নং )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর আসমানসমূহ ও যমীনের যাবতীয় গৌরব-গরিমা তাঁরই [] এবং তিনি মহা পরাক্রমশালী, হিকমতওয়ালা। [] হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা বলেন, “ বড়ত্ব আমার বস্ত্র আর অহংকার আমার চাদর; যে কেউ এ দু'টির কোন একটি নিয়ে টানাহেঁচড়া করবে, আমি তাকে জাহান্নামের অধিবাসী করে ছাড়বো ।” [ মুসলিম: ২৬২০ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৩০-৩৭ নং আয়াতের তাফসীর: এ আয়াতগুলোতে আল্লাহ তাঁর ঐ ফায়সালার খবর দিচ্ছেন যা তিনি আখিরাতের দিন স্বীয় বান্দাদের মধ্যে করবেন। যারা অন্তরে ঈমান এনেছে এবং স্বীয় হাত-পা দ্বারা শরীয়ত অনুযায়ী সৎ নিয়তের সাথে ভাল কাজ করেছে, তাদেরকে তিনি স্বীয় করুণায় জান্নাত দান করবেন। এখানে রহমত দ্বারা জান্নাতকে বুঝানো হয়েছে। যেমন সহীহ হাদীসে রয়েছে। যে, আল্লাহ তা'আলা জান্নাতকে বলবেনঃ “ তুমি আমার রহমত । আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা করবো সে তোমাকে লাভ করবে। এটাই হলো মহাসাফল্য। পক্ষান্তরে যারা কুফরী করে তাদেরকে কিয়ামতের দিন শাসন-গর্জনরূপে বলা হবেঃ তোমাদের নিকট কি আল্লাহ তা'আলার আয়াত পাঠ করা হয়নি? অর্থাৎ নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়েছিল এবং তোমরা ওগুলো শুনেছিলে, কিন্তু তোমরা ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেছিলে এবং মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলে। তোমরা অন্তরে কুফরী রেখে বাইরেও তোমাদের কাজে কর্মে আল্লাহর নাফরমানী করেছিলে এবং বাহাদুরী দেখিয়ে গুনাহর উপর গুনাহ করতে থেকেছিলে। যখন মুমিনরা তোমাদেরকে বলতো যে, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি তো সত্য এবং কিয়ামত অবশ্যই সংঘটিত হবে, এতে কোনই সন্দেহ নেই, তখন তোমরা পাল্টা জবাব দিতেঃ কিয়ামত কি তা আমরা জানি না। আমরা মনে করি এটা একটা ধারণা মাত্র, আমরা এ বিষয়ে নিশ্চিত নই। এখন তাদের দুষ্কর্মের শাস্তি তাদের সামনে এসে গেছে। তারা তাদের কৃতকর্মের প্রতিফল স্বচক্ষে দেখে নিয়েছে। যে শাস্তির কথা তারা উপহাস করে উড়িয়ে দিয়েছিল এবং 'যেটাকে অসম্ভব মনে করেছিল ঐ শাস্তি আজ তাদেরকে চতুর্দিক থেকে পরিবেষ্টন করে ফেলেছে। তাদেরকে সর্বপ্রকারের কল্যাণ হতে নিরাশ করে দেয়ার জন্যে বলা হবেঃ “ আজ আমি তোমাদেরকে বিস্মৃত হয়ে যাবো । যেমন তোমরা এই দিনের সাক্ষাৎকারকে বিস্মৃত হয়েছিলে। তোমাদের আশ্রয়স্থল হবে জাহান্নাম এবং এমন কেউ হবে না যে তোমাদের কোন সাহায্য করতে পারে।সহীহ হাদীসে এসেছে যে, আল্লাহ তা'আলা কিয়ামতের দিন স্বীয় বান্দাদেরকে বলবেনঃ “ আমি কি তোমাদেরকে সন্তান-সন্ততি দিয়েছিলাম না? তোমাদের উপর কি আমি আমার দয়া-দাক্ষিণ্য নাযিল করিনি । আমি কি তোমাদের জন্যে উট, ঘোড়া ইত্যাদিকে অনুগত করেছিলাম না? তোমাদেরকে কি আমি তোমাদের বাড়ীতে সুখে-শান্তিতে বাস করার জন্যে স্বাধীনভাবে ছেড়ে দিয়েছিলাম না?” তারা উত্তরে বলবেঃ “ হে আমাদের প্রতিপালক! এগুলো সবই সত্য । সত্যিই আপনার এই সমুদয় ইহসান আমাদের উপর ছিল। তখন আল্লাহ তা'আলা বলবেনঃ “ সুতরাং আজ আমি তোমাদেরকে বিস্মৃত হয়ে যাবো যেমন তোমরা আমাকে বিস্মৃত হয়েছিলে ।”এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ এই শাস্তি তোমাদেরকে এ জন্যেই দেয়া হচ্ছে যে, তোমরা আল্লাহ তা'আলার নিদর্শনাবলীকে বিদ্রুপ করেছিলে এবং পার্থিব জীবন তোমাদেরকে প্রতারিত করেছিল। তোমরা এর উপরই নিশ্চিন্ত ছিলে, ফলে আজ তোমাদেরকে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হলো। আজ তোমাদেরকে জাহান্নাম হতে বের করা হবে না এবং তোমাদেরকে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টার সুযোগ দেয়া হবে না। অর্থাৎ এই আযাব হতে তোমাদের বাঁচবার কোন উপায় নেই। এখন আমার সন্তুষ্টি লাভ করাও তোমাদের জন্যে অসম্ভব। মুমিনরা যেমন বিনা হিসাবে জান্নাতে চলে যাবে, ঠিক তেমনই তোমরাও বিনা হিসাবে জাহান্নামে যাবে। এখন তোমাদের তাওবা বৃথা।আল্লাহ তাআলা মুমিন ও কাফিরদের মধ্যে যা ফায়সালা করবেন এটার বর্ণনা দেয়ার পর বলেনঃ ‘প্রশংসা তাঁরই, যিনি আকাশমণ্ডলীর প্রতিপালক, পৃথিবীর প্রতিপালক এবং জগতসমূহের প্রতিপালক।' অর্থাৎ যিনি আকাশ ও পৃথিবীর মালিক এবং এতোদুভয়ের মধ্যে যতকিছু রয়েছে সবকিছুরই যিনি অধিপতি, সমুদয় প্রশংসা ঐ আল্লাহরই প্রাপ্য।অতঃপর তিনি বলেনঃ ‘আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে গৌরব গরিমা তারই। আসমানে ও যমীনে আল্লাহ তা'আলারই রাজত্ব, আধিপত্য ও শ্রেষ্ঠত্ব। তিনি বড়ই মর্যাদা ও বুযুর্গীর অধিকারী। সবাই তার অধীনস্থ। সবাই তার মুখাপেক্ষী।সহীহ হাদীসে রয়েছে যে, আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “ শ্রেষ্ঠত্ব আমার তহবন্দ এবং অহংকার আমার চাদর । সুতরাং এ দু’টির কোন একটি আমার নিকট হতে ছিনিয়ে নেয়ার জন্যে যে ব্যক্তি টানাটানি করবে, আমি তাকে জাহান্নামে প্রবিষ্ট করবো।” ( এ হাদীসটি সহীহ মুসলিমে হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে)তিনি ‘আযীয অর্থাৎ পরাক্রমশালী। তিনি কারো কাছে কখনো পরাস্ত হন। তার কোন কাজে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এমন কেউ নেই।তিনি প্রজ্ঞাময়। তাঁর কোন কথা, কোন কাজ, তাঁর শরীয়তের কোন মাসআলা, তাঁর লিখিত তকদীরের কোন অক্ষর হিকমত বা নিপুণতা শূন্য নয়। তিনি সমুচ্চ ও সমুন্নত। তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই।

সূরা জাসিয়া আয়াত 37 সূরা

وله الكبرياء في السموات والأرض وهو العزيز الحكيم

سورة: الجاثية - آية: ( 37 )  - جزء: ( 25 )  -  صفحة: ( 502 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. যেদিন তিনি তাদের সবাইকে একত্রিত করবেন এবং ফেরেশতাদেরকে বলবেন, এরা কি তোমাদেরই পূজা করত?
  2. আমি ফেরাউনকে আমার সব নিদর্শন দেখিয়ে দিয়েছি, অতঃপর সে মিথ্যা আরোপ করেছে এবং অমান্য করেছে।
  3. অথবা আপনি যেমন বলে থাকেন, তেমনিভাবে আমাদের উপর আসমানকে খন্ড-বিখন্ড করে ফেলে দেবেন অথবা আল্লাহ
  4. অতএব আপনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন এবং অপেক্ষা করুন, তারাও অপেক্ষা করছে।
  5. আমি মানুষকে নেয়ামত দান করলে সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং অহংকারে দুরে সরে যায়; যখন
  6. ফেরাউনের স্ত্রী বলল, এ শিশু আমার ও তোমার নয়নমণি, তাকে হত্যা করো না। এ আমাদের
  7. তালাকে-‘রাজঈ’ হ’ল দুবার পর্যন্ত তারপর হয় নিয়মানুযায়ী রাখবে, না হয় সহৃদয়তার সঙ্গে বর্জন করবে। আর
  8. অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত আছে।
  9. আমি তাঁর কাছে কিছু উপঢৌকন পাঠাচ্ছি; দেখি প্রেরিত লোকেরা কি জওয়াব আনে।
  10. এমনকি যখন পয়গম্বরগণ নৈরাশ্যে পতিত হয়ে যেতেন, এমনকি এরূপ ধারণা করতে শুরু করতেন যে, তাদের

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা জাসিয়া ডাউনলোড করুন:

সূরা Jathiyah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Jathiyah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত জাসিয়া  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত জাসিয়া  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত জাসিয়া  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত জাসিয়া  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত জাসিয়া  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত জাসিয়া  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত জাসিয়া  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত জাসিয়া  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত জাসিয়া  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত জাসিয়া  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত জাসিয়া  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত জাসিয়া  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত জাসিয়া  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত জাসিয়া  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত জাসিয়া  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত জাসিয়া  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত জাসিয়া  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত জাসিয়া  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত জাসিয়া  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত জাসিয়া  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত জাসিয়া  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত জাসিয়া  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত জাসিয়া  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত জাসিয়া  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত জাসিয়া  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Tuesday, July 16, 2024

Please remember us in your sincere prayers