কোরান সূরা শূরা আয়াত 39 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah shura ayat 39 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা শূরা আয়াত 39 আরবি পাঠে(shura).
  
   

﴿وَالَّذِينَ إِذَا أَصَابَهُمُ الْبَغْيُ هُمْ يَنتَصِرُونَ﴾
[ الشورى: 39]

যারা আক্রান্ত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে। [সূরা শূরা: 39]

Surah Ash_shuraa in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah shura ayat 39


আর যারা তাদের প্রতি যখন বিদ্রোহ আঘাত হানে তারা তখন আ‌ত্মরক্ষা করে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩৯. আর যারা নির্যাতিত হলে অত্যাচারী ক্ষমাযোগ্য না হওয়া অবস্থায় নিজের নফসের মান সম্মান রক্ষার্থে প্রতিশোধ নেয় যা তার ন্যায্য অধিকার। বিশেষতঃ যখন ক্ষমার মধ্যে কোন সুবিধা না থাকে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


এবং যারা অত্যাচারিত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে।[১] [১] অর্থাৎ, তারা প্রতিশোধ গ্রহণ করতে অপারগ নয়। প্রতিশোধ নিতে চাইলে নিতে পারে। কিন্তু শক্তি থাকা সত্ত্বেও তারা ক্ষমা করে দেওয়াকে প্রাধান্য দেয়। যেমন, নবী করীম ( সাঃ ) মক্কা বিজয়ের দিন এমন লোকদের ব্যাপারে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন, যারা ছিল তাঁর রক্তপিপাসু। হুদাইবিয়ার সন্ধির দিন তিনি সেই ৮০জন লোককে মাফ করে দিয়েছিলেন, যারা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল। লাবীদ ইবনে আ'স্বাম ইয়াহুদীর কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি, যে তাঁকে যাদু করেছিল। সেই ইয়াহুদী মহিলাকেও তিনি মাফ করে দিয়েছিলেন, যে তাঁর খাদ্যে বিষ মাখিয়ে দিয়েছিল। যার কষ্ট তিনি জীবনের শেষে মরণ-মুহূর্তেও অনুভব করেছিলেন। ( ইবনে কাসীর ) ( অবশ্য পরবর্তীতে তারই বিষে এক সাহাবীর মৃত্যু হলে তার খুনের বদলে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর যারা, যখন তাদের উপর সীমালঙ্গন হয় তখন তারা তার প্ৰতিবিধান করে।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৩৬-৩৯ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা দুনিয়ার অসারতা, তুচ্ছতা এবং নশ্বরতার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন যে, এটা জমা করে কেউ যেন গর্বে ফুলে না উঠে। কেননা, এটাতো ক্ষণস্থায়ী। বরং মানুষের আখিরাতের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া উচিত। সকর্ম করে পুণ্য সঞ্চয় করা তাদের একান্ত কর্তব্য। কেননা, এটাই হচ্ছে চিরস্থায়ী। সুতরাং অস্থায়ীকে স্থায়ীর উপর এবং স্বল্পতাকে আধিক্যের উপর প্রাধান্য দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়।অতঃপর মহান আল্লাহ এই পুণ্য লাভ করার পন্থা বলে দিচ্ছেন যে, ঈমান দৃঢ় হতে হবে, যাতে পার্থিব সুখ-সম্ভোগকে পরিত্যাগ করার উপর ধৈর্যধারণ করা যেতে পারে। আল্লাহ তা'আলার উপর পূর্ণ নির্ভরশীল হতে হবে যাতে ধৈর্যধারণে তাঁর নিকট হতে সাহায্য লাভ করা যায় এবং তাঁর আহকাম পালন করা এবং অবাধ্যচিরণ হতে বিরত থাকা সহজ হয়। আর যাতে কবীরা গুনাহ ও নির্লজ্জতা পূর্ণ কাজ হতে দূরে থাকা যায়। এই বাক্যের তাফসীর সূরায়ে আ'রাফে গত হয়েছে। ক্রোধকে সম্বরণ করতে হবে, যাতে ক্রোধের অবস্থাতেও সচ্চরিত্রতা এবং ক্ষমাপরায়ণতার অভ্যাস পরিত্যক্ত না হয়। যেমন সহীহ হাদীসে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) নিজের প্রতিশোধ কারো নিকট হতে কখনো গ্রহণ করেননি। হ্যা, তবে আল্লাহর আহকামের বেইজ্জতী হলে সেটা অন্য কথা। অন্য হাদীসে এসেছে যে, কঠিন ক্রোধের সময়েও রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর পবিত্র মুখ হতে নিম্নের কথাগুলো ছাড়া আর কিছুই বের হতো নাঃ “ তার কি হয়েছে? তার হাত ধূলায় ধূসরিত হোক ।”ইবরাহীম ( রঃ ) বলেন যে, মুমিনরা লাঞ্ছিত হওয়া পছন্দ করতেন না বটে, কিন্তু আবার শত্রুদের উপর ক্ষমতা লাভ করলে প্রতিশোধ গ্রহণ করতেন না, বরং ক্ষমা করে দিতেন। মহান আল্লাহ বলেনঃ ( মুমিনদের আরো বিশেষণ এই যে, ) তারা তাদের প্রতিপালকের আহ্বানে সাড়া দেয়, রাসূল ( সঃ )-এর আনুগত্য করে, তার আদেশ ও নিষেধ মেনে চলে, নামায কায়েম করে যা হলো সবচেয়ে বড় ইবাদত এবং নিজেদের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে নিজেদের কর্ম সম্পাদন করে। স্বয়ং রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে মহান আল্লাহ বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ কাজে কর্মে তাদের সাথে পরামর্শ কর ।( ৩:১৫৯ ) এ জন্যেই রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর অভ্যাস ছিল যে, তিনি যুদ্ধ ইত্যাদির ক্ষেত্রে সাহাবীদের ( রাঃ ) সাথে পরামর্শ করতেন যাতে তাদের মন আনন্দিত হয়। এর ভিত্তিতেই আমীরুল মুমিনীন হযরত উমার ( রাঃ ) আহত হওয়ার পর মৃত্যুর সম্মুখীন হলে ছয়জন লোককে নির্ধারণ করেন, যেন তারা পরস্পর পরামর্শ করে তার মৃত্যুর পরে কোন একজনকে খলীফা মনোনীত করেন। ঐ ছয় ব্যক্তি হলেনঃ হযরত উসমান ( রাঃ ), হযরত আলী ( রাঃ ), হযরত তালহা ( রাঃ ), হযরত যুবায়ের ( রাঃ ), হযরত সা'দ ( রাঃ ) এবং হযরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ ( রাঃ )। সুতরাং তারা সর্বসম্মতিক্রমে হযরত উসমান ( রাঃ )-কে খলীফা মনোনীত করেন।এরপর আল্লাহ তা'আলা মুমিনদের আর একটি বিশেষণ বর্ণনা করছেন যে, তারা যেমন আল্লাহর হক আদায় করেন, অনুরূপভাবে মানুষের হক আদায় করার। ব্যাপারেও তারা কার্পণ্য করেন না। তাঁদের সম্পদ হতে তারা দরিদ্র ও অভাবীদেরকেও কিছু প্রদান করেন এবং শ্রেণীমত নিজেদের সাধ্যানুযায়ী প্রত্যেকের সাথে সদ্ব্যবহার ও ইহসান করে থাকেন। তবে তারা এমন দুর্বল ও কাপুরুষ নন যে, যালিমদের হতে প্রতিশোধ গ্রহণ করেন না, বরং তাঁরা অত্যাচারিত হলে পুরোপুরিভাবে প্রতিশোধ গ্রহণ করে থাকেন। এভাবে তারা অত্যাচারিতদেরকে অত্যাচারীদের অত্যাচার হতে রক্ষা করেন। এতদসত্ত্বেও কিন্তু অনেক সময় ক্ষমতা লাভের পরেও তারা ক্ষমা করে থাকেন। যেমন হযরত ইউসুফ ( আঃ ) তাঁর ভাইদেরকে বলেছিলেনঃ( আরবী ) অর্থাৎ “ আজ তোমাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই । আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করুন!”( ১২:৯২ ) আর যেমন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) ঐ আশিজন কাফিরকে ক্ষমা করে দেন যারা হুদাবিয়ার সন্ধির বছর সুযোগ খুঁজে চুপচাপ মুসলিম সেনাবাহিনীতে ঢুকে পড়েছিল। যখন তাদেরকে গ্রেফতার করে রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সামনে পেশ করা হয় তখন তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়ে ছেড়ে দেন। আর যেমন তিনি গাওরাস ইবনে হারিস নামক লোকটিকেও ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। সে ছিল ঐ ব্যক্তি যে রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর নিদ্রিত অবস্থায় তাঁর তরবারীখানা হাতে উঠিয়ে নেয় এবং তাকে হত্যা করতে উদ্যত হয়। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) জেগে উঠেন এবং তরবারীখানা তার হাতে দেখে তাকে এক ধমক দেন। সাথে সাথে ঐ তরবারী তার হাত হতে পড়ে যায় এবং তিনি তা উঠিয়ে নেন। ঐ অপরাধী তখন গ্রীবা নীচু করে তার সামনে দাড়িয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) সাহাবীদেরকে ( রাঃ ) ডেকে তাদেরকে এ দৃশ্য প্রদর্শন করেন এবং ঘটনাটিও বর্ণনা করেন। অতঃপর তাকে ক্ষমা করে দিয়ে ছেড়ে দেন। অনুরূপভাবে লাবীদ ইবনে আসম যখন তার উপর যাদু করে তখন তা জানা এবং প্রতিশোধ গ্রহণের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তিনি তাকে মাফ করে দেন। এভাবেই যে ইয়াহূদীনী তাঁকে বিষ পানে হত্যা করার ইচ্ছা করেছিল তার থেকেও তিনি প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। তার নাম ছিল যয়নব। সে মারাহাব নামক ইয়াহদীর ভগ্নী ছিল। যে ইয়াহূদীকে হযরত মাহমূদ ইবনে সালমা ( রাঃ ) খায়বারের যুদ্ধে হত্যা করেছিলেন। ঐ ইয়াহুদিনী বকরীর কাঁধের গোশতে বিষ মাখিয়ে রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সামনে পেশ করেছিল। স্বয়ং কাঁধের গোশতই নিজের বিষ মিশ্রিত হওয়ার কথা তাঁর নিকট প্রকাশ করেছিল। মহিলাটিকে তিনি ডেকে পাঠিয়ে এটা জিজ্ঞেস করলে সে তা স্বীকার করে। তাকে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হলে সে বলেঃ “ আমি মনে করেছিলাম যে, যদি আপনি সত্যই আল্লাহর নবী হন তবে এটা আপনার কোনই ক্ষতি করতে পারবে না । আর যদি আপনি আপনার দাবীতে মিথ্যাবাদী হন তবে আপনার ( আধিপত্য ) হতে আমরা আরাম পাবো।” এটা জানতে পারা এবং তার উপর ক্ষমতা লাভের পরেও তিনি তাকে ক্ষমা করে দিয়ে ছেড়ে দেন। পরে অবশ্য তাকে হত্যা করা হয়েছিল। কেননা, ঐ বিষ মিশ্রিত খাদ্য খেয়েই হযরত বিশর ইবনে বারা ( রাঃ ) মারা গিয়েছিলেন। ফলে কিসাস হিসেবে ঐ মহিলাটিকেও হত্যা করা হয়েছিল। এ সম্পৰ্কীয় আরো বহু আসার ও হাদীস রয়েছে। এসব ব্যাপারে মহান আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।

সূরা শূরা আয়াত 39 সূরা

والذين إذا أصابهم البغي هم ينتصرون

سورة: الشورى - آية: ( 39 )  - جزء: ( 25 )  -  صفحة: ( 487 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. এমনিভাবে তোমার পালনকর্তা তোমাকে মনোনীত করবেন এবং তোমাকে বাণীসমূহের নিগুঢ় তত্ত্ব শিক্ষা দেবেন এবং পূর্ণ
  2. এতীম আত্বীয়কে
  3. বান্দাদের জীবিকাস্বরূপ এবং বৃষ্টি দ্বারা আমি মৃত জনপদকে সঞ্জীবিত করি। এমনিভাবে পুনরুত্থান ঘটবে।
  4. তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে
  5. অথবা সকালে তার পানি শুকিয়ে যাবে। অতঃপর তুমি তা তালাশ করে আনতে পারবে না।
  6. অতঃপর আমি তাঁকে এক বিস্তীর্ণ-বিজন প্রান্তরে নিক্ষেপ করলাম, তখন তিনি ছিলেন রুগ্ন।
  7. যারা কুফর করে ও আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে এবং সেই মসজিদে হারাম থেকে বাধা
  8. প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি
  9. এমনিভাবে আপনার পূর্বে আমি যখন কোন জনপদে কোন সতর্ককারী প্রেরণ করেছি, তখনই তাদের বিত্তশালীরা বলেছে,
  10. কাফেররা বলে আমাদের উপর কেয়ামত আসবে না। বলুন কেন আসবে না? আমার পালনকর্তার শপথ-অবশ্যই আসবে।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা শূরা ডাউনলোড করুন:

সূরা shura mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি shura শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত শূরা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত শূরা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত শূরা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত শূরা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত শূরা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত শূরা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত শূরা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত শূরা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত শূরা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত শূরা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত শূরা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত শূরা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত শূরা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত শূরা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত শূরা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত শূরা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত শূরা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত শূরা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত শূরা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত শূরা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত শূরা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত শূরা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত শূরা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত শূরা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত শূরা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers