কোরান সূরা ফাতির আয়াত 6 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Fatir ayat 6 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ফাতির আয়াত 6 আরবি পাঠে(Fatir).
  
   

﴿إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوهُ عَدُوًّا ۚ إِنَّمَا يَدْعُو حِزْبَهُ لِيَكُونُوا مِنْ أَصْحَابِ السَّعِيرِ﴾
[ فاطر: 6]

শয়তান তোমাদের শত্রু; অতএব তাকে শত্রু রূপেই গ্রহণ কর। সে তার দলবলকে আহবান করে যেন তারা জাহান্নামী হয়। [সূরা ফাতির: 6]

Surah Fatir in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Fatir ayat 6


নিঃসন্দেহ শয়তান তোমাদের শত্রু, কাজেই তাকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ কর! সে তো তার সাঙ্গোপাঙ্গকে কেবলই আহ্বান করে যেন তারা জ্বলন্ত আগুনের বাসিন্দা হয়।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৬. শয়তান তোমাদের চির শত্রæ। তাই তার বিরুদ্ধাচরণের মাধ্যমে তাকে শত্রæ হিসাবে গ্রহণ করো। শয়তান তার অনুুসারীদেরকে কুফরির প্রতি আহŸান জানায়। যাতে করে কিয়ামত দিবসে তাদের পরিণতি উত্তপ্ত আগুন বিশিষ্ট জাহান্নম হয়।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


শয়তান তোমাদের শত্রু; সুতরাং তাকে শত্রু হিসাবেই গ্রহণ কর। [১] সে তো তার দলবলকে এ জন্য আহবান করে যে, ওরা যেন জাহান্নামী হয়। [১] অর্থাৎ, তাকে কঠিন শত্রুই মনে কর, তার মিথ্যা প্রবঞ্চনা ও ধোঁকাবাজি থেকে ঐরূপ বাঁচার চেষ্টা কর, যেমন শত্রুর কবল থেকে বাঁচার জন্য মানুষ চেষ্টা করে থাকে। অন্য স্থানে উক্ত বিষয়কে এইভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ( أَفَتَتَّخِذُونَهُ وَذُرِّيَّتَهُ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِي وَهُمْ لَكُمْ عَدُوٌّ بِئْسَ لِلظَّالِمِينَ بَدَلا ) অর্থাৎ, তবে কি তোমরা আমার পরিবর্তে তাকে ও তার বংশধরকে অভিভাবক বা বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে; অথচ তারা তোমাদের শত্রু? সীমালংঘনকারীদের পরিবর্তন কত নিকৃষ্ট! ( সূরা কাহ্ফ ১৮:৫০ আয়াত )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


নিশ্চয় শয়তান তোমাদের শত্রু; কাজেই তাকে শত্রু হিসাবেই গ্রহণ কর। সে তো তার দলবলকে ডাকে শুধু এজন্য যে, তারা যেন প্রজ্জলিত আগুনের অধিবাসী হয়।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৪-৬ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা স্বীয় নবী ( সঃ )-কে বলছেনঃ হে মুহাম্মাদ ( সঃ )! যদি তোমার যুগের কাফিররা তোমার বিরুদ্ধাচরণ করে, তোমার প্রচারিত তাওহীদকে এবং স্বয়ং তোমার রিসালাতকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে তবে এতে তুমি মমাটেই নিরুৎসাহিত হবে না। তোমার পূর্ববর্তী নবীদের সাথেও এরূপ আচরণ করা হয়েছিল। জেনে রাখবে যে, সবকিছুই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে। আর আল্লাহ তাদের সমস্ত কাজের প্রতিফল প্রদান করবেন। সকর্মশীলদেরকে তিনি পুরস্কার দিবেন এবং পাপীদেরকে দিবেন শাস্তি। মহান আল্লাহ বলেনঃ হে লোক সকল! কিয়ামত একটি ভীষণ ঘটনা। এটা অবশ্যই সংঘটিত হবে, এতে কোনই সন্দেহ নেই। আল্লাহ এর ওয়াদা করেছেন। এবং তার ওয়াদা চরম সত্য। তথাকার চিরস্থায়ী নিয়ামতের পরিবর্তে এখানকার ক্ষণস্থায়ী ও ধ্বংসশীল আরাম-আয়েশ ও সুখ-সম্ভোগে জড়িয়ে পড়ো না। দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী সুখ-শান্তি যেন তোমাদেরকে পরকালের চিরস্থায়ী সুখ-শান্তি হতে বঞ্চিত না করে! শয়তানের চক্রান্ত হতে খুব সতর্ক থাকবে। তার প্রতারণার ফাদে কখনো পড়ো না। তার মিথ্যা, চটকদার ও চমকপ্রদ কথায় কখনো আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল ( সঃ )-এর সত্য কালামকে পরিত্যাগ করো না। সূরায়ে লোকমানের শেষেও অনুরূপ আয়াত রয়েছে। এখানে প্রবঞ্চক ও প্রতারক বলা হয়েছে শয়তানকে। কিয়ামতের দিন যখন মুসলমান ও মুনাফিকদের মাঝে দেয়াল খাড়া করে দেয়া হবে, যাতে দরযা থাকবে, যার ভিতরের অংশে থাকবে রহমত এবং বাইরের অংশে থাকবে আযাব, ঐ সময় মুনাফিকরা মুমিনদেরকে বলবেঃ “ আমরা কি তোমাদের সঙ্গী ছিলাম না?” উত্তরে মুমিনরা বলবেঃ “হ্যা, তোমরা আমাদেরই সঙ্গী ছিলে বটে, কিন্তু তোমরা তো নিজেদেরকে ফিত্রায় ফেলে দিয়েছিলে । তোমরা শুধু চিন্তাই করতে এবং শক-সন্দেহ দূর করতে না। তোমরা তোমাদের কু-প্রবৃত্তিকে চরিতার্থ করার কাজে ডুবে থাকতে। এমতাবস্থায় আল্লাহর হুকুম এসে পড়ে। শয়তান তোমাদেরকে ভুলের মধ্যেই রেখে দিয়েছিল। এ আয়াতেও শয়তানকে প্রবঞ্চক ও প্রতারক বলা হয়েছে।এরপর মহান আল্লাহ শয়তানের শত্রুতার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেনঃ শয়তান তোমাদের শত্রু। সুতরাং তোমরা তাকে শত্রু হিসেবেই গ্রহণ করবে। সে তো তার দলবলকে আহ্বান করে শুধু এই জন্যে যে, তারা যেন জাহান্নামী হয়। তাহলে কেন তোমরা তার কথা মানবে এবং তার প্রতারণায় প্রতারিত হবে? আমরা মহা শক্তিশালী আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে, তিনি যেন আমাদেরকে শয়তানের শক্ত করে রাখেন এবং আমাদেরকে তার প্রতারণা হতে রক্ষা করেন। আর আমাদেরকে যেন তিনি তার কিতাব ও তাঁর রাসূল ( সঃ )-এর সুন্নাতের অনুসরণ করার তাওফীক দান করেন! নিশ্চয়ই তিনি যা চান তা করতে তিনি সক্ষম এবং তিনি প্রার্থনা কবুলকারী। এই আয়াতে যেমন শয়তানের শত্রুতার বর্ণনা দেয়া হয়েছে, অনুরূপভাবে সূরায়ে কাহফের ...
( আরবী ) ( ১৮:৫০ ) এই আয়াতেও তার শত্রুতার বর্ণনা রয়েছে।

সূরা ফাতির আয়াত 6 সূরা

إن الشيطان لكم عدو فاتخذوه عدوا إنما يدعو حزبه ليكونوا من أصحاب السعير

سورة: فاطر - آية: ( 6 )  - جزء: ( 22 )  -  صفحة: ( 435 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আল্লাহ বললেনঃ হে মূসা, তুমি যা চেয়েছ তা তোমাকে দেয়া হল।
  2. হে আমাদের পালনকর্তা! এ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার কর; আমরা যদি পুনরায় তা করি, তবে আমরা
  3. যদিও একে অপরকে দেখতে পাবে। সেদিন গোনাহগার ব্যক্তি পনস্বরূপ দিতে চাইবে তার সন্তান-সন্ততিকে,
  4. এবং সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে, সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু এই স্মরণ তার কি কাজে
  5. ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে।
  6. আল্লাহ বললেনঃ বের হয়ে যা, এখান থেকে। কারণ, তুই অভিশপ্ত।
  7. হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও
  8. এবং আমি তা তাদের মধ্যে বিভিন্নভাবে বিতরণ করি, যাতে তারা স্মরণ করে। কিন্তু অধিকাংশ লোক
  9. তারা মুসলমান হয়ে আপনাকে ধন্য করেছে মনে করে। বলুন, তোমরা মুসলমান হয়ে আমাকে ধন্য করেছ
  10. তারা সবাই সমান নয়। আহলে কিতাবদের মধ্যে কিছু লোক এমনও আছে যারা অবিচলভাবে আল্লাহর আয়াতসমূহ

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ফাতির ডাউনলোড করুন:

সূরা Fatir mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Fatir শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ফাতির  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ফাতির  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ফাতির  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ফাতির  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ফাতির  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ফাতির  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ফাতির  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ফাতির  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ফাতির  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ফাতির  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ফাতির  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ফাতির  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ফাতির  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ফাতির  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ফাতির  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ফাতির  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ফাতির  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ফাতির  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ফাতির  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ফাতির  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ফাতির  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ফাতির  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ফাতির  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ফাতির  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ফাতির  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers