কোরান সূরা ফাতির আয়াত 6 তাফসীর
﴿إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوهُ عَدُوًّا ۚ إِنَّمَا يَدْعُو حِزْبَهُ لِيَكُونُوا مِنْ أَصْحَابِ السَّعِيرِ﴾
[ فاطر: 6]
শয়তান তোমাদের শত্রু; অতএব তাকে শত্রু রূপেই গ্রহণ কর। সে তার দলবলকে আহবান করে যেন তারা জাহান্নামী হয়। [সূরা ফাতির: 6]
Surah Fatir in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Fatir ayat 6
নিঃসন্দেহ শয়তান তোমাদের শত্রু, কাজেই তাকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ কর! সে তো তার সাঙ্গোপাঙ্গকে কেবলই আহ্বান করে যেন তারা জ্বলন্ত আগুনের বাসিন্দা হয়।
Tafsir Mokhtasar Bangla
৬. শয়তান তোমাদের চির শত্রæ। তাই তার বিরুদ্ধাচরণের মাধ্যমে তাকে শত্রæ হিসাবে গ্রহণ করো। শয়তান তার অনুুসারীদেরকে কুফরির প্রতি আহŸান জানায়। যাতে করে কিয়ামত দিবসে তাদের পরিণতি উত্তপ্ত আগুন বিশিষ্ট জাহান্নম হয়।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
শয়তান তোমাদের শত্রু; সুতরাং তাকে শত্রু হিসাবেই গ্রহণ কর। [১] সে তো তার দলবলকে এ জন্য আহবান করে যে, ওরা যেন জাহান্নামী হয়। [১] অর্থাৎ, তাকে কঠিন শত্রুই মনে কর, তার মিথ্যা প্রবঞ্চনা ও ধোঁকাবাজি থেকে ঐরূপ বাঁচার চেষ্টা কর, যেমন শত্রুর কবল থেকে বাঁচার জন্য মানুষ চেষ্টা করে থাকে। অন্য স্থানে উক্ত বিষয়কে এইভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ( أَفَتَتَّخِذُونَهُ وَذُرِّيَّتَهُ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِي وَهُمْ لَكُمْ عَدُوٌّ بِئْسَ لِلظَّالِمِينَ بَدَلا ) অর্থাৎ, তবে কি তোমরা আমার পরিবর্তে তাকে ও তার বংশধরকে অভিভাবক বা বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে; অথচ তারা তোমাদের শত্রু? সীমালংঘনকারীদের পরিবর্তন কত নিকৃষ্ট! ( সূরা কাহ্ফ ১৮:৫০ আয়াত )
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
নিশ্চয় শয়তান তোমাদের শত্রু; কাজেই তাকে শত্রু হিসাবেই গ্রহণ কর। সে তো তার দলবলকে ডাকে শুধু এজন্য যে, তারা যেন প্রজ্জলিত আগুনের অধিবাসী হয়।
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
৪-৬ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা স্বীয় নবী ( সঃ )-কে বলছেনঃ হে মুহাম্মাদ ( সঃ )! যদি তোমার যুগের কাফিররা তোমার বিরুদ্ধাচরণ করে, তোমার প্রচারিত তাওহীদকে এবং স্বয়ং তোমার রিসালাতকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে তবে এতে তুমি মমাটেই নিরুৎসাহিত হবে না। তোমার পূর্ববর্তী নবীদের সাথেও এরূপ আচরণ করা হয়েছিল। জেনে রাখবে যে, সবকিছুই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে। আর আল্লাহ তাদের সমস্ত কাজের প্রতিফল প্রদান করবেন। সকর্মশীলদেরকে তিনি পুরস্কার দিবেন এবং পাপীদেরকে দিবেন শাস্তি। মহান আল্লাহ বলেনঃ হে লোক সকল! কিয়ামত একটি ভীষণ ঘটনা। এটা অবশ্যই সংঘটিত হবে, এতে কোনই সন্দেহ নেই। আল্লাহ এর ওয়াদা করেছেন। এবং তার ওয়াদা চরম সত্য। তথাকার চিরস্থায়ী নিয়ামতের পরিবর্তে এখানকার ক্ষণস্থায়ী ও ধ্বংসশীল আরাম-আয়েশ ও সুখ-সম্ভোগে জড়িয়ে পড়ো না। দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী সুখ-শান্তি যেন তোমাদেরকে পরকালের চিরস্থায়ী সুখ-শান্তি হতে বঞ্চিত না করে! শয়তানের চক্রান্ত হতে খুব সতর্ক থাকবে। তার প্রতারণার ফাদে কখনো পড়ো না। তার মিথ্যা, চটকদার ও চমকপ্রদ কথায় কখনো আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল ( সঃ )-এর সত্য কালামকে পরিত্যাগ করো না। সূরায়ে লোকমানের শেষেও অনুরূপ আয়াত রয়েছে। এখানে প্রবঞ্চক ও প্রতারক বলা হয়েছে শয়তানকে। কিয়ামতের দিন যখন মুসলমান ও মুনাফিকদের মাঝে দেয়াল খাড়া করে দেয়া হবে, যাতে দরযা থাকবে, যার ভিতরের অংশে থাকবে রহমত এবং বাইরের অংশে থাকবে আযাব, ঐ সময় মুনাফিকরা মুমিনদেরকে বলবেঃ “ আমরা কি তোমাদের সঙ্গী ছিলাম না?” উত্তরে মুমিনরা বলবেঃ “হ্যা, তোমরা আমাদেরই সঙ্গী ছিলে বটে, কিন্তু তোমরা তো নিজেদেরকে ফিত্রায় ফেলে দিয়েছিলে । তোমরা শুধু চিন্তাই করতে এবং শক-সন্দেহ দূর করতে না। তোমরা তোমাদের কু-প্রবৃত্তিকে চরিতার্থ করার কাজে ডুবে থাকতে। এমতাবস্থায় আল্লাহর হুকুম এসে পড়ে। শয়তান তোমাদেরকে ভুলের মধ্যেই রেখে দিয়েছিল। এ আয়াতেও শয়তানকে প্রবঞ্চক ও প্রতারক বলা হয়েছে।এরপর মহান আল্লাহ শয়তানের শত্রুতার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেনঃ শয়তান তোমাদের শত্রু। সুতরাং তোমরা তাকে শত্রু হিসেবেই গ্রহণ করবে। সে তো তার দলবলকে আহ্বান করে শুধু এই জন্যে যে, তারা যেন জাহান্নামী হয়। তাহলে কেন তোমরা তার কথা মানবে এবং তার প্রতারণায় প্রতারিত হবে? আমরা মহা শক্তিশালী আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে, তিনি যেন আমাদেরকে শয়তানের শক্ত করে রাখেন এবং আমাদেরকে তার প্রতারণা হতে রক্ষা করেন। আর আমাদেরকে যেন তিনি তার কিতাব ও তাঁর রাসূল ( সঃ )-এর সুন্নাতের অনুসরণ করার তাওফীক দান করেন! নিশ্চয়ই তিনি যা চান তা করতে তিনি সক্ষম এবং তিনি প্রার্থনা কবুলকারী। এই আয়াতে যেমন শয়তানের শত্রুতার বর্ণনা দেয়া হয়েছে, অনুরূপভাবে সূরায়ে কাহফের ...
( আরবী ) ( ১৮:৫০ ) এই আয়াতেও তার শত্রুতার বর্ণনা রয়েছে।
সূরা ফাতির আয়াত 6 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- রাজ্যাধিপতি, পবিত্র, পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করে, যা কিছু আছে নভোমন্ডলে ও যা
- আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। গোনাহগারদের তো
- তারপর এরই পরিণতিতে তাদের অন্তরে কপটতা স্থান করে নিয়েছে সেদিন পর্যন্ত, যেদিন তার তাঁর সাথে
- তারা কি বলে তা আমি ভালোভাবে জানি। তাদের মধ্যে যে, অপেক্ষাকৃত উত্তম পথের অনুসারী সে
- তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায়
- তোমরা যদি মীমাংসা কামনা কর, তাহলে তোমাদের নিকট মীমাংসা পৌছে গেছে। আর যদি তোমরা প্রত্যাবর্তন
- আর তখন অবশ্যই আমি তাদেরকে নিজের পক্ষ থেকে মহান সওয়াব দেব।
- সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা আমার অস্থি বয়স-ভারাবনত হয়েছে; বার্ধক্যে মস্তক সুশুভ্র হয়েছে; হে আমার
- আপনার হাত আপনার বগলে ঢুকিয়ে দিন, সুশুভ্র হয়ে বের হবে নির্দোষ অবস্থায়। এগুলো ফেরাউন ও
- অতঃপর আমি এ ঘটনাকে তাদের সমসাময়িক ও পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্ত এবং আল্লাহভীরুদের জন্য উপদেশ গ্রহণের
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ফাতির ডাউনলোড করুন:
সূরা Fatir mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Fatir শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers