কোরান সূরা নাহল আয়াত 40 তাফসীর
﴿إِنَّمَا قَوْلُنَا لِشَيْءٍ إِذَا أَرَدْنَاهُ أَن نَّقُولَ لَهُ كُن فَيَكُونُ﴾
[ النحل: 40]
আমি যখন কোন কিছু করার ইচ্ছা করি; তখন তাকে কেবল এতটুকুই বলি যে, হয়ে যাও,। সুতরাং তা হয়ে যায়। [সূরা নাহল: 40]
Surah An-Nahl in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Nahl ayat 40
নিঃসন্দেহ কোনো বিষয়ে আমাদের উক্তি হচ্ছে যখন আমরা তা ইচ্ছা করি, তখন তার প্রতি আমরা বলি -- ''হও ’’, তখন তা হয়ে যায়।
Tafsir Mokhtasar Bangla
৪০. আমি যখন মৃতদেরকে জীবিত করা এবং তাদের পুনরুত্থানের ইচ্ছা করি তখন কেউ আমাকে তা করতে বাধা দিতে পারে না। বস্তুতঃ আমি যখন কোন কিছু সৃষ্টির ইচ্ছা করি তখন আমি সেটিকে বলি, হয়ে যাও তখন তা অবশ্যম্ভাবীরূপে হয়ে যায়।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
আমি কোন কিছু করার ইচ্ছা করলে সে বিষয়ে আমার কথা শুধু এই যে, আমি বলি, ‘হও’ ফলে তা হয়ে যায়। [১] [১] অর্থাৎ, মানুষের নিকট কিয়ামত সংঘটিত হওয়া যতই কঠিন ও অসম্ভব মনে হোক না কেন, আল্লাহর নিকট তা অতি সহজ। পৃথিবী ও আকাশ ধ্বংস করার জন্য তাঁর শ্রমিক, ইঞ্জিনিয়ার, মিস্ত্রী বা যন্ত্রপাতির প্রয়োজন নেই। তাঁর জন্য শুধু كُن ( হও বা হয়ে যাও ) শব্দই যথেষ্ট। তাঁর 'হও' শব্দ দ্বারা চোখের পলকের মধ্যে কিয়ামত সংঘটিত হবে। {وَمَا أَمْرُ السَّاعَةِ إِلاَّ كَلَمْحِ الْبَصَرِ أَوْ هُوَ أَقْرَبُ} আর কিয়ামতের ব্যাপার তো চক্ষুর পলকের ন্যায়, বরং তার চেয়েও সত্ত্বর। ( সূরা নাহল ১৬:৭৭ )
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
আমরা কোন কিছুর ইচ্ছে করলে সে বিষয়ে আমাদের কথা তো শুধু এই যে, আমরা বলি, ‘হও’; ফলে তা হয়ে যায় [ ১ ]। [ ১ ] অর্থাৎ লোকেরা মনে করে, মরার পর মানুষকে পুনর্বার সৃষ্টি করা এবং সামনের পেছনের সমগ্র মানব-কুলকে একই সঙ্গে পুনরুজ্জীবিত করা বড়ই কঠিন কাজ। অথচ আল্লাহর ক্ষমতা অসীম। নিজের কোন সংকল্প পূর্ণ করার জন্য তাঁর কোন সাজসরঞ্জাম, উপায়-উপকরণ ও পরিবেশের আনুকুল্যের প্রয়োজন হয় না। তাঁর প্রত্যেকটি ইচ্ছা শুধুমাত্র তাঁর নির্দেশেই পূর্ণ হয়। বর্তমানে যে দুনিয়ার অস্তিত্ব দেখা যাচ্ছে, এটিও নিছক হুকুম থেকেই অস্তিত্ব লাভ করেছে এবং অন্য দুনিয়াটিও মুহুর্তকালের মধ্যে শুধুমাত্র একটি হুকুমেই জন্ম লাভ করবে। যখন তিনি হও" বলবেন তখনি তা হয়ে যাবে। যেমন অন্য আয়াতে বলেছেন, “আর আমাদের আদেশ তো কেবল একটি কথা, চোখের পলকের মত " [ সূরা আল-কামারঃ ৫০ ][ দেখুন, ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর ]
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
৩৮-৪০ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআলা মুশরিকদের সম্পর্কে খবর দিচ্ছেন যে, যেহেতু তারা কিয়ামতকে বিশ্বাস করে না, সেই হেতু অন্যদেরকেও এই বিশ্বাস হতে সরাবার যথাসাধ্য চেষ্টা করে। ঈমান বিক্রি করে আল্লাহর নামে জোরদার কসম খেয়ে বলেঃ “ আল্লাহ পাক বলেন যে, কিয়ামত অবশ্যই হবে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য । কিন্তু অধিকাংশ লোক মুখতা ও অজ্ঞতা বশতঃ রাসূলদের বিরুদ্ধাচরণ করে, আল্লাহর হুকুম অমান্য করে এবং কুফরীর গর্তে পড়ে যায়।”অতঃপর আল্লাহ তাআলা কিয়ামত সংঘটনের ও দেহের পুনরুত্থানের কিছু নিপুণতা প্রকাশ করেছেন। একটি এই যে, যেন এর মাধ্যমে পার্থিব মতভেদের মধ্যে কোনটি সত্য ছিল তা প্রকাশ হয়ে পড়ে, অসৎ লোকেরা শাস্তি এবং সৎ লোকেরা পুরস্কার লাভ করে। আর কাফিরদের আকিদায়, কথায় এবং কসমে মিথ্যাবাদী হওয়া যেন প্রমাণিত হয়ে যায়। এ সময় তারা সবাই দেখে নেবে যে, তাদেরকে ধাক্কা দিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে এবং বলা হবেঃ “ এটাই হচ্ছে এ জাহান্নাম যাকে তোমরা অস্বীকার করতে । এখন বলতো, এটা কি যাদু, না তোমরা অন্ধ? এর মধ্যেই তোমরা পড়ে থাকো। এখন তোমরা ধৈর্য ধারণ কর অথবা হায়, হায় কর উভয় সমান। এখন তোমাদেরকে তোমাদের দুষ্কর্মের শাস্তি ভোগ করতেই হবে।”এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ স্বীয় অসীম ক্ষমতার বর্ণনা দিচ্ছেন যে, তিনি যা চান তাই করতে পারেন। কোন কিছু হতে তিনি অপারগ নন। কোন জিনিসই তার অধিকার বহির্ভূত নয়। তিনি যা করতে চান তার সম্পর্কে শুধু বলেনঃ ‘হয়ে যাও' সাথে সাথেই তা হয়ে যায়। কিয়ামতও শুধু তাঁর হুকুমেরই কাজ। যেমন তিনি বলেনঃ “ চোখের পলকের মধ্যে আমার হুকম পালিত হয় ।” অন্য জায়গায় রয়েছেঃ “ আমি কোন কিছু ইচ্ছা করলে সে বিষয়ে আমার কথা শুধু এই যে, আমি বলিঃ ‘হও’ ফলে তা হয়ে যায় । অর্থাৎ আমি একবার মাত্র আদেশ করি এবং সাথে সাথে তা হয়ে যায়। যেমন কবি বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ যখন আল্লাহ কোন বিষয়ের ইচ্ছা করেন তখন ওটাকে একবার মাত্র বলেনঃ ‘হও’ আর তেমনই তা হয়ে যায় । অর্থাৎ গুরুত্ব আরোপের জন্যে তাঁর দ্বিতীয়বার আদেশ করার প্রয়োজন হয় না। এমন কেউ নেই, যে তাঁর বিরোধিতা করতে পারে। তিনি এক ও মহাপ্রতাপান্বিত। তিনি সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী। তিনি শ্রেষ্ঠত্ব ও সাম্রাজ্যের মালিক। তিনি সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। তিনি ছাড়া নেই কোন মাবুদ, নেই কোন শাসনকর্তা, নেই কোন প্রতিপালক এবং নেই কোন ক্ষমতাবান।হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “ আদম সন্তান আমাকে গালি দেয়, অথচ এটা তার জন্যে সমীচীন নয় এবং আদম সন্তান আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, অথচ এটা তার পক্ষে উচিত । নয়। তার মিথ্যা প্রতিপন্ন করা এই যে, সে গুরুত্ববোধক শপথ করে বলেঃ “ আল্লাহ তাআলা মৃতকে জীবিত করবেন না ।” আমি বলিঃ “ হাঁ, হাঁ, অবশ্য আমি জীবিত করবো ।” এটা সত্য ওয়াদা, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এটা অবগত নয়। আর আমাকে তার গালি দেয়া এই যে, সে বলেঃ “ আল্লাহ তিনের একজন” । অথচ আমি এক, আমি আল্লাহ, আমি কারো মুখাপেক্ষী নই, সবাই আমার মুখাপেক্ষী, আমার কোন সন্তান নেই এবং আমিও কারো সন্তান নই, আর আমার সমতুল্য কেউই নেই।” ( এ হাদীসটি ইবনু আবি হাতিম (রাঃ ) মাওকুফ রূপে বর্ণনা করেছেন। আর এটা সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমেও ভিন্ন শব্দে মারফু রূপে বর্ণিত হয়েছে)
সূরা নাহল আয়াত 40 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- তথায় তোমাদের জন্যে আছে প্রচুর ফল-মূল, তা থেকে তোমরা আহার করবে।
- যখন মানুষকে হাশরে একত্রিত করা হবে, তখন তারা তাদের শত্রু হবে এবং তাদের এবাদত অস্বীকার
- সে আমার স্থলাভিষিক্ত হবে ইয়াকুব বংশের এবং হে আমার পালনকর্তা, তাকে করুন সন্তোষজনক।
- তাদের নির্মিত গৃহটি তাদের অন্তরে সদা সন্দেহের উদ্রেক করে যাবে যে পর্যন্ত না তাদের অন্তরগুলো
- তার মহান পালনকর্তার সন্তুষ্টি অন্বেষণ ব্যতীত।
- কেয়ামত অবশ্যই আসবে, আমি তা গোপন রাখতে চাই; যাতে প্রত্যেকেই তার কর্মানুযায়ী ফল লাভ করে।
- মূসা বললঃ তোমাদের ওয়াদার দিন উৎসবের দিন এবং পূর্বাহেߠলোকজন সমবেত হবে।
- বাদশাহ বললঃ তাকে আমার কাছে নিয়ে এসো। আমি তাকে নিজের বিশ্বস্ত সহচর করে রাখব। অতঃপর
- এই কানাঘুষা তো শয়তানের কাজ; মুমিনদেরকে দুঃখ দেয়ার দেয়ার জন্যে। তবে আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত সে
- ঈমানদার ব্যক্তি কি অবাধ্যের অনুরূপ? তারা সমান নয়।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা নাহল ডাউনলোড করুন:
সূরা Nahl mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Nahl শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers