কোরান সূরা ইউসুফ আয়াত 42 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Yusuf ayat 42 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ইউসুফ আয়াত 42 আরবি পাঠে(Yusuf).
  
   

﴿وَقَالَ لِلَّذِي ظَنَّ أَنَّهُ نَاجٍ مِّنْهُمَا اذْكُرْنِي عِندَ رَبِّكَ فَأَنسَاهُ الشَّيْطَانُ ذِكْرَ رَبِّهِ فَلَبِثَ فِي السِّجْنِ بِضْعَ سِنِينَ﴾
[ يوسف: 42]

যে ব্যক্তি সম্পর্কে ধারণা ছিল যে, সে মুক্তি পাবে, তাকে ইউসুফ বলে দিলঃ আপন প্রভুর কাছে আমার আলোচনা করবে। অতঃপর শয়তান তাকে প্রভুর কাছে আলোচনার কথা ভুলিয়ে দিল। ফলে তাঁকে কয়েক বছর কারাগারে থাকতে হল। [সূরা ইউসুফ: 42]

Surah Yusuf in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Yusuf ayat 42


আর দুইজনের মধ্যে যাকে তিনি জানতেন যে সে মুক্তি পাবে তাকে তিনি বললেন, ''তোমার প্রভুর কাছে আমার কথা বলো।’’ কিন্তু শয়তান তাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল তার প্রভুর কাছে স্মরণ করিয়ে দিতে, তাই তিনি কারাগারে থাকলেন আরো কয়েক বছর।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৪২. তাদের দু’জনের মধ্যকার যার সম্পর্কে ধারণা ছিল যে, সে মুক্তি পাবে তাকে ইউসুফ ( আলাইস-সালাম ) বলে দিলেন -আর সে হল বাদশাকে মদপানকারী-: বাদশার কাছে তুমি আমার ঘটনা ও ব্যাপারটি আলোচনা করবে। তাহলে তিনি আমাকে কারাগার থেকে মুক্ত করে দিতে পারেন। তবে শয়তান মদপানকারীকে ইউসুফের কথা বাদশার কাছে আলোচনা করতে ভুলিয়ে দিল। ফলে ইউসুফ তারপর কারাগারে কয়েক বছরই অবস্থান করল।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


ইউসুফ তাদের মধ্যে যে মুক্তি পাবে মনে করল, তাকে বলল, ‘তোমার প্রভুর কাছে আমার কথা বলো।’ কিন্তু শয়তান তাকে তার প্রভুর কাছে তার বিষয় বলবার কথা ভুলিয়ে দিল; সুতরাং ইউসুফ কয়েক বছর কারাগারে থেকে গেল। [১] [১] بضع শব্দটি তিন থেকে নয় পর্যন্ত সংখ্যার জন্য ব্যবহার হয়। অহাব বিন মুনাব্বেহ বলেন, আইয়ুব ( আঃ ) তাঁর ব্যাধি অবস্থায় এবং ইউসুফ ( আঃ ) জেলখানায় সাত বছর ছিলেন। আর বুখতে নাসরের আযাবও সাত বছর ছিল। পক্ষান্তরে অনেকে বলেন, বারো বছর এবং অনেকের মতে চৌদ্দ বছর জেলখানাতে ছিলেন। আর আল্লাহই ভালো জানেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর ইউসুফ তাদের মধ্যে যে মুক্তি পাবে মনে করলেন, তাকে বললেন, ‘তোমার মনিবের কাছে আমার কথা বলো’, কিন্তু শয়তান তাকে তার মনিবের কাছে তার বিষয় বলার কথা ভুলিয়ে দিল; কাজেই ইউসুফ কয়েক বছর কারাগারে রয়ে গেলেন []। [] এ আয়াতের দু’টি অর্থ করা হয়ে থাকে, এক.
বন্দী দু’জনের মধ্যে যে ব্যক্তি সম্পর্কে ধারণা ছিল যে, সে রেহাই পাবে, তাকে ইউসুফ ‘আলাইহিস্ সালাম বললেনঃ যখন তুমি মুক্ত হয়ে কারাগারের বাইরে যাবে এবং শাহী দরবারে পৌঁছবে, তখন বাদশাহর কাছে আমার বিষয়েও আলোচনা করবে যে, এ নিরপরাধ লোকটি কারাগারে পড়ে রয়েছে। কিন্তু মুক্ত হয়ে লোকটি ইউসুফ ‘আলাইহিস্ সালাম-এর কথা ভুলে গেল। এ হিসাবে ( فَاَنْسَاهُ ) এর মধ্যে ব্যবহৃত সর্বনামটি দ্বারা সেই বন্দী লোকটিকে বুঝানো হবে। ফলে ইউসুফ ‘আলাইহিস্ সালাম-এর মুক্তি আরো বিলম্বিত হয়ে গেল এবং এ ঘটনার পর আরো কয়েক বছর তাকে কারাগারে কাটাতে হল। [ কুরতুবী; ইবন কাসীর ] দুই.
মুজাহিদ রাহেমাহুল্লাহ বলেনঃ ইউসুফ ‘আলাইহিস্ সালাম বন্দীর প্রভু বা রাজার কাছে তার কথা উল্লেখ করার কথা বলেছিলেন। এতে করে তিনি যেহেতু তার প্রভু রাব্বুল আলামিনকে ভুলে গিয়েছিলেন এর শাস্তি স্বরূপ তাকে বেশ কয়েক বছর জেলে কাটাতে হয়েছে। এ হিসাবে ( فَاَنْسَاهُ ) শব্দের মধ্যে ব্যবহৃত সর্বনামটি দ্বারা ইউসুফ ‘আলাইহিস্ সালামকে বুঝানো হবে। [ কুরতুবী; ইবন কাসীর ] আয়াতে ( بِضْعَ سِنِيْنَ ) বলা হয়েছে। শব্দটি তিন থেকে নয় পর্যন্ত সংখ্যা বোঝায়। কোন কোন মুফাসসির বলেনঃ এ ঘটনার পর আরো সাত বছর তাকে জেলে থাকতে হয়েছে। [ কুরতুবী; ইবন কাসীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


হযরত ইউসুফ ( আঃ ) যার স্বপ্নের তাৎপর্য অনুযায়ী স্বীয় ধারণায় জেলখানা হতে মুক্তি পাবেন বলে মনে করেছিলেন তাকে তিনি দ্বিতীয় ব্যক্তি অর্থাৎ বাবুর্চির অগোচরে গোপনে বলেছিলেন যে, সে যেন বাদশাহর সামনে তাঁর সম্পর্কে আলোচনা করে। কিন্তু লোকটি তাঁর এ কথাটি সম্পূর্ণরূপে ভুলে যায়। এটাও ছিল শয়তানেরই চক্রান্ত। এ কারণে হযরত ইউসুফকে ( আঃ ) কয়েক বছর কারাগারে কাটাতে হয়েছিল। সুতরাং সঠিক কথা এটাই যে, ( আরবি ) এর ‘( আরবি )’ সর্বনামটি মুক্তিপ্রাপ্ত লোকটির দিকেই প্রত্যাবর্তিত। তবে কেউ কেউ এ কথাও বলেছেন যে, ‘( আরবি )' সর্বনামটি হযরত ইউসুফের ( আঃ ) দিকে ফিরেছে।হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) হতে মারফূ’ রূপে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যদি হযরত ইউসুফ ( আঃ ) এ কথা না বলতেন তবে তাঁকে এতো দীর্ঘদিন জেলখানায় থাকতে হতো না । তিনি আল্লাহ তাআ’লাকে ছেড়ে অন্যের কাছে নিজের জীবনের প্রশস্ততা কামনা করেছিলেন।” কিন্তু এই রিওয়াইয়াতটি অত্যন্ত দুর্বল। কেননা, সুফইয়ান ইবনু ওয়াকী’ এবং ইবরাহীম ইবনু ইয়াযীদ এ দু'জন বর্ণনাকারী দুর্বল। হাসান ( রঃ ) ও কাতাদা’ ( রঃ ) হতে মুরসাল রূপে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। যদিও কোন কোন ক্ষেত্রে মুরসাল হাদীস গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে, তথাপি এরূপ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এরূপ মুরসাল হাদীস কখনোই গ্রহণযোগ্য দলীল হতে পারে না। এসব ব্যাপারে সঠিক জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ তাআ’লারই রয়েছে।( আরবি ) শব্দটি তিন থেকে নয় পর্যন্ত সংখ্যার জন্যে এসে থাকে। হযরত অহাব ইবনু মুনাববাহ ( রঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত আইয়ুব ( আঃ ) সাত বছর যাবৎ রোগে ভুগেছিলেন, হযরত ইউসুফ ( আঃ ) সাত বছর কারাগারে অবস্থান করেছিলেন এবং বাখ্‌তে নাসারের শাস্তিও সাত বছর ধরে চলেছিল। হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, হযরত ইউসুফের ( আঃ ) কারাগারে অবস্থানের সময়কাল ছিল বারো বছর। যহ্‌হাক ( রঃ ) বলেন যে চৌদ্দ বছর তিনি জেলখানায় অবস্থান করেছিলেন।

সূরা ইউসুফ আয়াত 42 সূরা

وقال للذي ظن أنه ناج منهما اذكرني عند ربك فأنساه الشيطان ذكر ربه فلبث في السجن بضع سنين

سورة: يوسف - آية: ( 42 )  - جزء: ( 12 )  -  صفحة: ( 240 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অজ্ঞাত বিষয়ে অনুমানের উপর ভিত্তি করে এখন তারা বলবেঃ তারা ছিল তিন জন; তাদের চতুর্থটি
  2. অতঃপর সে ছিল রক্তপিন্ড, অতঃপর আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং সুবিন্যস্ত করেছেন।
  3. নিশ্চয় যারা তাদের পালনকর্তাকে না দেখে ভয় করে, তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।
  4. জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।
  5. নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা,
  6. আর আমি তোমাদের নসীহত করতে চাইলেও তা তোমাদের জন্য ফলপ্রসূ হবে না, যদি আল্লাহ তোমাদেরকে
  7. আপনি যখন সেখানে দেখবেন, তখন নেয়ামতরাজি ও বিশাল রাজ্য দেখতে পাবেন।
  8. নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের বাহিনীসমূহ আল্লাহরই। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
  9. অভিযোগের পথ তো তাদের ব্যাপারে রয়েছে, যারা তোমার নিকট অব্যাহতি কামনা করে অথচ তারা সম্পদশালী।
  10. যা হৃদয় পর্যন্ত পৌছবে।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ইউসুফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Yusuf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Yusuf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ইউসুফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ইউসুফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ইউসুফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ইউসুফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ইউসুফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ইউসুফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ইউসুফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ইউসুফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ইউসুফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ইউসুফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers