কোরান সূরা ফুরকান আয়াত 44 তাফসীর
﴿أَمْ تَحْسَبُ أَنَّ أَكْثَرَهُمْ يَسْمَعُونَ أَوْ يَعْقِلُونَ ۚ إِنْ هُمْ إِلَّا كَالْأَنْعَامِ ۖ بَلْ هُمْ أَضَلُّ سَبِيلًا﴾
[ الفرقان: 44]
আপনি কি মনে করেন যে, তাদের অধিকাংশ শোনে অথবা বোঝে ? তারা তো চতুস্পদ জন্তুর মত; বরং আরও পথভ্রান্ত [সূরা ফুরকান: 44]
Surah Al-Furqan in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Furqan ayat 44
অথবা তুমি কি মনে কর যে তাদের অধিকাংশই শোনে অথবা বোঝে? তারা তো গরু-ছাগলের মতো ছাড়া আর কিছু নয়, বরং তারা পথ থেকে অধিক পথভ্রষ্ট।
Tafsir Mokhtasar Bangla
৪৪. হে রাসূল! আপনি কি মনে করেন যে, যাদেরকে আপনি আল্লাহর তাওহীদ ও তাঁর আনুগত্যের দিকে ডাকছেন তাদের অধিকাংশই দলীল-প্রমাণাদি বুঝে কিংবা গ্রহণের নিয়্যাতে শুনে?! বস্তুতঃ তারা শুনা, বুঝা ও অনুধাবনের ক্ষেত্রে চতুষ্পদ জন্তুর মতোই। বরং তারা চতুষ্পদ জন্তুর চেয়ে আরো বেশি পথভ্রষ্ট।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
তুমি কি মনে কর যে, ওদের অধিকাংশ শোনে ও বুঝে? ওরা তো পশুরই মত; বরং ওরা আরও অধম। [১] [১] অর্থাৎ, এসব চতুষ্পদ জীব যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে, তারা তা বুঝে। কিন্তু মানুষ, যাদেরকে শুধুমাত্র এক আল্লাহর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তারা নবীদের মাধ্যমে তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও আল্লাহর সাথে শিরক করে এবং বিভিন্ন স্থানে নিজেদের ( তুলনায় উত্তম অথবা অধম সৃষ্টির সামনে ) মাথা নত করে। এই দিক দিয়ে তারা অবশ্যই জীবজন্তুর চেয়েও অধিক নিকৃষ্ট এবং পথভ্রষ্ট।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
নাকি আপনি মনে করেন যে, তাদের অধিকাংশ শোনে অথবা বোঝে? তারা তো পশুর মতই; বরং তারা আরও অধিক পথভ্ৰষ্ট।
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
৪১-৪৪ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা'আলা খবর দিচ্ছেন যে, মুশরিকরা যখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে দেখে তখন তাঁকে উপহাস ও বিদ্রুপ করে। যেমন তিনি বলেনঃ “ যখন কাফিররা তোমাকে দেখে তখন তারা তোমাকে শুধু ঠাট্টা-বিদ্রুপের পাত্র রূপে গণ্য করে ।” অর্থাৎ তারা তাকে দোষ-ত্রুটির সাথে বিশেষিত করে। এখানে মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ তারা যখন তোমাকে দেখে তখন তারা তোমাকে শুধু ঠাট্টা-বিদ্রুপের পাত্র রূপে গণ্য করে এবং বলে- এই কি সে, যাকে আল্লাহ রাসূল করে পাঠিয়েছেন। অর্থাৎ তারা তাঁকে খাটো করার জন্যে একথা বলে। তাই আল্লাহ তাদের দুষ্কৃতি ও বদভ্যাসের বর্ণনা দিয়েছেন। যেমন তিনি বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ তোমার পূর্বেও রাসূলদেরকে বিদ্রুপ করা হয়েছিল ।” ( ৬: ১০ ) মহান আল্লাহর উক্তিঃ সে তো আমাদেরকে আমাদের দেবতাগণ হতে দূরে সরিয়ে দিতো। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা ঐ মুশরিকদের উক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তারা বলে- আমরা আমাদের দেবতাদের আনুগত্যে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত না থাকলে সে তো আমাদেরকে তাদের ইবাদত হতে সরিয়ে দিতো। আল্লাহ তাদেরকে ভীতি প্রদর্শন ও হুমকির সুরে বলেনঃ যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে তখন জানবে কে সর্বাধিক পথভ্রষ্ট।এরপর আল্লাহ তা'আলা স্বীয় নবী ( সঃ )-কে জানিয়ে দেন যে, যার তকদীরে আল্লাহ দুর্ভোগ ও পথভ্রষ্টতা লিখে দিয়েছেন তাকে মহামহিমান্বিত আল্লাহ ছাড়া আর কেউই সুপথ প্রদর্শন করতে পারে না। তাই তিনি বলেনঃ তুমি কি দেখো না তাকে, যে তার কামনা বাসনাকে ইলাহরূপে গ্রহণ করে? অর্থাৎ যে প্রবৃত্তির দাস এবং প্রবৃত্তি যা চায় তাই যে ভাল মনে করে, সেটাই তার দ্বীন ও মাযহাব। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ তবে কি যে ব্যক্তির খারাপ কাজ তার জন্যে শোভনীয় করা হয়েছে, অতঃপর সে ওটাকে উত্তম দেখে? নিশ্চয়ই আল্লাহ যাকে চান পথভ্রষ্ট করেন ।” ( ৩৫: ৮ ) এ জন্যেই তিনি এখানে বলেনঃ তবুও কি তুমি তার কর্মবিধায়ক হবে?হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, অজ্ঞতার যুগে একজন লোক কিছুকাল যাবত সাদা পাথরের ইবাদত করতো। অতঃপর যখন দেখতো যে, ওটার চেয়ে অন্যটি উৎকৃষ্টতর, তখন পূর্বটির পূজা ছেড়ে দিয়ে ঐ দ্বিতীয়টির পূজা শুরু করে দিতো।এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ তুমি কি দেখো না যে, তাদের অধিকাংশ শুনে ও বুঝে? তারা তো পশুরই মত; তারা আরো অধম। অর্থাৎ তাদের অবস্থা বিচরণকারী পশুর চেয়েও খারাপ। কারণ পশুরা ঐ কাজই করে যে কাজের জন্যে ওগুলোকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর এই মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে এক শরীক বিহীন আল্লাহর ইবাদতের জন্যে। কিন্তু তারা তা পালন করেনি। বরং তারা তাকে বাদ দিয়ে অন্যের ইবাদত করে এবং তাদের কাছে দলীল প্রমাণাদি কায়েম হওয়া এবং তাদের নিকট রাসূলদেরকে প্রেরণ করা সত্ত্বেও তারা তাঁর সাথে শরীক স্থাপন করে।
সূরা ফুরকান আয়াত 44 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- সুতরাং আপনার পালনকর্তার কসম, আমি অবশ্যই তাদেরকে এবং শয়তানদেরকে একত্রে সমবেত করব, অতঃপর অবশ্যই তাদেরকে
- আর কেউ যখন তাদের নিকট আমার আয়াতসমূহ পাঠ করে তবে বলে, আমরা শুনেছি, ইচ্ছা করলে
- কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান
- আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে
- নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ অতঃপর অবিচল থাকে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা
- তুমি কি দেখ না যে, তারা প্রতি ময়দানেই উদভ্রান্ত হয়ে ফিরে?
- যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন অপরাধীরা কসম খেয়ে বলবে যে, এক মুহুর্তেরও বেশী অবস্থান করিনি।
- তোমরা অবশ্যই বেদনাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করবে।
- এবং ভুমি থেকে প্রবাহিত করলাম প্রস্রবণ। অতঃপর সব পানি মিলিত হল এক পরিকম্পিত কাজে।
- বস্তুতঃ যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে এটি তাদের কলুষের সাথে আরো কলুষ বৃদ্ধি করেছে এবং তারা
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ফুরকান ডাউনলোড করুন:
সূরা Furqan mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Furqan শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers