কোরান সূরা বায়্যিনাহ আয়াত 8 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Bayyinah ayat 8 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বায়্যিনাহ আয়াত 8 আরবি পাঠে(Bayyinah).
  
   

﴿جَزَاؤُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ جَنَّاتُ عَدْنٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ۖ رَّضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ ۚ ذَٰلِكَ لِمَنْ خَشِيَ رَبَّهُ﴾
[ البينة: 8]

তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে তাদের প্রতিদান চিরকাল বসবাসের জান্নাত, যার তলদেশে নির্ঝরিণী প্রবাহিত। তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। এটা তার জন্যে, যে তার পালনকর্তাকে ভয় কর। [সূরা বায়্যিনাহ: 8]

Surah Al-Bayyinah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Bayyinah ayat 8


তাদের পুরস্কার রয়েছে তাদের প্রভুর কাছে -- নন্দনকাননসমূহ, তাদের নিচ দিয়ে বয়ে চলেছে ঝরনারাজি, সেখানে তারা অবস্থান করবে চিরকাল। আল্লাহ্ তাদের উপরে সন্তষ্ট আর তারা সন্তষ্ট তাঁর প্রতি। এইটি তার জন্য যে তার প্রভুকে ভয় করে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৮. তাদের মহান প্রতিপালকের নিকট তাদের প্রতিদান হবে উদ্যানসমূহ। যেগুলোর অট্টালিকা ও বৃক্ষরাজির তলদেশ দিয়ে নদীনালা প্রবাহিত। তারা তথায় চিরস্থায়ীভাবে অবস্থান করবে। আল্লাহ তাদের উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন তাদের কর্তৃক তাঁর উপর ঈমান আনয়ন ও তাঁর আনুগত্যের ফল হিসাবে এবং তারাও তাঁর উপর সন্তুষ্ট তাঁর পক্ষ থেকে রহমত লাভের ভিত্তিতে। এ রহমত কেবল সে ব্যক্তিই লাভ করে থাকে যে স্বীয় প্রতিপালককে তাঁর আদেশ-নিষেধ মান্য করার মাধ্যমে ভয় করে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তাদের প্রতিপালকের নিকট আছে তাদের পুরস্কার স্থায়ী জান্নাত; যার নিম্নদেশে নদীমালা প্রবাহিত। সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে; আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট[১] এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট; [২] এ ( প্রতিদান ) তার জন্য, যে তার প্রতিপালককে ভয় করে। [৩] [১] অর্থাৎ, তাদের ঈমান, আনুগত্য এবং সৎকর্মের কারণে আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট। আর আল্লাহর সন্তুষ্টি হল সব থেকে বড় জিনিস। মহান আল্লাহ বলেন, ( وَرِضْوَانٌ مِنَ اللهِ أَكبَر ) ( সূরা তাওবাহ ৯:৭২ আয়াত ) [২] এ জন্য যে, আল্লাহ তাদেরকে এমন সব নিয়ামতের অধিকারী বানিয়েছেন; যার মধ্যে তাদের আত্মা ও দেহ উভয়ের সুখ বিদ্যমান।[৩] অর্থাৎ, উত্তম প্রতিদান ও সন্তুষ্টি ঐ সকল লোকদের জন্য, যারা পৃথিবীতে আল্লাহকে ভয় করে চলে। আর সেই ভয়ের কারণে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করা হতে দূরে থাকে। যদি কোন সময় মানব মনের প্রবণতায় পাপ হয়েই যায়, তাহলে তারা সঙ্গে সঙ্গে তওবা করে নিজেদেরকে সংশোধন করে নেয়। পরিশেষে তাদের মৃত্যু এই অনুগত থাকা অবস্থাতেই হয়; অবাধ্য থাকা অবস্থায় নয়। এর ফলকথা এই যে, আল্লাহর ভয়ে ভীত মানুষ তাঁর অবাধ্যাচরণে অবিচল থাকতে পারে না। পক্ষান্তরে যে এরূপ করে, আসলে তার হৃদয় আল্লাহর ভয় থেকে শূন্য।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তাদের রবের কাছে আছে তাদের পুরষ্কারঃ স্থায়ী জান্নাত, যার নিচে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। আল্লাহ্ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট [] এবং তারাও তাঁর প্রতি সস্তুষ্ট। এটি তার জন্য, যে তার রবকে ভয় করে []। [] এ আয়াতে জান্নাতীদের প্রতি সর্ববৃহৎ নেয়ামত আল্লাহ্র সস্তুষ্টির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ্ তা‘আলা জান্নাতীদেরকে উদ্দেশ্য করে বলবেন, হে জান্নাতীগণ! তখন তারা জওয়াব দেবে, হে আমাদের রব! আমরা উপস্থিত এবং আপনার আনুগত্যের জন্যে প্রস্তুত সমস্ত কল্যাণ আপনারই হাতে। অতঃপর আল্লাহ্ বলবেন, তোমরা কি সস্তুষ্ট? তারা জওয়াব দেবে, হে আমাদের রব! এখনও সন্তুষ্ট না হওয়ার কি সম্ভাবনা? আপনি তো আমাদেরকে এত সব দিয়েছেন, যা অন্য কোন সৃষ্টি পায়নি। আল্লাহ্ বলবেন, আমি তোমাদেরকে আরও উত্তম নেয়ামত দিচ্ছি। আমি তোমাদের প্রতি আমার সস্তুষ্টি নাযিল করছি। অতঃপর কখনও তোমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হব না।” [ বুখারী: ৬৫৪৯, ৭৫১৮, মুসলিম: ২৮২৯ ] [] অন্য কথায় যে ব্যক্তি আল্লাহ্র ব্যাপারে নির্ভীক এবং তাঁর মোকাবিলায় দুঃসাহসী ও বেপরোয়া হয়ে জীবনযাপন করে না। বরং দুনিয়ায় প্রতি পদে পদে আল্লাহ্কে ভয় করে জীবনযাপন করে; তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলে তাকওয়া অবলম্বন করে। তার জন্যই আল্লাহ্র কাছে রয়েছে এই প্রতিদান ও পুরস্কার। [ তাবারী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৬-৮ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা'আলা কাফিরদের পরিণাম বর্ণনা করছেন যে, কাফির, ইয়াহুদী, নাসারা, মুশরিক, আরব ও অনারব যেই হোক না কেন যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ( সঃ )-এর বিরোধ এবং আল্লাহর কিতাবকে অবিশ্বাস করে তারা কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে, সেখানেই তারা চিরকাল অবস্থান করবে। কোন অবস্থাতেই তারা সেখান থেকে ছাড়া বা রেহাই পাবে না। এরাই নিকৃষ্টতম সৃষ্টি। এরপর আল্লাহ তা'আলা পুণ্যবান বান্দাদের পরিণাম সম্পর্কে বলেনঃ নিঃসন্দেহে যারা ঈমান এনেছে এবং ভাল কাজ করেছে তারাই উৎকৃষ্টতম সৃষ্টি। এ আয়াত থেকে হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) এবং একদল আলেম ব্যাখ্যা করেন। যে, ঈমানদার মানুষ আল্লাহর ফেরেশতাদের চেয়েও উৎকৃষ্টতর। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ তাদের প্রতিদান স্বরূপ তাদের প্রতিপালকের নিকট সর্বদা অবস্থানের জান্নাতসমূহ রয়েছে যেগুলোর নিম্নদেশে নহর সমূহ বইতে থাকবে। সেখানে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে। আল্লাহ তা'আলা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে। এটা ঐ ব্যক্তির জন্যে যে নিজের প্রতিপালককে ভয় করে অর্থাৎ যার মনে আল্লাহ তাআলার প্রতি ভয় ভীতি রয়েছে। ইবাদত করার সময় যে মন প্রাণ দিয়ে আল্লাহর ইবাদত করে, এমনভাবে ইবাদত করে যেন চোখের সামনে রাব্বল আলামীন আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছে। যে রাব্বল আলামীন সব কিছুরই মালিক এবং যিনি সর্বশক্তিমান।মুসনাদে আহমাদে হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ সর্বোত্তম সৃষ্ট জীব কে এ সংবাদ কি আমি তোমাদেরকে দিবো না?” সাহাবীগণ উত্তরে বললেনঃ “হ্যা, হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমাদেরকে আপনি এ খবর দিন ।রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তখন বললেনঃ আল্লাহর সৃষ্ট মানুষের মধ্যে ঐ মানুষ সবচেয়ে উত্তম যে জিহাদের ডাক শোনার জন্যে ঘোড়ার লাগাম ধরে থাকে, যেন শোনা মাত্রই ঘোড়ায় আরোহণ করতে পারে এবং শত্রুদলে প্রবেশ করে বীরত্বের পরিচয় দিতে সক্ষম হয় । এবার আমি তোমাদেরকে এক উৎকৃষ্ট সৃষ্টির সংবাদ দিচ্ছি। যে ব্যক্তি নিজের বকরীর পালের মধ্যে অবস্থান করা সত্ত্বেও নামায আদায় করতে এবং যাকাত দিতে কৃপণতা করে। এবার তোমাদেরকে এক নিকৃষ্ট সৃষ্টির সংবাদ দিচ্ছি। সে হলো ঐ ব্যক্তি যে ( কোন অভাবগ্রস্তকে ) আল্লাহর নামে কিছু চাওয়ার পর কিছু না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়।”

সূরা বায়্যিনাহ আয়াত 8 সূরা

جزاؤهم عند ربهم جنات عدن تجري من تحتها الأنهار خالدين فيها أبدا رضي الله عنهم ورضوا عنه ذلك لمن خشي ربه

سورة: البينة - آية: ( 8 )  - جزء: ( 30 )  -  صفحة: ( 599 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তিনি তোমাদেরকে তাদের ভূমির, ঘর-বাড়ীর, ধন-সম্পদের এবং এমন এক ভূ-খন্ডের মালিক করে দিয়েছেন, যেখানে তোমরা
  2. যেদিন আমি পর্বতসমূহকে পরিচালনা করব এবং আপনি পৃথিবীকে দেখবেন একটি উম্মুক্ত প্রান্তর এবং আমি মানুষকে
  3. যখন মূসা স্বীয় সম্প্রদায়কে বললেনঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত স্মরণ কর, যখন
  4. নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার
  5. যাতে তারা পরাকাষ্ঠাসম্পন্ন বিজ্ঞ যাদুকরদের এনে সমবেত করে।
  6. যয়তুন, খর্জূর,
  7. আল্লাহ মানুষের প্রাণ হরণ করেন তার মৃত্যুর সময়, আর যে মরে না, তার নিদ্রাকালে। অতঃপর
  8. অতঃপর আমি তাদের পরে মূসাকে পাঠিয়েছি নিদর্শনাবলী দিয়ে ফেরাউন ও তার সভাসদদের নিকট। বস্তুতঃ ওরা
  9. যারা কুচক্র করে, তারা কি এ বিষয়ে ভয় করে না যে, আল্লাহ তাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন
  10. বরং যারা কাফের, তারা মিথ্যারোপে রত আছে।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বায়্যিনাহ ডাউনলোড করুন:

সূরা Bayyinah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Bayyinah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বায়্যিনাহ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Tuesday, July 16, 2024

Please remember us in your sincere prayers