কোরান সূরা ফাতির আয়াত 45 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Fatir ayat 45 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ফাতির আয়াত 45 আরবি পাঠে(Fatir).
  
   

﴿وَلَوْ يُؤَاخِذُ اللَّهُ النَّاسَ بِمَا كَسَبُوا مَا تَرَكَ عَلَىٰ ظَهْرِهَا مِن دَابَّةٍ وَلَٰكِن يُؤَخِّرُهُمْ إِلَىٰ أَجَلٍ مُّسَمًّى ۖ فَإِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ بِعِبَادِهِ بَصِيرًا﴾
[ فاطر: 45]

যদি আল্লাহ মানুষকে তাদের কৃতকর্মের কারণে পাকড়াও করতেন, তবে ভুপৃষ্ঠে চলমানকাউকে ছেড়ে দিতেন না। কিন্তু তিনি এক নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দেন। অতঃপর যখন সে নির্দিষ্ট মেয়াদ এসে যাবে তখন আল্লাহর সব বান্দা তাঁর দৃষ্টিতে থাকবে। [সূরা ফাতির: 45]

Surah Fatir in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Fatir ayat 45


আর আল্লাহ্ যদি লোকেদের পাকড়াও করতেন তারা যা অর্জন করেছে সেজন্য, তাহলে এর পিঠে তিনি জীবজন্তুদের কাউকেও ছাড়তেন না, কিন্তু তিনি এক নির্ধারিত কাল পর্যন্ত তাদের অবকাশ দিয়ে থাকেন। সুতরাং যখন তাদের নির্ধারিত কাল এসে যায় তখন আল্লাহ্ আলবৎ তাঁর বান্দাদের প্রতি সর্বদ্রষ্টা।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৪৫. আর আল্লাহ যদি মানুষের পাপেরও অপরাধের শাস্তি তরান্বিত করতেন তবে তাৎক্ষণিক প্রাণী ও সম্পদসহ যমীনের সকল বাসিন্দাকে ধ্বংস করে দিতেন। কিন্তু তিনি তাঁর জ্ঞানে বিদ্যমান মেয়াদ কিয়ামত পর্যন্ত বিলম্ব করেন। যেদিন কিয়ামত আসবে তখন তাদের সব কিছু তিনি দেখবেন। তাঁর নিকট তাদের কোন কিছু গোপন থাকবে না। ফলে তাদের আমলের প্রতিদান দিবেন। ভালর বদলে ভাল আর মন্দের বদলে মন্দ।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আল্লাহ মানুষকে তাদের কৃতকর্মের জন্য পাকড়াও করলে ভূপৃষ্ঠে কোন জীব-জন্তুকেই রেহাই দিতেন না।[১] কিন্তু তিনি এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দিয়ে থাকেন।[২] সুতরাং তাদের নির্দিষ্ট সময় যখন এসে পড়বে, তখন অবশ্যই আল্লাহ তাঁর দাসদের ব্যাপারে সম্যক দ্রষ্টা। [৩] [১] মানুষকে তো তাদের পাপের কারণে এবং জীব-জন্তুকে মানুষের পাপাচরণের কারণে। অথবা উদ্দেশ্য এই যে, পৃথিবীতে বসবাসকারী সকল বস্তুকে ধ্বংস করে দিতেন; মানুষকেও এবং যে সকল জীব-জন্তুর তারা মালিক তাদেরকেও। অথবা উদ্দেশ্য এই যে, আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দিতেন, যার ফলে পৃথিবীর উপর বিচরণশীল সকল প্রাণী ও উদ্ভিদই মারা যেত। [২] এই 'নির্দিষ্ট কাল' পৃথিবীতেও হতে পারে এবং কিয়ামতের দিন তো বটেই। [৩] অর্থাৎ, সেই দিন তাদের হিসাব নেবেন এবং সকলকে তাদের কর্মের পূর্ণ প্রাপ্য প্রদান করবেন; ঈমানদার ও অনুগতদেরকে নেকী ও সওয়াব এবং কাফের ও অবাধ্য ব্যক্তিদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন। এতে রয়েছে মু'মিনদের জন্য সান্ত্বনা ও কাফেরদের জন্য শাস্তির ধমক।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর আল্লাহ্ মানুষদেরকে তাদের কৃতকর্মের জন্য পাকড়াও করলে, ভূ-পৃষ্ঠে কোন প্রাণীকেই তিনি রেহাই দিতেন না, কিন্তু তিনি এক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দিয়ে থাকেন। অতঃপর যখন তাদের নির্দিষ্ট সময় এসে যাবে, তখন তো আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে সম্যক দ্রষ্টা []। [] যেমন অন্য আয়াতে বলেছেন, “ আর আল্লাহ্‌ যদি মানুষকে তাদের সীমালংঘনের জন্য শাস্তি দিতেন তবে ভূপৃষ্ঠে কোন জীব-জন্তুকেই রেহাই দিতেন না; কিন্তু তিনি এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দিয়ে থাকেন । অতঃপর যখন তাদের সময় আসে তখন তারা মুহুর্তকাল আগাতে বা পিছাতে পারে না।” [ সূরা আন-নাহল: ৬১ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৪৪-৪৫ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা স্বীয় রাসূল ( সঃ )-কে খবর দিচ্ছেন ও তাঁকে বলতে হুকুম করছেনঃ ঐ অস্বীকার কারীদেরকে বলে দাও যে, দুনিয়ায় ঘুরে ফিরে দেখো তো, তোমাদের ন্যায় অস্বীকারকারী তোমাদের পূর্ববর্তীদের কি পরিণতি হয়েছে? তাদের নিকট থেকে নিয়ামত ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে, তাদের ঘরবাড়ী উজাড় করে দেয়া হয়েছে, তাদের শক্তি নষ্ট হয়ে গেছে, তাদের ধন-দৌলত ধ্বংস হয়েছে, তাদের সন্তান-সন্ততিকেও ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। আল্লাহর আযাব তাদের উপর থেকে কোনক্রমেই সরেনি। তাদের উপর থেকে বিপদ কেউই সরাতে পারেনি। তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। কেউই তাদের কোন উপকার করতে পারেনি। আল্লাহ তা'আলাকে কেউ অপারগ করতে পারে না। তার কোন ইচ্ছা লক্ষ্যশূন্য হয় না। তাঁর কোন আদেশ কেউ রদ করতে পারে না। সারা বিশ্বজগত সম্বন্ধে তিনি পূর্ণ ওয়াকিফহাল। তিনি সব কিছুই করতে পারেন। আল্লাহ্ তা'আলা যদি মানুষকে তাদের সমস্ত কৃতকর্মের জন্য পাকড়াও করতেন। ও শাস্তি দিতেন তবে আসমান ও যমীনে যত প্রাণী আছে সবাই ধ্বংস হয়ে যেতো। জীব-জন্তু, খাদ্যবস্তু সবই বরবাদ হয়ে যেতো। জীব-জন্তুর আবাসস্থলে এবং পাখীর বাসায়ও তাঁর আযাব পৌঁছে যেতো। দুনিয়ায় কোন জীব-জন্তু বেঁচে থাকতো না। কিন্তু এখন তাদেরকে অবকাশ দেয়া হয়েছে এবং আযাবকে বিলম্বিত করা হয়েছে। সময় আসছে যে, কিয়ামত সংঘটিত হয়ে যাবে এবং হিসাব-নিকাশ শুরু হয়ে যাবে ! আনুগত্যের বিনিময়ে পুরস্কার এবং অবাধ্যতার বিনিময়ে শাস্তি দেয়া হবে। সময় এসে যাবার পর আর মোটেই বিলম্ব করা হবে না। আল্লাহ তা'আলা স্বীয় বান্দাদের উপর লক্ষ্য রেখে চলেছেন। তিনি উত্তম দর্শক।

সূরা ফাতির আয়াত 45 সূরা

ولو يؤاخذ الله الناس بما كسبوا ما ترك على ظهرها من دابة ولكن يؤخرهم إلى أجل مسمى فإذا جاء أجلهم فإن الله كان بعباده بصيرا

سورة: فاطر - آية: ( 45 )  - جزء: ( 22 )  -  صفحة: ( 440 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক সৎপুত্র দান কর।
  2. পরন্ত মিথ্যারোপ করেছে ও পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছে।
  3. দেশে যাদেরকে দূর্বল করা হয়েছিল, আমার ইচ্ছা হল তাদের প্রতি অনুগ্রহ করার, তাদেরকে নেতা করার
  4. রাত্রির কিছু অংশ কোরআন পাঠ সহ জাগ্রত থাকুন। এটা আপনার জন্যে অতিরিক্ত। হয়ত বা আপনার
  5. যদি সারা পৃথিবী পরিমাণ স্বর্ণও তার পরিবর্তে দেয়া হয়, তবুও যারা কাফের হয়েছে এবং কাফের
  6. অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান।
  7. আপনি তাদের শাসক নন,
  8. এরপর অবশ্যই সেদিন তোমরা নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।
  9. অতঃপর তিনি হাতে সন্তানের দিকে ইঙ্গিত করলেন। তারা বললঃ যে কোলের শিশু তার সাথে আমরা
  10. এবং পাহাড়ের দিকে যে, তা কিভাবে স্থাপন করা হয়েছে?

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ফাতির ডাউনলোড করুন:

সূরা Fatir mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Fatir শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ফাতির  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ফাতির  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ফাতির  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ফাতির  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ফাতির  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ফাতির  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ফাতির  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ফাতির  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ফাতির  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ফাতির  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ফাতির  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ফাতির  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ফাতির  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ফাতির  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ফাতির  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ফাতির  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ফাতির  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ফাতির  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ফাতির  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ফাতির  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ফাতির  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ফাতির  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ফাতির  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ফাতির  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ফাতির  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Saturday, May 18, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب