কোরান সূরা হুদ আয়াত 47 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Hud ayat 47 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা হুদ আয়াত 47 আরবি পাঠে(Hud).
  
   

﴿قَالَ رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ ۖ وَإِلَّا تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُن مِّنَ الْخَاسِرِينَ﴾
[ هود: 47]

নূহ (আঃ) বলেন-হে আমার পালনকর্তা আমার যা জানা নেই এমন কোন দরখাস্ত করা হতে আমি আপনার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আপনি যদি আমাকে ক্ষমা না করেন, দয়া না করেন, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হব। [সূরা হুদ: 47]

Surah Hud in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Hud ayat 47


তিনি বললেন -- ''আমার প্রভু! আমি অবশ্যই তোমার কাছে আশ্রয় চাইছি পাছে যে ব্যাপারে আমার কোনো জ্ঞান নেই সে- সন্বন্ধে তোমার কাছে প্রার্থনা করে ফেলি। আর তুমি যদি আমাকে রক্ষা না কর ও আমার প্রতি করুণা না দর্শাও তবে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


৪৭. নূহ ( আলাইহিস-সালাম ) বললেন: ওহে আমার রব! আমি অবশ্যই আপনার নিকট আশ্রয় ও হেফাজত কামনা করছি এমন কিছু চাওয়া থেকে যার সঠিক জ্ঞান আমার নিকট নেই। যদি আপনি আমার পাপ ক্ষমা না করেন এবং আপনার মেহেরবানীতে আমার প্রতি দয়া না করেন তাহলে আমি ওই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব যারা পরকালে নিজেদের বরাদ্দটুকু না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


সে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি তোমার নিকট এমন বিষয়ে আবেদন করা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি, যে বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই, আর তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না কর এবং আমার প্রতি দয়া না কর, তবে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের দলভুক্ত হয়ে যাব।’ [১] [১] যখন নূহ ( আঃ ) অবগত হলেন যে, তাঁর প্রার্থনা ঠিক হয়নি, তখন অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করে নিলেন এবং আল্লাহ তাআলার নিকট তাঁর দয়া ও ক্ষমার প্রার্থী হলেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তিনি বললেন, ‘হে আমার রব! যে বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই, সে বিষয়ে যাতে আপনাকে অনুরোধ না করি, এ জন্য আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আপনি যদি আমাকে ক্ষমা না করেন এবং আমাকে দয়া না করেন, তবে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব []।‘ [] উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা একটি মাসআলা জানা গেল যে, দো'আকারীর কর্তব্য হচ্ছে যার জন্য ও যে কাজের জন্য দো'আ করা হবে তা জায়েয হালাল ও ন্যায়সঙ্গত কি না তা জেনে নেয়া। সন্দেহজনক কোন বিষয়ের জন্য দোআ করা নিষিদ্ধ। এ আয়াত থেকে আরো জানা গেল যে, মুমিন ও কাফেরের মধ্যে যতই নিকটাত্মীয়ের সম্পর্ক থাক না কেন ধর্মীয় ও সামাজিক ক্ষেত্রে উক্ত আত্মীয়তার প্রতি লক্ষ্য করা যাবে না। কোন ব্যক্তি যতই সম্ভান্ত বংশীয় হোক না কেন যতই বড় বুযুর্গের সন্তান হোক না কেন, যদি সে ঈমানদার না হয় তবে দ্বীনী দৃষ্টিকোণ হতে তার আভিজাত্য ও নবীর নিকটাত্মীয় হওয়ার কোন মূল্য নেই। ঈমান, তাকওয়া ও যোগ্যতার ভিত্তিতে মানুষের মর্যাদা নির্ধারিত হবে। যার মধ্যে এসব গুণের সমাবেশ হয়েছে সে পর হলেও আপনজন। অন্যথায় আপন আত্মীয় হলেও সে পর। দ্বীনী ক্ষেত্রেও যদি আত্মীয়তার লক্ষ্য রাখা হতো তাহলে ভাইয়ের উপর ভাই কখনো তলোয়ার চালাতো না। বদর ওহুদ ও আহযাবের লড়াই তো একই বংশের লোকদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছে। যাতে করে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে ইসলাম ভ্রাতৃত্ব ও জাতীয়তা বংশ, বর্ণ, ভাষা বা আঞ্চলিকতার ভিত্তিতে গড়ে উঠে না, বরং ঈমান, তাকওয়া ও সৎকর্মশীলতার ভিত্তিতে গড়ে উঠে। তারা যে কোন বংশের, যে কোন গোত্রের, যে কোন বর্ণের, যে কোন দেশের, যে কোন ভাষাভাষী হোক না কেন সবাই মিলে এক জাতি একই ভ্রাতৃত্বের অটুট বন্ধনে আবদ্ধ। তাই আল্লাহর বাণী “ সকল মুসলিম ভাই ভাই” [ সূরা হুজুরাতঃ ১০ ] আয়াতের এটাই মর্মকথা । অপরদিকে যারা ঈমান ও সৎকর্মশীলতা হতে বঞ্চিত, তারা ইসলামী ভ্রাতৃত্বের সদস্য নয়।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৪৫-৪৭ নং আয়াতের তাফসীর এটা মনে রাখা দরকার যে, হযরত নূহের ( আঃ ) এই প্রার্থনার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল তাঁর ডুবন্ত ছেলের সঠিক অবস্থা অবগত হওয়া। তিনি প্রার্থনায় বলেনঃ “ হে আমার প্রতিপালক! এটা তো প্রকাশ্য ব্যাপার যে, আমার ছেলেটি আমার পরিবারভুক্ত ছিল । আর আমার পরিবারকে রক্ষা করার আপনি ওয়াদা করেছিলেন এবং এটাই অসম্ভব ব্যাপার যে, আপনার ওয়াদা মিথ্যা হবে। তাহলে আমার এই ছেলেটি কি করে এই কাফিরদের সাথে ডুবে গেল?” উত্তরে আল্লাহ তাআ’লা বললেনঃ “ তোমার যে পরিবারকে রক্ষা করার আমার ওয়াদা ছিল তোমার এই ছেলেটি তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না । আমার এই ওয়াদা ছিল মুমিনমু’মিনদেরকে নাজাত দেয়া। আমি বলেছিলামঃ ( আরবি )অর্থাৎ তোমার পরিবারবর্গকেই নৌকায় উঠিয়ে নাও, কিন্তু তাকে নয় যার সম্বন্ধে পূর্বে নির্দেশ হয়ে গেছে। ( ১১: ৪০ ) তোমার এই ছেলে কুফরী করার কারণে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত ছিল যাদের সম্পর্কে পূর্বেই আমি জানতাম যে, তারা কুফরী করবে এবং পানিতে ডুবে যাবে।এটাও স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, কতকগুলি লোকের মতে সে প্রকৃত পক্ষে হযরত নূহের ( আঃ ) পুত্র ছিলই না। কেননা, তাঁর বীর্যে তার জন্ম হয় নাই, বরং ব্যভিচারের মাধ্যমে সে জন্মগ্রহণ করেছিল। আবার কারো কারো উক্তি এই যে, সে ছিল হযরত নূহের ( আঃ ) স্ত্রীর পূর্ব স্বামীর ঔরসজাত পুত্র। কিন্তু এই দু’টি উক্তিই ভুল। বহু গুরুজন স্পষ্ট ভাষায় এটাকে ভুল বলেছেন। এমনকি হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) এবং বহু পূর্ববর্তী গুরুজন হতে বর্ণিত আছে যে, কোন নবীর স্ত্রী কখনো ব্যভিচারে লিপ্ত হয় নাই। আল্লাহ তাআ’লার ( আরবি ) ( নিশ্চয় সে তোমার পরিবারভুক্ত নয় ) এই উক্তির তাৎপর্য এটাই যে, তিনি হযরত নূহের ( আঃ ) যে পরিবারকে রক্ষা করার ওয়াদা করেছিলেন তাঁর ঐ ছেলেটি তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এটাই সঠিক ও আসল কথা। এ ছাড়া অন্য দিকে যাওয়া ভুল ছাড়া কিছুই নয়। আল্লাহ এমনই মর্যাদাবান যে, তার মর্যাদা কোন নবীর ঘরে ব্যভিচারিনী স্ত্রী রাখা কখনো কবুল করতে পারে না। এটা চিন্তা করার বিষয় যে, হযরত আয়েশার ( রাঃ ) ব্যাপারে যারা অপবাদ দিয়েছিল তাদের উপর আল্লাহ পাক কতই না রাগান্বিত হয়েছিলেন। হযরত নূহের ( আঃ ) ঐ ছেলেটি তার পরিবারভুক্ত না হওয়ার কারণ স্বয়ং কুরআন পাকই বর্ণনা করেছে যে, তার আমল ভাল ছিল না। ইকরামা ( রঃ ) বলেন যে, এক কিরআতে ( আরবি ) রয়েছে। হযরত আসমা বিনতে ইয়াযীদ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “ আমি রাসূলুল্লাহকে ( সাঃ ) ( আরবি ) পড়তে শুনেছি এবং তাঁকে বলতে শুনেছিঃ ( আরবি )অর্থাৎ ( আল্লাহ পাকের উক্তি ) “হে আমার বান্দারা যারা নিজেদের নফসের উপর বাড়াবাড়ি করেছো, তোমরা আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হয়ে যেয়ো না, নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গুণাহ ক্ষমা করে দেবেন । ( ৩৯: ৫৩ ) আর এতে তিনি কোনই পরওয়া করেন না। ( আরবি ) অর্থাৎ নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল, করুণাময়।” ( এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (রঃ ) স্বীয় মুসনাদে বর্ণনা করেছেন)হযরত উম্মে সালমা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) এটাকে ( আরবি ) পড়েছেন ( ইমাম আহমদ (রঃ ) স্বীয় মুসনাদে এই হাদীসটিরই পুনরাবৃত্তি করেছেন) উম্মে সালমা ( রাঃ ) হচ্ছেন উম্মুল মু'মিনীন। আর বাহ্যতঃ দেখা যায় যে, তিনিই হচ্ছেন আসমা বিনতে ইয়াযীদ ( রাঃ )। কারণ উম্মে সালমা ছিল তাঁর কুনইয়াত বা পিতৃপদবী যুক্ত নাম। তবে এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআ’লাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) কা'বার পার্শ্বে অবস্থান করছিলেন, এমতাবস্থায় তাঁকে "( আরবি )" আল্লাহ পাকের এই উক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে উত্তরে তিনি বলেন যে, এর দ্বারা ব্যভিচার উদ্দেশ্য নয়। বরং হযরত নূহের ( আঃ ) স্ত্রীর খিয়ানত তো ছিল এই যে, সে লোকদেরকে বলতো: “ এই লোকটি ( হযরত নূহ আঃ ) পাগল । আর হযরত লূতের ( আঃ ) স্ত্রীর খিয়ানত ছিল এই যে, তাঁর কাছে মেহমানরা আসলে সে জনগণকে খবর দিয়ে দিত। অতঃপর তিনি ( আরবি ) পাঠ করেন। ( এটা আবদুর রায্‌যাক (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত সাঈদ ইবনু জুবাইরকে ( রাঃ ) হযরত নূহের ( আঃ ) পুত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জবাবে বলেন যে, আল্লাহ তাআ’লা সত্যবাদী। তিনি তাকে নূহের ( আঃ ) পুত্রই বলেছেন। সুতরাং নিঃসন্দেহে সে হযরত নূহের ( আঃ ) ঔরসজাত পুত্রই ছিল। আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ নূহ ( আঃ ) স্বীয় পুত্রকে ডাকতে লাগল।” ( ১১: ৪২ ) আর এটাও স্মরণ রাখা দরকার যে, ‘কোন নবীরই স্ত্রী ব্যভিচার করে নাই’ এই উক্তি কোন কোন আলেমের রয়েছে হযরত মুজাহিদ ( রঃ ) হতে এরূপই বর্ণিত আছে। ইবনু জারীরেরও ( রঃ ) এটাই পছন্দনীয় মত। আর প্রকৃতপক্ষে সঠিক ও বিশুদ্ধ উক্তি এটাই বটে।

সূরা হুদ আয়াত 47 সূরা

قال رب إني أعوذ بك أن أسألك ما ليس لي به علم وإلا تغفر لي وترحمني أكن من الخاسرين

سورة: هود - آية: ( 47 )  - جزء: ( 12 )  -  صفحة: ( 227 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অতঃপর মূসা তাঁর লাঠি নিক্ষেপ করল, হঠাৎ তা তাদের অলীক কীর্তিগুলোকে গ্রাস করতে লাগল।
  2. কে সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহকে উত্তম ধার দিবে, এরপর তিনি তার জন্যে তা বহুগুণে বৃদ্ধি
  3. নিশ্চয় তারা হিসাব-নিকাশ আশা করত না।
  4. নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর স্ত্রীগণ তাদের মাতা। আল্লাহর বিধান
  5. আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। গোনাহগারদের তো
  6. তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মনে যা আছে তা ভালই জানেন। যদি তোমরা সৎ হও, তবে তিনি
  7. আর সম্ভবতঃ ঐসব আহকাম যা ওহীর মাধ্যমে তোমার নিকট পাঠানো হয়, তার কিছু অংশ বর্জন
  8. আর যারা শিরক থেকে বেঁচে থাকত, আল্লাহ তাদেরকে সাফল্যের সাথে মুক্তি দেবেন, তাদেরকে অনিষ্ট স্পর্শ
  9. অতঃপর আমি তাঁকে ও তাঁর সঙ্গিগণকে বোঝাই করা নৌকায় রক্ষা করলাম।
  10. তিনি কি আপনাকে এতীমরূপে পাননি? অতঃপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা হুদ ডাউনলোড করুন:

সূরা Hud mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Hud শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত হুদ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত হুদ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত হুদ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত হুদ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত হুদ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত হুদ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত হুদ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত হুদ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত হুদ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত হুদ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত হুদ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত হুদ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত হুদ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত হুদ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত হুদ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত হুদ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত হুদ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত হুদ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত হুদ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত হুদ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত হুদ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত হুদ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত হুদ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত হুদ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত হুদ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Tuesday, May 21, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب