কোরান সূরা ইবরাহীম আয়াত 5 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Ibrahim ayat 5 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ইবরাহীম আয়াত 5 আরবি পাঠে(Ibrahim).
  
   

﴿وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مُوسَىٰ بِآيَاتِنَا أَنْ أَخْرِجْ قَوْمَكَ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَذَكِّرْهُم بِأَيَّامِ اللَّهِ ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ شَكُورٍ﴾
[ إبراهيم: 5]

আমি মূসাকে নিদর্শনাবলী সহ প্রেরণ করেছিলাম যে, স্বজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে আনয়ন এবং তাদেরকে আল্লাহর দিনসমূহ স্মরণ করান। নিশ্চয় এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। [সূরা ইবরাহীম: 5]

Surah Ibrahim in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Ibrahim ayat 5


আর আমরা নিশ্চয়ই মূসাকে আমাদের নির্দেশাবলী দিয়ে পাঠিয়েছিলাম এই ব’লে -- ''তোমার সম্প্রদায়কে অন্ধকার থেকে আলোকে বের করে আনো, আর তাদের স্মরণ করিয়ে দাও আল্লাহ্‌র দিনগুলোর কথা।’’ নিঃসন্দেহ এতে নিদর্শন রয়েছে প্রত্যেক অধ্যবসায়ী কৃতজ্ঞদের জন্য।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৫. আমি মূসা ( আলাইহিস-সালাম ) কে রাসূল হিসেবে পাঠিয়ে তাঁর সত্যতা অর্থাৎ তিনি যে সত্যিই তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে প্রেরিত একজন রাসূল তা বুঝায় এমন নিদর্শনাবলী দিয়ে তাঁকে শক্তিশালী করেছি। আমি তাঁকে আদেশ করেছি তাঁর জাতিকে কুফরি ও মূর্খতা থেকে ঈমান ও জ্ঞানের দিকে বের করে আনার জন্য। আমি তাঁকে আরো আদেশ করেছি আল্লাহর নিয়ামতপূর্ণ দিনগুলোকে তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য। যে দিনগুলোতে তিনি তাদেরকে নিয়ামত দিয়েছেন। নিশ্চয়ই এ দিনগুলোতে আল্লাহর তাওহীদ ও তাঁর অপার শক্তি এবং মু’মিনদের উপর তাঁর নিয়ামতের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। আল্লাহর আনুগত্যের উপর ধৈর্যশীল এবং সর্বদা তাঁর নিয়ামত ও তাঁর দানের প্রতি কৃতজ্ঞরাই এ দিয়ে লাভবান হতে পারে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


মূসাকে আমি আমার নিদর্শনাবলীসহ প্রেরণ করেছিলাম ( এবং বলেছিলাম, ) তোমার সম্প্রদায়কে অন্ধকার হতে আলোতে বের করে আনো[১] এবং তাদেরকে আল্লাহর দিনগুলি স্মরণ করিয়ে দাও।[২] এতে তো নিদর্শন রয়েছে প্রত্যেক পরম ধৈর্যশীল ও পরম কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য। [৩] [১] অর্থাৎ, হে মুহাম্মাদ! যেমন আমি তোমাকে তোমার সম্প্রদায়ের কাছে পাঠিয়েছি এবং কিতাব দিয়েছি যাতে তুমি স্বীয় সম্প্রদায়কে কুফরী ও শিরকের অন্ধকার থেকে ঈমানের আলোর দিকে বের করে আনো, তেমনই আমি মূসাকে মু'জিযা ও দলীল-প্রমাণ দিয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে পাঠিয়েছি, যেন সে তাদেরকে কুফরী ও অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে বের করে ঈমানের আলো দান করে। আয়াতে উদ্দেশ্য হল সেই সব মু'জিযা; যা মূসা ( আঃ )-কে প্রদান করা হয়েছিল অথবা সেই ন'টি মু'জিযা যার উল্লেখ সূরা বানী ইস্রাঈলে করা হয়েছে। [২] أيام الله ( আল্লাহর দিনগুলি ) এর অর্থ আল্লাহর সেসব অনুগ্রহ, যা বানী ইসরাঈলের প্রতি করা হয়েছিল, যেসবের বিবরণ পূর্বে কয়েকবার এসেছে। অথবা أيام এর অর্থ ঘটনাবলী। অর্থাৎ ঐসব ঘটনা তাদেরকে স্মরণ করাও, যা ঘটতে তারা দেখেছে এবং যাতে তাদের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুকম্পা অবতীর্ণ হয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটির বর্ণনা এখানেও আসছে। [৩] ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতা দুটি মহৎ গুণ; যার উপর নির্ভর করে ঈমান, এজন্য এখানে এ দু'টির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ শব্দ দু'টি অতিশয়োক্তি রূপে এসেছে। صبّار অত্যধিক ধৈর্যশীল شكور অত্যধিক কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞতার পূর্বে ধৈর্যের উল্লেখ এই কারণে করা হয়েছে যে কৃতজ্ঞতা ধৈর্যের ফলাফল। হাদীসে রাসূলুল্লাহ ( সাঃ ) বলেছেন, "মুমিনদের ব্যাপারটা আশ্চর্যজনক। মহান আল্লাহ তার ক্ষেত্রে যা কিছুরই ফায়সালা করুন, তা তার জন্য মঙ্গলজনক। যদি তাকে দুঃখ পৌঁছে এবং ধৈর্য ধারণ করে, তাহলে এটাও তার পক্ষে উত্তম। আর যদি তাকে সুখ পৌঁছে এবং সে এর উপর আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, তাহলে এটাও তার পক্ষে উত্তম। ( মুসলিম, কিতাবুয যুহ্দ )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর অবশ্যই আমরা মূসাকে আমাদের নিদর্শনসহ পাঠিয়েছিলাম [] এবং বলেছিলাম, ‘আপনার সম্প্রদায়কে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসুন [], এবং তাদেরকে আল্লাহ্‌র দিনগুলোর দ্বারা উপদেশ দিন []।’ এতে তো নিদর্শন [] রয়েছে প্রত্যেক পরম ধৈর্য্যশীল ও পরম কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য []। [] এ আয়াতে বলা হয়েছেঃ আমি মূসা ‘আলাইহিস্ সালাম-কে আয়াত দিয়ে প্রেরণ করেছি, যাতে তিনি স্বজাতিকে কুফর ও গোনাহর অন্ধকার থেকে দাওয়াত দিয়ে ঈমান ও আনুগত্যের আলোতে নিয়ে আসে। [ বাগভী ] এখানে আয়াত শব্দের অর্থ তাওরাতের আয়াতও হতে পারে। কারণ, সেগুলো নাযিল করার উদ্দেশ্যই ছিল সত্যের আলো ছড়ানো। আয়াতের অন্য অর্থ মু’জিযাও হয়। এখানে এ অর্থও উদ্দিষ্ট হতে পারে। [ ফাতহুল কাদীর ] মুজাহিদ বলেন, এখানে নয়টি বিশেষ নিদর্শন উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে। [ ইবন কাসীর ] মূসা ‘আলাইহিস্ সালাম-কে আল্লাহ্‌ তা’আলা ন’টি মু’জিযা বিশেষভাবে দান করেন। [] এ আয়াতে ‘কওম’ তথা ‘সম্প্রদায়’ শব্দ ব্যবহার করে নিজ কওমকে অন্ধকার থেকে আলোতে আনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়বস্তুটিই যখন আলোচ্য সূরার প্রথম আয়াতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে সম্বোধন করে বর্ণনা করা হয়েছে, তখন সেখানে ‘কওম’ শব্দের পরিবর্তে ( ناس ) ( মানুষ ) শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। বলা হয়েছেঃ ( لِتُخْرِجَ النَّاسَ مِنَ الظُّلُمٰتِ اِلَي النُّوْرِ ) এতে ইঙ্গিত আছে যে, মূসা ‘আলাইহিস্ সালাম শুধু বনী ইসরাঈল ও মিসরীয় জাতির প্রতি নবীরূপে প্রেরিত হয়েছিলেন, অপরদিকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নবুওয়াত সমগ্র মানুষের জন্য। [] এরপর আল্লাহ্‌ তা’আলা মূসা ‘আলাইহিস্ সালাম-কে নির্দেশ দেন যে, স্বজাতিকে ‘আইয়্যামুল্লাহ্’ স্মরণ করান। কিন্তু আইয়্যামুল্লাহ্ কি? ( أيام ) শব্দটি ( يوم ) এর বহুবচন, এর অর্থ দিন। ( اَيَّامَ اللّٰهِ ) শব্দটি দু’টি অর্থে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন শাস্তির দিনগুলো, যেমন কাওমে নূহ, আদ ও সামূদের উপর আযাব নাযিল হওয়ার ঘটনাবলী। [ ফাতহুল কাদীর ] এসব ঘটনায় বিরাট জাতিসমূহের ভাগ্য ওলট-পালট হয়ে গেছে এবং তারা পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় ‘আইয়্যামুল্লাহ্’ স্মরণ করানোর উদ্দেশ্য হবে, এসব জাতির কুফরের অশুভ পরিণতির ভয় প্রদর্শন করা এবং হুঁশিয়ার করা। ‘আইয়্যামুল্লাহ্’র অপর অর্থ আল্লাহ্‌ তা’আলার নেয়ামত ও অনুগ্রহও হয়। এ জাতির উপর আল্লাহ্‌র যেসব নেয়ামত দিবারাত্র বর্ষিত হয় এবং যেসব বিশেষ নেয়ামত তাদেরকে দান করা হয়েছে, সেগুলো স্মরণ করিয়ে আল্লাহ্‌র আনুগত্য ও তাওহীদের দিকে আহ্বান করুন; উদাহরণতঃ তীহ্ উপত্যকায় তাদের মাথার উপর মেঘের ছায়া, আহারের জন্য মান্না ও সালওয়ার অবতরণ, পানীয় জলের প্রয়োজনে পাথর থেকে ঝর্ণা প্রবাহিত হওয়া ইত্যাদি। [ ইবন কাসীর ] এগুলো স্মরণ করানোর লক্ষ্য হবে এই যে, ভাল মানুষকে যখন কোন অনুগ্রহদাতার অনুগ্রহ স্মরণ করানো হয়, তখন সে বিরোধিতা ও অবাধ্যতা করতে লজ্জা বোধ করে। এখানে দু’টি অর্থই উদ্দেশ্য হতে পারে। বিশেষ করে হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “একদিন মূসা আলাইহিসসালাম তার কাওমকে ‘আইয়্যামুল্লাহ্’ সম্পর্কে নসীহত করছিলেন...
আর ‘আইয়্যামুল্লাহ্’ হলো আল্লাহ্‌র নেয়ামত ও বিপদাপদ” [ মুসলিমঃ ২৩৮০ ] [] এখানে ( اٰيٰت )-এর অর্থ নিদর্শন ও প্রমাণাদি। অর্থাৎ এসব ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্যে এমন সব নির্দশন রয়েছে যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি আল্লাহ্র একত্ববাদ ও তাঁর ক্ষমতাবান হওয়ার সত্যতা ও নির্ভুলতার প্রমাণ পেতে পারে। [ ফাতহুল কাদীর ] এ সংগে এ সত্যের পক্ষেও অসংখ্য সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারে যে, প্রতিদানের বিধান পুরোপুরি হক এবং তার দাবী পূরণ করার জন্য অন্য একটি জগত অর্থাৎ আখেরাতের জগত অপরিহার্য। [] আয়াতে বর্ণিত ( صبار ) শব্দটি ( صبر ) থেকে ( مبالغة ) এর পদ। এর অর্থ অধিক সবরকারী। ( شكور ) শব্দটি ( شكر ) থেকে ( مبالغة ) এর পদ। এর অর্থ অধিক কৃতজ্ঞ। [ ফাতহুল কাদীর ] বাক্যের অর্থ এই যে, অবিশ্বাসীদের শাস্তি ও আযাব সম্পর্কিত হোক অথবা আল্লাহ্‌র নেয়ামত ও অনুগ্রহ সম্পর্কিত হোক, উভয় অবস্থাতে অতীত ঘটনাবলীতে আল্লাহ্‌র অপার শক্তি ও অসীম রহস্যের বিরাট শক্তি বিদ্যমান ঐ ব্যক্তির জন্য, যে অত্যন্ত সবরকারী এবং অধিক শোকরকারী। সংক্ষেপে শোকর ও কৃতজ্ঞতার স্বরূপ এই যে, আল্লাহ্ প্রদত্ত নেয়ামতকে তাঁর অবাধ্যতা এবং হারাম ও অবৈধ কাজে ব্যয় না করা, মুখেও আল্লাহ্ তা’আলার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং স্বীয় কাজকর্মকেও তাঁর ইচ্ছার অনুগামী করা। সবরের সারমর্ম হচ্ছে স্বভাব বিরুদ্ধ ব্যাপারাদিতে অস্থির না হওয়া, কথায় ও কাজে অকৃতজ্ঞতার প্রকাশ থেকে বেঁচে থাকা এবং দুনিয়াতেও আল্লাহ্‌র রহমত আশা করা, আর আখেরাতে উত্তম পুরস্কার প্রাপ্তিতে বিশ্বাস রাখা। [ দেখুন, ইবনুল কাইয়্যেম, উদ্দাতুস সাবেরীন ]।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


আল্লাহ তাআলা বলছেনঃ হে মুহাম্মদ ( সঃ )! যেমন আমি তোমাকে আমার রাসূল করে পাঠিয়েছি এবং তোমার উপর আমার কিতাব নাযিল করেছি, উদ্দেশ্য এই যে, তুমি লোকদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে আসবে, অনুরূপ ভাবে আমি মূসাকে ( আঃ ) রাসুল করে বাণী ইসরাঈলের নিকট পাঠিয়েছিলাম। তাকে অনেক নিদর্শনও দিয়েছিলাম, যার বর্ণনা ( আরবি ) ( ১৭:১০১ ) এই আয়াতে রয়েছে, তাকেই ঐ একই নির্দেশ দিয়েছিলামঃ লোকদেরকে ভাল কাজের দিকে আহবান করো। তাদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে এবং অজ্ঞতা ও পথভ্রষ্টতা থেকে সরিয়ে হিদায়াতের দিকে নিয়ে এসো। তাদেরকে ( বানী ইসরাঈলকে ) আল্লাহর ইহসান সমূহের কথাস্মরণ করিয়ে দাও। সেগুলি হচ্ছেঃ তিনি তাদেরকে ফিরাউনের ন্যায় যালিমের গোলামী থেকে মুক্ত করেছেন, তাদের জন্যে নদীকে খাড়া করে দিয়েছেন, মেঘ দ্বারা তাদের উপর ছায়া করেছেন, ‘মান্না’ ও ‘সালওয়া’ নামক খাবার তাদের উপর অবতীর্ণ করেছেন ইত্যাদি বহু নিয়ামত তাদেরকে দান করেছেন। এটা মুজাহিদ ( রঃ ) কাতাদা ( রঃ ) প্রভৃতি গুরুজন বর্ণনা করেছেন।এ সম্পর্কে একটি ‘মরিফু হাদীস এসেছে যা ইমাম আহমদ ইবনু হাম্বলের ( রঃ ) পুত্র আবদুল্লাহ ( রঃ ) তাঁর পিতার মুসনাদে হযরত উবাই ইবনু কাব ( রাঃ ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, নবী ( সঃ ) ( আরবি ) এর তাফসীর করেছেন ( আরবি ) অর্থাৎ তাদেরকে আল্লাহর নিয়ামত সমূহের কথা স্মরণ করিয়ে দাও।' এ হাদীসটি ইমাম ইবনু জারীর ( রঃ ) এবং ইমাম ইবনু আবিহাতিম ( রঃ ) মুহাম্মদ ইবন আব্বানের ( রঃ ) হাদীস হতে বর্ণনা করেছেন। এটাই অধিকতর সঠিক তাফসীর। আল্লাহ তাআলার উক্তিঃ এতে তো নিদর্শন রয়েছে পরম ধৈর্যশীল ও পরম কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্যে। অর্থাৎ আমি আমার বান্দা বানী ইসরাঈলের উপর যে ইহসান করেছি, তাদেরকে ফিরাউন ও তার কঠিন লাঞ্ছনা জনক শাস্তি থেকে মুক্তি দিয়েছি এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল ও কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্যে শিক্ষা ও উপদেশ রয়েছে, যারা বিপদের সময় ধৈর্য ধারণ করে এবং সুখের সময় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। যেমন কাতাদা ( রঃ ) বলেন, উত্তম বান্দা হচ্ছে সেই বান্দা, যে বিপদের ( পরীক্ষার সময় ধৈর্য ধারণ করে এবং সুখের সময় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।অনুরূপ ভাবে সহীহ হাদীসে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ ) বলেছেনঃ “ মুমিনের প্রত্যেক কাজই বিস্ময়কর । আল্লাহ তার জন্যে যে ফায়সালা করেন। সেটাই তার জন্যে কল্যাণকর হয়। যখন তার উপর কোন বিপদ পৌছে তখন সে ধৈর্য ধারণ করে এবং ওটাই তার পক্ষে হয় কল্যাণকর। পক্ষান্তরে যদি সে সুখ শান্তি লাভ করে তখন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং ওটার পরিণামও তার জন্যে কল্যাণকরই হয়ে থাকে।”

সূরা ইবরাহীম আয়াত 5 সূরা

ولقد أرسلنا موسى بآياتنا أن أخرج قومك من الظلمات إلى النور وذكرهم بأيام الله إن في ذلك لآيات لكل صبار شكور

سورة: إبراهيم - آية: ( 5 )  - جزء: ( 13 )  -  صفحة: ( 255 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. মূসা (আঃ) তাদেরকে বললেন, নিক্ষেপ কর তোমরা যা নিক্ষেপ করবে।
  2. তারা সবাই সেদিন শান্তিতে শরীক হবে।
  3. এমতাবস্থায় যদি তাদের কৃতকর্মের দরুন বিপদ আরোপিত হয়, তবে তাতে কি হল! অতঃপর তারা আপনার
  4. ফেরেশতারা তাদের জান এমতাঅবস্থায় কবজ করে যে, তারা নিজেদের উপর যুলুম করেছে। তখন তারা অনুগত্য
  5. তাঁর কাছে তাদের পরিসংখ্যান রয়েছে এবং তিনি তাদেরকে গণনা করে রেখেছেন।
  6. হে বৎস, নামায কায়েম কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে সবর কর।
  7. তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যদি কেউ হাতছাড়া হয়ে কাফেরদের কাছে থেকে যায়, অতঃপর তোমরা সুযোগ পাও,
  8. সে কি বহু উপাস্যের পরিবর্তে এক উপাস্যের উপাসনা সাব্যস্ত করে দিয়েছে। নিশ্চয় এটা এক বিস্ময়কর
  9. তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং যাকাত দাও। তোমরা নিজের জন্যে পূর্বে যে সৎকর্ম প্রেরণ করবে,
  10. তারা বলেছিলঃ আমরা কি আমাদেরই একজনের অনুসরণ করব? তবে তো আমরা বিপথগামী ও বিকার গ্রস্থরূপে

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ইবরাহীম ডাউনলোড করুন:

সূরা Ibrahim mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Ibrahim শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ইবরাহীম  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers