কোরান সূরা তাওবা আয়াত 51 তাফসীর
﴿قُل لَّن يُصِيبَنَا إِلَّا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَنَا هُوَ مَوْلَانَا ۚ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ﴾
[ التوبة: 51]
আপনি বলুন, আমাদের কাছে কিছুই পৌঁছবে না, কিন্তু যা আল্লাহ আমাদের জন্য রেখেছেন; তিনি আমাদের কার্যনির্বাহক। আল্লাহর উপরই মুমিনদের ভরসা করা উচিত। [সূরা তাওবা: 51]
Surah At-Tawbah in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Tawbah ayat 51
বলো -- ''আল্লাহ্ আমাদের জন্য যা বিধান করেছেন তা ব্যতীত কিছুই আমাদের উপরে কখনো ঘটবে না। তিনিই আমাদের রক্ষক, আর আল্লাহ্র উপরেই তবে মুমিনরা নির্ভর করুক।
Tafsir Mokhtasar Bangla
৫১. হে রাসূল! আপনি এ মুনাফিকদেরকে বলে দিন: বস্তুতঃ আমাদের নিকট শুধু তাই পৌঁছাবে যা আল্লাহ তা‘আলা আমাদের জন্য লিখে রেখেছেন। তিনিই হলেন আমাদের অভিভাবক ও আশ্রয়স্থল। যাঁর নিকট আমরা আশ্রয় গ্রহণ করি। আর আমরা নিজেদের সকল ব্যাপারে তাঁর উপরই ভরসা করি। বস্তুতঃ মু’মিনরা তাদের সকল ব্যাপার কেবল তাঁর নিকটই ন্যস্ত করে থাকে। তিনি তাদের জন্য যথেষ্ট ও তাদের একান্ত উত্তম অভিভাবক।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
তুমি বলে দাও, ‘আল্লাহ আমাদের জন্য যা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, তা ছাড়া অন্য কোন বিপদ আমাদের উপর আসতে পারে না। তিনিই আমাদের কর্মবিধায়ক। আর বিশ্বাসীদের উচিত, কেবল আল্লাহর উপরই ভরসা করা।’ [১] [১] এ কথা মুনাফিক্বদের জবাবে মুসলিমদেরকে ধৈর্য, দৃঢ়তা এবং উৎসাহ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কেননা, যখন মানুষ এ কথার বিশ্বাস রাখে যে, আল্লাহর লিখিত কর্ম অবশ্যই ঘটবে এবং যা কিছু বিপদ ও মঙ্গল আমাদের কাছে আসবে, তা আল্লাহর নির্ধারিত তকদীরের অংশবিশেষ। তখন মানুষের জন্য বিপদ বরদাস্ত করা সহজ হয়ে যায় এবং তার উৎসাহে বৃদ্ধি সাধন হয়।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
বলুন, ‘আমাদের জন্য আল্লাহ্ যা লিখেছেন তা ছাড়া আমাদের অন্য কিছু ঘটবে না; তিনি আমাদের অভিভাবক। আর আল্লাহ্র উপরই মুমিনদের নির্ভর করা উচিত [ ১ ]। [ ১ ] এ আয়াতে আল্লাহ তা'আলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মুসলিমদেরকে মুনাফিকদের কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে আসল সত্যকে সদা সামনে রাখার নির্দেশ দিয়ে বলছেনঃ “ বলুনঃ আমাদের বিপদতো অতটুকুই হবে যতটুকু আল্লাহ আমাদের জন্য লিখে রেখেছেন” । অর্থাৎ আমরা যে সকল অবস্থার সম্মুখীন হই, তা আগেই আল্লাহ আমাদের জন্যে নির্ধারিত করে রেখেছেন। তিনিই আমাদের কার্যনির্বাহক ও সাহায্যকারী। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ প্রতিটি বস্তুরই হাকীকত রয়েছে । কোন বান্দাই প্রকৃত ঈমানের পর্যায়ে পৌছতে পারবে না, যতক্ষণ না এটা দৃঢ়ভাবে জানবে যে, তার যা ঘটেছে তা কখনো তাকে ছেড়ে যেতো না। আর যা তাকে ছেড়ে গেছে তা কখনো তার জন্য ঘটতো না।" [ মুসনাদে আহমাদ: ৬/৪৪১-৪৪২ ] তাই মুসলিমদের আবশ্যক আল্লাহর প্রতি ভালবাসা রাখা এবং পার্থিব উপায় উপকরণকে নিছক মাধ্যম মনে করা। আর মনে করা যে, এগুলোর উপর ভাল মন্দ নির্ভরশীল নয়। প্রকৃত ব্যাপার আল্লাহর হাতে। আমার উপর দায়িত্ব হবে সঠিক কাজটি করে যাওয়া এবং আল্লাহর উপর ভরসা করা। তাঁরই কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা। হাদীসে এসেছে, ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, আমি একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পিছনে বসা ছিলাম। তখন তিনি বললেন, হে বৎস! নিশ্চয় আমি তোমাকে কিছু বাক্য শিখিয়ে দেব, তুমি আল্লাহকে হিফাযত কর, তিনিও তোমার যখন তুমি কোন কিছু চাইবে তখন তা চাইবে কেবল আল্লাহর কাছে। আর যখন সাহায্য চাইবে তখন কেবল আল্লাহর সাহায্য চাইবে। আর জেনে রাখ, যদি উম্মতের সবাই তোমার কোন উপকার করতে একত্রিত হয়, তারা তোমার কোন উপকার করতে সমর্থ হবে না, তবে শুধু ঐটুকুই পারবে যতটুকু আল্লাহ তোমার জন্য লিখে রেখেছেন। আর তারা যদি সবাই তোমার কোন ক্ষতি করতে ইচ্ছা করে, তবে শুধু ঐটুকু করতে পারবে যা আল্লাহ তোমার উপর লিখে রেখেছেন। কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে, আর গ্রন্থটি শুকিয়ে গেছে। [ তিরমিয়ী: ২৫১৬ ]
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
৫০-৫১ নং আয়াতের তাফসীর: এখানে আল্লাহ তা'আলা ঐ মুনাফিকদের অন্তরের কুটিলতার বর্ণনা দিচ্ছেন যে, মুসলিমদের বিজয়, সাহায্য, কল্যাণ ও উন্নতি লাভে তারা অত্যন্ত চিন্তান্বিত ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে, আর আল্লাহ না করুন, যদি মুসলিমদের উপর কোন বিপদ এসে পড়ে তখন তারা মনে খুবই আনন্দ লাভ করে এবং নিজেদের চতুরতার প্রশংসা করে। তারা বলেঃ “ এই কারণেই তো আমরা তাদের থেকে দূরে রয়েছি ।” এই বলে তারা আনন্দে উৎফুল্ল হয়। আল্লাহ তাআলা মুসলিমদেরকে বলেন, তোমরা ঐ মুনাফিকদেরকে উত্তর দাও- দুঃখ ও অশান্তি আমাদের তকদীরের লিখন এবং আমরা স্বয়ং আল্লাহ তাআলার ইচ্ছার অধীন। তিনিই আমাদের অভিভাবক, তিনিই আমাদের প্রতিপালক, তিনিই আমাদের আশ্রয়স্থল। আমরা মুমিন, আর মুমিনদের ভরসা আল্লাহর উপর। তিনি আমাদের জন্যে যথেষ্ট। তিনিই উত্তম কার্যসম্পাদনকারী ।
সূরা তাওবা আয়াত 51 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- এবং যারা আমার আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করার জন্যে চেষ্টা করে, তারাই দোযখের অধিবাসী।
- অবশ্য আমি ইচ্ছা করলে তার মর্যাদা বাড়িয়ে দিতাম সে সকল নিদর্শনসমূহের দৌলতে। কিন্তু সে যে
- যে কষ্ট স্বীকার করে, সে তো নিজের জন্যেই কষ্ট স্বীকার করে। আল্লাহ বিশ্ববাসী থেকে বে-পরওয়া।
- হা-মীম।
- যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে, কেয়ামতের দিন আপনি তাদের মুখ কাল দেখবেন। অহংকারীদের আবাসস্থল
- নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা আছে, তিনি তা জানেন। তিনি আরও জানেন তোমরা যা গোপনে কর
- চোখের চুরি এবং অন্তরের গোপন বিষয় তিনি জানেন।
- নিশ্চয় যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে দাখিল করবেন উদ্যান সমূহে, যার
- ‘আল্লাহ ইচ্ছা করলে’ বলা ব্যতিরেকে। যখন ভুলে যান, তখন আপনার পালনকর্তাকে স্মরণ করুন এবং বলুনঃ
- বস্তুতঃ এ ছিল এক মহানাদ। অতঃপর সঙ্গে সঙ্গে সবাই স্তদ্ধ হয়ে গেল।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা তাওবা ডাউনলোড করুন:
সূরা Tawbah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Tawbah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers