কোরান সূরা আহ্যাব আয়াত 52 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Ahzab ayat 52 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আহ্যাব আয়াত 52 আরবি পাঠে(Ahzab).
  
   

﴿لَّا يَحِلُّ لَكَ النِّسَاءُ مِن بَعْدُ وَلَا أَن تَبَدَّلَ بِهِنَّ مِنْ أَزْوَاجٍ وَلَوْ أَعْجَبَكَ حُسْنُهُنَّ إِلَّا مَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ رَّقِيبًا﴾
[ الأحزاب: 52]

এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন। [সূরা আহ্যাব: 52]

Surah Al-Ahzab in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Ahzab ayat 52


এরপরে নারীরা তোমার জন্য বৈধ নয়, আর তাও নয় যে তাদের স্থলে অন্য স্ত্রীদের তুমি বদলে নিতে পারবে, যদিও বা তাদের সৌন্দর্য তোমাকে তাজ্জব বানিয়ে দেয় -- তোমার ডান হাতে যাদের ধরে রেখেছে তাদের ব্যতীত। আর আল্লাহ্ হচ্ছেন সব-কিছুর উপরে তীক্ষদৃষ্টিধারী।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৫২. হে রাসূল! আপনার জন্য বৈধ নয় যে, যেসব রমণী আপনার দাম্পত্যে রয়েছে তাদের ব্যতীত অন্য রমণীকে বিয়ে করবেন কিংবা এদের সবাইকে অথবা কয়েকজনকে তালাক প্রদান করে অন্য রমণীদের বিয়ে করবেন যদিও বা তাদের সৌন্দর্য আপনাকে এদের তুলনায় বিমোহিত করে। তবে হাঁ আপনার জন্য এটি বৈধ রয়েছে যে, আপনার অধীন দাসীদেরকে অনির্দিষ্ট সংখ্যায় উপভোগ করবেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে রক্ষণাবেক্ষণকারী। উক্ত বিধানটি উম্মাহাতুল মুুমনীনদের মর্যাদার প্রমাণবাহী। কেননা, এতে তাঁদেরকে তালাক প্রদান ও তাঁদের সাথে অন্যদেরকে বিয়ের নিষিধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


এরপর তোমার জন্য কোন নারী বৈধ নয় এবং তোমার স্ত্রীদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণও বৈধ নয়; যদিও ওদের রূপ-সৌন্দর্য তোমাকে মোহিত করে।[১] তবে তোমার অধিকারভুক্ত দাসীদের ব্যাপারে এ বিধান প্রযোজ্য নয়।[২] আল্লাহ সমস্ত কিছুর উপর তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখেন। [১] এখতিয়ারের আয়াত নাযিল হওয়ার পর নবী পত্নীগণ দুনিয়ার আয়েশ-আরামের সামগ্রীর পরিবর্তে সানন্দ চিত্তে নবী ( সাঃ )-এর সাথে বসবাস করাকে পছন্দ করেছিলেন। আল্লাহ তাআলা তার বদলা এই দিলেন যে, নবী ( সাঃ )-কে সেই স্ত্রীগণ ছাড়া ( সে সময় তাঁরা নয় জন ছিলেন ) অন্য কোন মহিলাকে বিবাহ করা বা তাঁদের কাউকে তালাক দিয়ে তাঁর পরিবর্তে অন্য কাউকে বিবাহ করতে নিষেধ করে দিলেন। অনেকে বলেন, পরে নবী ( সাঃ )-কে তার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি আর কোন বিবাহ করেননি। ( ইবনে কাসীর ) [২] অর্থাৎ, ক্রীতদাসী রাখার ব্যাপারে কোন বাধা নেই। অনেকে আয়াতের ব্যাপক নির্দেশ থেকে দলীল নিয়ে বলেন যে, নবী ( সাঃ )-কে কাফের ক্রীতদাসী রাখারও অনুমতি দেওয়া ছিল। আবার অনেকে ( ولاَ تُمْسِكُوا بِعِصَمِ الْكَوَافِرِ ) " তোমরা অবিশ্বাসী নারীদের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রেখো না " ( মুমতাহিনা ১০ ) আয়াতের ভিত্তিতে বলেন, নবী ( সাঃ )-এর জন্য কাফের ক্রীতদাসী হালাল ছিল না। ( ফাতহুল ক্বাদীর )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


এরপর আপনার জন্য কোন নারী বৈধ নয় এবং আপনার স্ত্রীদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণও বৈধ নয়, যদিও তাদের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করে []; তবে আপনার অধিকারভুক্ত দাসীদের ব্যাপার ভিন্ন। আর আল্লাহ্ সবকিছুর উপর তীক্ষ পর্যবেক্ষণকারী। [] ইবন আব্বাস, মুজাহিদ, দাহহাক, কাতাদাহ সহ অনেক আলেমের নিকট এ আয়াতটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীদের পুরষ্কারস্বরূপ নাযিল হয়েছিল। তারা যখন দুনিয়ার সামগ্ৰীর উপর আখেরাতকে প্রাধান্য দিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে কষ্টকর জীবন বেছে নিয়েছিলেন, তখন আল্লাহ তাদেরকে এ আয়াত নাযিল করে তাদের অন্তরে খুশীর প্রবেশ ঘটালেন। [ ইবন কাসীর ] তবে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর আগেই আল্লাহ তার জন্য বিয়ে করা হালাল করে দিয়েছেন। এ হিসেবে এ আয়াতটি পূর্বের ৫১ নং আয়াত দ্বারা রহিত। এটি মৃত্যু জনিত ইদ্দতের আয়াতের মতই হবে, যেখানে তেলাওয়াতের দিক থেকে আগে হলেও সেটি পরবর্তী আয়াতকে রহিত করেছে। [ ইবন কাসীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


পূর্ববর্তী আয়াতগুলোতে এটা গত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সহধর্মিণীরা ইচ্ছা করলে তার বিবাহ বন্ধনে থাকতে পারেন এবং ইচ্ছা করলে পৃথক হয়ে যেতে পারেন এ অধিকার তিনি তাদেরকে প্রদান করেছিলেন। কিন্তু মুমিনদের মাতারা রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর অঞ্চল ছেড়ে দেয়া পছন্দ করেননি। এ কারণেই আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে তারা পার্থিব একটি প্রতিদান এই লাভ করলেন যে, এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবী ( সঃ )-কে নির্দেশ দিলেনঃ এরপর তোমার জন্যে কোন নারী বৈধ নয় এবং তোমার স্ত্রীদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণও বৈধ নয় যদিও তাদের সৌন্দর্য তোমাকে বিস্মিত করে। তবে তোমার অধিকারভুক্ত দাসীদের ব্যাপারে এই বিধান প্রযোজ্য নয়। পরে অবশ্য আল্লাহ তাআলা তার উপর থেকে এই বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে নিয়েছিলেন এবং তাঁকে আরো বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) এরপরে আর কোন বিয়ে করেননি। এ বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে নেয়া এবং এতদসত্ত্বেও তা না করার মধ্যে এক বড় যৌক্তিকতা এই ছিল যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর এই ইহসান তাঁর স্ত্রীদের উপর রয়েছে। যেমন আয়েশা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) ইন্তেকাল করেননি যে পর্যন্ত না আল্লাহ তাআলা অন্যান্য স্ত্রী লোকদেরকেও তার জন্যে হালাল করেছেন । ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী ( রঃ ) ও ইমাম নাসাঈও ( রঃ ) এটা বর্ণনা করেছেন)হযরত উম্মে সালমা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর জন্যে তাঁর ইচ্ছায় যে কোন মহিলাকে বিবাহ করা বৈধ হওয়ার আয়াত হলো ( আরবি ) এটাই যা এর পূর্বে গত হয়েছে। বর্ণনা করার দিক দিয়ে ওটা পূর্বে এবং নাযিল হওয়ার দিক দিয়ে পরে। সূরায়ে বাকারাতেও অনুরূপভাবে মৃত্যুর ইদ্দত সম্পৰ্কীয় পরের আয়াতটি মানসূখ বা রহিত এবং পূর্বের আয়াতটি ওর নাসিখ বা রহিতকারী। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।এই আয়াতের অন্য আর একটি অর্থও অনেক আলেম কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে। তাঁরা বলেনঃ এর উদ্দেশ্য হলো: যেসব স্ত্রীলোকের বর্ণনা ইতিপূর্বে দেয়া হয়েছে তাদের ছাড়া অন্যেরা হালাল নয়। যরত উবাই ইবনে কা'ব ( রাঃ )-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলঃ রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর যে স্ত্রীরা ছিলেন, তারা যদি তার জীবদ্দশায় ইন্তেকাল করতেন, তাহলে কি তিনি আর বিবাহ করতে পারতেন না?” উত্তরে হযরত উবাই ( রাঃ ) বললেনঃ “কেন পারতেন না?” তখন প্রশ্নকারী । ( আরবি )-এ আয়াতটি পাঠ করে শুনালেন। তখন হযরত উবাই ( রাঃ ) বললেনঃ “ এ কথার উদ্দেশ্য এই যে, স্ত্রীদের যে প্রকারগুলো ইতিপূর্বে বর্ণনা করা হয়েছে, অর্থাৎ বিবাহিতা স্ত্রী, দাসী, চাচা, ফুফু, মামা ও খালাদের মেয়েরা এবং নিজেদেরকে রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর নিকট হিবাকারী স্ত্রী লোকেরা, এগুলো ছাড়া অন্য প্রকারের যারা হবে এবং তারা যদি বর্ণিত গুণের অধিকারিণী না হয় তবে তারা রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর জন্যে হালাল নয় ।( এটা ইমাম ইবনে জারীর (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, এই হিজরতকারিণী মুমিনা নারীরা ছাড়া অন্যান্য স্ত্রী লোকদেরকে বিয়ে করতে রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে নিষেধ করা হয়েছে। অমুসলিম মহিলাদের সাথে বিবাহ হারাম করা হয়েছে। কুরআন কারীমে ঘোষিত হয়েছেঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ ঈমানের পরে যারা কুফরী করে তাদের আমল বিনষ্ট হয়ে যায় ।( ৫:৫ ) সুতরাং আল্লাহ তা'আলা ( আরবি ) ( ৩৩:৫০ )-এই আয়াতে স্ত্রী লোকদের যে প্রকারগুলোর বর্ণনা দিয়েছেন ঐগুলো তো হালাল, ওগুলো ছাড়া অন্যগুলো হারাম। মুজাহিদ ( রঃ ) বলেন যে, এগুলো ছাড়া সর্বপ্রকারের স্ত্রী লোকই হারাম, তারা মুসলমানই হালে বা ইয়াহদীই হালে অথবা খৃষ্টানই হালে। আবু সালেহ্ ( রঃ ) বলেন যে, গ্রাম্য ও অপরিচিতা স্ত্রী লোকদের সাথে বিবাহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যে স্ত্রী লোকগুলো হালাল ছিল তাদের মধ্য হতে তিনশ' জনকে বিয়ে করলেও তা হালাল হবে। মোটকথা, আয়াতটি সাধারণ। যেসব স্ত্রী রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর বাড়ীতে ছিলেন এবং যেসব স্ত্রীর প্রকার বর্ণনা করা হয়েছে সবই এর অন্তর্ভুক্ত। আর যেসব লোক হতে এর বিপরীত বর্ণিত হয়েছে তাঁদের থেকেই এর অনুকূলেও বর্ণিত আছে। সুতরাং এতে কোনই বৈপরীত্য নেই। এর উপর একটি কথা বাকী থেকে যায় যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) হযরত হাফসা ( রাঃ )-কে তালাক দিয়েছিলেন এবং পরে আবার ফিরিয়েও নিয়েছিলেন। আর হযরত সাওদা ( রাঃ )-কে তিনি তালাক দিতে চেয়েছিলেন যার উপর হযরত সাওদা ( রাঃ ) নিজের পালার দিনটি হযরত আয়েশা ( রাঃ )-কে প্রদান করেছিলেন। ইমাম ইবনে জারীর ( রঃ ) এর উত্তর এই দিয়েছিলেন যে, এটা এ আয়াতটি অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বের ঘটনা। কথা এটাই বটে কিন্তু আমরা বলি যে, এ জবাবেরও দরকার নেই। কারণ এ আয়াতে তাদেরকে ছাড়া অন্যদেরকে বিয়ে করা এবং তাদেরকে বের করে দিয়ে অন্যকে ঘরে আনায় বাধা প্রদান করা হয়েছে, তালাক দেয়ার কথা বলা হয়নি ও উল্লেখ করা হয়নি। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে ভাল জানেন।হযরত সাওদা ( রাঃ )-এর ঘটনার ব্যাপারে সহীহ হাদীসে হযরত আয়েশা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, এটা হলো আল্লাহ তা'আলার নিম্নের উক্তির শানে নুযূলঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ কোন স্ত্রী যদি তার স্বামীর দুর্ব্যবহার ও উপেক্ষার আংশকা করে তবে তারা আপোস-নিষ্পত্তি করতে চাইলে তাদের কোন দোষ নেই এবং আপোস-নিষ্পত্তিই শ্রেয় ।" ( ৪:১২৮ ) আর হযরত হাফসা ( রাঃ ) সম্পৰ্কীয় ঘটনাটি সুনানে আবি দাউদ, সুনানে নাসাঈ, সুনানে ইবনে মাজাহ প্রভৃতি হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। হাফিয আবু ইয়ালা ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন যে, হযরত ইবনে উমার ( রাঃ ) বলেছনঃ হযরত উমার ( রাঃ ) হযরত হাফসা ( রাঃ )-এর নিকট এমন অবস্থায় প্রবেশ করেন যে, তিনি কাঁদছিলেন। তখন তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ “ তুমি কাঁদছো কেন? সম্ভবতঃ রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তোমাকে তালাক দিয়েছেন । নিশ্চয়ই একবার তিনি তোমাকে তালাক দিয়েছিলেন। অতঃপর আমারই কারণে তোমাকে ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার যদি তিনি তোমাকে তালাক দিয়ে থাকেন তবে আমি কখনো তোমার সাথে কথা বলবো না।”মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ তোমার স্ত্রীদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণও বৈধ নয় যদিও তাদের সৌন্দর্য তোমাকে বিস্মিত করে। এ আয়াতে আল্লাহ তা'আলা রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে বাড়াবাড়ী করতে ও কাউকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে সে স্থানে অন্য কাউকে আনতে নিষেধ করেছেন ও দাসীকে হালাল করেছেন।হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “ অজ্ঞতার যুগে একটি জঘন্য প্রথা প্রচলিত ছিল যে, জনগণ তাদের স্ত্রীদেরকে আপোসে বদলা-বদলী করে নিতো । একজন নিজের স্ত্রী অন্যকে দিয়ে দিতো এবং অন্যজন তার স্ত্রী ঐ ব্যক্তিকে দিয়ে দিতো। ইসলাম এ ধরনের জঘন্য প্রথাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এক সময়ের একটি ঘটনা এই যে, উয়াইনা ইবনে হাসান আল ফাযারী রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর নিকট আগমন করলো এবং নিজের অজ্ঞতা যুগের অভ্যাস অনুযায়ী অনুমতি না নিয়েই প্রবেশ করলো। ঐ সময় হযরত আয়েশা ( রাঃ ) রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর নিকট বসেছিলেন। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ “ তুমি অনুমতি না নিয়ে আসলে কেন?” সে উত্তরে বললো: “আমি তো আজ পর্যন্ত মুযার গোত্রের কারো কাছে অনুমিত প্রার্থনা করিনি ।” অতঃপর সে বললো: “ আপনার নিকট যে মহিলা বসেছিলেন উনি কে?” রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) জবাব দিলেনঃ “সে হলো উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা ( রাঃ )” সে বললো: “ আপনি আমার কাছে তাকে দিয়ে দিন, আর আমি তার পরিবর্তে আমার স্ত্রীকে আপনার কাছে দিয়ে দিচ্ছি । তার সৌন্দর্যের কোন তুলনাই হয় না।” রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তখন বললেনঃ “ এরূপ করা আল্লাহ তাআলা হারাম করে দিয়েছেন ।” যখন সে চলে গেল তখন উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা ( রাঃ ) রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে জিজ্ঞেস করলেনঃ “ লোকটি কি বলছিল? এবং সে কে?” রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) জবাব দিলেনঃ “সে হলো এক নির্বোধ সরদার । তুমি তো তার কথা শুনেছো। এমন নির্বোধ হওয়া সত্ত্বেও কিন্তু সে তার কওমের সরদার।” ( এ হাদীসটি হাফিয আবু বকর আল বাযার (রঃ ) বর্ণনা করেছেন) তিনি বলেন যে, এ হাদীসের একজন বর্ণনকারী ইসহাক ইবনে আবদিল্লাহ রয়েছেন। তিনি খুবই নিম্ন পর্যায়ের লোক।

সূরা আহ্যাব আয়াত 52 সূরা

لا يحل لك النساء من بعد ولا أن تبدل بهن من أزواج ولو أعجبك حسنهن إلا ما ملكت يمينك وكان الله على كل شيء رقيبا

سورة: الأحزاب - آية: ( 52 )  - جزء: ( 22 )  -  صفحة: ( 425 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. কিন্তু কথা হল এই যে, তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে আরম্ভ করেছে যাকে বুঝতে, তারা অক্ষম।
  2. তুমি কি তাদের কে দেখনি, যারা আল্লাহর নেয়ামতকে কুফরে পরিণত করেছে এবং স্ব-জাতিকে সম্মুখীন করেছে
  3. তোমরা আমার এ জামাটি নিয়ে যাও। এটি আমার পিতার মুখমন্ডলের উপর রেখে দিও, এতে তাঁর
  4. ফেরাউনের সম্প্রদায়ের নিকট; তারা কি ভয় করে না?
  5. তবে যারা তওবা করে এবং বর্ণিত তথ্যাদির সংশোধন করে মানুষের কাছে তা বর্ণনা করে দেয়,
  6. আর সকল শয়তানকে তার অধীন করে দিলাম অর্থৎ, যারা ছিল প্রাসাদ নির্মাণকারী ও ডুবুরী।
  7. এবং আমি তাদেরকে এমন নিদর্শনাবলী দিয়েছিলাম যাতে ছিল স্পষ্ট সাহায্য।
  8. তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দেন। যখন তিনি কোন কাজের আদেশ করেন, তখন একথাই বলেন,
  9. তারা কি বলে, এটা সে মিথ্যা রচনা করেছে? বরং এটা আপনার পালনকর্তার তরফ থেকে সত্য,
  10. যে কুফরী করে, তার কফুরের জন্যে সে-ই দায়ী এবং যে সৎকর্ম করে, তারা নিজেদের পথই

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আহ্যাব ডাউনলোড করুন:

সূরা Ahzab mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Ahzab শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আহ্যাব  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আহ্যাব  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আহ্যাব  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আহ্যাব  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আহ্যাব  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আহ্যাব  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আহ্যাব  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আহ্যাব  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আহ্যাব  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আহ্যাব  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Tuesday, May 21, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب