কোরান সূরা ইয়াসীন আয়াত 54 তাফসীর
﴿فَالْيَوْمَ لَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَلَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ﴾
[ يس: 54]
আজকের দিনে কারও প্রতি জুলুম করা হবে না এবং তোমরা যা করবে কেবল তারই প্রতিদান পাবে। [সূরা ইয়াসীন: 54]
Surah Ya-Sin in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Yasin ayat 54
সুতরাং সেইদিন কোনো লোকের প্রতি কিছুমাত্রও অবিচার করা হবে না, আর তোমরাও যা করে থাকতে তা ছাড়া তোমাদের অন্য প্রতিদান দেওয়া হবে না।
Tafsir Mokhtasar Bangla
৫৪. হে বান্দারা! সেদিন ইনসাফ সহকারে ফয়সালা করা হবে। ফলে তোমাদের পুণ্য কমিয়ে কিংবা পাপ বৃদ্ধি করে তোমাদের উপর জুলুম করা হবে না। বরং তোমাদের দুনিয়ার জীবনের কৃতকর্মের পূর্ণ প্রতিদানই দেয়া হবে।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
এবং বলা হবে, আজ কারও প্রতি কোন জুলুম করা হবে না এবং তোমরা যা করতে কেবল তারই প্রতিফল দেওয়া হবে।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
অতঃপর আজ কারো প্রতি কোন যুলুম করা হবে না এবং তোমরা যা করতে শুধু তারই প্রতিফল দেয়া হবে।
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
৫১-৫৪ নং আয়াতের তাফসীর: এই আয়াতগুলোতে দ্বিতীয় ফুৎকারের বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যার দ্বারা মৃতরা জীবিত হয়ে যাবে। ( আরবী ) ক্রিয়া পদটির ( আরবী ) হলো ( আরবী ) এবং এর অর্থ হচ্ছে দ্রুত গতিতে চলা। যেমন আল্লাহ্ তা'আলা অন্য আয়াতে বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ সেদিন তারা কবর হতে বের হবে দ্রুত বেগে, মনে হবে তারা কোন একটি লক্ষ্যস্থলের দিকে ধাবিত হচ্ছে ।” ( ৭০:৪৩ ) যেহেতু দুনিয়ায় তারা কবর হতে জীবিতাবস্থায় উত্থিত হওয়াকে অবিশ্বাস করতো, সেই হেত সেদিন তারা বলবেঃ ‘হায়! দুর্ভোগ আমাদের! কে আমাদেরকে আমাদের নিদ্ৰাস্থল হতে উঠালো।' এর দ্বারা কবরে আযাব না হওয়া প্রমাণিত হয় না। কেননা, ঐ সময় তারা যে ভীষণ কষ্ট ও বিপদের সম্মুখীন হবে তার তুলনায় কবরের শাস্তি তাদের কাছে খুবই হালকা অনুভূত হবে। তারা যেন কবরে আরামেই ছিল। কোন কোন গুরুজন একথাও বলেছেন যে, কবর হতে উত্থিত হওয়ার কিছু পূর্বে সত্যি সত্যিই তাদের ঘুম এসে যাবে। হযরত কাতাদা ( রঃ ) বলেন যে, প্রথম ফুৎকার ও দ্বিতীয় ফুৎকারের মধ্যবর্তী সময়ে তারা ঘুমিয়ে পড়বে। তাই কবর হতে উঠার সময় তারা এ কথা বলবে। ঈমানদার লোকেরা এর জবাবে বলবেঃ দয়াময় আল্লাহ্ তো এরই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং তাঁর রাসূলগণ সত্যি কথাই বলতেন। একথাও বলা হয়েছে যে, ফেরেশতারা এই জবাব দিবেন। এ দু’টি উক্তির মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের উপায় এই যে, হয়তো এ জবাব মুমিনরাও দিবে এবং ফেরেশতারাও দিবেন। এসব ব্যাপারে সঠিক জ্ঞানের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ্।আব্দুর রহমান ইবনে যায়েদ ( রঃ ) বলেন যে, এগুলো সবই কাফিরদের উক্তি। কিন্তু সঠিক কথা ওটাই যা আমরা বর্ণনা করলাম। যেমন সূরায়ে সাফাতে আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ এবং তারা বলবেঃ হায়! দুর্ভোগ আমাদের! এটাই তো কর্মফল দিবস । এটাই ফায়সালার দিন যা তোমরা অস্বীকার করতে।”( ৩৭:২০-২১ ) অন্য জায়গায় আল্লাহ পাক বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ যেই দিন কিয়ামত সংঘটিত হবে সেই দিন পাপীরা কসম করে বলবে যে, তারা ( দুনিয়ায় এক ঘন্টার বেশী অবস্থান করেনি । এভাবে তারা সদা সত্য হতে ফিরে থাকতো। ঐ সময় জ্ঞানীরা ও মুমিনরা বলবেঃ তোমরা আল্লাহর লিখন অনুযায়ী পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত অবস্থান করেছে, আর পুনরুত্থানের দিন এটাই, কিন্তু তোমরা জানতে না।”(৩০:৫৫-৫৬ ) মহামহিমান্বিত আল্লাহ্ বলেনঃ ‘এটা হবে শুধুমাত্র এক মহানাদ, তখনই তাদের সকলকে হাযির করা হবে আমার সামনে।' যেমন তিনি বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ এটা তো শুধু এক বিকট আওয়ায়, তখনই ময়দানে তাদের আবির্ভাব হবে ।”( ৭৯:১৩-১৪ ) মহান আল্লাহ্ আরো বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ কিয়ামতের ব্যাপারটি তো শুধু চোখের পলক ফেলার মত, বরং তার চেয়েও নিকটতর ।”( ১৬:৭৭ ) মহিমান্বিত আল্লাহ আর এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ যেই দিন তিনি তোমাদেরকে আহ্বান করবেন তখন তোমরা তাঁর প্রশংসা করতে করতে তাঁর আহ্বানে সাড়া দিবে এবং তোমরা ধারণা করবে যে, তোমরা অল্পদিনই ( দুনিয়ায় ) অবস্থান করেছো ।”( ১৭:৫২ ) মোটকথা, হুকুমের সাথে সাথেই সবাই একত্রিত হয়ে যাবে।মহান আল্লাহ বলবেনঃ ‘আজ কারো প্রতি যুলুম করা হবে না, বরং তোমরা যা করতে শুধু তারই প্রতিফল দেয়া হবে।'
সূরা ইয়াসীন আয়াত 54 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- মানুষের মা’বুদের
- অতঃপর ধমকিয়ে ভীতি প্রদর্শনকারীদের,
- অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
- আমি আপনাকে দৃঢ়পদ না রাখলে আপনি তাদের প্রতি কিছুটা ঝুঁকেই পড়তেন।
- বলুন, তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং দিয়েছেন কর্ণ, চক্ষু ও অন্তর। তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
- আমি তোমাদের উপর থেকে আযাব কিছুটা প্রত্যাহার করব, কিন্তু তোমরা পুনরায় পুনর্বস্থায় ফিরে যাবে।
- যখন তাদেরকে বোঝানো হয়, তখন তারা বোঝে না।
- তাদের মধ্যে কতক আপনার দিকে কান পাতে, অতঃপর যখন আপনার কাছ থেকে বাইরে যায়, তখন
- যখন তোমরা কোন দেশ সফর কর, তখন নামাযে কিছুটা হ্রাস করলে তোমাদের কোন গোনাহ নেই,
- সালেহ বললেন এই উষ্ট্রী, এর জন্যে আছে পানি পানের পালা এবং তোমাদের জন্যে আছে পানি
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ইয়াসীন ডাউনলোড করুন:
সূরা Yasin mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Yasin শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers