কোরান সূরা ক্বাসাস আয়াত 61 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Qasas ayat 61 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ক্বাসাস আয়াত 61 আরবি পাঠে(Qasas).
  
   

﴿أَفَمَن وَعَدْنَاهُ وَعْدًا حَسَنًا فَهُوَ لَاقِيهِ كَمَن مَّتَّعْنَاهُ مَتَاعَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ثُمَّ هُوَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنَ الْمُحْضَرِينَ﴾
[ القصص: 61]

যাকে আমি উত্তম প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, যা সে পাবে, সে কি ঐ ব্যক্তির সমান, যাকে আমি পার্থিব জীবনের ভোগ-সম্ভার দিয়েছি, অতঃপর তাকে কেয়ামতের দিন অপরাধীরূপে হাযির করা হবে? [সূরা ক্বাসাস: 61]

Surah Al-Qasas in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Qasas ayat 61


যাকে আমরা প্রতি‌শ্রুতি দিয়েছি উত্তম প্রতি‌শ্রুতিতে যা সে পেতে যাচ্ছে, সে কি তবে তার মতো যাকে দেওয়া হয়েছে এই দুনিয়ার জীবনের ভোগসম্ভার, তারপর কিয়ামতের দিনে সে হবে অভিযুক্তদের মধ্যেকার?


Tafsir Mokhtasar Bangla


৬১. যাকে আমি পরকালে জান্নাত এবং তাতে থাকা স্থায়ী নিয়ামতের ওয়াদা দিয়েছি সে কি ওই ব্যক্তির ন্যায় যাকে আমি দুনিয়ার জীবনে কিছু সম্পদ ও সৌন্দর্য দিয়েছি যা সে এখানেই ভোগ করে মাত্র। অতঃপর তাকে কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুনের সামনে উপস্থিত করা হবে?!

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


যাকে আমি উত্তম ( পুরস্কারের ) প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যা সে লাভ করবে, সে কি ঐ ব্যক্তির সমান যাকে আমি পার্থিব জীবনের ভোগসম্ভার দিয়েছি, যাকে পরে কিয়ামতের দিন ( অপরাধীরূপে ) উপস্থিত করা হবে?[১] [১] অর্থাৎ, শাস্তি ও আযাবের যোগ্য হবে। ঈমানদার লোক আল্লাহর প্রতিশ্রুতি মত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে এবং অবাধ্য লোক শাস্তি ও আযাবগ্রস্ত হবে। এরা উভয়ে কি সমান হতে পারে?

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


যাকে আমরা উত্তম পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, সে তো তা পাবেই, সে কি ঐ ব্যাক্তির সমান যাকে আমরা দুনিয়ার জীবনের ভোগ-সম্ভার দিয়েছি, তারপর কিয়ামতের দিন সে হবে হাযিরকৃতদের [] অন্তর্ভুক্ত? [] কিয়ামতের দিন সবাই হাযির হবে। তবে যাকে আল্লাহ্‌ ভাল ওয়াদা করেছেন, যাকে তার আনুগত্যের কারণে জান্নাতে যাওয়ার ফরমান আল্লাহ্‌ দিয়েছেন, সে তা অবশ্যই পাবে। কিন্তু যে দুনিয়ার জীবনে সবকিছু পেয়ে গেছে এবং আল্লাহ্‌র কাজ করেনি। সে তো হিসাব ও প্রতিফল পাওয়ার জন্য হাযির হবে। আর যার হিসাব নেয়া হবে সে তো ধ্বংস হয়ে যাবে। সুতরাং দু’দল কখনো সমান হতে পারে না। সুতরাং বুদ্ধিমানের উচিত জেনে বুঝে যা ভাল তা গ্ৰহণ করা। [ মুয়াসসার ] এভাবে প্রথম ব্যাক্তি হচ্ছে ঈমানদার, তার জন্য জান্নাত। আর দ্বিতীয় ব্যাক্তি হচ্ছে কাফের, সে জাহান্নামে হাযির হবে। [ জালালাইন ] মুজাহিদ বলেন, এর অর্থ তারা জাহান্নামে শাস্তি পাবে। [ ইবন কাসীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৬০-৬১ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা'আলা দুনিয়ার তুচ্ছতা, ওর জাকজমকের নগণ্যতা এবং অস্থায়িত্ব ও নশ্বরতার বর্ণনা দিচ্ছেন এবং অপরপক্ষে আখিরাতের নিয়ামতরাজির স্থায়িত্ব ও উৎকৃষ্টতার বর্ণনা দিচ্ছেন। যেমন তিনি বলেনঃ অর্থাৎ “ তোমাদের কাছে যা আছে তা শেষ হয়ে যাবে এবং আল্লাহর কাছে যা তা বাকী থাকবে ।( ১৬:৯৬ ) আরো বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ আল্লাহর নিকট যা রয়েছে সৎলোকদের জন্যে তা অতি উত্তম ।( ৩:১৯৮ ) আর এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ পার্থিব জীবন ( অস্থায়ী ) ভোগ-বিলাস ছাড়া কিছুই নয় ।( ৫৭:২০ ) অন্যত্র বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ কিন্তু তোমরা পার্থিব জীবনকে প্রাধান্য দিচ্ছ, অথচ আখিরাতই উৎকৃষ্টতর ও স্থায়ী ।( ৮৭:১৬-১৭ )রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ আল্লাহর শপথ! আখিরাতের তুলনায় দুনিয়া এমনই যেমন কেউ সমুদ্রের পানিতে তার অঙ্গুলী ডুবিয়ে দেয়, অতঃপর তা উঠিয়ে নিলে দেখতে পায় যে, তার অঙ্গুলীর অগ্রভাগে যতটুকু পানি উঠেছে তা সমুদ্রের পানির তুলনায় কতটুকু । তাই মহান আল্লাহ বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ যারা আখিরাতের উপর দুনিয়াকে প্রাধান্য দিচ্ছে তারা কি মোটেই জ্ঞান রাখে না?মহামহিমান্বিত আল্লাহ তাই বলেনঃ যাকে আমি উত্তম পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, যা সে পাবে সে কি কখনো ঐ ব্যক্তির মত হতে পারে যাকে আমি পার্থিব জীবনের ভোগ-সম্ভার দিয়েছি, অতঃপর যাকে কিয়ামতের দিন হাযির করা হবে ( ও খুঁটিনাটিভাবে হিসাব নিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে )? বর্ণিত আছে যে, এটা রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) এবং অভিশপ্ত আবু জেহেলের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়। একটি উক্তি এও আছে যে, এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয় হযরত হামযা ( রাঃ ) ও আবু জেহেলের ব্যাপারে। এটা প্রকাশমান যে, আয়াতটি সাধারণভাবেই অবতীর্ণ হয়েছে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেছেন যে, জান্নাতী মুমিন জান্নাত হতে ঝুঁকে দেখবে এবং জাহান্নামীকে জাহান্নামের মধ্যস্থলে দেখতে পেয়ে বলবেঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ না থাকলে আমিও তো আটক ব্যক্তিদের মধ্যে শামিল হতাম ।( ৩৭:৫৭ ) অন্য এক জায়গায় মহান আল্লাহ বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ জ্বিনেরা জানে যে, তাদেরকে অবশ্যই হাযির করা হবে ।( ৩৭:১৫৮ ) ৬২। আর সেই দিন তিনি তাদেরকে আহ্বান করে বলবেনঃ তোমরা যাদেরকে আমার শরীক গণ্য করতে তারা কোথায়?

সূরা ক্বাসাস আয়াত 61 সূরা

أفمن وعدناه وعدا حسنا فهو لاقيه كمن متعناه متاع الحياة الدنيا ثم هو يوم القيامة من المحضرين

سورة: القصص - آية: ( 61 )  - جزء: ( 20 )  -  صفحة: ( 393 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. এটি এমন একটি গ্রন্থ, যা আমি অবতীর্ণ করেছি, খুব মঙ্গলময়, অতএব, এর অনুসরণ কর এবং
  2. আর তোমরা উপরে উঠে যাচ্ছিলে এবং পেছন দিকে ফিরে তাকাচ্ছিলে না কারো প্রতি, অথচ রসূল
  3. হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি আহলে কিতাবদের কোন ফেরকার কথা মান, তাহলে ঈমান আনার পর তারা
  4. বন্ধুবর্গ সেদিন একে অপরের শত্রু হবে, তবে খোদাভীরুরা নয়।
  5. হে মুমিনগণ! তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যখন শত্রুবাহিনী তোমাদের নিকটবর্তী হয়েছিল,
  6. অতঃপর যখন ইব্রাহীম (আঃ) এর আতঙ্ক দূর হল এবং তিনি সুসংবাদ প্রাপ্ত হলেন, তখন তিনি
  7. তখন যে ব্যক্তি সীমালংঘন করেছে;
  8. আপনি জানেন ইল্লিয়্যীন কি?
  9. আর এ কথাও জেনে রাখ যে, কোন বস্তু-সামগ্রীর মধ্য থেকে যা কিছু তোমরা গনীমত হিসাবে
  10. যেন তারা ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত গর্দভ।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ক্বাসাস ডাউনলোড করুন:

সূরা Qasas mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Qasas শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ক্বাসাস  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers