কোরান সূরা মারইয়াম আয়াত 62 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Maryam ayat 62 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা মারইয়াম আয়াত 62 আরবি পাঠে(Maryam).
  
   

﴿لَّا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا إِلَّا سَلَامًا ۖ وَلَهُمْ رِزْقُهُمْ فِيهَا بُكْرَةً وَعَشِيًّا﴾
[ مريم: 62]

তারা সেখানে সালাম ব্যতীত কোন অসার কথাবার্তা শুনবে না এবং সেখানে সকাল-সন্ধ্যা তাদের জন্যে রুযী থাকবে। [সূরা মারইয়াম: 62]

Surah Maryam in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Maryam ayat 62


তারা সেখানে শুনবে না কোনো খেলো কথা 'সালাম’ ব্যতীত। আর তাদের জন্য সেখানে রয়েছে তাদের রিযেক সকালে ও সন্ধ্যায়।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৬২. তারা সেখানে অর্থহীন ও অশ্লীল কথা শুনতে পাবে না। বরং তারা একে অপরের এবং ফিরিশতাদের সালাম শুনতে পাবে। আর সেখানে তাদের চাহিদামত তাদের নিকট সকাল ও সন্ধ্যায় খানা আসতে থাকবে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


সেখানে তারা ‘শান্তি’ ছাড়া কোন অসার বাক্য শুনবে না[১] এবং সেথায় সকাল-সন্ধ্যায় তাদের জন্য থাকবে জীবনোপকরণ। [২] [১] অর্থাৎ, ফিরিশতারাও চর্তুদিক হতে সালাম করবে এবং জান্নাতীরাও একে অপরকে বেশি বেশি সালাম করবে। [২] ইমাম আহমাদ ( রঃ ) এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, জান্নাতে দিন-রাত হবে না। জান্নাত সর্বদা আলোয় আলোকিত থাকবে। হাদীসের মধ্যে আছে, জান্নাতে প্রবেশকারী প্রথম দলটির মুখমন্ডল হবে পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায়। না মুখে থুথু আসবে আর না নাকে পানি, না মল-মূত্র ত্যাগের প্রয়োজন হবে। ( মহিলাদের মাসিক আসবে না। ) তাদের বাসনপত্র ও চিরুনী হবে সোনার। তাদের সুরভিত ধোঁয়া হবে সুগন্ধ কাঠের। তাদের শরীরের ঘাম হবে মৃগনাভির ন্যায় সুগন্ধময়। প্রত্যেক জান্নাতীকে দু'জন স্ত্রী দেওয়া হবে; যাদের রূপ-সৌন্দর্য্যের কারণে বাহির হতে পায়ের হাড়ের ভিতরের মগজ দেখা যাবে। আপোসে কোন প্রকার মনোমালিন্য থাকবে না। তাদের অন্তর হবে একটি মানুষের অন্তরের মত। সকাল-সন্ধ্যা তারা আল্লাহর তসবীহ পাঠ করবে। ( বুখারী, মুসলিম )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


সেখানে তারা সালাম তথা শান্তি ছাড়া অন্য কোন অসার বাক্য শুনবে না [] এবং সেখানে সকাল সন্ধ্যা তাদের জন্য থাকবে তাদের রিযিক []। [] لغو বলে অনর্থক ও অসার কথাবার্তা গালিগালাজ এবং পীড়াদায়ক বাক্যালাপ বোঝানো হয়েছে। যেমন দুনিয়াতে কখনও কখনও মানুষ এটা শুনে থাকে। [ ইবন কাসীর ] জান্নাতবাসিগণ এ থেকে পবিত্র থাকবে। কোনরূপ কষ্টদায়ক কথা তাদের কানে ধ্বনিত হবেনা। অন্য আয়াতে এসেছে, “ সেখানে তারা শুনবে না কোন অসার বা পাপবাক্য, “সালাম’ আর ‘সালাম’ বাণী ছাড়া” [ সূরা আল-ওয়াকি’আহ:২৫২৬ ] জান্নাতীগণ একে অপরকে সালাম করবে এবং আল্লাহর ফেরেশতাগণ তাদের সবাইকে সালাম করবে। তারা দোষ-ত্রুটিমুক্ত হবে। জান্নাতে মানুষ যে সমস্ত নিয়ামত লাভ করবে তার মধ্যে একটি বড় নিয়ামত হবে এই যে, সেখানে কোন আজেবাজে, অর্থহীন ও কটু কথা শোনা যাবে না। তারা শুধু তা-ই শুনবে যা তাদেরকে শান্তি দেয়। [ ফাতহুল কাদীর ] [] জান্নাতে সুর্যোদয়, সুৰ্য্যস্ত এবং দিন ও রাত্রির অস্তিত্ব থাকবে না। সদা সর্বদা একই প্রকার আলো থাকবে। কিন্তু বিশেষ পদ্ধতিতে দিন, রাত্রি ও সকাল সন্ধ্যার পার্থক্য সূচিত হবে। এই রকম সকাল-সন্ধ্যায় জান্নাতবাসীরা তাদের জীবনোপকরণ লাভ করবে। [ ফাতহুল কাদীর ] একথা সুস্পষ্ট যে, জান্নাতিগণ যখন যে বস্তু কামনা করবে, তখনই কালবিলম্ব না করে তা পেশ করা হবে। এমতাবস্থায় মানুষের অভ্যাস ও স্বভাবের ভিত্তিতে সকাল-সন্ধ্যার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। মানুষ সকালসন্ধ্যায় আহারে অভ্যস্ত। আরবরা বলেঃ যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যার পূর্ণ আহার্য যোগাড় করতে পারে, সে সুখী ও স্বাচ্ছন্দাশীল। হাদীসে এসেছে, ‘শহীদগণ জান্নাতের দরজায় নালাসমূহের উৎপত্তিস্থলে সবুজ গম্বুজে অবস্থানরত রয়েছে, তাদের নিকট জান্নাত থেকে সকাল-বিকাল খাবার যায়’ [ মুসনাদে আহমাদ: ১/২৬৬ ] অন্য হাদীসে এসেছে, ‘প্রথম দলটি যারা জান্নাতে প্ৰবেশ করবে, তাদের রূপ হবে চৌদ্দ তারিখের রাতের চাঁদের রূপ। সেখানে তারা থুথু ফেলবে না, শর্দি-কাশি ফেলবে না, পায়খানা-পেশাব করবে না। তাদের প্লেট হবে স্বর্ণ ও রৌপ্যের, তাদের সুগন্ধি কাঠ হবে ভারতীয় উদ কাঠের, তাদের ঘাম হবে মিশকের। তাদের প্রত্যেকের জন্য থাকবে দু’জন করে স্ত্রী, যাদের সৌন্দর্য এমন হবে যে, গোস্তের ভিতর থেকেও হাঁড়ের ভিতরের মজ্জা দেখা যাবে। মতবিরোধ থাকবে না, থাকবেনা ঝগড়া-হিংসা হানাহানি, তাদের সবার অন্তর এক রকম হবে। সকাল বিকাল তারা আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করবে।” [ বুখারী: ৩২৪৫ ] কোন কোন তফসীরবিদ বলেনঃ আয়াতে সকাল-সন্ধ্যা বলে ব্যাপক সময় বোঝানো হয়েছে, যেমন দিবারাত্রি ও পূর্ব-পশ্চিম শব্দগুলোও ব্যাপক অর্থে বলা হয়ে থাকে। কাজেই আয়াতের উদ্দেশ্য এই যে, জান্নাতীদের খায়েশ অনুযায়ী তাদের খাদ্য সদাসর্বদা উপস্থিত থাকবে। [ ইবন কাসীর ]

সূরা মারইয়াম আয়াত 62 সূরা

لا يسمعون فيها لغوا إلا سلاما ولهم رزقهم فيها بكرة وعشيا

سورة: مريم - آية: ( 62 )  - جزء: ( 16 )  -  صفحة: ( 309 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. বল, আছে কি কেউ তোমাদের শরীকদের মাঝে যে সৃষ্টি কে পয়দা করতে পারে এবং আবার
  2. আর তাদের অধিকাংশ লোককেই আমি প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়নকারীরূপে পাইনি; বরং তাদের অধিকাংশকে পেয়েছি হুকুম অমান্যকারী।
  3. সত্য তাদের স্বপক্ষে হলে তারা বিনীতভাবে রসূলের কাছে ছুটে আসে।
  4. তাতে করে তাদেরকে দ্রুত মঙ্গলের দিকে নিয়ে যাচ্ছি? বরং তারা বোঝে না।
  5. কিন্তু যারা তাদের পালনকর্তাকে ভয় করে, তাদের জন্যে নির্মিত রয়েছে প্রাসাদের উপর প্রাসাদ। এগুলোর তলদেশে
  6. আপনি বলুনঃ তিনিই শক্তিমান যে, তোমাদের উপর কোন শাস্তি উপর দিক থেকে অথবা তোমাদের পদতল
  7. আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের অদৃশ্য বিষয় জানেন, তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখেন।
  8. আর তাদেরকে শুনিয়ে দাও নূহের অবস্থা যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বলল, হে আমার সম্প্রদায়, যদি
  9. এটা কিতাব, এর আয়াতসমূহ বিশদভাবে বিবৃত আরবী কোরআনরূপে জ্ঞানী লোকদের জন্য।
  10. এখন তারা বলবেঃ আল্লাহর। বলুনঃ তাহলে কোথা থেকে তোমাদেরকে জাদু করা হচ্ছে?

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মারইয়াম ডাউনলোড করুন:

সূরা Maryam mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Maryam শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত মারইয়াম  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত মারইয়াম  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত মারইয়াম  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত মারইয়াম  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত মারইয়াম  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত মারইয়াম  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত মারইয়াম  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত মারইয়াম  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত মারইয়াম  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত মারইয়াম  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers