কোরান সূরা রা'দ আয়াত 7 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Raad ayat 7 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা রা'দ আয়াত 7 আরবি পাঠে(Raad).
  
   

﴿وَيَقُولُ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْلَا أُنزِلَ عَلَيْهِ آيَةٌ مِّن رَّبِّهِ ۗ إِنَّمَا أَنتَ مُنذِرٌ ۖ وَلِكُلِّ قَوْمٍ هَادٍ﴾
[ الرعد: 7]

কাফেররা বলেঃ তাঁর প্রতি তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন অবতীর্ণ হল না কেন? আপনার কাজ তো ভয় প্রদর্শন করাই এবং প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্যে পথপ্রদর্শক হয়েছে। [সূরা রা'দ: 7]

Surah Ar-Rad in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Raad ayat 7


আর যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা বলে -- ''কেন তাঁর কাছে তাঁর প্রভুর কাছ থকে কোনো নিদর্শন প্রেরিত হয় না?’’ তুমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র, এবং সকল জাতির জন্যে একজন পথপ্রদর্শক।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৭. যারা আল্লাহর সাথে কুফরি করেছে তারা আরো বেশি হঠকারিতা দেখিয়ে এবং আল্লাহর পথে আরো বেশি বাধা সৃষ্টি করে বলে: কেন মুহাম্মাদের উপর তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন নাযিল হয়নি। যেমনিভাবে তা নাযিল করা হয়েছে মূসা এবং ‘ঈসা ( আলাইহিমাস-সালাম ) এর উপর। হে রাসূল! আপনি কেবল ভীতি প্রদর্শনকারী। আপনি মানুষকে আল্লাহর শাস্তির ভীতি প্রদর্শন করে থাকেন। আপনি সেই নিদর্শনেরই অধিকারী হবেন যা আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে দিবেন। আর প্রত্যেক জাতিরই একজন নবী রয়েছেন যিনি তাদেরকে সত্যের পথ প্রদর্শন করবেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


যারা অবিশ্বাস করেছে তারা বলে, ‘তার প্রতিপালকের নিকট হতে তার নিকট কোন নিদর্শন অবতীর্ণ করা হয় না কেন?’ তুমি তো শুধুমাত্র একজন সতর্ককারী।[১] আর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য পথ প্রদর্শক রয়েছে। [২] [১] প্রত্যেক নবীকে মহান আল্লাহ অবস্থা, প্রয়োজন এবং স্বীয় ইচ্ছা ও হিকমত মোতাবেক কিছু নিদর্শন ও মু'জিযা দান করেছেন। কিন্তু কাফেররা নিজ খেয়াল-খুশি অনুযায়ী মু'জিযা তলব করতে থাকে। যেমন মক্কার কাফেররা নবী ( সাঃ )-কে বলত যে, সাফা পর্বতকে সোনার বানিয়ে দেওয়া হোক অথবা পর্বতের স্থানে নদী ও ঝর্ণা প্রবাহিত করে দেওয়া হোক ইত্যাদি ইত্যাদি। তাদের মন মত মু'জিযা না দেখানো হলে তারা বলতে আরম্ভ করত যে, এর উপর কোন মু'জিযা কেন অবতীর্ণ করা হলো না? মহান আল্লাহ বলেন, হে নবী! তোমার কাজ শুধু সতর্ক করা এবং পৌঁছে দেওয়া। এটা তুমি করতে থাক। কেউ মানুক বা না মানুক, সেটা তোমার দেখার নয়। কেননা হিদায়াত দান করা আমার কাজ। তোমার কাজ পথ দেখানো। তাকে উক্ত পথে চালানো তোমার কাজ নয়, সে কাজ আমার।[২] প্রত্যেক সম্প্রদায়ের নিকট মহান আল্লাহ তাদের নির্দেশনার জন্য পথপ্রদর্শক অবশ্যই পাঠিয়েছেন। এটা ভিন্ন কথা যে, সম্প্রদায়ের মানুষেরা হিদায়াতের পথ অবলম্বন করল বা করল না। কিন্তু সঠিক পথ দেখাবার জন্য পয়গম্বর অবশ্যই এসেছেন। মহান আল্লাহ বলেন: ﴿وَإنْ مِنْ أُمَّةٍ إلَّا خَلَا فِيْهَا نَذِيْرٌ﴾ অর্থাৎ, প্রত্যেক সম্প্রদায়ের নিকট সতর্ককারী অবশ্যই এসেছে। ( সূরা ফাতির ৩৫:২৪ )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর যারা কুফরী করেছে তারা বলে, ‘তার রবের কাছ থেকে তার উপর কোন নিদর্শন নাযিল হয় না কেন []?’ আপনি তো শুধু সতর্ককারী, আর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য আছে পথ প্রদর্শক []। [] কাফেরদের তৃতীয় সন্দেহ ছিল এই যে, আমরা রাসূলের কাছে বিশেষ ধরনের যেসব মু'জিযা দেখতে চাই, সেগুলো তিনি প্রকাশ করেন না কেন? এখানে তারা এমন নিশানীর কথা বলতে চাচ্ছিল যা দেখে তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আল্লাহ্‌র রাসূল হবার উপর ঈমান আনতে পারে। এটা ছিল মূলতঃ তাদের গোঁড়ামী। যেমন এর পূর্বেও তারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে সাফা পাহাড়কে স্বর্ণে পরিণত করার অযথা আব্দার করেছিল। তারা আরও বলেছিল যে, আপনি মক্কার পাহাড়গুলোকে সরিয়ে দিন। সে পাহাড়ের জায়গায় নদী-নালার ব্যবস্থা করে দিন। অন্য আয়াতে আল্লাহ্ বলেন, “ আর আমাদেরকে নিদর্শন প্রেরণ করা থেকে শুধু এটাই বিরত রেখেছে যে, তাদের পূর্ববর্তীগণ তাতে মিথ্যারোপ করেছিল ।” [ সূরা আল-ইসরাঃ ৫৯ ] [ ইবন কাসীর ] মু'জিযা প্রকাশ করা সরাসরি আল্লাহ্‌র কাজ। তিনি যখন যে ধরনের মু'জিযা প্রকাশ করতে চান, তাই করেন। তিনি কারো দাবী ও ইচ্ছা পূরণ করতে বাধ্য নন। এ জন্যই বলা হয়েছেঃ ( اِنَّمَآ اَنْتَ مُنْذِرٌ ) অর্থাৎ আপনার কাজ শুধু আল্লাহ্‌র আযাব সম্পর্কে ভয় প্রদর্শন করা। [] আয়াতের কয়েকটি অর্থ করা হয়ে থাকে। এক.
আপনি তো একজন ভীতিপ্রদর্শনকারী আর প্রতিটি কাওমের জন্য রয়েছে হিদায়াতকারী নবী, যিনি তাদেরকে আল্লাহ্র দিকে আহ্বান করবেন। [ বাগভী; ইবন কাসীর ] দুই.
আপনি তো একজন ভীতিপ্রদর্শনকারী এবং প্রতিটি কাওমের জন্যও আপনি হিদায়াতকারী অর্থাৎ আহ্বানকারী। [ বাগভী; ইবন কাসীর ] তিন.
সাঈদ ইবন জুবাইর বলেন, এর অর্থ আপনি তো একজন ভীতিপ্রদর্শনকারী। আর সত্যিকার হিদায়াতকারী তো আল্লাহ্ তা'আলাই। [ বাগভী; ইবন কাসীর ] প্রথম মতটিকে ইমাম শানকীতী প্রাধান্য দিয়ে বলেন, এর সমার্থে অন্যত্র এসেছে, “আর প্রত্যেক উম্মতের জন্য আছে একজন রাসূল” [ সূরা ইউনুস: ৪৭ ] আরও এসেছে, “আর এমন কোন উম্মত নেই যার কাছে গত হয়নি সতর্ককারী” [ সূরা ফাতির : ২৪ ] আরও এসেছে, “আর অবশ্যই আমরা প্রত্যেক জাতির মধ্যে রাসূল পাঠিয়েছিলাম” [ সূরা আন-নাহল: ৩৬ ] [ আদওয়াউল বায়ান ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


মুশরিকদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআ’লা বলছেনঃ তারা অবাধ্যতা ও একগুঁয়েমী ভাব নিয়ে বলেঃ পূর্ববর্তী নবীগণ যেমনভাবে মু'জিযা নিয়ে এসেছিলেন তেমনিভাবে এই নবী অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ ( সঃ ) কোন মু’জিযা নিয়ে আগমন করেন নাই কেন? যেমন সাফা পাহাড়কে সোনা বানিয়ে দেয়া, আরবের পাহাড়কে ওখান থেকে সরিয়ে ফেলা, আরব ভূমি সবুজ শ্যামল করে তোলা, এখানে নদী প্রবাহিত করা ইত্যাদি। তাদের এ কথার উত্তরে অন্য জায়গায় রয়েছেঃ মু’জিযা’ প্রেরণ করা হতে আমাকে এ জিনিসই বিরত রেখেছে যে, পুর্ববর্তীরা তা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল।” মহান আল্লাহ বলেনঃ “ হে নবী ( সঃ )! তুমি মুশরিকদের এসব কথায় মোটেই দুঃখিত ও চিন্তিত হয়ো না । তোমার দায়িত্ব শুধু পৌঁছিয়ে দেয়া। তুমি হিদায়াতকারী নও। তারা না মানলে তোমাকে পাকড়াও করা হবে না। হিদায়াত করার হাত আল্লাহ তাআ’লার। এ কাজ তোমার ক্ষমতার বাইরে। প্রত্যেক কওমের জন্যেই পথ প্রদর্শক ও আহবানকারী রয়েছে।’ অথবা ভাবার্থ হবেঃ ‘হিদায়াতকারী আমি এবং ভয় প্রদর্শনকারী তুমি।' অন্য আয়াতে রয়েছেঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে ভয় প্রদর্শনকারী অতিবাহিত হয়েছেন ।( ৩৫:২৪ ) এখানে ( আরবি ) দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে নবী। সুতরাং প্রত্যেক দলের মধ্যেই পথ প্রদর্শক থাকেন। তাঁর ইলম ও আমল দ্বারা অন্যান্যেরা পথ পেয়ে থাকে। এই উম্মতের পথ প্রদর্শক হচ্ছেন হয়রত মুহাম্মদ ( সঃ )। একটি অত্যন্ত অস্বীকৃত রিওয়াইয়াতে রয়েছে যে, এই আয়াতটি অবতীর্ণ হওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) স্বীয় বক্ষে হাত রেখে বলেনঃ “ ভয় প্রদর্শনকারী আমি এবং প্রত্যেক সম্প্রদায়ের একজন হাদী বা পথ প্রদর্শক রয়েছে ।” ঐ সময় তিনি হযরত আলীর ( রাঃ ) স্কন্ধের দিকে ইঙ্গিত করে বলেনঃ “ হে আলী ( রাঃ )! তুমি হাদী । আমার পরে তোমার দ্বারা মানুষ হিদায়াত প্রাপ্ত হবে।” ( এ হাদীসটি আবু জাফর ইবনু জারীর (রাঃ ) হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণনা করেছেন এবং এতে ভীষণ অস্বীকৃতি রয়েছে)হযরত আলী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, এখানে ‘হাদী’ দ্বারা কুরায়েশের একজন লোককে বুঝানো হয়েছে হযরত জুনাইদ ( রাঃ ) বলেন যে, লোকটি হচ্ছেন স্বয়ং হযরত আলী ( রাঃ )। ইবনু জারীর ( রঃ ) হযরত আলীর ( রাঃ ) হাদী হওয়ার কথা বর্ণনা করেছেন। ( কিন্তু এতেও কঠিন নাকারাত বা অস্বীকৃতি রয়েছে )

সূরা রা'দ আয়াত 7 সূরা

ويقول الذين كفروا لولا أنـزل عليه آية من ربه إنما أنت منذر ولكل قوم هاد

سورة: الرعد - آية: ( 7 )  - جزء: ( 13 )  -  صفحة: ( 250 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আমি নূহ ও ইব্রাহীমকে রসূলরূপে প্রেরণ করেছি এবং তাদের বংশধরের মধ্যে নবুওয়ত ও কিতাব অব্যাহত
  2. আমি কেয়ামতের দিন ন্যায়বিচারের মানদন্ড স্থাপন করব। সুতরাং কারও প্রতি জুলুম হবে না। যদি কোন
  3. সুনিশ্চিত বিষয়।
  4. যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর;
  5. আর যদি আল্লাহ তা’আলা মানুষকে যথাশীঘ্র অকল্যাণ পৌঁছে দেন যতশীঘ্র তার কামনা করে, তাহলে তাদের
  6. আর যখন আমি আস্বাদন করাই স্বীয় রহমত সে কষ্টের পর, যা তাদের ভোগ করতে হয়েছিল,
  7. তারা সেখানে শান্ত মনে বিভিন্ন ফল-মূল আনতে বলবে।
  8. তার সম্প্রদায়ের দাম্ভিক সর্দাররা ঈমানদার দারিদ্রদেরকে জিজ্ঞেস করলঃ তোমরা কি বিশ্বাস কর যে সালেহ কে
  9. আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায
  10. আর কোন লোক এমনও রয়েছে যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং তাদের প্রতি তেমনি

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা রা'দ ডাউনলোড করুন:

সূরা Raad mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Raad শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত রা'দ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত রা'দ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত রা'দ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত রা'দ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত রা'দ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত রা'দ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত রা'দ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত রা'দ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত রা'দ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত রা'দ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত রা'দ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত রা'দ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত রা'দ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত রা'দ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত রা'দ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত রা'দ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত রা'দ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত রা'দ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত রা'দ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত রা'দ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত রা'দ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত রা'দ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত রা'দ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত রা'দ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত রা'দ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, October 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers