কোরান সূরা যুখরুফ আয়াত 8 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Zukhruf ayat 8 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা যুখরুফ আয়াত 8 আরবি পাঠে(Zukhruf).
  
   

﴿فَأَهْلَكْنَا أَشَدَّ مِنْهُم بَطْشًا وَمَضَىٰ مَثَلُ الْأَوَّلِينَ﴾
[ الزخرف: 8]

সুতরাং আমি তাদের চেয়ে অধিক শক্তি সম্পন্নদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি। পূর্ববর্তীদের এ ঘটনা অতীত হয়ে গেছে। [সূরা যুখরুফ: 8]

Surah Az-Zukhruf in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Zukhruf ayat 8


তারপর এদের চাইতে বলবীর্যে বেশী শক্তিশালীদেরও আমরা ধ্বংস করেছিলাম, আর পূর্ববর্তীদের দৃষ্টান্ত অতীতে রয়েছে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৮. ফলে আমি তাদেরকে ধ্বংস করেছি যারা এসব জাতি অপেক্ষা অধিক প্রতাপশালী ছিলো। অতএব, আমি তাদের অপেক্ষা দুর্বলদেরকে ধ্বংস করতে অপারগ নই। আর কুরআনে পূর্বেকার জাতিসমূহ যেমন: আদ, সামূদ লূত সম্প্রদায় ও মাদয়ানবাসী তাদেরকে ধ্বংস করার বর্ণনা অতিক্রান্ত হয়েছে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


ওদের মধ্যে যারা এদের অপেক্ষা শক্তিতে প্রবল ছিল[১] তাদেরকে আমি ধ্বংস করেছিলাম; আর পূর্ববর্তীদের দৃষ্টান্ত ঘটে গেছে। [২] [১] অর্থাৎ, মক্কাবাসীদের থেকেও বেশী শক্তিশালী ছিল। যেমন, অন্যত্র বলেছেন, {كَانُوْا أَكْثَرَ مِنْهُمْ وَأَشَدَّ قُوَّةً} " তারা এদের চেয়েও সংখ্যায় ও শক্তিতে অনেক বেশী ছিল। " ( সূরা মু'মিন ৪০:৮২ আয়াত ) [২] অর্থাৎ, কুরআন মাজীদে সেই সম্প্রদায়দের কথা অথবা তাদের গুণাবলী একাধিকবার উল্লিখিত হয়েছে। এতে মক্কাবাসীদের জন্য এইভাবে ধমক দেওয়া হয়েছে যে, পূর্বের জাতিরা রসূলদেরকে মিথ্যাজ্ঞান করার কারণে বিনাশপ্রাপ্ত হয়েছে। এরাও যদি মুহাম্মাদ ( সাঃ )-এর রিসালাতকে মিথ্যা মনে করাতে অটল থাকে, তবে তাদের ন্যায় এরাও ধ্বংস হয়ে যাবে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


ফলে যারা এদের চেয়ে শক্তিতে প্রবল ছিল তাদেরকে আমরা ধ্বংস করেছিলাম ; আর গত হয়েছে পূর্ববর্তীদের অনুরূপ দৃষ্টান্ত।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১-৮ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা কুরআন কারীমের শপথ করেছেন যা সুস্পষ্ট, যার অর্থ জাজ্বল্যমান এবং যার শব্দগুলো উজ্জ্বল। যা সর্বাপেক্ষা সুন্দর ও অলংকারপূর্ণ আরবী ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে। এটা এই জন্যে যে, যেন লোকজন জানে, বুঝে ও উপদেশ গ্রহণ করে। মহান আল্লাহ বলেনঃ “ আমি এই কুরআনকে আরবী ভাষায় অবতীর্ণ করেছি ।' যেমন অন্য জায়গায় তিনি বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ আমি এই কুরআনকে স্পষ্ট আরবী ভাষায় অবতীর্ণ করেছি ।( ২৬:১৯৫ )মহান আল্লাহ বলেনঃ “ এটা রয়েছে আমার নিকট উম্মুল কিতাবে, এটা মহান, জ্ঞানগর্ভ । উম্মুল কিতাব অর্থ লাওহে মাহফু। ( আরবী ) অর্থ আমার নিকট। ( আরবী ) অর্থ মরতবা, ইযযত, শরাফত ও ফযীলত। ( আরবী ) অর্থ দৃঢ়, মযবূত, বাতিলের সাথে মিলিত হওয়া এবং অন্যায়ের সাথে মিশ্রিত হওয়া হতে পবিত্র। অন্য জায়গায় এই পবিত্র কালামের বুযুর্গীর বর্ণনা নিম্নরূপে দেয়া হয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ নিশ্চয়ই এটা সম্মানিত কুরআন, যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে, যারা পূত পবিত্র তারা ব্যতীত অন্য কেউ স্পর্শ করে না । এটা জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট হতে অবতীর্ণ।”( ৫৬:৭৭-৮০ ) আর এক জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ না, এই আচরণ অনুচিত, এটা তো উপদেশ বাণী; যে ইচ্ছা করবে সে এটা স্মরণ রাখবে, ওটা আছে মহান লিপিসমূহে, যা উন্নত মর্যাদা সম্পন্ন, পবিত্র, মহান, পূত চরিত্র লিপিকর-হস্তে লিপিবদ্ধ ।( ৮০:১১-১৬ ) সুতরাং এই আয়াতগুলোকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করে আলেমগণ বলেন যে, অযু বিহীন অবস্থায় কুরআন কারীমকে হাতে নেয়া উচিত নয়, যেমন একটি হাদীসেও এসেছে, যদি তা সত্য হয়। কেননা, ঊর্ধ্ব জগতে ফেরেশতারা ঐ কিতাবের ইযযত ও সম্মান করে থাকেন যাতে এই কুরআন লিখিত আছে। সুতরাং এই পার্থিব জগতে আমাদের তো আরো বেশী এর সম্মান করা উচিত। কেননা, এটা যমীনবাসীর নিকটই তো প্রেরণ করা হয়েছে। এটা দ্বারা তো তাদেরকেই সম্বোধন করা হয়েছে। অতএব, এই পৃথিবীবাসীর এর খুব সম্মান ও আদব করা উচিত। কেননা, মহান আল্লাহ বলেনঃ “ এটা রয়েছে আমার নিকট উম্মুল কিতাবে, এটা মহান, জ্ঞানগর্ভ ।এর পরবর্তী আয়াতের একটি অর্থ এই করা হয়েছেঃ “ তোমরা কি এটা মনে করে নিয়েছে যে, তোমাদের আনুগত্য না করা এবং আদেশ নিষেধ মান্য না করা সত্ত্বেও আমি তোমাদেরকে ছেড়ে দিবো? এবং তোমাদেরকে শাস্তি প্রদান করবো না?” আর একটি অর্থ এই করা হয়েছেঃ “এই উম্মতের পূর্ববর্তী লোকেরা যখন এই কুরআনকে অবিশ্বাস করেছিল তখনই যদি এটাকে উঠিয়ে নেয়া হতো তবে গোটা দুনিয়া ধ্বংস করে দেয়া হতো । কিন্তু আল্লাহর প্রশস্ত রহমত এটা পছন্দ করেনি এবং বিশের অধিক বছর ধরে এ কুরআন অবতীর্ণ হতে থাকে। এ উক্তির ভাবার্থ হচ্ছেঃ “ এটা আল্লাহ তা'আলার স্নেহ ও দয়া যে, অস্বীকারকারী ও দুষ্টমতি লোকদের দুষ্টামির কারণে তাদেরকে ওয়ায-নসীহত ও উপদেশ দান পরিত্যাগ করা হয়নি যাতে তাদের সৎ লোকেরা সংশোধিত হয়ে যায় এবং সংশোধন হতে অনিচ্ছুক লোকদের উপর যুক্তি-প্রমাণ সমাপ্ত হয়ে যায় ।”এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ স্বীয় নবী ( সঃ )-কে সান্ত্বনা দিয়ে বলেনঃ “ হে নবী ( সঃ )! তোমাকে তোমার কওম যে অবিশ্বাস করছে এতে তুমি দুঃখিত ও চিন্তিত হয়ো না, বরং ধৈর্যধারণ কর । এদের পূর্ববর্তী কওমদের নিকটেও নবী রাসূলগণ এসেছিল, তখন তারাও তাদেরকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ ও উপহাস করেছিল।”অতঃপর আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ ‘তাদের মধ্যে যারা এদের অপেক্ষা শক্তিতে প্রবল ছিল তাদেরকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছিলাম। আর এই ভাবে চলে আসছে পূর্ববর্তীদের অনুরূপ দৃষ্টান্ত। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ এরা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না? করলে দেখতো এদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কি হয়েছিল! পৃথিবীতে তারা ছিল এদের অপেক্ষা সংখ্যায় অধিক এবং শক্তিতে প্রবলতর ।( ৪০:৮২ ) এই বিষয়ের আরো বহু আয়াত রয়েছে।মহান আল্লাহ বলেনঃ পূর্ববর্তীদের দৃষ্টান্ত গত হয়েছে অর্থাৎ তাদের রীতি-নীতি, শাস্তি ইত্যাদি। আল্লাহ তাআলা তাদের পরিণামকে পরবর্তীদের জন্যে শিক্ষা ও উপদেশের বিষয় করেছেন। যেমন তিনি এই সূরার শেষের দিকে বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তৎপর পরবর্তীদের জন্যে আমি তাদেরকে করে রাখলাম অতীত ইতিহাস ও দৃষ্টান্ত ।” অন্য জায়গায় বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ আল্লাহর নিয়ম তাঁর বান্দাদের মধ্যে গত হয়েছে ।( ৪০:৮৫ ) অন্য এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তুমি আল্লাহর নিয়মের কোন পরিবর্তন পাবে না ।( ৩৩:৬২ )

সূরা যুখরুফ আয়াত 8 সূরা

فأهلكنا أشد منهم بطشا ومضى مثل الأولين

سورة: الزخرف - آية: ( 8 )  - جزء: ( 25 )  -  صفحة: ( 489 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায়
  2. বসবাস ও অবস্থানস্থল হিসেবে তা কত নিকৃষ্ট জায়গা।
  3. আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তিনি মহা আরশের মালিক।
  4. সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে একটি নির্দশন দিন। তিনি বললেন তোমার নিদর্শন এই যে,
  5. এরাই হল সে সমস্ত লোক, যারা হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী খরিদ করেছে এবং (খরিদ করেছে) ক্ষমা
  6. তোমরা যা করতে, তারই প্রতিফল পাবে।
  7. নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সবাই তাঁর কাছে প্রার্থী। তিনি সর্বদাই কোন না কোন কাজে রত আছেন।
  8. তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ মেঘমালাকে সঞ্চালিত করেন, অতঃপর তাকে পুঞ্জীভূত করেন, অতঃপর তাকে
  9. যেদিন আল্লাহর শত্রুদেরকে অগ্নিকুন্ডের দিকে ঠেলে নেওয়া হবে। এবং ওদের বিন্যস্ত করা হবে বিভিন্ন দলে।
  10. এমন সাফল্যের জন্যে পরিশ্রমীদের পরিশ্রম করা উচিত।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা যুখরুফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Zukhruf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Zukhruf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত যুখরুফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত যুখরুফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত যুখরুফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত যুখরুফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত যুখরুফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত যুখরুফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত যুখরুফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত যুখরুফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত যুখরুফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত যুখরুফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত যুখরুফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত যুখরুফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত যুখরুফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত যুখরুফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত যুখরুফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত যুখরুফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত যুখরুফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত যুখরুফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত যুখরুফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত যুখরুফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত যুখরুফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত যুখরুফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত যুখরুফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত যুখরুফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত যুখরুফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers